গল্প- নেতার মেয়ে
এই যে মিস ময়দা আপু..কলেজে নতুন নাকি? (সিয়াম)
– ঐ কি বললি বেয়াদপ?
– আহহারে আটার বস্তা তো দেখি কানে শোনে না। (শামিম)
– ঐ দাড়া,,তোদের আজ কপালে খুব খারাপই আছে। চিনিস আমি কে? (মেয়েটি)
– ভাই চল,,কলেজে ভিক্টোরিয়া আইছে মনে হয়। এখানে আর থেকে লাভ নাই। (আমি)
– হা হা হা হা হা (সবাই একসাথে হেসে জায়গা ত্যাগ করলাম)
যখন আসছিলাম তখন একবার ঘুরে আড়চোখে মেয়েটিকে দেখলাম। দেখলাম আমাদের দিকে কমড়ে হাত দিয়ে চোখ বড় করে দাড়িয়ে আছে।
আজ যখন কলেজে বসে বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিচ্ছি। আড্ডা বলতে ভুল র্যাগিং করছি তথনি এই বালিকা আমাদের সামনে দিয়ে যায়। আর শুরু হয় তার উপর আমাদের কথার অত্যাচার।
– ভাই মেয়েটা কিন্তু সেই। (সিয়াম)
– কোন মেয়েটা? (আমি)
– আরে ঐ যে যাকে আটা ময়দা বইলা আসলাম। (সিয়াম)
– হুমম
– কি ভাবছো?
– ভাবছি তোদের ভাবি বানামু।
কথা বলতে বলতে চলে আসি ক্লাসে। ক্লাস শেষে যখন বাইরে আসি। তখনও ঐ মেয়েটার সাথে দেখা হয়।
– হাই ভিক্টোরিয়া (আমি)
– আবার তোরা? (মেয়েটি)
– আচ্ছা ভাবি নাম কি আপনার? (শামিম)
– ঐ কিসের ভাবি হুমম? (মেয়েটি)
– আরে রবি ভাই তোমাকে ভালোবাসে। (সিয়াম)
– দাড়া দেখাচ্ছি তোর ভালোবাসা। আমাকে তো চিনিস না?
– হুমম চিনিতো আটার মধ্যে ময়দা,,নাম মহারানী ভিক্টোরিয়া। (আমি)
– হা হা হা হা হা (আবারো সবাই একসাথে হেসে উঠলাম)
– ঐ আমার নাম মিম। আর যদি তোরা কোনোদিন আমার সামনে আসিস তো তোদের খবর আছে। এবং নামটাও যদি ভাঙেছিস না বোঝাবো তোদের মজা।
হাসতে হাসতে চলে আসলাম একটু দুরে। এসেই ডাকলাম ওকে..
– মিম ?(আমি)
সামনে ঘুরে দাড়াতেই দিলাম এক চোখ টিপ। মিম এবারো কোমরে হাত গুজে চোখ বড় করে দাড়িয়ে রইলো। অবশ্য এইবার সত্যিই দেখতে ভিক্টোরিয়ার মতই লাগছে।
আর আমরা হাসতে হাসতে চলে আসলাম। মেয়েটিকে আগে কোনোদিন দেখিনি কলেজে। হয়ত অনার্সের প্রথম বর্ষে পড়ে। কিন্তু আসলেই সে দেখতে সুন্দর। তবে আরো সুন্দর লাগে ওর রাগী লুকটা।
যদি কোনো সুন্দরী মেয়েকে একবার রাগানো যায়,,তবে সে যদি চোখ গোল করে কোমরে হাত পেচিয়ে আপনার সামনে দাড়ায় তো দেখতে যতটা না ভয়ংকর লাগে তার থেকে বেশি আকর্ষনীয় ও সুন্দর লাগে। যেটা ক্রাশ খাওয়ার জন্য পারফেক্ট। আর আমি ঠিক সেটাতেই পড়ে গেছি।
এখন মনে হচ্ছে কেনো যে ঘুরে তাকে দেখলাম। বাড়িতে এসে কথাগুলো ভাবছিলাম মনে মনে। তাই সিন্ধান্ত নিলাম মিমকে খালি রাগাবো। একসময় প্রপোজ করবো।
(পরেরদিন)
– এই যে ভাবি..(সিয়াম)
– আবার আপনারা? আর কিসের ভাবি হুমম? আমাকে চিনেন না তো তাই এমন করছেন তাই না?
