গল্পঃ - খলনায়ক | লেখকঃ - নিরব ইসলাম | পার্টঃ - ৬
পুকুরপাড় গিয়ে দেখে অনেক ছেলে বসে আড্ডা দিচ্ছে।
তার মাঝে ইকবাল ও বসে আছে।
তার মাঝে ইকবাল ও বসে আছে।
মেয়েরা সামনে দিয়ে গেলেই ইকবালের বন্ধুরা তাদের নিয়ে হাসাহাসি করছে।
লুবনা সামনে গিয়ে দাড়ালো।
ইকবাল এর বন্ধুরা লুবনাকে দেখে চুপ হয়ে গেল।
ইকবাল এর বন্ধুরা লুবনাকে দেখে চুপ হয়ে গেল।
দোস্ত দেখ কে আসছে?
ইকবাল লুবনাকে দেখে দাড়িয়ে বললো একি লুবনা এখানে আপনি?
বাড়িওয়ালা আবার কিছু বলছে? চলুন এবার আর ভালো কথায় হবেনা দেখছি।
বাড়িওয়ালা আবার কিছু বলছে? চলুন এবার আর ভালো কথায় হবেনা দেখছি।
লুবনা চেঁচিয়ে উঠে বলে এখন ভালো সাজা হচ্ছে?
ইকবাল: মানে?
লুবনা: কি ভাবছেন?আমার কাছে মহান হয়ে আমায় ইউজ করবেন?
আমি আর কাউকে আমার জীবন নিয়ে খেলার অধিকার দিবনা।
আমি নিজে দরকার হলে মরে যাব।
আমি আর কাউকে আমার জীবন নিয়ে খেলার অধিকার দিবনা।
আমি নিজে দরকার হলে মরে যাব।
ইকবাল কিছু না বলে দাড়িয়ে আছে।
লুবনা: আমি কি বলছিলাম আমায় সাহায্য করতে?
নাকি আপনার কাছে হাত পেতেছিলাম?
আপনার মতন ছেলেরা মেয়েদের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাদের কাছে নায়ক সাজতে চান।
নাকি আপনার কাছে হাত পেতেছিলাম?
আপনার মতন ছেলেরা মেয়েদের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাদের কাছে নায়ক সাজতে চান।
ইকবালের এক বন্ধু উঠে বলে দেখুন আপনি কিন্তু অযথা অনেক কিছু বলছেন…কি হয়েছে বলেন?
ইকবাল বন্ধুকে ইশারা দিয়ে থামিয়ে দিল।
ইকবাল: কি হয়েছে বলবেন?
ইকবাল: কি হয়েছে বলবেন?
লুবনা: আপনি সবার কাছে বলেছেন আপনি আমার সাথে থাকেন?
ইকবাল: কে বলেছে?
লুবনা: ইতি।
ইকবাল : আচ্ছা চলুন গিয়ে জিজ্ঞেস করি।
লুবনা: আর জিজ্ঞেস করতে হবেনা।
ইকবাল রাগ করে বললো,সব তো একা বললে হবেনা।
আমি অপরাধী কিনা তা প্রমান হোক।
ইকবাল রাগ করে বললো,সব তো একা বললে হবেনা।
আমি অপরাধী কিনা তা প্রমান হোক।
এই বলে হাঁটা দিল।
কিছুদূর যেতেই লুবনা ইতিকে দেখে বলছে ওই যে ইতি।
ইকবাল ইতিকে ডাক দিল
ইতি অনেকটা ভয় নিয়ে আসলো।
জ্বি ভাইয়া কিছু বলবেন?
জ্বি ভাইয়া কিছু বলবেন?
ইকবাল: আমি তোমায় কি বলছি?
ইতি: কই কিছুনাতো।
লুবনা: মিথ্যে কেন বলছো?
তুমি কি ভয় পাচ্ছো?
ভয় পেওনা।
তুমি কি ভয় পাচ্ছো?
ভয় পেওনা।
ইকবাল: আমি কি বলেছিলাম আমি লুবনার সাথে থাকি?
ইতি চুপ করে নিচের দিকে তাকালো।
ইকবাল: কি হলো বলো?
ইতি: দেখেন ভাই এটা অনেক এই জেনে গেছে যে গতকাল আপনি লুবনাকে নিয়ে বাসা ভাড়া নিছেন।
ওই এলাকায় আমরাও থাকি।
আর এসব চাপা থাকেনা।
ওই এলাকায় আমরাও থাকি।
আর এসব চাপা থাকেনা।
ইকবাল: কোনসব?কি বুঝাতে চাচ্ছো?
