Breaking News

সেই বাড়িটা | Writer: Trisha Afrin | দ্বিতীয় পর্ব

আমরা সবাই ক্লাব থেকে বের হতে যাবো ঠিক তখনই আমাদের সামনে একটা ছোট ছেলে এসে দাড়াই।যার বয়স পাঁচ থেকে ছয় বছর হবে।তারপর সে আমার দিকে এসে আমার মুখের দিকে মায়াময় চোখে তাকিয়ে থাকল।যেন অনেক দিন থেকে ও আমাকে চেনে।সবাই বেশ অবাক হয়ে বাচ্চাটাকে দেখছে।তবে বাচ্চাটার মুখের দিকে তাকিয়ে আমার কেন জানিনা ভয় ভয় করছে।বুঝতে পারলাম না আমি তো বাচ্চাদেরকে অনেক ভালোবাসি তবে একে দেখে কেনো আমার এত ভয় করছে??হঠাৎ অয়ন বাচ্চাটার উদ্দেশ্যে বলে উঠল,,কে তুমি?? এখানে কী করে আসলে??তোমাকে এর আগে দেখেছি বলে তো মনে হয় না।অয়নের কথা শুনে যেন বাচ্চাটার মুখে আগুন জ্বলে উঠল।রাগী চোখে তাকিয়ে পড়ল অয়নের মুখের দিকে।আমি রণির দিকে তাকালাম কিন্তু মনে হলো রণি যেন রণি নয় অন্য কেউ।রণিও বাচ্চাটার মুখের দিকে রাগীভাবে তাকিয়ে আছে।যেন ওর কতদিনের শএুতা ওই বাচ্চার সাথে।বাচ্চাটা এবার নিজেকে সামলে নিয়ে অয়নকে বলল,,
-আমি বাবা-মায়ের সাথে এখানে ঘুরতে এসেছিলাম।কিন্তু এখানে এসে আমি আমার বাবা মাকে হারিয়ে ফেলেছি।আমি এই পথ দিয়েই যাওয়ার সময় তোমাদের ঘুরতে যাওয়ার ব্যাপারটা শুনে ফেলি।আমাকেও তোমরা নিয়ে চলোনা তোমাদের সাথে??(ওর ছোট মুখের ছোট ছোট কথা শুনতে ভালোই লাগছিল)
-কিন্তু আমরা তোমাকে আমাদের সাথে নিয়ে যেতে পারবো না।(ফাহিম)
-কেন নিয়ে যাবে না ?? আমি তো অনেক ছোট এখন আমি কোথাই যাবো??(বাচ্চা)
-তোমাকে কেন যানিনা অনেক চেনা চেনা লাগছে।বিশেষ করে তোমার চোখ দুটো।আর তোমার কথা শুনে তো ছোট বলে মনে হচ্ছেনা।কোনো ছোট বাচ্চারা এই রকম বুদ্ধিমানের কথা বলতে পারে না।আর তুমি তোমার বাবা মাকে না খুজে আমাদের সাথে যাওয়ার কথা বলছো??কে তুমি বলো তো??(অয়ন)
-না আমি তো তোমাদের চিনি না আজই প্রথম তোমাদের দেখলাম।চলোনা আমাকে নিয়ে।(রণি এখনো রাগী মুখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।তবে বচ্চাটার কথা শুনে আমার অনেক মায়া লাগলো)
-আচ্ছা বাচ্চাটা আমাদের সাথে গেলে সমস্যা কী??ঠিক আছে তুমি আমাদের সাথেই যাবে।(আমি)
এবার বাচ্চাটা এসেই আমার হাত ধরল।আর সাথে সাথে আমারও বাচ্চাটার উপরে কোনো জানিনা এক মুহূর্তের জন্য রাগ জেগে উঠল।তারপর বাচ্চাটি বলল,,
-তোমরা আমাকে না নিয়ে যাও দরকার নেই।তৃষা আমাকে নিয়ে যাবে।(বাচ্চা)(ওর মুখ থেকে বড়দের মতো কথা শুনে সবাই অবাক হয়ে গেলো)
-“তৃষা নিয়ে যাবে” মানে?? মনে হচ্ছে তুমি তৃষার বড়।ওই,,আমার মনে হচ্ছে তুমি কোনো ছদ্দবেশী।আর তুমি তৃষার নাম কী করে জানলে বলো??(ইবনাত)
-আমি শুধু এই আপু নয়(এবার আপু বলল)এখানে সবার নামই জানি।আমি তো ওপাশ থেকে সবার নামও শুনেছিলাম।ওই উনার নাম রণি, উনার নাম অয়ন আর আপনার নাম ইবনাত।(বাচ্চা)
-তুমি শুধু চার জনের নাম বললে কেন?? আমার নাম কী বলো তো??(ফারিহা)(বাচ্চাটা আর কারো নাম বলতে পারলনা)
-আচ্ছা,ছোট মানুষ ভুল তো হতেই পারে এত প্রশ্ন করার কী আছে??ঠিক আছে তুমি আমাদের সাথেই যাবে। (আমি)
