Breaking News

আমি সেই নির্জন পথের পথিক | পর্ব -০৩



আমি ক্লাস করে বাইরে এসে সুপ্তিকে খুজছি।এমন সময় কে যেন বলল, , ,
“ওই ছেলে এই দিকে আই”

আমি পেছনে তাকিয়ে দেখি কয়েকটি মেয়ে দারিয়ে আছে। আমি এই দিক ওদির
তাকিয়ে দেখে নিলাম কাকে ডাকছে। কিন্তু আমার আসে পাশে কেউ নেই। তখনি মেয়ে
গুলর মধ্যে থেকে একটা মেয়ে বলল, ,
মেয়ে- কি রে এদিক ওদিক কি দেখছিস। তোকেই ডাকছি।
আমি- ও ।জি বলেন কি বলবেন।
মেয়ে- নাম কি তোর।
আমি- নীল।
ঠাস, ,
এক চরমেরে দিল। কিন্তু কেন মারল বুঝতে পারলাম না । তখনি মেয়েটা আবার বলল, , , ,
মেয়ে- পুরো নাম বলতে পারিস না।
আমি- নীল চৌধুরী ।
মেয়ে- কোন ক্লাসে পরিস।
আমি- অনার্স প্রথম বর্ষের ।
মেয়ে- তা এমন ক্ষ্যাত মারকা হয়ে কলেজে কি করিস।
আমি- আমি ছোটো থেকেই এমন।

এই কথা বলে এখান থেকে চলে আসছি। এমন সময় দেখলাম সুপ্তি। সামনে একটা ছেলের
সাথে কথা বলছে। আমি আর ওর কাছে না গিয়ে কলেজের বাইরে চলে আসলাম। একা একা
হাটছি আর ভাবছি সবাই আমাকে কেন এমন ক্ষ্যাত বলে। আমি যদি মোটা ফ্রেমের চশমা
পরি, ঢিলা জামা কাপড় পরি এতেই আমি ক্ষ্যাত । আর বড় লোক বাপের ছেলে
মেয়েরা যে ছোটো ছোটো ছেঁড়া কাপড় পরে তা হলে তাদের কি বলা উচিৎ । আমার তো
তাও লজ্জা বোধ আছে । কিন্তু তারা ওই সব নোংরা জামা কাপড় পরে সব জায়গায়
ঘুরে বেড়ায় । এমনকি নিজের বাবা মার সামনেও তখন কি ওদের একটুও লজ্জা করেনা।
লজ্জা করেবেই বা কি করে যাদের লজ্জা শরম থাকে তারা এমন জামা কাপড় পরে
পাবলিক প্লেসে ঘুরে বেরায় না।
আমিও হয়তো ওদের মত নি হতাম । কিন্তু
আমার ভাগ্য আমাকে আজ এই জায়গায় দার করিয়েছে। প্রথম প্রথম খুব আপসোস হত।
কিন্তু এখন এদের মত কিছু মানুষে রূপি নীরলজ্ব দের দেখতে দেখতে আর সেই
আপসোস টা হয় না। আমি যেমন আছি খুব ভালো আছি।আর চাই যেন সারা জীবন এমন
থাকতে পারি।, , , , এই সব ভাবছি আর রাস্তা দিয়ে হাটছি । হঠাৎ একটা গাড়ি
আমার সামনে থামলো । হ্যা গাড়িটা আমি চিনি এটাতো আংকেল এর গাড়ি ।
আংকেল গাড়ি থেকে নেমে আমার সামনে এসে বলল, , , , , , ,
আংকেল – নীল তুমি হেঁটে হেঁটে যাচ্ছো কেন।
আমি- আসলে আমার হাঁটতে ভালো লাগে তাই ভাবলাম হেঁটে হেঁটে জায়।
আংকেল – ও,।তা কলেজের প্রথম দিন কেমন কাটলো ।
আমি- ভালো ।
আংকেল – চলো গাড়িতে ওঠো।

আমি আর কিছু না বলে গাড়িতে উঠে পরলাম।গাড়িটা বাড়িতে এসে থামলো।বাড়িতে
এসে আমি আমার ঘরে গিয়ে ফ্রেস হয়ে । খেতে গেলাম।খাওয়ার শেষ করে ঘরে এসে
দিলাম এক ঘুম।
বিকালে, , , , , , , ,
ঘরে থাকতে ভালো লাগছে
না। তাই একটু বাইরে গেলাম। সুপ্তি দের বাড়ির পেছলে একটা খুব সুন্দর পুকুর
আছে । কিন্তু আমি সেখানে এখনো জায় নি । কিন্তু আজ কি মনে করে ওখানে গেলাম।
জেয়ে দেখি পুকুর পারে একটা সুন্দর করে দোলনা বাঁধা। আমি আর কিছু না ভেবে
দোলনাটার উপরে বসে পরলাম। দোলনাতে বসে বসে সামনের দৃশ্যটা দেখছি খুব সুন্দর
দৃশ্যটা । সূর্য অস্ত্র যাচ্ছে । সূর্যের চারদিকে একটা লাল আভা ছরিয়ে
পরছে । এর ফলে পুরো আকাশটাকে খুব সুন্দর লাগছে।
ঠাস, , , ঠাস, , , , ,
“কুত্তার বাচ্চা তোর সাহস কি করে হয় এখানে সবার”