আমি যা ভালো মনে করেছি তাই করেছি।
দরকাল হলে আরো করবো পারলে কিছু করো তোমরা..
আমি যা ভালো মনে করেছি তাই করেছি।
দরকাল হলে আরো করবো পারলে কিছু করো তোমরা..
লুবনা: মানে কি এসবের?
আমার মান সম্মান নিয়ে আপনি চ্যালেন্জ নিচ্ছেন?
আমার মান সম্মান নিয়ে আপনি চ্যালেন্জ নিচ্ছেন?
ইতি লুবনার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো কি বলেছিলাম না।। তুমি ভুল করছো অন্ধবিশ্বাস করে।
লুবনা: আহা ইতি তুমি যা ভাবছো তা নয়।
ইতি: দেখো এটা তোমার জীবন।
মানুষ এর কথায় কান দিওনা।
তবে নিজের ক্ষতিও করোনা।
মানুষ এর কথায় কান দিওনা।
তবে নিজের ক্ষতিও করোনা।
সবার মুখ কি করে বন্ধ করবে?
ইতি এই বলে চলে যেতে নিল।
ইকবাল পিছন থেকে ডাক দিল…
ইতি শোন…
ইকবাল পিছন থেকে ডাক দিল…
ইতি শোন…
ইতি পিছনে তাকিয়ে বলে হুম বলুন।
দাড়াও।
সি.এন.জি ডাকতে বললো ইকবাল তার বন্ধুদের।
লুবনা আর ইতিকে বললো ওঠো…
ইতি: কই যাব? কেন ই বা যাব আপনাদের সাথে?
ইতি: কই যাব? কেন ই বা যাব আপনাদের সাথে?
ইতির পাশে এক মেয়েকে ডেকে বললো এই শোন, ইতিকে আমি নিলাম।
ও আধা ঘন্টায় না আসলে বাবার কাছে গিয়া জানাবা কেমন?
ও আধা ঘন্টায় না আসলে বাবার কাছে গিয়া জানাবা কেমন?
লুবনা: এতো কিছু না বলে কই যাব বলেন?
ইকবাল সি এন জি তে উঠে বসলো।
মাঝে মাঝে মানুষ কে বিশ্বাস করতে হয়।
সি এন জি তে উঠে বসুন লুবনা।
এই বললো ইকবাল
মাঝে মাঝে মানুষ কে বিশ্বাস করতে হয়।
সি এন জি তে উঠে বসুন লুবনা।
এই বললো ইকবাল
লুবনাও ইতিকে নিয়ে বসলো।
লুবনা জানেনা কি হতে যাচ্ছে তবে এখন আর কিছুতেই ভয় নেই।
না আছে কোন কিছু হারাবার ভয়..
না আছে পাবার…
লুবনা জানেনা কি হতে যাচ্ছে তবে এখন আর কিছুতেই ভয় নেই।
না আছে কোন কিছু হারাবার ভয়..
না আছে পাবার…
যেভাবে চলবে সেভাবেই চলে যাবে।
কিছুদূর গিয়ে গাড়ি থামালো।
লুবনা: এখানে কেন?
ইকবাল: একটু পর ই দেখতে পারবেন।নামুন…
নেমেই দেখে কাজী অফিস…
লুবনা এটা দেখেই অবাক হয়ে ইকবাল এর দিকে তাকায়।লুবনার বুকে মোচর দিল
লুবনা: আমরা এখানে কেন?
ইকবাল লুবনার দিকে তাকিয়ে বলে, লুবনা তোমার যদি আপত্তি না থাকে আমি তোমায় বিয়ে করতে চাই।
আশা করি বিবাহিতা বউকে ইউজ করার প্রশ্ন আসবেনা।
আশা করি বিবাহিতা বউকে ইউজ করার প্রশ্ন আসবেনা।
লুবনা: ছি!
আপনি এতো নিচ!এর মাঝে আপনি ছেড়ে তুমিতে চলে গেলেন।
আপনি খারাপ জানতাম তবে এতটা বুঝতে পারিনি।
আপনি এতো নিচ!এর মাঝে আপনি ছেড়ে তুমিতে চলে গেলেন।
আপনি খারাপ জানতাম তবে এতটা বুঝতে পারিনি।
ইতি লুবনার পাশে এসে বলে,এই তুই কি বলিস?
সে নিজ থেকে বিয়ে করতে চাইছে…
তার বউ হলে তোকে নিয়ে কেউ তামাশা করবেনা বুঝলি!
