ভালোবাসার না বলা কথা

- এইইই
- কি??
- সরি।
- কেন??
- ওই সময়ের জন্য।
- কি দরকার সরি বলার।
- তখন মাথা ঠিক ছিলো না।
- হ্যাঁ বড়লোকের মেয়েদের মাথা সব সময় সিলভার এর হয়।
- ওই অামার পরিবার নিয়া কথা বলবে না।
- সেটা তো বটেই, সেই পরিবারে কি করে যে এই উগ্রপন্থীর জন্ম কে জানে।
- ওই ভালো হচ্ছে না বলে দিচ্ছি।
- ভাল হওয়ার কথাও না।
- সরি বললাম তো।
- তখন এতগুলা মানুষের সামনে অামাকে ঝারলে কেনো??
- তুমি ওই মেয়ের দিকে তাকিয়ে ছিলা কেন??
- একদম না। অামি ওই দিকে একটা শাড়ি দেখছিলাম। মেয়েটা কোথা থেকে এলো অামি নিজেও জানি না।
- হইছে হইছে অার বলতে হবে না।
- এখন তো তা হবে, মান সম্মান তো অামার গেছে অাপনার যায়নি।
- এরকম ভূল করলে এই রকমই হবে।
- উফফ অসহ্য। গাড়িতে বসে বসে ঝগড়া।
এই মেয়েকে নাকি অামার বিয়ে করতে হবে।
বিয়ের অাগে অামার মানসম্মান মাটিতে লুটাই দিচ্ছে।
ওহহ এই মেয়েটি হচ্ছে টুম্পা।
অামার বাবার হবু বৌমা।
উনার মাথায় ভূত ছড়ে ছিলো বলে অামার কাদে এই পেত্নি জুলিয়ে দিয়েছে। উনার বন্ধুর মেয়ে, ব্যাস খেল খতম।
অামি রাহুল একটা কোম্পানিতে চাকরি করি এর চেয়েে বড় পরিচয় অামার নেই।
.
- এইযে অাপনার বাবার দালান চলে অাসছে, নেমে অামাকে উদ্ধার করুন।
- অামি নামবো না।
- কেন??
- অামি শ্বশুরবাড়ি যাবো।
- বিয়েই হয়নি শ্বশুরবাড়ি কোথা থেকে এলো??
- ওই কথা কম বল।।
- ওফফ।
.
- মা মা মা (টুম্পা)
- এমন ভাবে ডাকছে যেন তাকে না পেয়ে একদম শেষ। (মনে মনে বলছি)
- ওমা টুম্পা যে (মা)
এহহ অাহ্লাদে অাটখানা একেবারে মনে হচ্ছে পঞ্চাশ বছর পর বান্ধিবর দেখা পেয়েছে।
উফফ এদের কাজ কর্ম দেখে নিজের জ্বলছে। নাহহ এখানে থাকা যাবে না।
..
- ওই তুই কই যাস?
- রুমে।
- মেয়েটা অাসছে, ঘরে কিছু নেই রান্না করার। যা বাজার করে অান।
- মাত্র অাসলাম বাইরে থেকে
- কিছু হবে না যা।
- উফফফ কি জ্বালা যন্ত্রনা।
..
শেষ পর্যন্ত ক্লান্ত শরীর নিয়ে অাবার বাজার করতে গেলাম। ঘরে রাক্ষসী অাসছে তার জন্য খাবার কম পরবে তাই, হুহ।
বিয়ের অাগে শ্বশুরবাড়ি ঘুরে বেড়াচ্ছে কেমন মেয়ে এটা?? তার উপর অামার পিছনে একটার পর একটা বাঁশ লাগাচ্ছে।
.
বাজার করে এনে দিলাম। মা রান্নার কাজে ব্যস্ত। শাঁকচুন্নি টা কোথায় দেখতে পাচ্ছি না। অামার এক জ্বালা না দেখলে ভালো লাগে না। দেখলে তার কাজ কর্ম অামার জ্বলে।
তবে শাঁকচুন্নি টা অামাকে একটু কম নয় বরং একটু বেশি ভালোবাসে।
..
- একি তুমি অামার রুমে? (অামি)
- দরজায় তোমার নাম লেখা ছিলো না।(টুম্পা)
- তুমি ভালো করে জানো এটা অামার রুম।
- তাহলে তো এটা অামারও রুম।
- কি করে??
- যে করে এটা অামার শ্বশুরবাড়ি
- অামার বাবা দ্বিতীয় কোনো সন্তান নেই।
- তুমি কি বলতে চাইছো?? বিয়ে করবেনা অামাকে??
- বয়ে গেছে অামার।
- তাই???
- হুমমম
- মা........
- চুপ চুপ চুপ
- কেন চুপ। মাকে খুব ভয় পাও??
- হুমম
- তেমন অামাকেও পেতে হবে।
- হুমম
- কি হুম?? দেখো অাবার অামার জন্য মাকে কখনো কষ্ট দিবা না। তাহলে মেরে ফেলবো একদম।
- লক্ষ্মী বৌ অামার
- এই এখন না বলে অামাকে বিয়ে করতে তোমার বয়ে গেছে।
- কই নাতো।
- হাহাহা পাগল
- পাগলি
।। অামি চাই এই পাগলিটাকে
যে অামার সব দিক খেয়াল রাখবে।
আমার বাবা মাকে ভালোবাসবে।
আর আমি ও না হয় আমার জিবনের পথচলার সাথীর হাতটা ছুঁয়ে দিই।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url