Breaking News

আজ ও ভালোবাসি তোমায় অনেক বেশি

আজ আমি যাকে মন প্রান দিয়ে ভালোবাসি সে আজ ঢাকা থেকে বাড়িতে আসবে।কিন্তু আমি যানি না সে আমায় লাভ করে কিনা। রাত ১০ টা আমি শুয়ে আছি হঠাত করে শুনতে পেলাম।

মিম– আসতে পারি রুমের ভিতরে।

আমি– চমকে উঠে বললাম তোমার রুমে আসতে তোমাকে অনুমতি লাগবে কেন।

মিম– না তারপর ও।আমাকে কি বাহিরেই দার করিয়ে রাখবে।

আমি– আরে নানা আসো ভিতরে।

মিম– কেমন আছো তুমি রবি।

আমি– আছি মোটামুটি। তুমি কেমন আছো?

মিম– হ্যা আছি ভালো।

আমি– যাও খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পড়ো কাল কে কথা হবে।

মিম — গুড নাইট।

আমি — গুড নাইট।

আসেন আগে আমি না ঘিমিয়ে পরিচয় টা দিয়ে নেই আমি মোঃ রবিউল ইসলাম রবি। আর যার সাথে এতক্ষণ কথা বললাম সে হচ্ছে আমার চাচাতো বোন মিম।সে এবার নবম শ্রেনিতে পরে।আর আমি SSC exam দিবো।

যাইহোক বন্ধুরা এখন ঘুমিয়ে । কালকে আবার সকাল সকাল উঠতে হবে গুড নাইট।

ভোর ৬ টা কারো একটা নরম হাত আমার মুখের উপর পড়লো। আমি চোখ খুলিয়ে তাখিয়ে হ্যা হয়ে গেলাম। সেটা দেখে মিম বললো।

মিম– ঐ ওভাবে কি দেখ

আমি– তোমাকে।

মিম– আমাকে নতুন দেখতে ছো নাকি যে ওভাবে দেখতে হবে।

আমি– সত্যি তোমাকে আজ অনেক সুন্দর লাগতেছে।

মিম– হইছে এবার উঠো তো আগে।

আমি– উঠতে ছি যাও তুমি।

ওকে পাঠাই দিয়ে আমি ঘুম থেকে উঠে পরলাম। খাওয়া করে ওর সাথে একটু গল্প করে বাহির হলাম।। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে বারিতে এসে শুনি চাচিরা ওদের এক আত্মীয় এর বাড়িতে যাবে

আমি কথাটা শুনে অনেক টা থ হয়ে গেলাম। কেননা ১ বছর পর বাড়িতে আসার পর ও নাকি আত্মীয় এর বাড়িতে যাবে।

আমি মানা করার পর ও তারা চলে গেল। মিম যাওয়ার সময় বলে গেলো আমি যেন সব সময় ফোন খোলা রাখি।

রাত ১০ টা হঠাত আমার ফোন এ একটা ম্যাসেজ আসলো।ম্যাসেজ টা ওপেন করতেই দেখলাম লেখা আছে।

মিম– আমি কালকেই এই দিক দিয়ে ঢাকায় চলে যাবো।

কথাটা শুনে আমার বুক টা ধক করে উঠলো।

আমি– দেখ প্লিজ এমন কথা বলি ও না।

মিম — সত্যি রবি আমি এই দিক দিয়ে ঢাকায় যাবো।

আমি– তুমি যদি আর একবার ও চলে যাওয়ার কথা বলো।তাহলে কিন্তু আমি নিজেই বাসা থেকে বেরিয়ে যাবো।

মিম– কোথায় যাবে।

আমি– জানিনা।

মিম– তুমি আমাকে মানা করার কে।কোন অধিকারে মানা করতেছো।

আমি– কালকে আগে আসো তারপর আমি বলবো।

মিম– ওকে বাই

মিমকে গুড নাইট বলে যত কষ্ট বুকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।

