Breaking News

গল্প:-ভাইয়া তুই স্বার্থপর


–ভাইয়া, এই ভাইয়া। আর কতো ঘুমাবি?
উঠ তাড়াতাড়ি।a
–কিরে ইডিয়ট, সকাল সকাল এতো
চিল্লাচিল্লি করছিস কেনো?
–আমার টাকা দে..?
–কিসের টাকা?
–ব্যাগ থেকে টাকা চুরি করছস যে সেই টাকা।
–কার ব্যাগ থেকে কে চুরি করলো?
–আমার ব্যাগ থেকে তুই চুরি করছস।
–মাইর না খাইতে সর এখান থেকে.
–সকাল সকাল মেজাজটা দিলি তো খারাপ করে…
–রাখ তোর মেজাজ, আমার টাকা দে।
–তাড়াতাড়ি.আমার ক্লাসের দেরি হয়ে যাচ্ছে….
–তোর টাকা কে নিয়েছে?
উল্টাপাল্টা কথা বললে মাইর খাবি।
–এর আগেও অনেকবার টাকা নিয়ে
ধরা খেয়েছিস তোর মনে নেই?
–তুইও তো আমার পকেট থেকে টাকা নিয়েছিলি…
–সেটা তো তোর জামা ধুতে গিয়ে পাইছি…
–ও, তাই তো বলি তুই শুধু আমার প্যান্ট
ধুতে রাজি হস কিসের জন্য।
–এখন আমার টাকা দে জলদি, নয়তো
আজকে ক্লাসে যেতে পারবোনা।
–হইসে হইসে, পকেটে দেখ পঞ্চাশ
টাকা আছে। এখন সেটা নিয়েই
ক্লাসে যা.পরে দিয়ে দিস।
–আমার লক্ষী ভাইয়া…
.
আসিফ তার ছোট বোন আয়েশার চেয়ে দুই বছরের বড় হলেও বন্ধুর মতোই আচরণ করে
দুজন।আয়েশা hsc প্রথম বর্ষে আর আসিফ এইবার hsc শেষ করলো।

প্রতিদিন ঝগড়া করেই সকালটা কে বরণ করে। আসিফের হাতে টাকা না থাকলে সে
আয়েশার ব্যাগ থেকে টাকা নেয়। তবে আয়েশা কখনো ব্যাগে টাকা না

রাখলেও আসিফের হাতে টাকা না থাকার সময় ঠিকই রাখে যেনো ভাই
টা টাকার জন্য অন্য কিছু না করে বসে। যদিও আয়েশা জানে যে আসিফের
মতো ভাই পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। কারণ আসিফের কোনো ধরনের বাজে
অভ্যেস নেই। আয়েশার হাতে টাকা না থাকলেও আসিফ বুঝতে পারে এবং
প্যান্ট ধোয়ার জন্য দিয়ে বলে পকেট ভালোভাবে চেক করিস। অতঃপর কিছু
না কিছু থাকেই। যখন যাই থাকে, সেটা শুধু বোনের জন্যই। একবার তো
পছন্দের কানের দুল কিনতে না পারায় খুব মন খারাপ করেছিলো আয়েশা।
আসিফ সেটা কিনে এনে দিয়েছিলো। তবে কখনো সরাসরি
দিতোনা। লুকিয়ে লুকিয়ে দেয়ার আনন্দটা ই বেশি। তাই হয়তো দুজনই
লুকিয়ে দিতেই পছন্দ করে। যদি কখনো আয়েশা ক্লাস শেষ করে বাসায়