লুবনা ইতির দিকে রাগান্বিত হয়ে তাকিয়ে বললো আমায় নিয়ে কে তামাশা করলো না করলো তাতে আমার কিছু যায় আসেনা।
সে নিজ থেকে বিয়ে করতে চাইছে…
তার বউ হলে তোকে নিয়ে কেউ তামাশা করবেনা বুঝলি!
লুবনা ইতির দিকে রাগান্বিত হয়ে তাকিয়ে বললো আমায় নিয়ে কে তামাশা করলো না করলো তাতে আমার কিছু যায় আসেনা।
ইতি ইকবালের দিকে তাকিয়ে বলে ভাই কিছু বলার নেই।
আমি নিজে মেয়ে তবুও নিজের সামনে এমন ছলনাময়ী দেখলে লজ্জা লাগে।
চলেন ভাই আমরা চলে যাই।
আমি নিজে মেয়ে তবুও নিজের সামনে এমন ছলনাময়ী দেখলে লজ্জা লাগে।
চলেন ভাই আমরা চলে যাই।
লুবনাকে রেখে ইতি চলে যেতে নিল।
ইকবাল লুবনার কাছে এসে বলছে চলুন।
ইকবাল লুবনার কাছে এসে বলছে চলুন।
লুবনা: যান আপনারা আমি চলে যাব।
ইকবাল চলে যেতে নিল,লুবনা ভাবছে এর পর বাড়িওয়ালা আমায় নামিয়ে দিলে আমার যাবার আর জায়গা থাকবেনা।
তার উপর উনি ডিপার্টমেন্ট হেড এর ছেলে।
তিনি যদি জানতে পারেন আমার জন্য তার ছেলের কোন দুর্নাম রটেছে,তাহলে আমায় এলাকা ছাড়া করবে।
তার উপর উনি ডিপার্টমেন্ট হেড এর ছেলে।
তিনি যদি জানতে পারেন আমার জন্য তার ছেলের কোন দুর্নাম রটেছে,তাহলে আমায় এলাকা ছাড়া করবে।
শুনুন বললো লুবনা..
ইকবাল পিছনে তাকিয়ে বলে আমায় ডাকছেন?
লুবনা: আমি রাজি।
ইকবাল তখন তার বন্ধুদের দিকে তাকালো।
বন্ধুরা হাসি মুখে ইশারা দিল।
বন্ধুরা হাসি মুখে ইশারা দিল।
লুবনা ভাবছে হয়তো আমি খুব বাজে ভাবে ফেঁসে গেছি।
ইকবাল আমায় বিয়ের নাম করে হয়তো বিক্রি করে দিবে।
তবে আমার বিয়ে না করেও উপায় নেই।
জীবনের শেষ ঝুঁকিটা নিতে আর ভয় নেই।
জীবন আমায় নিয়ে জুয়া খেলছে প্রতিনিয়ত আর আমি এই শেষ বার নিজেকে নিয়ে জুয়া খেললাম এই ভেবে সিগনেচার করে দিল লুবনা।
ইকবাল আমায় বিয়ের নাম করে হয়তো বিক্রি করে দিবে।
তবে আমার বিয়ে না করেও উপায় নেই।
জীবনের শেষ ঝুঁকিটা নিতে আর ভয় নেই।
জীবন আমায় নিয়ে জুয়া খেলছে প্রতিনিয়ত আর আমি এই শেষ বার নিজেকে নিয়ে জুয়া খেললাম এই ভেবে সিগনেচার করে দিল লুবনা।
বিয়েটা কয়েকজনের উপস্থিতিতে হয়ে গেল।
সবাইকে মিষ্টি খায়িয়ে বাড়িওয়ালাকেও মিষ্টি দিয়ে আসলো ইকবাল।
লুবনা ঘরে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিল।
ইকবালের বিয়ের পর এতো খুশির কারন দেখেও লুবনার ভয় বেড়ে গেছে খুব।
ইকবালের বিয়ের পর এতো খুশির কারন দেখেও লুবনার ভয় বেড়ে গেছে খুব।
দরজার সামনে অনেক্ষন দাড়িয়ে থেকে ইকবাল চলে গেল বাসায়।
লুবনা জেদ এর বসে বিয়েটা করে ফেললো।
মাকে বেশ মনে পরে যাচ্ছে আর সাথে ইকু নামের সেই অদেখা ভালোবাসাকে।
ইকুকে দেখার ইচ্ছে নিজের মাঝেই কবর দিতে গিয়েও দিতে পারছেনা লুবনা।
মাকে বেশ মনে পরে যাচ্ছে আর সাথে ইকু নামের সেই অদেখা ভালোবাসাকে।
ইকুকে দেখার ইচ্ছে নিজের মাঝেই কবর দিতে গিয়েও দিতে পারছেনা লুবনা।
রাত ১১:৪৫।
দরজার খট..খট শব্দ শুনে লুবনা শোয়া থেকে উঠে বসলো।
দরজার খট..খট শব্দ শুনে লুবনা শোয়া থেকে উঠে বসলো।
কিছুক্ষন পর শব্দ থেমে গেল।
আবার দরজা নাড়ানোর শব্দ।
আবার দরজা নাড়ানোর শব্দ।
কে?