– চিনিনা মানে? আপনি হলেন মহারাণী আর রবি ভাইয়ের বউ। (মাসুম)
– হি হি হি হি..(আমি)
– ঐ হাসেন কেন আপনি হুমম? এখনো সময় আছে আমার কাছে মাফ চেয়ে নেন। না হলে পরে বোঝাবো। (মিম)
– হা হা হা হা..চল সবাই,,আটা সুন্দরী খেপে গেছেরে..(আমি)
সবাই যখন চলে আসছি তখন আবারো ঘরে মিমের দিকে তাকালাম। দেখলাম মেয়েটি আবার কোমরে হাত পেচিয়ে চোখ বড় করে আমার দিকেই তাকিয়ে আছে। আর আমি আবারো ফেসে গেলাম তার মায়াতে। বুঝলাম এ মায়া এত সহজে আর কাটবে না।
– এই যে মিস মহারাণী ভিক্টোরিয়া,, এভাবে কেনো রাগি লুক নিয়ে দাড়িয়ে থাকো? তুমি কি জানোনা এইভাবে তোমাকে দেখলে আমি ছন্নছাড়া হতে থাকি? সঙ্গা হারিয়ে ফেলি আমার সব কাজের।
কথাটি ঘুরে এসে মিমের মুখটা ধরে বললাম। আর তখনি দেখলাম মেয়েটি চোখ পিট পিট করে আমার দিকে কয়েকবার তাকালো। আর আমি আবারো নিয়ে ছন্নছাড়া হতে লাগলাম।
– হুহহ..
ঝটকা মেরে হাত ছাড়িয়ে মেয়েটি হন হন করে চলে গেলো সামনে থেকে। আর আমি হাদারাম হয়ে দাড়িয়ে মাথা চুলকাচ্ছি আর ওর চলে যাওয়া দেখছি।
তখনি মনে হল চিৎকার দিয়ে বলি,,ভালোবেসে ফেলেছি তোকে। কিন্তু সেটা আর বললাম না।
– ঐ ফইন্নি,,ক্লাসে যাবি না? (মাসুম)
– ওহ হা তাইতো..ক্লাস আছে ভুলেই গেছি।
সবাই ক্লাসে চলে আসলাম। কিন্তু ক্লাসে হতচ্ছাড়া মনটাই বসাতে পারলাম না। চিনিনা জানিনা একটা মেয়ের উপর এভাবে ভালোবাসার তীর মেরে দিলাম। বুঝতেই পারলাম না কিভাবে হলো।
বাড়িতে এসে ভাবতে লাগলাম। কে মেয়েটা?/বারবার কেনো বলে “চিনিস আমাকে? চিনলে মজা বুঝবি” কিন্তু কে সে?
যাকগে সে বিষয়। পরে দেখা যাবে। আগে তো মেয়েটাকে পটাই।
(পরেরদিন)
– ও সখিনা গেসস কিনা ভুইল্লা আমারে,,আমি এহন মাইয়া দেখি কলেজেতে আইসে। (সিয়াম)
– ঐ বেয়াদপ,, এসব কি গান গাইতেছিস? আরে দেখ দেখ,রবি রে দেখ,,বেটা এখন মহারাজ হয়ে গেছে।
– ঐ চুপ,,থাম তোরা। (আমি)
দুর থেকে দেখলাম মিম আসছে…একটু পর কাছে আসতেই..
– আটা সুন্দরী?? (আমি)
– ঐ আবার আপনি? আর আমি আটা সুন্দরী তাই না? বোঝাচ্ছি কে আটা সুন্দরী..
আমি অপলক চেয়ে রইলাম মিম চোখ পিট পিট করা চাহনি ও রাগী লুকের উপর। তখনি বুঝলাম আমি মেয়েটার উপর কতটা আসক্ত হতে চলেছি। হারিয়ে যেতে বসেছি আমার চারিপাশের বাস্তবতাকে। কল্পনাতে ডুবে যেতে লাগলাম। তখনি মিমের চিৎকার..
– ঐ হাদারাম..
