সিনিয়র লেডি ডন বউ। পর্ব - ০৪
মিমঃ আরে তুমি এইখান থেকে ওইখানে গেলা কীভাবে..? কি করতে চাচ্ছিলা সত্যি করে বল তু..?
মিমঃ কি বলছ বুঝতে পারছি না ভালো করে বল..?
আমিঃ আসলে আমার খুব জোরে ইয়ে পেয়েছে তাই চটপট করতে করতে ওইখানে চলে গেছিলাম
।।

মিমঃ তা আমায় ডাক দিবা না, তুমিও না কি যে কর।। আচ্ছা দাড়াউ আমি তোমার হাত-পা খুলে দিচ্ছি (এরপর উনি আমার হাত পা খুলে দিলেন আর আমি চেয়ার থেকে উঠে বসলাম)।।
আমিঃ আহ কি আরাম এখন শান্তিতে পালাতে পারব (আস্তে বললাম)।।
মিমঃ কি বললা তুমি..?
আমিঃ না মানে বলছি বাথরুমটা কোনদিকে..?
মিমঃ আস আমার সাথে আমি দেখিয়ে দিচ্ছি (কথাটা বলে আমার হাত ধরে রুমের বাহিরে নিয়ে আসলো।। তারপর একটা সুন্দর সাজানো রুমে আমায় নিয়ে আসলো)।।
আমিঃ আমায় এইখানে কেন এনেছেন..?
মিমঃ যাউ ওইদিকে বাথরুম আছে (আঙুল ইশারা করে দেখিয়ে বলল)।।
আমিঃ আর কথা না বলে চুপচাপ মিম আপুর দেখানো বাথরুমে ঢুকে পরলাম।।
বাথরুমে ঢুকে চিন্তা করছি এখন কি করা যায়।। এখন যদি না পালাই তাহলে বের হলেই মিম আপু আবার আমায় বেধে রাখবে তখন পালাব কি করে..? দেখি এইখান থেকে পালানোর কোনো রাস্তা খুজে পাওয়া যায় কি না।।
ওই তু পেয়ে গেছি বাথরুমের একটা ছোট্ট জানালা।। হে এটা দিয়েই পালাতে হবে নাহলে আর পালানো যাবে না।। কিন্তু জানালাটা ভাঙব কি করে..? জানালার কাছে গিয়ে হাত দিয়ে টেনে দেখি জানালাটা একটু জোরে টান দিলেই খুলে যাবে।। দেখি কিছু করা যায় কি না।।
তারপর শরীরের সব শক্তি দিয়ে জানালাটা খুলার চেষ্টা করতে লাগলাম।। এক সময় জানালাটা খুলেই গেল।। আহ খুলে গেছে তাহলে
।। এরপর কোনো রকমে জানালার রাস্তা দিয়ে বাহির হয়ে আসলাম।। বাহিরে এসে দেখি চারপাশ একদম মানব শুন্য।। একটা পশু-পাখিও দেখছি না কোথাউ।।

নাহ এইখানে বেশি সময় দাড়িয়ে থাকা যাবে না নাহলে যে কেউ আমায় দেখে ফেলবে।। হাটতে থাকি দেখি কোনো রাস্তা পাওয়া যায় কি না।। আর দাড়িয়ে না থেকে হাটা শুরু করলাম।। জানি না ওরা আমায় কোথায় নিয়ে এসেছিল।। এই জায়গাটাও চিনতে পারছি না।। কাছে একটা মোবাইলও নেই নাহলে কাউকে ফোন করা যেত।।
প্রায় কিছুক্ষণ হাটার পর হঠাৎ একটা রাস্তা চোখে পরল।। আরে ওই তু রাস্তা আর রাস্তা দিয়ে একটা গাড়িও আসছে এইদিকে।। দেখি গাড়িটা আটকিয়ে একটু সাহায্য করে কি না।। এরপর দৌড়ে রাস্তার পাশে এসে গাড়িটাকে ডেকে দাড় করালাম।।
আমিঃ প্লিজ আমাকে একটু হেল্প করেন আমি এই জায়গায় ভুলে এসে পরেছি।। আর এইখান থেকে বের হওয়ার কোনো রাস্তাও খুজে পাচ্ছি না (গাড়ির কাছে গিয়ে বললাম কথাটা)।।
একটু পর গাড়ি থেকে একটা মধ্যবয়স্ক লোক বের হয়ে আসলো।। লোকটাকে দেখে অনেক ধনী মনে হচ্ছে।।
লোকটাঃ আমার দিকে ভালো করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে ফোনটা বের করে কাকে যেন ফোন করলো।।
লোকটাঃ মামনি একটু অপেক্ষা কর আব্বু এখনই আসছি।।
--------- (অপাশ থেকে কি বলছে শুনতে পাচ্ছি না)।।
লোকটাঃ মামনি তুমি চিন্তা কর না আমি ওকে তোমার কাছে নিয়ে আসছি।।
--------- (এখনও কিছু শুনতে পেলাম না)।।
লোকটাঃ আচ্ছা এখন ফোনটা রাখ আব্বু আসছি (বলেই ফোন কেটে দিলেন)।।
লোকটাঃ হে বাবা তুমি কি যেন বলছিলে..?
আমিঃ আসলে আমি এইখানে ভুলে চলে এসেছি আর এইখানের রাস্তাও ঠিকমতো ছিনি না।। আপনি যদি আমায় ------- এই জায়গায় নিয়ে যেতেন তাহলে আপনার কাছে সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকতাম
।।