আমি লুবনা দরজা খোল..
লুবনা: আমি কে?
ইকবাল..
দরজা খুলেই বলে বাহ চমৎকার।এর মাঝে হাজির হয়েছেন?
জানিতামতো
বিয়ের নাম দিয়ে এখন ইউজ টা ভালোভাবেই করতে পারবেন।
আপনার মতন মানুষ বিয়ে নিয়েও মজা করে।
জানিতামতো
বিয়ের নাম দিয়ে এখন ইউজ টা ভালোভাবেই করতে পারবেন।
আপনার মতন মানুষ বিয়ে নিয়েও মজা করে।
ইকবাল: কি বলছো?
লুবনা: বারেহ বিয়ে করছেন!
আর এখন বউয়ের উপর স্বামিত্ব ফলাতে হবেনা?
আর এখন বউয়ের উপর স্বামিত্ব ফলাতে হবেনা?
ইকবাল: দেখো তুমি স্বামিত্ব আর পশুত্ব এর তফাৎ করতে শিখনি।
পশুত্ব যে কেউ ফলাতে পারে তার জন্য বিয়ে করা লাগেনা।
আমার বাবা বাসা থেকে বের করে দিয়েছে আমায়।
তাকে বলেছিলাম তোমায় বিয়ে করেছি সে কথা।
পশুত্ব যে কেউ ফলাতে পারে তার জন্য বিয়ে করা লাগেনা।
আমার বাবা বাসা থেকে বের করে দিয়েছে আমায়।
তাকে বলেছিলাম তোমায় বিয়ে করেছি সে কথা।
লুবনা চুপ হয়ে গেল।
বিছানার গিয়ে বসে বললো,এখন কি হবে!
বিছানার গিয়ে বসে বললো,এখন কি হবে!
ইকবাল : তুমি চাইলে আমি এখানে থাকবো না।
বন্ধুদের বাসায় চলে যাব।
বন্ধুদের বাসায় চলে যাব।
লুবনা: এখানের ভাড়া ও আপনি দিছেন, গেলে আমার যেতে হয়।
ইকবাল: তাহলে যাই এই বলে যেতে নিল।
লুবনা: থাকতে বললাম তো।
রাতে খেয়ে আসছেন?
আমি রান্না করিনি।না খেয়ে আসলে রাতে আর খাওয়া হবেনা।
আমি রান্না করিনি।না খেয়ে আসলে রাতে আর খাওয়া হবেনা।
ইকবাল: কি বলেন?
আমি রাতে না খেয়ে ঘুমাতে পারিনা।
আমি রাতে না খেয়ে ঘুমাতে পারিনা।
লুবনা: বাহির থেকে খেয়ে আসেন।
ইকবাল: এতো রাতে বাহিরে গেলে ভুত ই আমায় খেয়ে ফেলবে।
রান্নাঘরে কি আছে রান্না করার?
রান্নাঘরে কি আছে রান্না করার?
লুবনা: চাল আর আলু।
আর কিছু নেই।
আর কিছু নেই।
ইকবাল: আলু দিয়ে ভাত খান!
লুবনা: হু আলু সিদ্ধ।মন্দ লাগেনা।
ইকবাল হেসে রান্নাঘরে চলে গেল
লুবনা শুয়ে পরলো।
চোখ লেগে আসলো লুবনার..
ইকবাল এসে লুবনার পাশে বসলো।
ভয়ংকর এক হাসি দিয়ে লুবনার ঘাড়ের কাছে হাত রাখলো..
চোয়ালের কাছে বিশ্রী রকম ভয়ংকর দানবের মতন দাঁত বের হয়ে এলো ইকবালের।
লুবনার ঘাড়ে কামড় দিবে ঠিক তেমন সময়েই লুবনা চিৎকার দিয়ে উঠে বসে।
ভয়ংকর এক হাসি দিয়ে লুবনার ঘাড়ের কাছে হাত রাখলো..