– হুমম..আর আমি হাদারাম নই,,তুমি বরং পেত্নী একটা।
কথাটা বলেই আবার একসাতে হেসে চলে আসতে লাগলাম। একটু দূরে আসতেই তাকিয়ে দেখলাম আবারো মিম রাগি ভাবে হাত পেচিয়ে কোমরে আমার দিকে চেয়ে আছে। আর আমি পড়ে গেলাম তার প্রেমের গর্তে।
আবার ঘুরে কাছে আসলাম।
– আমি জানি,তুমি আটা সুন্দরী নও,,তবে যদি কোনোদিন আটা ময়দা মাখো,,তবে সেইগুলো সারাজীবন আমাকে কেনার ও সেগুলো মেখে আমার সামনে থাকবে আর আমাকে দেখার দায়িত্ব দিবা কি??
– হুটট
আবারো মেয়েটি চলে গেলো রাগ দেখিয়ে। আর আমি আজো বোকার মত তাকিয়ে রইলাম ওর দিকে। যেনো এ তাকানো মাঝে মিশে আছে কত আবেগ,,কত অনুভুতি।
আজ নিজেই বলে উঠলাম ছন্নছাড়া হয়ে গেছি তোমার প্রেমে।
– মাম্মা তাকিয়ে লাভ নাই চলো ক্লাসে যায়। (সিয়াম)
– আজ আর ক্লাস করবো না রে। (আমি)
– কেনো? (মাসুম)
– ভালো লাগছে না। চল ক্যান্টিনে যায়।
ক্যান্টিনে এসে মিমের কথা ভাবছি। ঠিক তখনি দেখলাম, সাদা গেন্জি পরা কালো মত লোক আমার দিকে তাকিয়ে আছে। বিষয়টা গায়ে মাখলাম না। কারন,, এটা স্বাভাবিক, দেখতে সুন্দর বলে আমি সবাই হয়ত দেখে আমাকে।
– মামা ট্রিট দাও। (সিয়াম)
– কিসের ট্রিট? (আমি)
– তুমি আটার মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়ে গেছো সেটা আর বলতে হবে?.(মাসুম)
– হুরর হারামি,,থাক বাসায় গেলাম।
ওদের থেকে বিদায় নিয়ে যখন রিক্সা খুজছি। তখনই দেখি, ঐ লোকটা আমার অপজিট পাশে দাড়িয়ে আমাকে দেখছে।
রিকশা আসাতে চলে আসলাম বাসায়।
– ঐ কি বললি বেয়াদপ?
– আহহারে আটার বস্তা তো দেখি কানে শোনে না। (শামিম)
– ঐ দাড়া,,তোদের আজ কপালে খুব খারাপই আছে। চিনিস আমি কে? (মেয়েটি)
– ভাই চল,,কলেজে ভিক্টোরিয়া আইছে মনে হয়। এখানে আর থেকে লাভ নাই। (আমি)
– হা হা হা হা হা (সবাই একসাথে হেসে জায়গা ত্যাগ করলাম)
যখন আসছিলাম তখন একবার ঘুরে আড়চোখে মেয়েটিকে দেখলাম। দেখলাম আমাদের দিকে কমড়ে হাত দিয়ে চোখ বড় করে দাড়িয়ে আছে।
আজ যখন কলেজে বসে বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিচ্ছি। আড্ডা বলতে ভুল র্যাগিং করছি তথনি এই বালিকা আমাদের সামনে দিয়ে যায়। আর শুরু হয় তার উপর আমাদের কথার অত্যাচার।
– ভাই মেয়েটা কিন্তু সেই। (সিয়াম)
– কোন মেয়েটা? (আমি)
– আরে ঐ যে যাকে আটা ময়দা বইলা আসলাম। (সিয়াম)
– হুমম
– কি ভাবছো?
– ভাবছি তোদের ভাবি বানামু।
কথা বলতে বলতে চলে আসি ক্লাসে। ক্লাস শেষে যখন বাইরে আসি। তখনও ঐ মেয়েটার সাথে দেখা হয়।
– হাই ভিক্টোরিয়া (আমি)
– আবার তোরা? (মেয়েটি)
– আচ্ছা ভাবি নাম কি আপনার? (শামিম)
– ঐ কিসের ভাবি হুমম? (মেয়েটি)
– আরে রবি ভাই তোমাকে ভালোবাসে। (সিয়াম)
– দাড়া দেখাচ্ছি তোর ভালোবাসা। আমাকে তো চিনিস না?