লোকটাঃ ওহ এই ব্যাপার আচ্ছা তুমি গাড়িতে উঠ আমি তোমায় ওইখানে নিয়ে যাচ্ছি।।
আমিঃ সত্যি আংকেল
..?

লোকটাঃ হুম সত্যি এখন তারাতাড়ি গাড়িতে উঠে বস গিয়ে।।
এরপর আর কথা না বাড়িয়ে গাড়িতে গিয়ে উঠে পরলাম।। আমার পাশে লোকটাও এসে বসে পরল।। এরপর ড্রাইভার গাড়ি চালানো শুরু করল।।
প্রায় কিছুক্ষণ পর গাড়ি এসে থামলো একটা বাড়ির সামনে।। এরপর লোকটা আমায় গাড়ি থেকে নামতে বলে নিজেও নেমে পরল।। আমিও উনার সাথে নেমে চারপাশে তাকাতে লাগলাম।। এ আমি কোথায় এলাম এটা কার বাড়ি..?
লোকটাঃ ভিতরে চল বাবা।।
আমিঃ আপনি আমায় কোথায় নিয়ে এসেছেন এটা কার বাড়ি..?
লোকটাঃ এটা আমারই বাড়ি আর ভিতরে গেলেই বুঝতে পারবে তোমায় কেন এইখানে আনা হয়েছে।।
আমিঃ না আমি ভিতরে যেতে পারব না আপনি আমায় আমার বাসায় দিয়ে আসেন।।
লোকটাঃ আমি তু বলেছি তোমায় ওইখানে নিয়ে যাব এর আগে আমার সাথে ভিতরে চল, নাহলে কিন্তু আমি নিয়ে যাব না।।
আমিঃ না না চলুন আমি আপনার সাথে যাব (বাধ্য হয়ে রাজি হয়ে গেলাম)।।
এরপর উনার পিছনে পিছনে বাড়ির ভিতরে চলে আসলাম।। বাড়িটা দেখে একটু চেনা চেনা মনে হচ্ছে।। কিন্তু ঠিক মনে করতে পারছি না এটা কোন জায়গা।। চারপাশে তাকিয়ে ভাবছিলাম কথাগুলো ঠিক তখনই উপর থেকে কিছু ভাঙার আওয়াজ পেলাম।।
আমিঃ আংকেল এটা কিসের আওয়াজ..?
লোকটাঃ দাড়াউ একটু পরেই বুঝতে পারবে।।
কথাটা বলে উনি মামনি, মামনি বলে কাকে যেন ডাকতে লাগলেন।। কিছুক্ষণ পর উপর থেকে কারও নিচে আসার আওয়াজ শুনতে পেলাম।। আমিও অনেক আগ্রহ নিয়ে উপরের দিকে তাকিয়ে রইলাম, দেখি কে আসে।।
কিছুক্ষণ পর উপর থেকে একটা মেয়েকে নিচে নামতে দেখলাম।। কিন্তু মেয়েটাকে দেখার পর আমার বুক কেপে উঠলো।। এ আমি কাকে দেখছি, এ এইখানে কেন..? আরে এ তু মিম আপু
।।