ফিরতে একটু দেরি করে, তাহলে পাগলের মতো হয়ে যায় আসিফ। আবার
আসিফ রাতে বাসায় ফিরতে দেরি করলেও চটপট শুরু হয়ে যায় আয়েশার।
.
সেদিন আয়েশা ক্লাসে গিয়ে বিকেল পর্যন্তও বাসায় ফিরছিলোনা,
তাই আসিফ পাগলের মতো হয়ে গেছিলো। ফোনটাও সুইচ অফ করা। একটু
পরে বাসায় ফিরতেই অনেক টা রেগেমেগে আসিফের
জিজ্ঞাসা…….
–কোথায় ছিলি এতক্ষণ? ক্লাস শেষ করে কোথায় গেছস?
–কোথায় গেছি সেটা তুই জেনে কি করবি?
–তোকে ছাড়া কখনো আমি খাই?
–তার মানে তুই এখনো খাসনি?
–না, কিন্তু তুই কই গেছস বলবিনা?
–আগে খাইতে আয়, পরে বলছি।
.
–এখন বল কোথায় ছিলি?
–তোর ইরার বাসায়।
–আমার ইরা মানে?
–মানে দুই বছর ধরে তোকে যে লাইন মারতেছে।
–মাইর খাইছস?
–না, ভাত খাচ্ছি। তাছাড়া আমার
কি দোষ, আমার সব ফ্রেন্ডই ইরাকে
আসিফের বউ বলে আর আমাকে বলে ও
নাকি আমার ভাবী।
–হইছে হইছে, এখন ভাত খা।
–ভাইয়া একটা কথা বলি?
–হ্যাঁ বল
–ইরা তোকে সত্যি অনেক লাভ করে। তবুও কেনো মেয়েটা কে বুঝিস না?
সে তো ক্লাস নাইন থেকেই তোর ভালবাসায় মগ্ন, অন্য কারো প্রোপোজও গ্রহণ করেনা।
–তোকে বারন করছি না এই ব্যাপারে আমাকে কিছু না বলতে?
–তাইতো চুপ করে আছি। তোর জায়গায়
অন্য কেউ হলে শার্টের কলার ধরে ইরার সামনে গিয়ে হাজির করতাম।
–চুপ ইডিয়ট। আজকাল ছেলে- মেয়েদের


কাছে বেশিরভাগই প্রেম ভালবাসা মানে অন্য চাহিদা। মনের তৃপ্তি না
খুঁজে অন্য তৃপ্তিতে মগ্ন হয়। আমি চাইনা আমার কলিজার টুকরা বোনটা এইরকম
কারো প্রেমে পড়ুক। –আমার প্রেমে পড়া আর ইরার সাথে
তোর প্রেম হওয়ার মাঝে সম্পর্কটা কোথায়?
–আমি জানিনা ইরা তোর কতটুকু বেষ্ট
ফ্রেন্ড। কিন্তু এটাতো জানি আমি
তোর সবচেয়ে কাছের বন্ধু। আমি ইরার
সাথে প্রেম করলে হয়তো তোরও অন্য
কারো সাথে প্রেম করতে ইচ্ছে করবে।
আর আজকাল এই প্রেমের বেশিরভাগই
অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। এছাড়াও
প্রতারনা তো আছেই। আর একটা
প্রতারণা যেকারো জীবন নষ্ট করে
দিতে পারে। তাই আমি চাইনা আমার
কলিজার টুকরা বোন টা এইসব কিছুর মুখোমুখি হোক।
–খুব তো বোনের উপর দরদ, তাহলে সবসময় একটু ভালো ব্যবহার করলে কি হয়?
–ইহ, তুই কখনো ভালো ব্যবহার করিস?
–তুই ভালো ব্যবহার পাওয়ার যোগ্য?
–নাহ, তুই খুব যোগ্য।
–যাহ, আর খাবোই না।
–খাওয়া শেষ তো, তাই উঠে যাচ্ছিস।
.
অতঃপর আরো একটা ঝগড়াময় বিকেল
কাটলো আসিফ আয়েশার। দুজন প্রায়
সারাক্ষণই ঝগড়ায় মত্ত থাকে। কিন্তু
একে অন্যকে কিছুক্ষণ না দেখলে কেমন
চটপট শুরু হয়ে যায়। রাতে আসিফ বাসায়
ফেরার পর আগে আয়েশার রুমে উঁকি
দিয়ে যায়। একে অন্যকে ছাড়া কখনো
খেতেও বসেনা। অথচ ঝগড়াটা
সারাদিন থাকে। কেউ দেখলে
ভাবতেও পারবেনা তাদের ভাই
বোনের সম্পর্ক টা এমন। প্রতিদিন ঝগড়া
করলেও ভাই-বোনের মধুর সম্পর্কটা
বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো নয়। আসিফের hsc
রেজাল্ট দিলো। ভালো রেজাল্ট