আমি যখন পরিবেশ টাকে উপলব্ধি করছিলাম তখনি সুপ্তি এসে আমার গালে দুইটা চর
মেরে কথা গুল বলল।আমি কিছু বলছিনা। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছি। তখনি সুপ্তি
আবার বলল, , , , ,
সুপ্তি- কি হল চুপ করে আছিস কেন। বল এত সাহস তোকে কে দিয়েছে।
আমি- আসলে , , , ,
সুপ্তি- আর যদি কোনো দিনো এখানে দেখি তা হলে বাড়ি থেকে ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেব।

আমি কিছু না বলে হ্যা সূচক মাথা নারালাম। তারপর ওখান থেকে চলে আসলাম
নিজের ঘরে।ঘরে এসে শুয়ে শুয়ে ভাবছি। শুধু মাত্র ওখানে একটু বসেছিলাম বলে
এমন করল। আর কোনো দিনো যাবনা ওখানে।এই সব ভাবতে ভাবতে না খেয়ে ঘুমিয়ে
পরলাম।
পরে দিন সকালে উঠতে একটু দেরি হয়ে গেছে।তাই তারাতারি ফ্রেস
হয়ে না খেয়ে বেরিয়ে পরলাম, , , কারণ বাইরে সুপ্তি আমার জন্য অপেক্ষা
করছে। আমি যেতেই ঝারি দেওয়া শুরু , , ,
সুপ্তি- তা নবাবের এখন আসার সময় হল।
আমি- আসলে ঘুম থাকে উঠতে একটু দেরি হয়ে গেছে ।
সুপ্তি- তা আমি জানি নাবের মত ঘুমালেতো এমন হবেই ।
আমি- আপনি জানেন তা হলে আমাকে ডাকলেন না কেন।
সুপ্তি- ওই আমি কি তোর বাপের চাকর নাকি যে তোকে ডাকব।
আমি- আপনি চাকর হতে যাবেন কেন।
সুপ্তি- তা হলে ডাকতে বললি কেন ।
আমি- একটু ডেকে তুললে কি হয়।
সুপ্তি- দেখ বেশি কথা বলবি না বলে দিলাম।চুপচাপ গাড়িতে ওঠ।
আমি আর কিছু না বলে গাড়িতে উঠে বসলাম।তারপর গাড়ি চলতে শুরু করলো ।
হঠাৎ গাড়িটা কলেজের কিছুটা আগে এলে থেমে গেল। আর সুপ্তি আমাকে বলল, , , , , ,
সুপ্তি- ওই নাম।
আমি- কেন।
সুপ্তি- এখান থেকে তুই একা একা হেঁটে হেঁটে যাবি ।
আমি- কিন্তু কেন।
সুপ্তি- তোর কি মনে হয় তোর মোত একটা ক্ষ্যাত কে আমি যদি নিয়ে কলেজে জায় । তাহলে আমার আর সনমান থাকবে।
আমি- তা হলে কালকে নিয়ে গেলেন কেন।
সুপ্তি- কালকে বাবা ছিল তাই নিয়ে গেছি। এর এত কথা না বলে তারাতারি নাম।

আমি আর কিছু না বলে গাড়ি থেকে নেমে হাটা শুরু করলাম ।কলেজে এসে আজ আবার
আমাকে দেখে সবাই হাসতে শুরু করলো । কোনো ভাবে ক্লাস করে বাড়িতে আসব বলে
সুপ্তিকে খুজছি। কিছু খন পরে ওকে পেয়ে গেলাম।আমি ওর কাছে যেয়ে বললাম, , ,
, , , ,
আমি- এই যে শুনুন ।
সুপ্তি- কি( রাগি ভাবে)
আমি- আসলে ক্লাসতো শেষ বাড়িতে যাবেন না।
সুপ্তি- যাব কলেজের বাইরে জেয়ে দারা আমি আসছি।