উনার চুলগুলো এলোমেলো, আর চোখগুলো একেবারে লাল হয়ে আছে।। দেখে মনে হচ্ছে অনেক কান্না করেছেন।। সব মিলিয়ে উনাকে দেখে যে কেউ ভয় পেয়ে যাবে, এমন চেহারা বানিয়েছেন এই কিছু সময়ে।।
আমিঃ আংকেল আপনি আমায় কোথায় নিয়ে এসেছেন আর উনি কে উনি এইখানে কি করছেন..?
লোকটাঃ ওকে তু তুমি চিনতেই পারছ ওর নাম মিম, আমার একমাত্র আদরের মেয়ে।। আশা করি তোমাকে আর কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে না।।
ও আল্লাহ এ কোন বিপদে ফেললা আমায়।। যার ভয়ে এইখান থেকে পালালাম শেষে কি না তার কাছেই এসে পরলাম।। না জানি এখন আমার কি অবস্থা করে এই মেয়ে
।।

আর আমায় যখন এইখানে আনা হয়েছিল তখন আমায় অজ্ঞান করে আনা হয়েছিল তাই ঠিকমতো বাড়িটা দেখতে পারি নি।। শুধু একটা রুমে বন্দি করে রেখেছিল দুইদিন তাই এই জায়গাটার নামও ঠিক জানি না।।
মিমঃ ঠাসস, ঠাসস, কুত্তা তোর খুব পালানোর শক তাইনা।। আজ তোর এই শক আমি মিটাব দাড়া
(আমাকে দেখেই এসে দুইটা চড় মেরে কথাগুলো বলল)।।

আমিঃ শুধু মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছি।।
মিমের বাবাঃ মামনি শান্ত হউ ওকে এইভাবে মেরে সব ঠিক করতে পারবা না।।
মিমঃ ওর সাহস হয় কি করে এইখান থেকে পালানোর।। আমি ওকে আজ শেষ করে ফেলব (বলেই আমার কাছে এসে আমার গলা চেপে ধরল)।।
নিজের সব শক্তি দিয়ে ছাড়ানোর চেষ্টা করছি কিন্তু কিছুতেই মিম আপুর সাথে পেরে উঠতে পারছি না।। এদিকে মিম আপুর বাবাও মিম আপুকে আমার থেকে ছাড়ানোরর চেষ্টা করে যাচ্ছে।। প্রায় কিছুক্ষণ পর মিম আপুর বাবা মিম আপুকে আমার থেকে ছাড়িয়ে একটু দূরে নিয়ে চলে গেলেন।।
মিমের বাবাঃ মামনি প্লিজ শান্ত হউ এইভাবে ওকে মেরে কোনো লাভ হবে না।। এর চেয়ে ভালো ওকে তোমার রুমে নিয়ে গিয়ে ভালো করে বুঝাউ দেখবে ও এমনিতেই বুঝে যাবে।।
মিমঃ কি করব বল ওকে যে খুব ভালোবেসে ফেলেছি।। কিন্তু ও কিছুতেই আমায় বুঝতে চায়না
(উনার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কেদে কেদে বলল কথাটা)।।

বাবাঃ ভালো করে বুঝাউ দেখবে একসময় ঠিকই বুঝতে পারবে।।
মিমঃ ওকে কীভাবে বুঝাতে হবে আমার ভালো করেই জানা আছে।। এই চল আমার সাথে (আমার হাত ধরে বলল)।।
আমিঃ না আমি যাব না আংকেল প্লিজ আমাকে বাচান
।।

মিমঃ তুই না গেলে তোর ঘাড় যাবে চল বলছি
(বলেই হাত ধরে টানতে টানতে আমায় উপরে নিয়ে আসলো)।।

উপরে এসে আমায় নিয়ে একটা রুমে ঢুকে পরল, আর ভিতর থেকে রুমের দরজাটা লাগিয়ে দিল।। আল্লাহ বাচাউ এখন নিশ্চয় আমার কপালে দুঃখ আছে।।
মিমঃ কি ভেবেছিলি তুই আমার থেকে পালিয়ে বেচে যাবি আর আমি তোকে খুজে পাব না তাইনা
..?