করলো আসিফ। অতঃপর অনার্স করার জন্য শহরে একটা পাবলিক ভার্সিটিতে
এডমিশন টেস্ট দিয়ে চান্স পেয়ে যায়। বাবা-মা আর বোনের স্বপ্ন পূরন হওয়ার
পথে। ঠিক এমন সময়েই পাগলামী শুরু করে আসিফ…….
–আমি যাবোনা বাসা ছেড়ে, এই গ্রাম ছেড়ে।
–কেনরে? কেনো যাবি না?
–বাবা-মা আর তোকে ছেড়ে আমি কিভাবে থাকবো?
–ভাল কিছু করতে হলে এইসব কিছু ছাড়তে হবেই।
–দরকার নেই আমার ভালো কিছু। তোর
সাথে ঝগড়া করতে না পারলে আমি কোথাও থাকতে পারবোনা।
–প্লিজ ভাইয়া, এমন করিস না। তুই তো
সবসময় আমাকে বলতি ভালো কিছু
করতে হলে অনেক কিছু ত্যাগ করতে হয়।
–সেটা অনেক কিছু, কিন্তু তোকে তো
নয়। তাছাড়া আমি গ্রামের একটা
কলেজে অনার্স করলে কি ভালো কিছু করতে পারবোনা?
–এতো কিছু বুঝি না, তুই যাবি। তুই না
গেলে বাবা-মা কষ্ট পাবে।
–আমি কিভাবে থাকবো আমার
কলিজার টুকরা টা কে ছেড়ে? থাকতে না পারলে কিন্তু দৌড়ে চলে আসবো,
তখন কিছু বললে মাইর খাবি।
.
আসিফের চোখের জল গড়িয়ে পড়ছে
অনেক্ষন ধরে। আয়েশার চোখও টলমল
করছে। বাবা-মাও কাঁদছে সন্তানকে
দূরে পাঠিয়ে দিচ্ছে বলে। আসিফ
চোখের জল লুকানোর জন্য বিছানায়
শুয়ে কাঁথা দিয়ে চোখ ঢেকে
রেখেছে। পাশেই বসে কাঁদছে
আয়েশাও। ঝগড়া করার সঙ্গীটা কে
ছেড়ে থাকতে যে হবেই৷ বাবা-মা
আসিফের জামা-কাপড় গুছিয়ে
রেখেছে। একটু পরেই বেরিয়ে পড়তে
হবে শহরের উদ্দেশ্যে। আয়েশা
নিজেকে কিছুটা শক্ত করে নিয়েছে।
আসিফের ব্যাগটা হাতে নিয়ে
বড়দের
মতো আসিফকে বুঝাতে বুঝাতে
হাঁটতে থাকলো…….
–শোন, তোর যখন ইচ্ছা হবে বাসায়
চলে
আসবি। পনেরো দিন পরপরই বাসায়
আসবি, বাবা-মা কিছু বললে আমিতো
আছি.
–ওকে কলিজার টুকরাটা।
–আর শুন, কোনো খারাপ কাজে
জড়াবিনা। এখন যেমন আছিস, ঠিক
তেমনই থাকবি।
–আইচ্ছা, ঠিক আছে।
–একটা কথা ছিলো, প্রমিজ কর
রাখবি?
–ওকে বল, তবে আমারো একটা কথা
রাখতে হবে।
–কি কথা? বল তো শুনি?
–না, আগে তুই বল?
–উঁহু, তুই বল আগে?
–Hsc শেষ করার আগে কখনো অন্য
কিছুতে মন দিবিনা, কারো সাথে
রিলেশনে জড়াবিনা।
–তোর কলিজার টুকরা বোনটা তোর
এই
সিম্পল কথাটা রাখবে।
–এইবার তোরটা কি বল?
–যদি কখনো কারো সাথে রিলেশন
করিস, তাহলে ইরার সাথেই করিস.ইরা
তোকে সত্যি অনেক ভালোবাসে।
–জানি, কিন্তু আমি ইরার সাথে
রিলেশনে জড়াইনি যাতে তুইও কখনো
রিলেশনে না যাস।
–সত্যি? আমি কথা দিচ্ছি hsc শেষ
করার আগে এইসব কিছু করবোনা,
বিনিময়ে শুধু ইরার কথা টা মনে
রাখিস।
–ওকে, ভালোভাবে পড়াশুনা করবি।
কেমন?
–হুম, তুইও করিস। যা ভাগ এখন, নাকি
ইরার জন্য ওয়েট করছিস?
–আমার তো খেয়েদেয়ে কাজ নেই
তোর ঐ মাথামোটা বান্ধবীর জন্য
ওয়েট করবো।
–ওই চুপ.আমার ভাবী কে মাথামোটা
বললে কিন্তু তোর সাথে কথাই
বলবোনা।
