বিশ্বাস
একটা মেয়ের কিছু টাকা দরকার সে তাঁর বিএফ কে ফোন দিছে _ .
হ্যালো । জানু কি কর ?
তেমন কিছু না । কেন ?
এমনি তেমন কিছু না ।
সত্যি করে বল তোমার কণ্ঠ এমন কেন ?
কই কেমন ?
অন্য রকম লাগছে কেন ফোন দিছ সত্যি করে বল ।
এমনি দিছি ফোন, কেন তোমাকে ফোন দিতে পারব না ?
না সেটা না । কথা হল তোমার কলেজ টাইমে তুমি কখন ফোন দেওনা ।
না মানে আসলে হয়েছে কি আমার এত টাকা লাগবে । আজকে আমাদের কলেজে ফর্ম ফিলাপ করার লাস্ট ডেট তো আর আমার বান্ধবি ভুল করে টাকা ওর
টেবিলে ফেলে আসছে আর ওর বাড়িতে এমন কেউ নাই যে টাকাটা বিকাশ
করবে বা দিয়ে যাবে । তাই তোমার তো একটা মোবাইল ব্যাংকিং আছে সেখান
থেকে যদি টাকা দিতা,পরে তোমাকে দিয়ে দিতাম ।
থাপ্পড় চিন ফালজিল মাইয়া । কথাটা শুনে মেয়েটার চোখে পানি এসে গেল অভিমান
এবং অপমানের পানি । আজকে ৪ বছর তাদের সম্পর্ক কখন কিছু চায় নাই
মেয়েটা ছেলেটার কাছে । আজকে খুব বিপদের পরে চেয়েছে তাও বান্ধবির জন্য । অনেক বড় গলা করে বান্ধবিদের সাথে কথা বলত বিএফ কে নিয়ে ছিছি আজেক কি করে মুখ দেখাবে বান্ধবির কাছে কোন রকমে কান্না আটকে মেয়েটা আবার কথা বলছে ,
সরি আমার ভুল হয়ে গেছ ।
অবশ্যই ভুল হয়েছে । হাতের কাছে পাইলে ২ টা থাপ্পড় দিতাম ।
( কান্না কণ্ঠে ) আমি মাফ চাই ভুল করে ফেলছি ।
পাগলী তোমার উপরে আমার এই কারনেই রাগ লাগে ।
তোমার টাকা লাগবে ভাল কথা সেটা তুমি আমাকে এই ভাবে কেন বললা ।
আমি কি এত কিছু জানতে চেয়েছি ।
তুমি যে কোন একটা এটিএম বুথ বা এজেন্টের কাছে গিয়ে বলবা ,
এই শুনো আমি এই বুথে আছি তুমি তোমার মোবাইল
ব্যাংকিঙের পাসওয়ার্ড তোমার মোবাইল থেকে ওকে কর ।
কত টাকা বা কেন লাগবে এইসব কেন বলতে গেলা তাই আমি রাগ করছি।
তোমারে পরে পাইলে ৫ টা থাপ্পার দিব । আমার একাউন্টের টাকাই তো তোমার টাকা ।
পাগলি নিজের একাউন্টের টাকা তুলতে আবার বলতে হয় । এইবার একটু হাস ।
মেয়েটা এখন ও হাসার বদলে কাদছে তবে সেটা খুশির কান্না ভালবাসার বিশ্বাসের
কান্না । ছেলেটা কতটা বিশ্বাস করে ।
সত্যি মেয়েটা নিজেকে পৃথিবীর ভাগ্যবান লোকের একজন মনে করছে নিজেকে ।
জীবনের সবচেয়ে বর পাওয়া হল ভালবাসার মানুষের বিশ্বাস অর্জন করা ।