আমি আর কিছু না বলে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসলাম। অনেক খন যাবং দারিয়ে আছি
কিন্তু সুপ্তির কোনো খবরি নেই। তখনি দেখলাম সুপ্তির বান্ধবীরা কলেজ থেকে
বের হচ্ছে । তাই আমি তারের কাছে জিজ্ঞেস করলাম সুপ্তি কোথায় ওরা বলল
সুপ্তি চলে গেছে ।
কি মেয়েরে বাবা। আগেই বলতে পারত নিয়ে জাবনা ।
তা হলে আমি ওই রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে না থেকে বাড়িকে চলে আসতাম।কি আর করার
আমিও হাটা ধরলাম। আমি চাইলে রিক্সায় যেতে পারি কিন্তু আমার হাটতে খুব ভালো
লাগে তাই হেটে হেটে বাড়িতে আসলাম। বাড়িতে এসে খেয়ে নিজের ঘরে শুয়ে আছি
তখনি সুপ্তির আগমন ঘটলো আমার ঘরে, , , , , , , ,
দেখে মনে হচ্ছে
প্রচন্ড রেগে আছে। এসে আমার গালে একটা ঠাসসস করে বসিয়ে দিল আমি নিজের গালে
হাত দিয়ে ওর দিকে জিজ্ঞাসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি । ও বলল, , , , , , , ,

সুপ্তি- তোর সাহস কি করে হয় কলেজে অত লোকের সামনে আমার সাথে কথা
বলার। তোকে না বলেছি আমি কলেজে গেলে জেন তোকে আমার আসে পাশে না দেখি। আর
বাড়ি আসবি তা নিজে একা একা আসতে পারিশ না।।
আমি কিছু বলছি না চুপ করে মাথা নিচু করে আছি।ও আরো কিছুখন অপমান করে চলে গেল।

আর আমি বিছানাতে বেসে বসে ভাবছি । একটু কথা বলার জন্য এত অপমান করল। আমি
এখানে আর থাকবই না। এখান থাকলে আমাকে আবার অপমান করবে।কিন্তু আংকেল আমাকে
কত আসা করে তার নিজের ছেলর স্থানে বসিয়েছে। আমি যদি এখন চলে জায় তা হলে
উনি হয়তো অনেক কষ্ট পাবে আমি পারবনা অনাকে কষ্ট দিতে।তাই সব কিছু মুখ
বুজে সহ্য করতে হবে।
এর পরথেকে প্রতিদিনই কলেজের কিছুটা আগে সুপ্তি
আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিত। আর আসার সময় কলেজের বাইরে থেকে গাড়িতে করে
নিয়ে আসতো।
এমন ভাবে দেখতে দেখতে কেটে গেল প্রায় একটা বছর। এখনো
সুপ্তির ব্যবহার বদলাই নি। আমাকে এখনো অপমান করে। কিন্তু ওর অপমান গুল সহ্য
করতে করতে কখন যে ওকে ভালোবাসতে শুরু করেছি আমি নিজেও জানিনা। আমি জানি ও
আমাকে কোনো দিনো ভালোবাসবে না। তাইতো সাহস করে ওকে আমার মনের কথাটা বলতে
পারিনা। আর তার থেকে বড় কথা হল আংকেল আমাকে অনেক বিশ্বাস করে তার বাড়িতে
আশ্রয় দিয়েছে। এমন কি তার নিজের ছেলের জায়গাতে বসিয়ে ছেন। উনি আমাকে এত
বিশ্বাস করেন তাহলে কি করে আমি আমার ভালোবাসার কথাটা সুপ্তিকে বলে আংকেলের
বিশ্বাসটা ভেঙ্গে দিই।
এখনো কলেজে সবাই আমার উপর হাসাহাসি করে।
কারণ আমি ক্ষ্যাত, আনস্মার্ট । এর কারনে এই এক বছরে আমার একটাও বন্ধু
হয়নি। তাই আমিও একাএকাই চলাফেরা করি।
কিছুদিন পর প্রথম বর্ষের পরীক্ষা তাই মনোযোগ সহকারে পরা লেখা করছি। দেখতে দেখতে পরীক্ষা চলে এল ।