চোয়ালের কাছে বিশ্রী রকম ভয়ংকর দানবের মতন দাঁত বের হয়ে এলো ইকবালের।
লুবনার ঘাড়ে কামড় দিবে ঠিক তেমন সময়েই লুবনা চিৎকার দিয়ে উঠে বসে।
ইকবাল দৌড়ে রান্নাঘর থেকে এসে বলে,কি হলো?
লুবনা: কে আপনি?আপনি দানব?
ইকবাল হেসে দিয়ে বলে তুমি স্বপ্ন দেখছিলে?
কিসব বাচ্চাদের মতন দানব স্বপ্ন দেখো?
একটু বড় হও?
কিসব বাচ্চাদের মতন দানব স্বপ্ন দেখো?
একটু বড় হও?
লুবনা নিঃশ্বাস ফেলে বলে এর চেয়ে আর বড় হবার কি কিছু আছে!
যাক আপনার পা দেখি?
যাক আপনার পা দেখি?
ইকবাল: কেন?
লুবনা: দেখান না।
ইকবাল পা দেখাতেই লুবনা বলে না ঠিক ই আছে।
ইকবাল: তুমি কি ভাবছিলা আমার পা ৪টা?
লুবনা: ভুতের পা উলটা থাকে তাই দেখছিলাম।
এমন ও হতে পারে ইকবাল সেজে ভুত আসতে পারে।
এমন ও হতে পারে ইকবাল সেজে ভুত আসতে পারে।
ইকবাল কন্ঠ ভারি করে বলছে,তাই বুঝি?
লুবনা আতংক নিয়ে ইকবালের দিকে তাকিয়ে আছে।
পরক্ষনে ইকবাল হো হো করে হেসে দিল।
লুবনা: ফাজলামো করেন?
আমি এখন ঘুমাবো।
আর বাতি নিভাবেন না।
পরক্ষনে ইকবাল হো হো করে হেসে দিল।
লুবনা: ফাজলামো করেন?
আমি এখন ঘুমাবো।
আর বাতি নিভাবেন না।
ইকবাল: ঘুমালে কি করে হবে?
ভাত খাবেন এখন।আমার রান্না শেষ।
ভাত খাবেন এখন।আমার রান্না শেষ।
লুবনা:আমার ক্ষুধা নেই।আপনি খান।
ইকবাল: ভাত তো দুজনের জন্য রান্না করেছি আর আলু ও দু টা দিয়েছি।
তুমি না খেলে আলুর অপচয় হবে।
তুমি জানোনা অপচয় করা ভালোনা।
তুমি না খেলে আলুর অপচয় হবে।
তুমি জানোনা অপচয় করা ভালোনা।
লুবনার ও ক্ষুধা পেয়েছে যার জন্য আর কথা না বাড়িয়ে খেতে বসলো।
কিছুক্ষণ খাবার পর ই মনে পরে গেল ছোট ভাইটা আলু সিদ্ধ খুব পছন্দ করতো।
বাসায় আলু সিদ্ধ হলেই ও নিজের জন্য একটা অতিরিক্ত আলু সিদ্ধ দিতে বলতো।
ভাইটা কেমন আছে! এ কথা ভাবতে ভাবতে খাবারে অরুচি ধরে গেল লুবনার।
ভাইটা কেমন আছে! এ কথা ভাবতে ভাবতে খাবারে অরুচি ধরে গেল লুবনার।
ভাতের মাঝে হাত বুলাচ্ছে।
ইকবাল: কি হলো খাও?
লুবনা নিচের দিকে তাকিয়ে বলে আর খাবনা।
ইকবাল: শেষ এর খাবার ফেলতে নেই।
শক্তি হয়না।
শক্তি হয়না।
লুবনা চমকে ইকবালের দিকে তাকালো।
ইকবাল: কি?
লুবনা ভাবছে এই তো সেদিন বাবা আমায় এই একই কথা বলেছিল।
মা শেষ পাতের খাবারে সব শক্তি লুকিয়ে থাকে।
ওটা ফেলতে নেই।
তখন ভাইটা উঠে বলেছিল,বাবা আজ থেকে আমি সবার প্লেট থেকে শেষ খাবার টা খেয়ে নিব।
আমি ই হবো শক্তিমান।
এই বলে হাতের মাসেল দেখাচ্ছিল বাবাকে।
মা শেষ পাতের খাবারে সব শক্তি লুকিয়ে থাকে।
ওটা ফেলতে নেই।
তখন ভাইটা উঠে বলেছিল,বাবা আজ থেকে আমি সবার প্লেট থেকে শেষ খাবার টা খেয়ে নিব।
আমি ই হবো শক্তিমান।
এই বলে হাতের মাসেল দেখাচ্ছিল বাবাকে।
ভাবতে ভাবতে লুবনা হেসে দিল।
ইকবাল: হাসলে যে?
