মায়ের জন্য ভালোবাসা
কত বাপ
নব্বই টাকা
ও বাপ ভালো।
মা আমি মালিকে বলছি আরো বেশি করে মাল এনে দিবো। আর মালিক আমাকে বেশি টাকা দিবো।
আচ্ছা।
ছেলেটি অনেক খুশি আজ আশারুরুপ টাকা আয় করতে পেরেছে।
অনেক বেশি খুশি হয়তো কাল কাজ কম করলেও চালের টাকা পুশে যাবে।
এই ছেলেটারও ইচ্ছা আর দশ জনের মত চলতে। কিন্তু পৃথিবী তার বিপক্ষে।
সারাদিন কাগজের ঠোঙা বোতল বিভিন্ন জিনিস টোকায়।
আর রাতের বেলায় চিন্তা করে সে অনেক সুখি কিংবা দুখি মানুষ।
তবে চিন্তাটা চিন্তাই সীমাবদ্ধ থাকে সে যে একটা মানুষ।
সকালবেলা অাবার নিয়মমত চলেযায় কাজে।
এগুলোর জীবনই আলাদা।
এই ছেলেটির তো মা আছে। তার পৃথিবী তার মা।
কিন্তু আরো অনেক ছেলের তো মাও নেই।
তারাও তো জীবন পারকরে দিচ্ছে। জীবন আসলে কি?? একটা প্রাণ আর একটা দেহ?
ছেলেটিটি এখন একটু বেশি পরিশ্রম করে।
একটু বেশি অায়ের জন্য।
কারন এবার সে প্রতিজ্ঞা করছে মাকে একটি শাড়ি কিনে দিবে।
তার মা তাকে পৃথিবীতে এনেছে এত বড় করেছে।
তাই ছেলে হয়ে সব কিছু করতে পারবে সে। একটা শাড়ি তো আর বেশি কিছু না।
সে যে তার মাকে অনেক ভালোবাসে।
এসব ছেলেগুলোর ভালোবাসা শুধু বুকে রয়ে যায়।
কারন কিছু স্বপ্ন যদি থাকে সেগুলো পূরন করতে অনেক কষ্ট হয়।
আবার কত স্বপ্ন অপূর্ণ রয়ে যায়।
কিন্তু এই ছেলেটি তার স্বপ্ন পূরন করতে পেরেছে।
তার প্রতিজ্ঞা রাখতে পেরেছে। কঠোর পরিশ্রম করে তার মাকে পছন্দের শাড়িটি কিনে দেয়।
শাড়িটি মায়ের হাতে দিয়ে বলে
"তোমায় অনেক ভালোবাসি মা"
মায়ের দুচোখ জুড়ে হাসির কান্না আসে।
