Breaking News

প্রেত্নী বউয়ের কিউট বর|শেষ পর্ব

পাগলিটা খুব খুশি হয়েছে মায়ের আসার কথা শুনে ……. আমি ও খুব খুশি মা আসবে ‌…..অনেক দিন মায়ের সাথে দেখা হয় নি কথা হয় নি মা আসতেছে সেই মজা বলে বুঝানো যাবে না …. হঠাৎ ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেলো মায়ের আদর ভালোবাসার কথা আহারে কত না মিস করি হারিয়ে যাওয়া দিন ঘুলো……এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম সকালে ঘুম ভাংলো ফারহার ডাকে ঐ শুনছো উঠো মা কে আনতে স্টেসনে যাবা না …… আমি উঠে গেলাম ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে বাসা থেকে বের হলাম আর এখন স্টেশনে বসে আছি একটু পরে ট্রেন আসলো আর আমি আম্মুর জন্য জন্য আছি একটু পরে মায়ের ফোন…….মা:আমি 2নাম্বার গেইটে তুই কই?? আমি: তুমি দারাও আমি আসতেছি…….. তারপর মায়ের সাথে দেখা মাকে নিয়ে বাসায় আসলাম……..দুপুর গনিয়ে এলো…… ফারহা খেতে ডাকতেছে কত দিন পর মায়ের সাথে দেখা…….একসাথে খাবো অনেক দিন মায়ের সাথে বসে খাইনি…….কিন্তু একি খাওয়ার টেবিলে বসে তো আমি অবাক মা ফারহাকে খাইয়ে দিচ্ছে আর রাক্ষসিটা আমার দিকে ভেংচি দিয়ে হাসতাছে…….এমন ভাবে খাচ্ছে মনে হয় বাপের জন্মে খায় নি……..খাওয়া শেষে আমি রুমে এসে বসে আছি আর তখন উঠি আসলো…… ফারহা:দেখি আমাকে একটু জায়গা দাও আমি ঘুমোবো খুব ঘুম পাচ্ছে……. আমি: ঘুম তো পাবেই রাক্ষসি একা তিন জনের খাবার খাইছো…….. ফারহা:কি তুমি আমাকে মতো বড় কথা বলতে পারলে থাকো তুমি তোমার রুমে আমি মায়ের কাছে যাচ্ছি আর হুম মাকে গিয়ে সব বলবো……. আমি রাক্ষসি না আমি তিন জনের খাবার একাই খেলাম……. আমি:পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে আদুরে কন্ঠে না না সোনা আমি তা বলিনি তুমি তো খুব ভালো আর তুমি তো একদম অল্প খাও …..রাগ করো না আর মাকে কিছু বলো না please …….এই মুহূর্তে মাকে বললে মা আমার বারোটা বাজাবে……..তাই পাগলিটাকে একটু সামলাতে হচ্ছে…… ফারহা:আচ্ছা ঠিক আছে বলবো না তবে আমার একটা শর্ত আছে….. আমি:হুম বলো কি ….. ফারহা:আমি তোমার বুকে মাথা রেখে ঘুমোবো……. আমি: ফারহা কে জড়িয়ে ধরে বললাম পাগলি না করেছে কে ……….এভাবে চলতে থাকে আমাদের দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসা ……..অফিসে বসে আছি আর ভাবতেছি পাগলিটাকে খুব ভালোবাসি…….আমি খুব ভাগ্যবান তাই আমার কপালে এমন একটা প্রত্নী জুটেছে…….. হঠাৎ মায়ের ফোনে বাস্তবে ফিরলাম……মা:আকাশ তারাতারি ***** হাসপাতালে আয়……বুঝতে বাকি রইলো না কি হয়েছে….. আমি:অফিস থেকে তারাতারি হাসপাতালের জন্য রওনা দিলাম…….হাসপাতালে পৌছে দেখি মা বসে বসে কান্না করতেছে….. আমি:মা ফারহা কোথায়……..মা:অপারেশান থিয়েটারে ডাক্তার বলেছে প্রচুর রক্ষনক্ষরন হচ্ছে…….বুকের ভেতর খুব কষ্ট হচ্ছে……..মনে হচ্ছে আমি ফারহা কে হারিয়ে ফেললাম অপারেশান থিয়েটারের সামনে বসে আছি দুচোখ দিয়ে অশ্রু পড়তেছে………ভাবতেছি আমার পাগলিটাকে কখন দেখতে পাবো……অনেকক্ষন পর ডাক্তার বের হলো……. আমি ডাক্তারকে দেখে দৌড়ে গেলাম……ডাক্তার আমার ফারহা কেমন আছে……..ডাক্তার হাসি মুখে বললো চিন্তা করবেন না ……আপনি বাবা হয়েছেন ……আপনার কন্যা সন্তান হয়েছে ..,…মা ও মেয়ে দুজনেই সুস্থ……. আমি: আলহামদুলিল্লাহ…… আমি খুব খুশি……অনেক আনন্দ হচ্ছে ……..ডাক্তার :আমি কি একবার ফারহার সাথে দেখা করতে পারি…….ডাক্তার :সিওর…..
. আমি:ধন্যবাদ ডাক্তার…….সাথে সাথে ফারহার কাছে ছুটে গেলাম আর ফারহাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলাম আর ফারহা আমাকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো……কিছুক্ষন পরে এই ছাড়ো কি করছো বাবুনি দেখতেছে…….. আমি আমার বাবুনি কে বুকে টেনে নিলাম আর অনেক পাপ্পি দিতে লাগলাম……..আচ্ছা পেত্নী…..বাবুনির নাম কি রাখবা ……..ফারহা: তুমি বলো….. আমি:না তুমি বলো…….আচ্ছা …..ওর নাম মেঘা রাখলে কেমন হয়……ফারহা:অনেক সুন্দর আমার খুব পছন্দ হয়েছে……….মাসখানেক পর…..আমি:এই ফারহা…… ফারহা: হুম…. আমি:সারাদিন শুধু বাবুনিকে আদর করবা আমার কি হবে …… ফারহা:ইসসসস শখ কত ….উনি মনে হয় বাচ্চা ওনাকে আদর করতে হবে ……. আমি:উহু…ফারহা আমাকে একটা পাপ্পি দাও না …….ফারহা :না না এসব বলে না সরম বাবুনি শুনবে……. আমি:আচ্ছা…..আজ থেকে আমি ও তোমাকে ভালোবাসবো না বাবুনি কে ভালোবাসবো…… ফারহা:জড়িয়ে ধরে‌..আচ্ছা বাবা রাগ করো না …. আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি আর আমার বাবুনি কে ও ……….. আমি:আমি ও তোমাকে খুব ভালোবাসি……একথা বলেই দুজনে একসাথে বাবুনি কে পাপ্পি দিলাম আর বাবুনি হাসতেছে ……..উপ কি মজা………..এভাবেই চলতেছে আমার বিবাহিত সংসার দোয়া করবেন আমরা দুজন থুক্ক তিনজন যেনো সারাজীবন একসাথে এভাবেই থাকতে পারি…..
                                                                 ……….সমাপ্ত………

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com