লুবনা : এমনিতেই।
তুমি অনেকটা শ্রাবন মাসের মতন,এই মেঘ তো এই বৃষ্টি
তুমি অনেকটা শ্রাবন মাসের মতন,এই মেঘ তো এই বৃষ্টি
লুবনা হেসে বলে আর আপনি অনেকটা আতংকিত ছাত্রের মতন।
ইকবাল: কিভাবে?
লুবনা: এই যে কখনো আমায় আপনি করে বলেন আবার কখনো তুমি।
ইকবাল:আসলে মাঝে মাঝে তুমি আপনিতে আপ-ডাউন করতে হয় না হলে একঘেয়েমি হয়ে যায়।
লুবনা নিঃশ্বাস ফেলে বলে আমার জীবনটাই একঘেয়েমিতে ভরা।
খাবার শেষে লুবনা শুয়ে পরবে এমন সময় ইকবাল পাশে এসে বলে নিচে শোয়া যাবেনা, অনেক ঠান্তা মেঝে।
লুবনা রেগে বলে ঘুমাবেন খাটে এতো বাহানা দেয়ার কিছু নাইতো।
ইকবাল: আমার সাথে এমন আচরনের কি আছে?
আমি জানি তুমি আমায় পছন্দ করোনা।
আমি জানি তুমি আমায় পছন্দ করোনা।
লুবনা: জানেন যেহেতু তাহলে আবার বলেন কেন?
ইকবাল: দেখো আমি বলিনি আমার সাথে বিয়ের বন্ধন আজীবন রাখো।
অনেকেই চার বছরের জন্য বিয়ে করে।
দেনা-পাওনার সম্পর্ক।
মেয়ে পায় তার পড়ালেখার খরচ..
আর ছেলে পায় বউ।
অনেকেই চার বছরের জন্য বিয়ে করে।
দেনা-পাওনার সম্পর্ক।
মেয়ে পায় তার পড়ালেখার খরচ..
আর ছেলে পায় বউ।
লুবনা: বউ না বলেন রক্ষিতা।
পার্মানেন্ট রক্ষিতা।
পার্মানেন্ট রক্ষিতা।
ইকবাল কথার উত্তর দিলনা।
লুবনা: আমিও আপনার সাথে আজীবন থাকতে চাইনা।
আর আপনার টাকার দরকার নেই আমার।
আমি নিজেই নিজেরটা যোগার করতে পারবো।
আর আপনার টাকার দরকার নেই আমার।
আমি নিজেই নিজেরটা যোগার করতে পারবো।
ইকবাল: হুম চাকরী পেলে আমায় তালাক দিয়ে দিও।আর তখন মনের মানুষ কে বিয়ে করো।
মনের মানুষ এর কথা শুনেই ইকুর কথা মনে পরে গেল.