পরীক্ষা গুল ভালো হয়েছে। তাই একটু আনন্দেই আছি।কিছু দিনপর রেজাল্ট দেবে।
এখন একটু ফ্রি আছি। সারা দিন ঘোরাঘুরি করি । কিন্তু একা একা কেউ সাথে থাকে
না। আংকেল যখন বাড়িতে থাকেন তখন উনি আমাকে ঘুরতে নিয়ে জান । ওনার সাথে
যেটুকু সময় থাকি সেটুকু সময় আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। কারণ বাবার আদর
কোনো দিনো পাইনি আংকেল আমাকে নিজের ছেলের মত ভালোবাসে তাই আমিও ওনার কাছ
থেকে বাবাক আদর টুকু পাই ।
যখন আমাকে আদর করে বাবা বলে ডাকেন তখন
নিজেকে অনেক সুখী মানুষ মনে হয়। আমি তখন নিজের পূরণ স্মৃতি গুল ভুলে জায়
। ভুলে জায় সেই বেতের বারি খেয়ে ফ্লোরে পরে থাকা সময় টুকু কে।
আজ ছাদের এক কোণে বসে বসে ডাইরি লিখছি।অনেক দিন ডাইরিটাতে কিছু লেখা হয়নি।তাই এখানে এসে আমি কি কি করেছি তাই লিখছি।, , ,
আমি মাঝে মাঝে ডাইরি লিখি। ডাইরি লিখতে ভালো লাগে । নিজের সাথে ঘটে জাওয়া
কিছু সময়কে আটকে রেখেছি এই ডাইরিটার মধ্যে।, , , , , , হাঠাৎ মনে হল ছাদে
কেউ আসছে। তাই আমি ডাইরিটা তারাতারি সরিয়ে রাখলাম।
কিছু খন পরে দেখলাম আংকেল আসলো। এসে আমার পাশে বসে পরলো।
আংকেল আগে বলল, , , , , , ,
আংকেল – এখানে একা একা কি করছো।
আমি- আমার এমন ভাবে রাতে একা একা বসে চাঁদ দেখতে খুব ভালো লাগে ।
আংকেল – ও আচ্ছা । তোমাকে কিছু বলার ছিল।
আমি- হ্যা বলেন।
আংকেল – আমি জানি তুমি এখানে ভালো নেই । সুপ্তি তোমার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করে । তুমি কিছু মনে করোনা প্লিজ।
আমি- না না আংকেল আমি কিছু মনে করিনি।
আংকেল – একটা কথা বলব রাখবে।
আমি- নিশ্চয় রাখব। আপনি আমার জন্য অনেক কিছু করেছেন।আর আপনার একটা কথা রাখতে পারব না।
আংকেল – তা হলে কাল থেকে নিজেকে একটু পাল্টাও।
আমি- মানে।
আংকেল – আমি জানি তুমি এমন করে কলেজে জাও বলে তোমার সাথে সবাই খারাপ
ব্যবহার করে। এমন কি আমার মেয়েও। তাই আমি চাই তুমি একটু নিজেকে বদাও । এখন
কার ছেলে মেয়েরা যেমন করে চলা ফেরা করে সেই ভাবে চলাফেরা করো।
আমি
– আমাকে ক্ষমা করবেন আংকেল আমি পারব না। আমি জেমন আমি সেইরকমি ভালো আছি।
নিজেকে বদলে ফেললে আমি সেই সব স্বার্থপর দের মত করে বাঁচতে চাইনা।
আমি
সেইসব স্বার্থপর দের মত বাঁচতে চাইনা যারা নিজের স্বার্থের জন্য একটা ৫
বছরের শিশুকে রাস্তায় ছুরে ফেলে দেয়। (হঠাৎ ভুলকরে বল ফেলাম)
আমার কথা শুনে আংকেল একটু অবাক হল। তারপর উনি বললেন।
আংকেল – ৫ বছরের শিশু মানে। কে ৫ বছরের শিশুতে রাস্তায় ছুরে ফেলে দিয়েছে।
আমি কি বলব বুঝতে পারছিনা।হটাৎ করে এমন বলাটা আমার ঠিক হয়নি। কি বলব বুঝতে পারছি না । তাই কথা ঘোরানোর জন্য বললাম, , , , , , , ,
আমি- আচ্ছা আংকেল কালতো আমাদের রেজাল্ট দেবে।
আংকেল – হ্যা তাইতো আমি ভুলেই গেছিলাম। তা তুমি কালকে সুপ্তির সাথে না গিয়ে অন্য একটা গাড়িতে যাবে।
আমি- কেন(অবাক হয়ে)
আংকেল – ডাইবার আমাকে সব বলেছে। সুপ্তি তোমাকে প্রতিদিন মাঝপথে নামিয়ে
দেই।তাই আমি ঠিক করেছি তুমি কাল থেকে অন্য গাড়িতে যাবে। আগের কথাটা না
রাখলেও এই কথাটা রাখতেই হবে।
আমি- ঠিক আছে।
আংকেল – আচ্ছা নিচে চলো ।ডিনার করতে হবে।
আমি- চলেন।

নিচে গিয়ে ডিনার করে শুয়েপরলাম। পরের দিন সকালে উঠে ফ্রেস হয়ে খায়ে
দেয়ে বেরিয়ে পরলাম কলেজের উদ্দেশ্যে । হ্যা আজ আমি একটা অন্য গাড়িতে করে
যাচ্ছি।
কলেজে গিয়ে একটা সুখবর পেলাম, , , , , , ,
চলবে, , , , , , , ,
ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com