Breaking News

গল্পঃ অভিমান

টুং টুং টুং
পরীক্ষা শেষ । সব ছাত্র ছাএীরা বের হচ্ছে রুম থেকে …
তাদের মধ্যে আবির , শাকিল ও রাহুলও ছিলো । ওরা তিন জনই খুব ভালো বন্ধু ।
উফফ বাচলাম বাবা । এই কয়দিনে পরীক্ষার টেনশনে ভালোভাবে ঘুমাতেও পারিনি । ( আবির )
ঠিক বলেছিস বন্ধু । আবার ক্লাস শুরু হওয়ার আগে এখন কিছুদিন শান্তিতে থাকতে পারবো । ( রাহুল )
শালা …তোর তো সব সময়ই শান্তি । মনিকার সাথে তো জম্পেস ভাবে লাইন মারিস । 
ওই রকম একটা জি এফ থাকতে তোর আবার অশান্তি আছে নাকি । ( শাকিল )
আরে এসব বাজে কথা বাদ দেতো । চল ম্যাচে যেতে হবে । ( আবির )
আরে বন্ধু একটু দাড়াও না । অপ্সরী দের একটু ভালোভাবে দেখে নেই । ( শাকিল )
অপ্সরী মানে । এখানে আবার অপ্সরী কই পাইলি । ( আবির )
আরে বন্ধু দেখতেছিস না । কত সুন্দর সুন্দর মেয়ে । দেখতে একদম অপ্সরীর মতো । ( শাকিল )
তা আজকেই কি সব গুলোকে দেখতে হবে । পরে দেখতে পারবি …( আবির )
আরে বলো কি বন্ধু । এরা তো শীতকালীন পাখির মতো শুধু পরীক্ষার সময় এসে পরীক্ষা দিয়ে চলে যায় । ক্লাসে তো এদের দেখাই যায় না । তাই একটু দুচোখ ভরে দেখে নেই । ( শাকিল )
তুই আর শুধরোবি না ( আবির )

চলতো আবির তুই । এখানে আমাকে দাড়িয়ে থাকতে দেখলে মনিকা আবার রাগ করবে । ( রাহুল )
চুপ শালা , এত ভয় করিস তা দাড়িয়ে আছিস কেন ? যা তুই । নিজে তো একটা জুটিয়েছিস । আমরা একটু চয়েজ করার চেষ্টা করছি আর তাতেও তোর বাঘরা দেওয়া চাই …( শাকিল )
কি বললি তুই । আমরা মানে । ( রাহুল )
কেন আমি আর আবির । ( শাকিল )

হা হা হা …….‌( রাহুল )
ওই হাসিস কেন ..? ( শাকিল )
হাসবো না । আবির করবে প্রেম । যে ঠিক মতো মেয়েদের সাথে কথাই বলে না । 
ওদের দিকে কারন ছারা ফিরেও তাকায় না । আর সে করবে প্রেম । ( রাহুল )
ঠিক বলেছিস …আচ্ছা আবির বলতো তুই এমন কেন ….
কোন মেয়ের সাথে ঠিক মতো কথা বলিস না । 
তোর ফ্রেন্ড বলতে আমরা দুজনই । তুই কথা থেকে এসেছিস আমরা সেটা কেউ জানি না । 
একটু বলবি তুই কেন এমন …? ( শাকিল )
আরে এসব বাদ দেতো চল এখন যেতে হবে ….( আবির )
এই বলে ওরা তিনজন এগিয়ে যেতে লাগলো । 
এমন সময় একটা দামি গাড়ি ওদের সামনে এসে দাড়ায় । 
ওরা সাইড দিয়ে চলে যেতে ধরে । এমন সময় পিছন থেকে একটা ডাক আসে ……
ভাইয়ায়ায়া……..দাড়াও ……..

আবির ডাকটা শুনে পেছনে তাকিয়ে যা দেখলো তা সে কল্পনাও করতে পারে নি । 
ওর ছোট বোন মারিয়া । ও এখানে কেমন করে আসলো ..।.
মারিয়া গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে গিয়ে আবিরকে জরিয়ে ধরে । আর কাদতে থাকে । 
এদিকে শাকিল , রাহুল ও পুরো কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা নিশ্চুপ ভাবে দেখছে ।.
আবির মারিয়া কে বুক থেকে সরিয়ে আরো অবাক হয়ে যায় । 
ওর মা বাবা কে দেখে । 
আবিরের মাথায় একটি প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে ওরা জানলো কিভাবে আমি এখানে আছি ।.
এবার আবিরের মা এসে আবির কে জরিয়ে ধরে কাদতে থাকে ।.
আবির ওর মাকে ছারিয়ে নিয়ে জিঙ্গাসা করলো …...
তোমারা এখানে কেন এসেছো । ….( আবির ).
আমাদের উপর এখনো রাগ করে আছিস তাইনা বাবা । 
বিশ্বাস কর তুই চলে আসার পর আমরা একটা দিনও ভালো ছিলাম । 
তোকে অনেক জায়গায় খুজেছি । কিন্তু পাইনি । ( আবিরের মা ).
আমাকে খোজার কি আছে আমিতো তোমাদের মুক্তি দিয়েই চলে এসেছি । 
তোমাদের তো ভালো থাকার কথা ।.