লুবনা শুয়ে পরলো..লুবনা ভাবছে হয়তো সবার জীবনে নায়ক আসেনা কারো কারো জীবনে খলনায়ক আসে।
সবকিছু লন্ডভন্ড করে দিতে আসে।
লুবনা শুয়ে পরলো..লুবনা ভাবছে হয়তো সবার জীবনে নায়ক আসেনা কারো কারো জীবনে খলনায়ক আসে।
সবকিছু লন্ডভন্ড করে দিতে আসে।
প্রথম ভালোবাসা ওই অদেখা মানুষটার প্রতি ছিল।
ভালোবাসা আজ বিলীন হবার পথে।
অদেখা কিছুর প্রতি ভালোবাসা জনম জনম ধরে রাখা যায়না।
ভালোবাসা আজ বিলীন হবার পথে।
অদেখা কিছুর প্রতি ভালোবাসা জনম জনম ধরে রাখা যায়না।
তবে খুব ইচ্ছে হয় সেই হলুদ খামে মোড়ানো মানুষটাকে দেখার।
কিছু ভালোবাসা জনমের তরে চাওয়ার স্বাধ না জাগালেও একটু ছুঁয়ে দেখার অধিকার পেতে যে বেসামাল ইচ্ছেরাও নাছোড়বান্দা হয়ে চাইতে থাকে।
কিছু ভালোবাসা জনমের তরে চাওয়ার স্বাধ না জাগালেও একটু ছুঁয়ে দেখার অধিকার পেতে যে বেসামাল ইচ্ছেরাও নাছোড়বান্দা হয়ে চাইতে থাকে।
লুবনা বালিশে চোখে পানি ফেলছে আর ভাবছে না ,না এসব ভাবা যে আমার পাপ।
একেই আমি ডিভোর্সি তারউপর ২য় বিয়েটাও হয়ে গেছে কেউ মানি আর না মানি
বিয়েতো মিথ্যে নয়।সেখানে আর পরপুরুষ এর কথা ভাবাটাও যে পাপ।
একেই আমি ডিভোর্সি তারউপর ২য় বিয়েটাও হয়ে গেছে কেউ মানি আর না মানি
বিয়েতো মিথ্যে নয়।সেখানে আর পরপুরুষ এর কথা ভাবাটাও যে পাপ।
ইকবাল এপাশ-ওপাশ করে না ঘুমাতে পেরে বারান্দায় গিয়ে বসলো।
ভিতরের উদ্বেগ আজ এতো হিম করা বাতাস ও জুরাতে পারছেনা।
ভিতরের উদ্বেগ আজ এতো হিম করা বাতাস ও জুরাতে পারছেনা।
আচ্ছা লুবনা কি আমায় ঘৃনা করে!
অবশ্যই করার ই কথা…
না আছে আমার কেরিয়ার না আমি সৎ কেউ।
বিয়ের পর আরো খারাপ ভাবে জায়গা করেছি ওর মনে।
অবশ্যই করার ই কথা…
না আছে আমার কেরিয়ার না আমি সৎ কেউ।
বিয়ের পর আরো খারাপ ভাবে জায়গা করেছি ওর মনে।
কিন্তু আমি কেন এ মোহ থেকে বের হতে পারিনা।
সিগারেট ধরিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।
সিগারেট ধরিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।
পিছন থেকে লুবনা এসে বলে,সিগারেট এর গন্ধ আমি সহ্য করতে পারিনা।
ইকবাল সিগারেট ফেলে দিয়ে বলে,বেশি খাইনা আসলে মাঝে মাঝে আরকি।
লুবনা: মিথ্যে বলবেন না।আপনাকে দেখলেই মনে হয় আপনি প্রচুর ধুমপান করেন।
এই বলে ভিতরে চলে গেল…
এই বলে ভিতরে চলে গেল…
ইকবাল মনে মনে ভাবছে ইহকালেও আমি তোমার পছন্দের কেউ হতে পারবোনা আমি জানি।
পরের দিন ক্যাম্পাসে যেতেই সবাই লুবনাকে সালাম দেয়।
আবার কেউ কেউ ভাবি সম্মোধন করছে।
আবার কেউ কেউ ভাবি সম্মোধন করছে।
এক রাতের ভিতর সবাই জেনে গেল আমি ইকবাল এর স্ত্রী এই ভেবে লুবনা উদ্বিগ্ন হচ্ছে।
কেউ কেউ দূর থেকে লুবনাকে ইশারা করে কিছু বলছে তাও লুবনা বুঝতে পারছে।
কেউ কেউ দূর থেকে লুবনাকে ইশারা করে কিছু বলছে তাও লুবনা বুঝতে পারছে।
কিছুক্ষন পর লুবনাকে ইকবালের বাবা ইমতিয়াজ সাহেব ডেকে পাঠালো।
লুবনা ভয়ে ভয়ে ইকবালের বাবার সামনে গিয়ে দাড়ালো।
লুবনা ভয়ে ভয়ে ইকবালের বাবার সামনে গিয়ে দাড়ালো।
ইমতিয়াজ সাহেব লুবনাকে বসতে বললো।
শোন মা শুনলাম তোমরা বিয়ে করেছো?
লুবনা নিচের দিকে তাকিয়ে বলে হুম।
দেখো ভালোবাসো দু জন দুজনকে সেটা খারাপ কথা নয়।
তবে বিয়ে টা পরেও করতে পারতে।
দুজন ই লেখাপড়া করতেছো।
তার উপর আমার ছেলে নিজের পায়ে দাড়ায় নি।
আদৌ দাড়াবে কিনা তা আমি নিশ্চিত নই?