সকাল গড়িয়ে বিকাল হলো।ঠিক বিকাল ৪ টায় চাচির নাম্বার থেকে একটা ফোন আসলো। আমি রিসিভ করেই।

চাচি– রবি

আমি– হ্যা চাচি

চাচি– তুমি সাইকেলটা নিয়ে বাজার পর্যন্ত এগিয়ে আসো তো মুন্না হেটে যেতে পারবে না।

আমি গিয়ে তাদের কে বাজার থেকে রিসিভ করে নিয়ে আসলাম

আসার সময় লক্ষ করলাম মিম আমার দিকে তাকিয়ে হাসতেছে।

পরে বাড়িতে এসে বিকাল গড়িয়ে রাত হলো ঠিক রাত দশ টায় তারিখ টা ছিলো ৬-৮-২০১৭। আমি অনলাইনে আসতেই মিম ইমুতে ম্যাসেজ করলো।( আমরা সব সময় ইমুতে কথা বলতাম)

মিম– বলো কি বলতে চাও তুমি?

আমি– দেখ মিম যখন আমরা ক্লাস সেভেন এ ছিলাম তখন থেকে আমরা কিন্তু ম্যাসেজ এ কথা বলতাম।

মিম– হ্যা।

আমি– আসলে এত দিন তোমার সাথে আমি কথা বলে বুঝতে পারলাম যে তোমাকে ছাড়া আমার এই জীবন চলবে না।

মিম– মানে কি বলতে চাও তুমি।

আমি– আমি তোমাকে ভালোবাসি অনেক অনেক ভালোবাসি।

মিম– দেখ এটা কখনেই সম্ভব না।

আমি– কেন?

মিম– কারন তোমার আমার এই সম্পক আমাদের পরিবার কখনেই মানবে না।

আমি– তারা না মানলে আমরা কখন পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করবো না।

মিম– রবি প্লিজ তুমি বোঝার চেষ্টা করো।

আমি– তুমি যদি আমায় ভালো না বাসো তাহলে কিন্তু আমি এই ব্লেড দিয়ে নিজের হাত টা এক টানে কেটে ফেলবো।

এই কথা বলার সাথে সাথে মিম তার আম্মু রুম থেকে ভাত খাবার কথা বলে আমার রুমে চলে আসলো।( আমার ঘড়ে খাওয়া দাওয়া করা হয়)

মিম– রবি দরজা খোলো।

আমি– কেন

মিম– বলতেছি দরজা খোলো।

আমি– তুমি গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো অনেক রাত হয়েছে।

মিম– তুমি খুলবা না আমি আম্মুকে ডাকবো।

আমি– খুলতেছি।

দরজা খুলেই সে দেখতে পায় আমি ব্লেড হাতে নিয়ে বসে আছি।

মিম– তুমি কি পাগল হয়ে গেছ।

আমি— হ্যা আমি তোমার জন্য পাগল হয়ে গেছি।

মিম– কেন তুমি বোঝ না তোমার কিছু হলে আমি কাকে নিয়ে বাচবো।

আমি — কেন এত কষ্ট দিলে।

মিম– এমনি

আমি– এখন I Love you বলো

মিম– না বলবো না।

আমি– প্লিজ শুধু একবার বলো।

মিম– ওকে I Love You Sona.

আমি — ওকে যাও এখন ঘুমাও।

মিম– ওকে গুড নাইট। ও একটা মুখটা ভেংছি কেটে চলে গেল।

এর ১ দিন পর ৮-৮-২০১৭ ইং তারিখে ঠিক রাত ৯ টায় আমাদের বাড়ির সবাই এক সাথে বসে পাশের বাড়িতে গল্লা করতেছে ওই সময় মিম আমার রুম এ এসে……….. waiting for next part……
.
বন্ধুরা এটা আমার জীবন এর বাস্তব গল্লা বলতেছি কেউ ফান মনে করবেন না।।।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com