–ওরে বাবা, ভাইকে সমর্থন না করে
অসচ্ছ ভবিষ্যতের ভাবীকে সমর্থন
করছিস? যাহ আমি আর কখনো তোর
সাথে কথাও বলবো না, বাড়িতেও
আসবোনা।
–ওকে, তুই আমার সাথে কথা বলতে
হবেনা, বাড়িতেও আসতে হবেনা।
–ওকে, ভালো থাকিসরে…….
.
চোখের জল মুছতে মুছতেই অনিচ্ছা
সত্ত্বেও সবাইকে ছেড়ে যেতে হচ্ছে
আসিফের। গাড়িতে উঠেও পিছনে
ফিরে তাকিয়েছে বহুবার। বাবা
মায়ের সাথে আয়েশাও চোখের
পানি মুছতে মুছতেই ফিরছে ঘরে।
কেমন
যেনো নীরবতা ছেয়ে গেছে
বাড়িটাকে। ফাঁকা ফাঁকা লাগছে
ঘরটা। আয়েশা বিছানায় শুয়ে শুয়ে
কাঁদছে আর কার সাথে ঝগড়া করবে এই
ভেবে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে
গেলো, কিন্তু তখনও খায়নি। আসিফ কল
করে ধমকি দেয়ার পর সন্ধ্যা হওয়ার
ঠিক
আগ মুহূর্তে খাওয়া সম্পন্ন করে আয়েশা।
সন্ধ্যায় আসিফ কল করে বললো আর
কিছুক্ষণ পরেই পৌঁছাবে। আয়েশা মন
খারাপ করে বসে আছে পড়ার
টেবিলের সামনে। মন বসছেনা পড়ায়।
বাবা-মা ঘুমিয়ে পড়লো আর আয়েশা
তখনও জেগে। রাত খুব বেশি না হলেও
আসিফ না থাকায় বাবা-মা
তাড়াতাড়িই শুয়ে পড়লো। হঠাত করেই
ফোন টা বেজে উঠলো আয়েশার। কল
এসেছে আসিফের নাম্বার থেকে।
উত্কণ্ঠা হয়ে কল রিসিভ করার পরই
বুঝতে পারলো অন্য কেউ কথা বলছে
আসিফের বদলে। কি যেনো হল,
কথাটা
শুনার পরই একটা চিত্কার দিয়ে উঠলো
আয়েশা, ফোনটা হাত থেকে পড়ে
গেলো মাটিতে। এক মিনিটের মতো
নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে থাকার পর
আয়েশাও লুটিয়ে পড়লো মাটিতে।
বাবা-মা এসে এই অবস্থা দেখে
ভাবলো আয়েশার কিছু হয়েছে।
আয়েশা কে খাটে তুলে চোখে মুখে
পানি দিলো ওর মা। চোখ মেলে
তাকিয়ে আছে কিন্তু কিছু বলতে
পারছেনা আয়েশা। এভাবে প্রায়
দুঘন্টা আয়েশার সেবা যত্নে মগ্ন
ছিলো ওর মা। ডাক্তার এসে চিকিত্সা করলো এবং জানালো বড়
কোনো ধাক্কা খেয়েছে সে, যা সইতে না পেরে এই অবস্থা। ঠিক হয়ে
যাবে কিছুক্ষণের মধ্যে। অনেক রাত হয়ে গেলো, বাবা-মা মেয়েটার
কাছেই বসে আছে নির্ঘুম। মেয়েটা আস্তে আস্তে কথা বলতে শুরু করছে,
কিন্তু চেষ্টা করেও বুঝাতে পারছেনা। অনেক্ষন চেষ্টা করার পর
বলতে সক্ষম হলো……. –ভাইয়ার বাস নাকি এক্সিডেন্ট
করেছে, আর ভাইয়া…… কথাটা বলতে অনেক কষ্ট হয়েছিলো
আয়েশার। শেষ হওয়ার আগেই হাউমাউ কান্না। ওর বাবা পরবর্তীতে
আসিফের নাম্বারে কল করে এবং বুঝতে পারলো যে আসিফ পৃথিবীর বুকে তার কলিজার
টুকরাটাকে একা রেখেই চলে গেছে। মধ্যরাতেই তিনজনের কান্নায় পুরো
এলাকা এসে দাড়ায় তাদের সামনে। বাবা-মায়ের আদরের সন্তান আসিফ,
যাকে শহরে যেতে দিতেই চোখের জলে ভাসতে হয়েছিলো তাদের।
তাহলে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে


এমন হাউমাউ কান্নাটা তো স্বাভাবিক। পুরো এলাকার উপস্থিতিতে পাগলের মতো কান্না
করছে আয়েশা। এমন ভাবে কান্না করছে যেনো সে সত্যিই রাস্তার
কোনো পাগলির ভূমিকা ধারণ করেছে। কারো শান্তনাই দমিয়ে
রাখতে পারছেনা আয়েশাকে। আয়েশার হাউমাউ কান্না প্রায় সবার
চোখেই জল এনে দিলো। আয়েশা কান্নার সুরে উচ্চশব্দে বলতে লাগলো……
–খুব তো বলেছিলি আমাকে ছেড়ে থাকতে পারবিনা, তাহলে আমাকে
একলা করে রেখে গেলি কেনো? আমি নাকি তোর কলিজার টুকরা,
তাহলে কলিজার টুকরা টা কে এভাবে একা করে গেলি কেনো? স্বার্থপর, তুই
আর কোনো দিন আমার সাথে কথা বলবিনা। ও হ্যাঁ, এখন তো আর কথা


বলবিই না। আমাকে তো পর করেই চলে গেলি। সবসময় তো বলতি আমি তোর
কলিজার টুকরা, কিন্তু তুই কি জানিস তুই আমার পুরো কলিজা টাই ছিলি। ওই
আমি ঝগড়া করবো কার সাথে রে? কাকে ইচ্ছামতো রাগাবো? আমার
ব্যাগে কার জন্য টাকা রাখবো? আমার ব্যাগ থেকে টাকা নিবে কে চুরি
করে? তোর প্যান্ট ধুয়ে দিয়ে দিতে গিয়ে আর কখনো তোর সারপ্রাইজটা
পাবো? আমাকে একলা করে কেনো চলে গেলি স্বার্থপরের মতো?
আমাকে দেয়া কথাটা রাখবি না? ইরা তোকে সত্যিই অনেক ভালোবাসে রে ভাইয়া

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com