আমিঃ না মানে আসলে
মিমঃ চুপ একদম চুপ কোনো কথা নয়
(মুখে আঙুল দিয়ে)।।

আমিঃ হু

মিমঃ বল এখন তুই পালিয়েছিলি কেন..?
আমিঃ আগে বলেন আমায় এইখানে কেন আটকিয়ে রেখেছেন..? আপনাকে আমি ভালোবাসি না তারপরও কেন আমার উপর জোর কাটাচ্ছেন..?
মিমঃ কারণ তোকে আমি ভালোবাসি।। আর তুই আমাকে ভালোবাসিস আর নাই বাসিস এটা তোর ইচ্ছা কিন্তু আমি তোর উপরে জোর কাটিয়েই ভালোবাসাটা আদায় করব (আমার মুখের কাছে মুখ এনে বললেন কথাগুলো)।।
আমিঃ আর কতবার বলব ভালোবাসা জোর করে হয়না তারপরও কেন বেহায়ার মতো আমার পিছনে পরে আছেন।। আপনার বাবার তু অনেক টাকা-পয়সা আছে।। আপনি চাইলে আমার চেয়ে আরও ভালো ছেলে পাবেন।।
মিমঃ আমার কাউকে চাইনা শুধু তোকেই চাই।। আর কি যেন বললি আমি বেহায়ার মতো তোর পিছনে পরে আছি..? হুম ঠিকই বলেছিস তোকে ভালোবেসে আমি বেহায়া হয়ে পরেছি।।
আমিঃ আপনি শুধু বেহায়া নয় সাথে পাগলও হয়ে গেছেন।। তাই সময় থাকতে ডাক্তার দেখান।।
মিমঃ হুম আমি পাগল হয়েগেছি তোমার প্রেমে।। আর তুমি থাকতে ডাক্তার লাগবে কেন তুমি কি ডাক্তারের চেয়ে কম নাকি।।
আমিঃ আপু প্লিজ এইসব পাগলামি বন্ধ করেন আর আমায় এইখান থেকে যেতে দিন
।।

মিমঃ কথাটা শুনার সাথে সাথে আমার মুখ চেপে ধরল আর বলল,,
ওই একদম আপু বলবি না বউ বলে ডাকবি বউ
।।

আমিঃ লাগতে তারুন (মুখ চেপে ধরায় ঠিকমতো কথা বলতে পারছি না)।।
মিমঃ এবার বল মিম তুমি আমার বউ (মুখ ছেড়ে দিয়ে)।।
আমিঃ আমাদের বিয়ে হলো কবে যে আপনাকে বউ বলে ডাকব..?
মিমঃ হয়নি হয়ে যাবে খুব তারাতাড়ি এখন যেটা বলতে বলেছিলি সেটা বল।।
আমিঃ অসম্ভব আমি বলব না যা করার করেন।।
মিমঃ কিহ তুই বলবি না
..?

আমিঃ না

মিমঃ তাহলে দেখ এখন আমি কি করি (কথাটা বলেই উনি ধীরে ধীরে আমার দিকে ওগুতে লাগলেন)।।
আমিঃ আআপনি আমার দিকে এইভাবে আসছেন কেন..?
মিমঃ চুপ করে শুধু আমার দিকে হেটে আসছেন।।
আমিঃ দেখেন কাছে আসবেন না আসলে
আর কিছু বলতে পারলাম না এর আগেই মিম আপু আমার ঠোঁটগুলো উনার ঠোঁট দিয়ে বন্ধ করে ফেললেন।। আমার ঠোঁটে কিস করেই যাচ্ছেন ছাড়ার কোনো নামই নিচ্ছেন না।। প্রায় ৫ মিনিট পর উনি নিজ থেকেই আমায় ছেড়ে দিলেন।। দুজনেই শুধু হাপাচ্ছি, লজ্জায় মিম আপুর দিকে তাকাতেও পারছি না।।
আমিঃ আপনার লজ্জা শরম বলতে কিছু নেই নাকি..? এইভাবে কেউ কাউকে কিস করে, আরেকটু হলেই তু দম বন্ধ হয়ে যেত।।
মিমঃ কেউ না করলেও আমি করি কেন তোমার ভালো লাগে নি বুঝি..? আচ্ছা আস আবার দেই এইবার ভালো করেই দিব (দুষ্ট হাসি দিয়ে)।।
আমিঃ নাহ আমার এইসব ভালো লাগে না আর আপনি এইসব আর করবেনও না (কি আর কমু ভাই মাইয়ার লজ্জা শরম বলতে কিচ্ছু নেই)।।
মিমঃ আচ্ছা করব না তবে আজ রাতে একটু করব।। কারণ তোমার পালানোর শাস্তি এখনও রয়েগেছে।।
আমিঃ
.
চলবে.....