সেই মেয়েটা

–ওহে বালক আজান দিছে সেই টা কি কানে পৌঁছায়নি????(বউ)
—হুম যাচ্ছি তুমিও পড়ে নাও,(আমি)
.
উপরের কথাটি বললো তৃষা নামের একটি মেয়ে।
না সে এখন আর মেয়ে নই?
তিনি এক পুরুষের জীবনসঙ্গীনি হয়ে গেছে।
আর তার সেই জীবনসঙ্গীই হচ্ছি আমি।
মানে আমি মনে করি,
কারণ বিয়েটা তো আমার সাথেই হয়েছে।
.
কিন্তু সে যে কথা বলল, তা মুখে নই!
বোঝে নি তো তথ্য প্রযুক্তির যুগ বলে কথা।
বউটা আমায় ম্যাসেন্জ্ঞারে ম্যাসেজ দিয়ে নামাযে যেতে বলল।
.
কি ভাবছেন? বউ ম্যাসেজ দিছে মানে বউ ঝগড়া বাঁধিয়ে বাপের বাড়ি চলে গেছে।
আসলে এমন কিছুই না!
আমরা একি ঘরের একি বিছানায় বসেই চ্যাট করছিলাম।
.
তাহলে কি ভাবছেন?
আমরা বোবা?
আরে না আমরা বোবাও না।
আসল কাহিনী তাহলে আপনাদের খুলে বলি,,
.
কিছুদিন আগে আম্মা এক মামার বাড়িতে গিয়েছিল।
সেখান থেকে বাড়ি এসে কলিংবেল চাপতেই আমি দরজা খুলার জন্য পা বাড়ালাম।
.
আমার কালকে চাকরীর একটা পরীক্ষা আছে তো তাই আম্মু আমাকে বাড়িতে রেখেই গিয়েছিল।
.
যা হোক আম্মা বাহিরে দঁাড়িয়ে আছে দরজাটা খোলা দরকার।
.
দরজা খুলে সালাম দিয়ে বললাম,
—তুমি কি যে করোনা মা?
আমাকে আসার আগে একটা ফোন তো দিতেই পারতে,
আমি কি তোমাকে আনতে পারতাম না?
এতো রাতে মামারাই বা ছেড়ে দিলো কিভাবে?
—আব্বু আমি তো একা আসিনি?(আম্মু)
দেখো সাথে করে তোমার ব,,,,,,
সাথে তো আমার বডিগার্ড ছিল।
—বডিগার্ড?
—হ্যা,এই দেখো।
— পেছনে তাকাতেই আম্মার সাথে দরজার কাছে একটা মেয়েকে দেখলাম।
সাথে সাথেই আবার চোখ ফিরিয়ে নিলাম।
(কারণ,
আল্লাহর রাসূল সাঃ বলেছেন,
হে আলী!
তুমি একবার দৃষ্টি নিক্ষেপের পর দ্বিতীয়বার আর দৃষ্টি নিক্ষেপ করবে না।
কারণ,
প্রথম দৃষ্টি তোমার স্বপক্ষে।
কিন্তু দ্বিতীয় দৃষ্টি তোমার পক্ষে নই।)
.
নিচের দিতে তাকিয়েই হেসে দিলাম।
(আসলে মেয়েটা একটু রোগা ধরনের
সে কিনা আবার বডিগার্ড!
তাই আপনা আপনিই হাসছিলাম।)
.
—কিরে পাগলের মতো হাসছিস কেনো?
—হাসবো না তো কি করব?
তোমার বডিগার্ড কে দেখলে মনে হয়!
নিজের খেয়াল নিজেই রাখতে পারে না।
আর তোমার গার্ড দিবে কি করে?
.
যে কথা বলেছি তাতে মনে হয়ে মেয়েটা এতক্ষণে আমার দিকে টিকটিকির মতো তাকিয়ে আছে!
শিকারকে খাবে বলে।
এমন পরিস্থিতি দেখার ইচ্ছা থাকলেও
তাকালাম না,
— বাজে কথা রাখ,
ও এখন থেকে এখানেই থাকবে।
— কেনো?
— আমি বলেছি তাই।
— কিন্তু মা,
— থাক,





( চলবে)

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url