তখন কি করবে তোমরা।
তবে বিয়ে টা পরেও করতে পারতে।
দুজন ই লেখাপড়া করতেছো।
তার উপর আমার ছেলে নিজের পায়ে দাড়ায় নি।
আদৌ দাড়াবে কিনা তা আমি নিশ্চিত নই?
তখন কি করবে তোমরা।
-স্যার আমার একটা কথা রাখবেন?
হুম বলো।
-ইকবালকে সকল খরচ দেয়া বন্ধ করে দিন।
আসলে মানুষ বাস্তবতাকে বুঝতে না পারলে বাস্তবতা কি তা বুঝতে পারেনা।
মানুষ ঝড়ের কবলে না পরলে ঝড় কতটা ভয়াবহ তা বুঝতে পারেনা।
আসলে মানুষ বাস্তবতাকে বুঝতে না পারলে বাস্তবতা কি তা বুঝতে পারেনা।
মানুষ ঝড়ের কবলে না পরলে ঝড় কতটা ভয়াবহ তা বুঝতে পারেনা।
-তা ঠিক বলেছো।
তবে তোমাদের দরকারে আমায় বলো আমি সাহায্য করবো।
তবে আমি আপাদত ইকবালের সাথে কথা বলতে চাইনা।
আমাদের ছোট সন্তান ও..
ওর মা প্যারালাইজড এই ১২বছর।
তাকে এতো বড় আঘাত নিতে পারবেনা তা ও বুঝলোনা।
তবে তোমাদের দরকারে আমায় বলো আমি সাহায্য করবো।
তবে আমি আপাদত ইকবালের সাথে কথা বলতে চাইনা।
আমাদের ছোট সন্তান ও..
ওর মা প্যারালাইজড এই ১২বছর।
তাকে এতো বড় আঘাত নিতে পারবেনা তা ও বুঝলোনা।
লুবনা মাথা নিচু করে তাকিয়ে আছে।
-একে অপরকে ভালোবাসো তা আমাদের বললেই হতো।
লুবনা ভাবছে ইকবাল মিথ্যে বলেছে!
আমরা কবেই বা
আমরা কবেই বা
কাকে ভালোবাসলাম!
-আচ্ছা শোন..তুমি আমার সাথে একদিন বাসায় চলো।
ইকবালের মা খুশি হবে।
ইকবালের মা খুশি হবে।
-আচ্ছা তা যাব।
এখন যাই স্যার?
এখন যাই স্যার?
-হুম আসো।
লুবনা যেতে নিল।
পিছন থেকে ইমতিয়াজ সাহেব ডাক দিয়ে বললো,লুবনা আমায় বাবা হিসেবে পছন্দ হয়নি?
লুবনার চোখ পানিতে ভরে গেল।
বাবা হিসেবে কেউ আমার জীবনে ২য় বার কেউ আসবে তা আমি কল্পনাতেও ভাবতে পারিনি।
ইমতিয়াজ: তাহলে স্যার বলে ডেকনা।
আমার মেয়েটাকে বিয়ে দিয়ে লন্ডন পাঠিয়েছি এই ৮বছর।
মাঝে মাঝে ফোনে দেখি।
ফোনে দেখে কি সামনাসামনি দেখার স্বাদ মিটে?
আমার মেয়েটাকে বিয়ে দিয়ে লন্ডন পাঠিয়েছি এই ৮বছর।
মাঝে মাঝে ফোনে দেখি।
ফোনে দেখে কি সামনাসামনি দেখার স্বাদ মিটে?
এই বলে চশমা খুলে ইমতিয়াজ সাহেব চোখ মুছতে থাকলো।
লুবনা তার পাশে গিয়ে চশমাটা নিজের হাতে নিয়ে ওরনা দিয়ে মুছতে থাকলো আর বললো বাবা চশমাটা কি ওয়াটার প্রুফ?
ইমতিয়াজ সাহেব কৌতুহল চোখে তাকিয়ে বলে মানে?
লুবনা: এই যে আপনি কাঁদছেন তবুও চশমাটা বহাল তবিয়ৎ এ আছে?
খুব দামী বুঝি?
খুব দামী বুঝি?
ইমতিয়াজ সাহেব হো হো করে হেসে দিলেন।
লুবনা বের হতে নিল এর মাঝেই অফিসের সহকারী কর্মচারী লুবনাকে আপা বলে ডাক দিল।
লুবনা পিছনে ফিরে বললো আমায় বলছেন?
আপা স্যার কে আমি কখনো এমন হাসতে শুনিনি।
লুবনা হাসি দিয়ে বলে,এখন প্রায় ই শুনবেন…
” চলবে……………..
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com