এভাবে বলিস না বাবা । তুই চলে আসার পর তোর বাবা তার ভুলটা বুঝতে পারেছেন । 
তুই চলে আসার পর জানতে পারি তোর সাথে ওরা চক্রান্ত করেছে । 
সেই অনুতাপে তোর বাবা একটার স্ট্রোক করেছিলো । এখন কিছুটা সুস্থ আাছে । 
তোকে দেখার জন্যা এই অসুস্থ শরীর নিয়েই এসেছেন । ( আ.মা ).
আমিতো ভালই আছি আমাকে দেখতে আসার কি আছে । 
এটা শুনে ভালো লাগলো যে তোমরা দেড়িতে হলেও সত্যিটা জেনেছ । ( আবির ).
সেই জন্যই তো তোকে ফিরিয়ে নিতে এসেছি ।.
আমার পক্ষে আর ফেরা সম্ভব নয় । আমি ফিরতেও চাই না । 
এখানেই আমি ওনেক ভালো আছি । হয়তো ওখানের মতো এতো বিলাসিতা নেই । 
কিন্তু এখানে কোন অবিশ্বাস নেই । ( আবির ).
চল বাবা আমি অনুরোধ করছি ….
না মা আমি……….।

আবির কথাটা শেষ করতে পারলো না । 
তার আগেই যাকে দেখলো তা দেখে সে রাগ করবে নাকি অবাক হবে বুঝতেই পারছে না । 
যার জন্য আজ সে তার মা বাবার কাছ থেকে দুরে সেই মেঘা আজ আবার সামনে দাড়িয়ে ।.
মা এ এখানে কেন ..? ( রাগান্বিত ভাবে ).
ওই তো আমাদের তোর খবর দিলো ।যে তুই এখানে আছিস । ( আ.মা ).
তোমরা কাজটা ঠিক করলে না । বলেই আবির চলে আসতে ধরে । 
সেই সময় মেঘা আবিরের সামনে এসে দাড়ায় ।.
প্লিজ যেও না । একবার আমার কথাটা শোন । ( মেঘা ).
আবিরের ইচ্ছা করছিলো একটা থাপ্পর বসিয়ে দেই । 
কিন্তু কলেজের সবাই এখন ওদের দেখছে । তাই কিছু না বলে পাশ কাটিয়ে চলে আসতে ধরে । 
এমন সময় মেঘা আবিরের পা জড়িয়ে ধরে কাদতে থাকে । 
আবিরের পা মেঘার বাহুডুরে আটকে যায় ।.
প্লিজ আমার কথাটা একবার শোন । আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও প্লিজ । 
তুমি আমাকে যা শাস্তি দেবে আমি তাই মাথা পেতে নেব । 
নাহলে আমি কিছু এখানেই কিছু একটা করে বসবো । ( মেঘা )

আবির কিছু না ভেবে মেঘার হাত থেকে নিজেকে ছারিয়ে নিয়ে আসতে ধরে । 
এমন সময় একটা চিৎকার শুনে পিছনে ফিরে তাকায় । 
দেখে মেঘা ওর হাতের শিরা কেটে ফেলেছে । 
আর সেই ক্ষত স্থান থেকে প্রচুর রক্ত পরছে । 
আবিরের মেঘার এই অবস্থা দেখে খুব কষ্ট হচ্ছে । 
যতোই হোক এখনোতো মেঘাকেই ভালোবাসে ।

আর এদিকে মেঘার রক্ত বন্ধ করার বৃথা চেষ্টা করছে । 
মেঘা ওর শরীর থেকে এভাবে রক্ত বের হতে দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ।.
রাহুল ওদরকে হাসপাতালে নিয়ে যা । আমি একটু পরে আসছি । ( আবির ).
রাহুল ওদেরকে নিয়ে ওই গাড়িতে করে মেঘাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় ।.
আর আবির ম্যাচের দিকে হাটা দেয় । ওর দিকে পুরো কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা তাকিয়ে আছে ।.
আবির ম্যাচে এসে যেই না ঘরে ঢুকবে দেখলো শাকিল বসে আছে ।.
কিরে কিছু বলবি ….( আবির ).
কে তুই …..( শাকিল ).
আমি আবার কে …?.
কুছু লুকানোর চেষ্টা করবি না । বল কে তুই কি তোর আসল পরিচয় । তোর অতীত কি ……?.
শোন তাহলে

চলবে……..

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com