Breaking News

গল্পঃ অবহেলা । পর্ব- ০২ । লেখাঃ পাগল লেখক

অনেকটা সময় পার হয়ে গেল । কিন্তু আাবিরের কোন খোজ নেই । কাউকে কিছু বলেও যায় নি । এদিকে মিম চিন্তা করছে কোথায় গেল আবির । এমনিতেই কাল নেশা করেছে । তার উপর আবার কিছু না খেয়েই বের হয়ে গেল । ফোন টাও বন্ধ । কি করবে ভেবে পাচ্ছে না । এদিকে রিসেপশনের লোকেরাও আসতে শুরু করে দিয়েছে । কিছুক্ষন পর মিমের বাসার লোকেরা আসবে তাদের নিয়ে যেতে ।
.
– খুব চিন্তা হচ্ছে আবিরের জন্য তাইনা ।
‌.
– মিমের ঘারে হাত রাখতে রাখতে ভাবি কথাটা বলল….
.
– হুমমম খুব ( মিম )
.
– চিন্তা করো না ও ঠিক ফিরে আসবে । আসলে ওর এই বিয়ে করাতে মত ছিলো না । ওর উপর দিয়ে যে ঝড়টা গেছে তাতে মেয়েদের উপর থেকে ওর ভরসা টাই উঠে গেছে । আর তোমাকেই সেই ভরসা টা ফিরিয়ে আনতে হবে । পারবে না ….?
.
– হুমম ভাবি পারবো । আমাকে পারতেই হবে ।
.
– এইতো ভালো …..এখন ড্রেস পাল্টিয়ে রেডি হয়ে নাও । রিসেপশনের লোকেরা তো আসতে শুরু করলো বলে …..
.
– দুপুর পার হয়ে গেল আবিরের ফেরার কোন নাম নেই । আর মিমের চিন্তা তো বারছেই…..
.
– রিশেপশন শেষের দিকে এমন সময় মিম দেখলো আবির কোথা থেকে যেন এসে ওর রুমে ঢুকতে লাগলো । মিমও আবিরের পিছু পিছু রুমে ঢুকলো ।
.
– কোথায় ছিলা এতক্ষন তুমি …( মিম )
.
– সে কৈফিয়ত কি তোমাকে দিতে হবে নাকি । ( আবির )
.
– মিম কথাটা শুনে অনেকটা অবাক হয় । তবুও নিজেকে সামলে নিয়ে বলে ….
.
– আমি তোমার ওয়াইফ । তুমি কোথায় ছিলা এতটুকু জানার অধিকার আছে আমার । আর বাড়ির সবাই তোমার জন্য কত চিন্তা করছিলো ।
.
– এত চিন্তা করার কি আছে আমি কি ছোট বাচ্ছা নাকি । যে হারিয়ে যাবো । আর শোন তোমাকে বলছি বেশি অধিকার ফলাতে এসো না । আর আমার কাছাকাছি একদম আসার চেষ্টা করবে না । এর ফল ভালো হবে না কিন্তু ।
.
– বলেই আবির ওর শার্ট টা খুলতে লাগলো । কিন্তু শার্ট টা গরমে ভিজে যাওয়ার কারনে শরীরে লেপ্টে আছে । তাই খুলতে পাচ্ছে না ।
.
– মেঘা যেই আবিরের শার্ট টা খুলতে সাহায্য করার জন্যও ওর শরীরে হাত দেয় । তখনি এক ধাক্কায় মিম কে সরিয়ে দেয় আবির । আর মিমের দিকে এগুতে থাকে । মিম খানিকটা ভয় পেয়ে যায় আবিরের এগিয়ে আসাতে । তাই সেও পিছিয়ে যেতে থাকে । কিন্তু একসময় দেয়ালে এসে ঠেকে যায় । আর আবির মিমের দুই হাত চেপে ধরেছে দেয়ালে ।
.
– এই ছারো আবির লাগছে তো আমার ।
.
– লাগুক আরো বেশী করে লাগুক । লাগার জন্যই তো ধরেছি । বেশী অধিকার ফলাতে চাও তুমি তাইনা । মেয়েদের এইসব অভিনয়ে আর আবির ভুলবে না । এখন শুধু এই আবির মেয়েদের কষ্ট দিয়েই যাবে । বুঝেছো তুমি ।
.
– এদিকে মিমের হাতে লাল দাগ পরে গেছে তবুও আবির ছাড়ছে না । ব্যাথায় চোখে পানি এসে গেছে মিমের । আবির সেটা লক্ষ করতে পেরে ছেরে দেয় ।
.
– আর যেন আমার উপর কোন অধিকার ফলাতে না দেখি তোমায় । তাহলে কিন্তু ভালো হবে না …
.
– বলেই আবির ফ্রেস হওয়ার জন্য বাথরুমে ঢুকে পরে । আর মিম নিচে নেমে আসে ।
.
– কি মিম আবির কোথায় গিয়েছিলো ।
.
– আমাকে তো কিছু বললই না ভাবি ।
.
– তোমার চোখ লাল হয়ে গেছে কেন ।
.
– কই ভাবি কিছু না । এই কি যেন পরেছিলো ।
.
– আবিরের ভাবি ভালো ভাবেই বুঝতে পারছে কিছু ঠিক নেই । এখন আর কথা বারিয়ে অযথা কষ্ট বারিয়ে লাভ নেই ।
.
– রিশেপশন প্রায় শেষের পথে । সব লোকেরা চলে যাচ্ছেন ।
.
– আবিরের বাবা আবিরের মা ., ওর ভাই , ভাবি , মারিয়া সবাই একসাথে বসে আছে ।
.
– আবির তারাতারি রেডি হয়ে নাও । মিমদের বাসা থেকে লোক আসবে । ( বাবা )
.
– ওরা আসার সাথে আমার রেডি হওয়ার সম্পর্ক কি ।
.