– হুমম চিনিতো আটার মধ্যে ময়দা,,নাম মহারানী ভিক্টোরিয়া। (আমি)
– হা হা হা হা হা (আবারো সবাই একসাথে হেসে উঠলাম)
– ঐ আমার নাম মিম। আর যদি তোরা কোনোদিন আমার সামনে আসিস তো তোদের খবর আছে। এবং নামটাও যদি ভাঙেছিস না বোঝাবো তোদের মজা।
হাসতে হাসতে চলে আসলাম একটু দুরে। এসেই ডাকলাম ওকে..
– মিম ?(আমি)
সামনে ঘুরে দাড়াতেই দিলাম এক চোখ টিপ। মিম এবারো কোমরে হাত গুজে চোখ বড় করে দাড়িয়ে রইলো। অবশ্য এইবার সত্যিই দেখতে ভিক্টোরিয়ার মতই লাগছে।
আর আমরা হাসতে হাসতে চলে আসলাম। মেয়েটিকে আগে কোনোদিন দেখিনি কলেজে। হয়ত অনার্সের প্রথম বর্ষে পড়ে। কিন্তু আসলেই সে দেখতে সুন্দর। তবে আরো সুন্দর লাগে ওর রাগী লুকটা।
যদি কোনো সুন্দরী মেয়েকে একবার রাগানো যায়,,তবে সে যদি চোখ গোল করে কোমরে হাত পেচিয়ে আপনার সামনে দাড়ায় তো দেখতে যতটা না ভয়ংকর লাগে তার থেকে বেশি আকর্ষনীয় ও সুন্দর লাগে। যেটা ক্রাশ খাওয়ার জন্য পারফেক্ট। আর আমি ঠিক সেটাতেই পড়ে গেছি।
এখন মনে হচ্ছে কেনো যে ঘুরে তাকে দেখলাম। বাড়িতে এসে কথাগুলো ভাবছিলাম মনে মনে। তাই সিন্ধান্ত নিলাম মিমকে খালি রাগাবো। একসময় প্রপোজ করবো।
(পরেরদিন)
– এই যে ভাবি..(সিয়াম)
– আবার আপনারা? আর কিসের ভাবি হুমম? আমাকে চিনেন না তো তাই এমন করছেন তাই না?
– চিনিনা মানে? আপনি হলেন মহারাণী আর রবি ভাইয়ের বউ। (মাসুম)
– হি হি হি হি..(আমি)
– ঐ হাসেন কেন আপনি হুমম? এখনো সময় আছে আমার কাছে মাফ চেয়ে নেন। না হলে পরে বোঝাবো। (মিম)
– হা হা হা হা..চল সবাই,,আটা সুন্দরী খেপে গেছেরে..(আমি)
সবাই যখন চলে আসছি তখন আবারো ঘরে মিমের দিকে তাকালাম। দেখলাম মেয়েটি আবার কোমরে হাত পেচিয়ে চোখ বড় করে আমার দিকেই তাকিয়ে আছে। আর আমি আবারো ফেসে গেলাম তার মায়াতে। বুঝলাম এ মায়া এত সহজে আর কাটবে না।
– এই যে মিস মহারাণী ভিক্টোরিয়া,, এভাবে কেনো রাগি লুক নিয়ে দাড়িয়ে থাকো? তুমি কি জানোনা এইভাবে তোমাকে দেখলে আমি ছন্নছাড়া হতে থাকি? সঙ্গা হারিয়ে ফেলি আমার সব কাজের।
কথাটি ঘুরে এসে মিমের মুখটা ধরে বললাম। আর তখনি দেখলাম মেয়েটি চোখ পিট পিট করে আমার দিকে কয়েকবার তাকালো। আর আমি আবারো নিয়ে ছন্নছাড়া হতে লাগলাম।
– হুহহ..
ঝটকা মেরে হাত ছাড়িয়ে মেয়েটি হন হন করে চলে গেলো সামনে থেকে। আর আমি হাদারাম হয়ে দাড়িয়ে মাথা চুলকাচ্ছি আর ওর চলে যাওয়া দেখছি।
তখনি মনে হল চিৎকার দিয়ে বলি,,ভালোবেসে ফেলেছি তোকে। কিন্তু সেটা আর বললাম না।
– ঐ ফইন্নি,,ক্লাসে যাবি না? (মাসুম)
– ওহ হা তাইতো..ক্লাস আছে ভুলেই গেছি।
সবাই ক্লাসে চলে আসলাম। কিন্তু ক্লাসে হতচ্ছাড়া মনটাই বসাতে পারলাম না। চিনিনা জানিনা একটা মেয়ের উপর এভাবে ভালোবাসার তীর মেরে দিলাম। বুঝতেই পারলাম না কিভাবে হলো।
বাড়িতে এসে ভাবতে লাগলাম। কে মেয়েটা?/বারবার কেনো বলে “চিনিস আমাকে? চিনলে মজা বুঝবি” কিন্তু কে সে?
