Breaking News

বস যখন বর |পর্ব-০২

ইতি- ওনার দিকে তাকিয়ে আছি। ওনিও আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এর পর কি হবে আল্লাহই জানে।
ইতি- ওনি গাড়ি চালাচ্ছেন। কোনো কথাই বলছে না। আমার দমবন্ধ হয়ে আছে ভয়ে। ওনি ওনার বাড়িতে নিয়ে এলেন আমাকে। এর আগে কখনও আসা হয়নি আমার কেবল অফিসে সবার মুখে শুনেছি একি বাড়িতে আলাদা চলাদা ফ্লেটে থাকে সব ভাইয়েরা। দুটো বোন বিয়ে হয়েগেছে আমেরিকায় থাকে দুজনই। ভাইদের মধ্যে ওনিই সবার ছোট। একা থাকেন আর আজ থেকে হয়ত আমি……
কোন কথা না বলে সোজা আমাকে ওনার ফ্লেটে নিয়ে গেলেন। খুব সুন্দর পরিপাটি করে সাজানো বাসা।
ইতি- অনেক্ষন হলো বসে আছি। ভয়ে জাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে আমার। অনেকটা সময়পর ওনি আসলেন।
রোদ- মেঝো ভাইয়া আসবেন। যা বলার আমি বলবো তোমার কিছু বলা লাগবে না।
ইতি- আমি মাথা নাড়িয়ে সায় দিলাম।
কিছুক্ষন পরেই ওনার ভাইয়া এলেন।
মেঝো ভাইয়া- এসব কি রোদ?? তাহলে তো যা শুনছি তাই ঠিক মনে হচ্ছে।
রোদ- জি
ভাইয়া- তা এসব এর মানেটা কি???
রোদ- তোমরাই তো বিয়ে বিয়ে করে পাগল করছিলে। আর বিয়ে যেহুত করতেই হবে তাই করে ফেললাম।
ভাইয়া- তুমি বিয়ে করেছো এতে আমাদের আপত্তি আর ইতিকে আমাদের আপত্তি নেই তাই বলে এভাবে???
রোদ- দেখো ভাইয়া আমার নিজের একটা পছন্দ অপছন্দ আছে আর বিয়েটা আমায় করতে হবে তাই আমি আমার পছন্দ করা মানুষটাকেই আমার মতো করে নিজে করে নিলাম।
ইতি- অবাক হয়ে গেলাম ??ওনি আমাকে পছন্দ করেন????
রোদ- আর অনুষ্ঠানের কথা বলছো সেটা পরে বড় করে পার্টি দিয়ে দিলেই হবে।
ভাইয়া- বড় ভাইয়া ফোন দিলে তুমি বুঝে নিও আমি এসব এর মধ্যে নেই আগেই বলে দিলাম।
রোদ- আগে ভাইয়া আসুক।
ইতি- মেঝো ভাইয়া যাওয়ার আগে আমার মাথায় হাত দিয়ে সুখী হও দোয়া করে গেলেন। কিন্তু আর ঘোর যেনো কাটছেই না ওনি আমাকে পছন্দ করে অথচ আমি কখনও বুঝতেই পারিনি ব্যাপরটা আর ওনি আমাকে বুঝতেও দেন নি। ভাবতে ভাবতেই ওনার পিছু পিছু ওনার রুমে মানে আজ থেকে আমাদের রুমে গেলাম। ওনাকে একবার জিঙ্গেস করা দরকার তাই ডাকতে নিবো তার আগেই ওনি পিছনে ঘুরে দারালনে।
রোদ- পিছনে ঘুরে দারালম। খুশি হবার কিছু নেই
ইতি- মানে???
রোদ- মানেটা খুব Simple আমি তোমাকে পছন্দ টছন্দ করি না। ওই কথাটা Just বলেছি কারণ ভাবি আমার জন্য মেয়ে দেখছিলেন আমি তোমাকে পছন্দ করি শুনলে কষ্ট পাবে না তাই। আর ভাইয়া আমাদের বিয়ের ব্যাপারটা তোমার বাসা জানিয়ে দিবে তোমার চিন্তা করতে হবে না।
ইতি- কথা গুলো বলেই ওনি বাথরুমে চলে গেলেন। আমি ভ্রু কুচকে তাকিয়ে রইলাম একটা মানুষের আর কতগুলো রুপ দেখব আজ একসাথে আল্লাহই জানে।
রোদ- বাথরুম থেকে বের হয়ে দেখি মেয়েটা রুমে নেই। তাতে কি চলে গেলাম কিচেনে রান্না করতে।
ইতি- উফফফ…. আর ভাবতে পারছি না। ফ্রেস হয়ে রুম থেকে বের হলাম ওনাকে দেখছি না। ওমা ওনি টেবিলে খাবার দিচ্ছেন ওনার গেটাপ দেখে মনে হচ্ছে ওনি নিজে রান্না করেছে। একটা চেয়ার টেনে দিয়ে বললেন বসো খেয়ে নেই।