– সম্পর্ক আাছে আজ তোমাকে মিমদের বাসায় যেতে হবে ।
.
– যেতে হবে কেন ?
.
– এটাই নিয়ম ।
.
– আমি কোন নিয়ম মানি না । এমনিতেই তোমরা আমাকে জোর করে বিয়ে দিয়েছো । তোমরা ভালো ভাবেই যানো এই বিয়েতে আমার কোন মত ছিলো না । তাই কোন নিয়ম মানার ইচ্ছা নেই আমার ।
.
– আমি বলছি তুমি যাবে তো যাবে ।
.
– থাক বাবা ওকে যেতে হবে না । আর এইসব নিয়ম না মানলেই বা কি হবে । ও যখন যেতে চাচ্ছে না তাহলে ওকে জোড় করে নিয়ে যাওয়ার দরকার নেই ।
.
– তুমি কোন চিন্তা করো না মা । আমি যখন বলেছি ও যাবে তো যাবে । আমার কথার কোন নরচর হোন তা আমি চাই না । আমি বাজারে যাচ্ছি একটু কাজে । এসে যেন দেখি সব ঠিকঠাক আছে । নাহলে কিন্তু আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না ।
.
– আবির ভালোভাবেই যানে ওর বাবা এক কথার মানুষ । তাছারা ওনি আবার হার্টের রোগী । তাই আবির ওর বাবা যেন বেশি উত্তেজীত না হয় তাই বাধ্য হয়ে রাজি হয়ে যায় ।
.
– এখন মিম আর আবির মাইক্রো এর পিছনের ছিটে বসে আছে । সামনে ভাবি আর আবিরের ভাই । আবিরের ভাই গাড়ি ড্রাইভিং করছে ।
.
– আবির মুখ ফুলিয়ে বসে আছে । কারো সাথে কোন কথাই বলছে না । আবিরের এভাবে বসে থাকতে দেখে মিমের খুব হাসি পাচ্ছে । আবির কে একটু খেপানোর খুব ইচ্ছা হচ্ছে মিমের।
.
– কি জানু তুমি এইভাবে রাগ করে বসে আাছো কেন বলোতো ।
.
– এই কে তোমার জানু হ্যা । ভালো ভাবে কথা বলো । এখনো ঠিকভাবে কথা বলতে শিখেনি সে কিনা ডাক্টার । কার যানি নকল করে পাশ করে ডাক্টার হয়েছে আল্লাই যানে ।
.
– এই শোন আমাকে যা ইচ্ছা বলো । কিন্তু আমার পেশাকে নিয়ে কিছু বলবে না
– আ হা হা উচিত কথা বলছি তাতেই দোষ ।
.
– কি উচিত কথা হ্যা । আমি কষ্ট করে লেখাপরা করে তার পর ডাক্টার হয়েছি । আর তুমি আমার শিক্ষা নিয়ে কথা বলো ।.
– এদিকে আবিরের ভাই আর ভাবি মনে মনে হাসছে
– তাহলে আমায় জানু বললে কেন ।
.
– এমা আমার স্বামী আমি তো জানু বলে ডাকতেই পারি । একটু আদর করতে পারি না বুঝি ।
– তোমার খুব আদর করতে ইচ্ছ করছে তাই না ।
.
– হুমম ..
.
– তাহলে আসো আমার কোলে বসো । তার পর যত ইচ্ছ আদর করো ।
.
– মিম আবিরের এই কথাটা শুনে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় । আর আবিরের থেকে সরে যেতে থাকে ।
.
– আবির মিমের হাতটা ধরে ফেলে । কি হলো আসো আমাকে আদর করো ।
.
– এই কি হচ্ছে এটা । সামনে ভাইয়া ভাবি বসে আছে ।
.
– আছে তো কি হয়েছে । ভাইয়া আর ভাবি যখন লং ড্রাইভে যায় তখন বুঝি শুধু গাড়ি চালায় । আদর করে না ..?
.
– এইবার আবিরের কথা শুনে আবিরের ভাই ওর ভাবির দিকে তাকায় । দেখে সেও এই কথাটা শুনে বেশ লজ্জা পেয়েছে । কিন্তু কেউ কিছু বলছে না ।
.
– মিমের আবিরের এই কথা গুলো শুনে কেন যেন অসস্তি লাগছে । সে ভাবছে কখন বসায় পৌছায় ।
.
– এদিকে আবির মিমের হাত ধরেই আছে ।
.
– কিছুক্ষনের মধ্য তারা মিমদের বাসায় পৌছে গেল ।
.
– মিম এক ঝটকায় আবিরের হাত থেকে নিজের হাত ছারিয়ে নেয় । নেমে দেখে ওর মা আর ওর বান্ধবী মেঘা দারিয়ে আাছে ।
.
– তারপর আবির আর মিমকে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয় , ।
.
– মিম জামাই কে তোর ঘরে নিয়ে যায় । ফ্রেস হয়ে নিক ।
.
– আর এদিকে আবিরের সব কিছু অসস্তি লাগছে । বার বার ভাবছে কখন যেতে পারে এখান থেকে।
.
– মিম তার ঘরের দিকে এগুচ্ছে । আার তার পিছনে আবির যাচ্ছে ।
.
– মিমের ঘরে ঢুকার সাথে সাথে তো আবির এর হার্ট ফেল হওয়ার মতো কান্ড । মিমের রুমে যা দেখলো সাথে সাথে অজ্ঞান ….
.
– চলবে……

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com