Breaking News

আবির আর নিশার গল্প

আবির বাবা হারা এক হিরো,, মা তাকে সামলাতে পারেনি, তাই ছোটকাল থেকেই পাগলামী তার পছন্দ।
অন্যদিকে নিশাও বাবার একা সন্তান,, পাগলামী ও তার নেশা,হার
না মানা এক সৈনিকের মতো।
আবিরের সাথে নিশার দেখা এক পার্কে। আবির ক্রিকেট খেলতে গিয়ে উইকেটের জন্য বল ছুড়ে মারল, কিন্তু বল আঘাত করল নিশার ঠিক বেক সাইটে।
তাতে নিশা রেগে গিয়ে পাশের একটা ফাস্টফুডের দোকান থেকে ডিম এনে মেরে দিল সোজা আবিরের মাথায়। ধপাস!!!!!
আবির রেগে চড় মারতে গেল। হঠাৎ থমকে গেল,,
কিছু না বলে সোজা চলে গেল,,
পরদিন সকালে
কোচিং থেকে ফেরার পথে রিক্সার জন্য দাড়িয়ে রইল নিশা,, অন্যপাশে আবির, একটা রিক্সা আসতে না আসতেই দুজন শুরু করে দিল,,
আবির : আমি আগে ডেকেছি
নিশা : আমি আগে
আবির : মামা তুমিই বল,, আমি না ও
রিক্সা : দুজনই উঠো
নিশা ওঠে পড়লো
আবির : রিক্সা ধরে টেনে বললো, নাম!! রাবিশ,, আমি একা যাবো।
নিশা : কি আমি রাবিশ, এই নে —–!!!””””
ব্যাগ থেকে লিপ স্টিক বের করে তার মুখে একে দিল।
আর দৌড়ে পালাল,
বিকেল বেলায়,
পার্কে আবির খেলছিল,নিশা ঝগড়া বাধানোর জন্য সোজা মাঠের মাঝখান দিয়ে হাটা শুরু করল
আবার শুরু হল,,
আবির : আবার এখানে,, খেলার মাঠে,এতো আচ্ছা একটা জংলি,
নিশা : এই মুখ সামলে,,, মাঠ কি তোমার নাকি,,,
আবির : মেয়েদের এখানে সাপোর্ট করে না,সরো এখান থেকে,,
নিশা : তাই নাহ…. হাতে কোন আইসক্রীম ছিল মেরে দিল আবির কে। ক্রীম মাখা মুখ দেখে নিজেই হাসতে লাগল। পাগলা আবির কিছুই বলে নাহ,, কারন প্রথম দেখাতেই তাকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছে। এখন জগড়াটাও তার কাছে ভালোবাসা মনে হয়। এভাবেই চলতে থাকল অনেকদিন।
এক বৃস্টির দিনে নিশা একা একা বাসায় ফিরছিল, আবির তার পিছু নিল, হঠাৎ নিশা দাড়িয়ে গেল,, জিঙ্গেস করল
নিশা : কি চাই
আবির : কই নাতো,,
নিশা : (রেগে,,) তাইলে এতক্ষন পিছু নিলে কেন?
আবির : থমকে গিয়ে,, আমি তোমাকে ভালোবাসি, বিশ্বাস কর প্রথম থেকেই আমাদের জগড়া লেগেই আছে,,আর তাতেই কেমন জানি তোমাকে আপন মনে হয়,, So I Love You
নিশা : তাই নাহ,,,এই নে,, ঠাস করে চড় মেরে দিল,,মাথা নিছু করে সোজা চলে গেল আবির।
বেশকিছুদিন আবির আর রাস্তাঘাট, পার্কে আসেনা, ক্লাশ ও করেনা,,নিশা তাকে গভীরভাবে miss করতে শুরু করে, ও বুজতে পারল যে ওকে ভালোবেসে ফেলেছে।ওকে খুজতে লাগল
শেষে এগার দিন পর হঠাৎ নিশা আবিরের সামনে, আবির কোন কথা না বলে সোজা চলে যাচ্ছিল, নিশা তাকে টেনে ধরে এক থাপ্পর বসিয়ে দিল।
পাগল!!! আমিও তো তোকে অনেক ভালোবাসি।কেন বুজিস নাহ!!!
আবির : ও ওও। তাই নাকি!
নিশা : তাই নাহ… (আবির কে দৌড়ানো শুরু করল)
এভাবেই চলতে থাকল কয়েকটা বছর।
হঠাৎ!!! এক সন্ধ্যায় আবির ফোনটা ওপেন করল।ঝড়ের কারনে ইলেকট্রিক লাইনে জামেলা হওয়ায় সকাল থেকে তার মোবাইলটা অপ হয়ে ছিল। বিকেলে মোবাইলটা চার্জে দিল, ওপেন করতেই দেখল ১৩৭ টা মিসড কল নিশার নম্বর থেকে।
তাড়াহুড়ো করে ব্যাক করেই আবির থমকে গেল।মুখটা কেমন ফ্যাকাশে,, তার চোখ দিয়ে ঝরতে থাকল সহস্র জল কনা।
কেমন পাগল হয়ে গেল,, সবকিছু ছুড়ে ফেলে দিতে লাগলো,,নিজে নিজে হাসতে লাগলো।
হ্যা সত্যিই তাই,,
কারন ফোনটা নিশার বাবা ধরেছিল,, আর তখন সেই দুঃখ কাতর কন্ঠ ভেসে আসলো যে,,
নিশার বিয়ে হয়ে গেছে , আজ সকালেই!!!!
তারপরই,
আবিরের স্হান এখন রাস্তার ফুটপাতে পাগলবেশে!!!!!
আর এভাবেই নিভে গেল এক জলন্ত ভালোবাসা ??
কারন নিশার কিছুই করার ছিল না!!!!!!!! ”
নিশা হয়তো কয়েক দিন কাঁদবে,,, এরপর নিজেকে মানিয়ে নিবে,,
কিন্তু বাস্তবটা হল,,ভালোবাসায় ছেলেরা সবচেয়ে বেশি অবহেলিত,, কারন মেয়েরা চাইলে যে কোন সময় নিজের পার্টনার খুজে নিতে পারে,,আর ছেলেরা ওই একজনকেই জায়গা দেয়,,,যাকে সারাজীবন ভালোবাসে।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com