ইতি- ওনি নিজে আমার জন্য চেয়ার টেনে দিলেন। মানুষটাকে যত দেখছি অবাক হচ্ছি। রাগ ও হচ্ছে অনেক ওনি এগুলো কেনো করছেন কিছুই জানি না আর বলছেনও না। রাগের জন্য ভেবেছিলাম বলি খাবো না কিন্তু এতো ক্ষুদা লেগেছে যে চুপচাপ খেতে বসে পরলাম। ওনিও বসলেন।
খাওয়া-দাওয়া শেষ হতেই রুমে চলে আসলাম। আমার ফোন বাজছে। নিয়ে দেখি আম্মু ফোন করেছে। ভয়ে ভয়ে রিসিভ করলাম।
ইতি- হ্যালো মা
মা- আমরা কি তোর পর?? আমাদের বললে কি আমরা বিয়েটা দিতাম না???
ইতি- মা Plz…..
মা- তোর বাবা কতটা কষ্ট পেয়েছে জানিস??
ইতি- অনেক কষ্টে মাকে বুঝিয়ে ফোন রাখলাম। ফোন রেখে পিছনে ঘুরেই হা হয়ে গেলাম। একি??? আপনি এখানে??? ওনি বিছানায় সুয়ে আছেন।
রোদ- মানে??? আমার বাড়ি, আমার রুম, আমার খাট তো আমি থাকবো না তো কে থাকবে??? আর তুমি কি অন্য কাইকে Expect করছিলে।
ইতি- ওনার কথা শুনে লজ্জা পেয়ে গেলাম। না আসলে তা বলতে চাইনি। আমি কোথায় ঘুমাবো???
রোদ- আমি খাটের একপাশে শুয়ে অন্যপাশ হাত দিয়ে দেখিয়ে দিলাম। এখানে ঘুমাবে।
ইতি- আপনার পাশে???
রোদ- হ্যা…..কেনো??? কোন সমস্যা???
ইতি- নাহ….. বলেই উল্টা দিকে ঘুরে বসে পরলাম। ওনার সাথে কথায় পারবো না। মাঝে কোল বালিশ দিয়ে শুয়ে পরলাম।
সকালে-
রোদ- ঘুম ভাঙতেই মেয়েটার দিকে চোখ পরল। হাকলা রোদের আলো পরেছে কি মায়াবি লাগছে দেখতে। সারারাত হয়ত মনে মনে অনেক কথা শুনিয়েছে আমাকে ভাবতেই মুখে হালকা একটা হাসি চলে আসে। উঠে যাই ফ্রেস হয়ে নেই অফিস যেতে হবে।
ইতি- আরমোরা ভেঙ্গে ঘুম থেকে উঠে বসে চোখ ডলছিলাম। চোখ মেলে তাকাতেই মাগোওওওওওওওওওওও বলেই দিলাম চিৎকার।
রোদ- কি হয়েছে??? বলেই ওর কাছে গেলাম।
ইতি- হাত দিয়ে চোখ ধরলাম। ছিঃ আপনার লজ্জা করে না। বলতে বলতে দাড়িয়ে গেলাম।
রোদ- মানে??? কেনো???
ইতি- এভাবে একটা মেয়ের সামনে কাপড় ছাড়া চলে এলেন শুধু টাওয়াল পড়ে।
রোদ- ওহ……তুমিই তো Problem কোথায়???
ইতি- আমি তো মানে???
রোদ- কেনো তুমি কি চাও অন্য কারো সামনে যাই এভাবে??
ইতি- ছিঃ… আপনার আসলেই লজ্জা নেই বলেই বাথরুমে চলে গেলাম। ফ্রেস হয়ে রেডি হয়ে নিলাম। ওনি নাস্তা রেডি করছেন।
রোদ- শুধু আজকের জন্য কাল থেকে আমি আর রান্না করছি না।
ইতি- তাহলে কে করবে???
রোদ- তুমি……
ইতি- আ…আমি??? দুজনে নাস্তা করে নিলাম। একটা কথা ছিলো।
রোদ- হুম..
ইতি- আমি আজ অফিসের পর বাবার বাসায় যাবো।
রোদ- যদি না করি??
ইতি- না করলেও আমি শুনছি না। হুহ???
রোদ- শুনো
ইতি- ঘুরে দাড়ালাম। জি??
রোদ- অফিসে কিন্তু আমরা বলছিনা যে We R Married.
ইতি- চোখ কুচকে তাকালাম ওনার দিকে বললাম আমি যে মরে জাচ্ছি সবাইকে বলার জন্য। হুহ?? বেরিয়ে গেলাম অফিসে যাওয়ার জন্য।
রোদ- পিছন থেকে হর্ন দিয়ে যাচ্ছি মেয়েটা দেখছেই না।
ইতি- উফফফ…. কে এতো হর্ন দিচ্ছে। পিছনে ঘুরতেই দেখি ওনি।
রোদ- গাড়িতে উঠো।
ইতি- Thank u লাগবে না.
রোদ- উঠতে বলছি উঠো।
ইতি- বসের সাথে একত্রে যাওয়াটা সবাই ভালো চোখে দেখবে না।

চলবে…….

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com