স্ত্রীর ভালোবাসা

ঘরে ঢুকেই অবাক হয়ে গেল স্বামী । স্ত্রী ব্যাগ গোছাচ্ছে।
স্বামী: সে কী! কোথায় যাচ্ছ তুমি?
স্ত্রীঃ বাপের বাড়ি।
স্বামীঃ কেন?
স্ত্রীঃ থাকব না আমি তোমার সঙ্গে।
স্বামীঃ আশ্চর্য! কী অন্যায় আমার?
স্ত্রীঃ আমার বাবা একটা ভুল মানুষের কাছে আমাকে বিয়ে দিয়েছেন।
স্বামীঃ বুঝলাম, কিন্তু আমার ভুলটা কি বলবে তো?

স্ত্রীঃ তুমি একদিনও তাহাজ্জুদ পড় না। (স্বামী নিশ্চুপ)
স্ত্রীঃ কুরআন তিলাওয়াত তো ছেড়েই দিয়েছ! (স্বামী নিশ্চুপ)
স্ত্রীঃ কথা ছিল একই প্লেটে খাবার খাব, কথা রেখেছ? (স্বামী নিশ্চুপ)
স্ত্রীঃ একটাও তো ঠিক মত হচ্ছে না। কেন থাকব আমি তোমার সঙ্গে?

স্ত্রী ব্যাগ হাতে বের হয়ে যেতে উদ্যত। 
স্বামী পিছন থেকে স্ত্রীর একটা হাত ধরল।
স্বামীঃ যেও না। একটা সুন্নাত তো মানছি এখনও!
স্ত্রীঃ কোনটা? কোনটা মানছো, বলো?
স্বামীঃ তোমাকে ভালোবাসি। নবীজি আয়েশা রাঃ কে ভালোবাসতেন।

স্ত্রী ব্যাগটা হাত থেকে নামাল। হাসবে না ভেবেও ফিক করে হেসে ফেলল। চোখে গভীর ভালোবাসা এনে তাকাল স্বামীর দিকে।

স্ত্রীঃ তাহলে বাকিগুলো মানছো না কেন?
স্বামীঃ ভালোবাসা দিও। আরও উৎসাহ দিও। এখন থেকে মানব, কথা দিলাম। ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তায়ালা যেন এমন একটি সুন্দর মনের মানুষকে জীবন সঙ্গী হিসাবে সবাইকে দান
করেন।

(আমিন)

দু’আ কবুল হওয়ার উত্তম স্থান

০১। কাবাঘরের ভেতরে দু’আ।

০২। কাবাঘর তাওয়াফ করার সময় দু’আ  করা।

০৩। সাফা পাহাড়ের উপর দু’আ  করা।

০৪। মারওয়া পাহাড়ের উপর দু’আ  করা।

০৫। সাফা ও মারওয়ার মধ্যবর্তী স্থানে দু’আ  করা।

০৬। আরাফার দিনে আরাফার ময়দানে দু’আ করা।

০৭। মুযদালিফায় মাশ্-আরুল হারাম নামক জায়গায় দু’আ করা।

০৮। হজের সময় ১১ ও ১২ যিলহজ তারিখে ছোট জামারায় পাথর নিক্ষেপের পর দু’আ করা।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url