যাকগে সে বিষয়। পরে দেখা যাবে। আগে তো মেয়েটাকে পটাই।
(পরেরদিন)
– ও সখিনা গেসস কিনা ভুইল্লা আমারে,,আমি এহন মাইয়া দেখি কলেজেতে আইসে। (সিয়াম)
– ঐ বেয়াদপ,, এসব কি গান গাইতেছিস? আরে দেখ দেখ,রবি রে দেখ,,বেটা এখন মহারাজ হয়ে গেছে।
– ঐ চুপ,,থাম তোরা। (আমি)
দুর থেকে দেখলাম মিম আসছে…একটু পর কাছে আসতেই..
– আটা সুন্দরী?? (আমি)
– ঐ আবার আপনি? আর আমি আটা সুন্দরী তাই না? বোঝাচ্ছি কে আটা সুন্দরী..
আমি অপলক চেয়ে রইলাম মিম চোখ পিট পিট করা চাহনি ও রাগী লুকের উপর। তখনি বুঝলাম আমি মেয়েটার উপর কতটা আসক্ত হতে চলেছি। হারিয়ে যেতে বসেছি আমার চারিপাশের বাস্তবতাকে। কল্পনাতে ডুবে যেতে লাগলাম। তখনি মিমের চিৎকার..
– ঐ হাদারাম..
– হুমম..আর আমি হাদারাম নই,,তুমি বরং পেত্নী একটা।
কথাটা বলেই আবার একসাতে হেসে চলে আসতে লাগলাম। একটু দূরে আসতেই তাকিয়ে দেখলাম আবারো মিম রাগি ভাবে হাত পেচিয়ে কোমরে আমার দিকে চেয়ে আছে। আর আমি পড়ে গেলাম তার প্রেমের গর্তে।
আবার ঘুরে কাছে আসলাম।
– আমি জানি,তুমি আটা সুন্দরী নও,,তবে যদি কোনোদিন আটা ময়দা মাখো,,তবে সেইগুলো সারাজীবন আমাকে কেনার ও সেগুলো মেখে আমার সামনে থাকবে আর আমাকে দেখার দায়িত্ব দিবা কি??
– হুটট
আবারো মেয়েটি চলে গেলো রাগ দেখিয়ে। আর আমি আজো বোকার মত তাকিয়ে রইলাম ওর দিকে। যেনো এ তাকানো মাঝে মিশে আছে কত আবেগ,,কত অনুভুতি।
আজ নিজেই বলে উঠলাম ছন্নছাড়া হয়ে গেছি তোমার প্রেমে।
– মাম্মা তাকিয়ে লাভ নাই চলো ক্লাসে যায়। (সিয়াম)
– আজ আর ক্লাস করবো না রে। (আমি)
– কেনো? (মাসুম)
– ভালো লাগছে না। চল ক্যান্টিনে যায়।
ক্যান্টিনে এসে মিমের কথা ভাবছি। ঠিক তখনি দেখলাম, সাদা গেন্জি পরা কালো মত লোক আমার দিকে তাকিয়ে আছে। বিষয়টা গায়ে মাখলাম না। কারন,, এটা স্বাভাবিক, দেখতে সুন্দর বলে আমি সবাই হয়ত দেখে আমাকে।
– মামা ট্রিট দাও। (সিয়াম)
– কিসের ট্রিট? (আমি)
– তুমি আটার মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়ে গেছো সেটা আর বলতে হবে?.(মাসুম)
– হুরর হারামি,,থাক বাসায় গেলাম।
ওদের থেকে বিদায় নিয়ে যখন রিক্সা খুজছি। তখনই দেখি, ঐ লোকটা আমার অপজিট পাশে দাড়িয়ে আমাকে দেখছে।
রিকশা আসাতে চলে আসলাম বাসায়।
চলবে………
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com