এবার রণি এসে বাচ্চাটাকে ঠেলে ফেলে দিয়ে আমার হাত ধরে টানতে টানতে বাহিরে নিয়ে এলো।আমাদের পিছু পিছু সবাই বাহিরে চলে এলো।আমি আসার সময় একবার বাচ্চাটার মুখের দিকে তাকালাম।মনে হলো ওর যেন কোনো ব্যাথায় লাগেনি।ওর মুখে আমি যেন পৈশাচিক হাসি দেখতে পেলাম আমি ।
-রণি এমন করলে কেন?? তুমি তো বাচ্চাদের ভালোবাসো।তাহলে ওকে এভাবে ফেলে দিলে কেন??(আমি)
রণির পুরো শরীর যেন ঝাড়া দিয়ে উঠল।ও মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ল।
-রণি কী হলো তোমার?? এমন করছো কেন?? (আমি) রণি নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,,
-বুঝলাম না তৃষা মাথার মধ্যে যেন কেমন করে উঠল।আমি তখন এমন কেন করলাম সেটাও যানিনা।তবে তৃষা এখনও বলব ওই ছেলেটাকে নিয়ে যাওয়া মনে হয় ঠিক হবে না??(রণি)
-রণি ভাইয়া ঠিকই বলছে আমারও প্রথম থেকে এটাই মনে হচ্ছে।(অয়ন)
-তবুও ছেলেটাকে এইভাবে ফেলে দেওয়া আমার উচিত হয়নি।চলো তো দেখি ও কী করছে এখনো তো বাইরে আসল না??(রণি)
আমরা সবাই আবার ক্লাবের ভেতর গেলাম।কিন্তু ওখানে গিয়ে সবাই অবাক হয়ে গেলো।এখানে কোনো মানুষ তো দুরের কথা একটা মশা মাছি পর্যন্ত নেই।সবাই বেশ হতদম্ভ হয়ে গেলো।
-কী হলো তৃষা ছেলেটা কই গেলো?? এখানেই তো ছিল।(রণি)
আমি কিছু না বলে চুপচাপ দাড়িয়ে আছি।
-আমি আগেই বলেছিলাম ওই ছেলেটা সুবিধার নয়।ওকে যেন আমি কোথাও দেখেছি।দেখলি তো তৃষা??(অয়ন)
-আচ্ছা,যা হওয়ার হয়ে গেছে এখন এইসব না ভেবে চল।সবার অনেক কাজই পড়ে আছে।(আমি)
আমরা সবাই ক্লাব থেকে বের হয়ে আসলাম।কিন্তু কেউই খেয়াল করল না যে,,ক্লাবের একটা বেন্সের নিচে উপুড় হয়ে কেউ শুয়ে ছিল।আমাদের বাইরে আসা দেখে সেও বেন্সের নিচ থেকে গড়িয়ে গড়িয়ে বাইরে চলে এলো।যার মুখে ফুঁটে উঠল পৈশাচিক হাসি।যার গলাই ফাস লাগানো ছিল বিশাল রশি দিয়ে ।যার পুরো শরীরটা আগুনে ঝলসানো ছিল ।সারাটা দেহ থেকে মাংস খসে পড়ছিল তার।
…..
সারাটা দিন পেড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে এলো।বাসায় আব্বু আম্মুকে বেশী বোঝাতে হলো না।কারণ আমি আগেই আম্মুকে বলেছিলাম যে কোথাও যাবো।না হয় আর কলেজেই যাবো না।আম্মু আমার জেদ সম্পর্কে জানে।আর আব্বু?? আব্বুকে আমি যা বলব আব্বু সেইটাই করে সবসময়।তাই বাসা থেকে তেমন কোনো চাপ হলো না।যথা সময়ে সবাই আমাদের বাসার সামনে এসে হাজির হলো।কিন্তু গাড়ী drives কে করবে সেটা নিয়ে হলো সমস্যা।পাহাড়ী রাস্তা বলে কেউ রাজী হচ্ছে না।শেষ পর্যন্ত আমি ফাহিমকে বললাম গাড়ী drives করতে।ও অনেক ভালো গাড়ী চালাতে পারে।কেউ আর কিছুই বলল না, সবাই চুপচাপ গাড়ীতে উঠে বসল।আমি উঠতে যাবো ঠিক তখনই মনে হলো গাড়ীর পেছন থেকে সামনে পর্যন্ত একটা কালো ছায়া চলে গেলো।এক সময় আমরা সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা শুরু করলাম।রণি সাইন্ড বক্সেরও ব্যবস্তা করে রেখেছে।রাসেল সাইন্ড বক্স চালু করতে গেলে আমি বললাম, পাহাড়ী এলাকাই যখন তখন ডাকাত পড়ার সম্ভাবনা থাকে।আরো রাতের বেলা রাস্তা ভালোভাবে দেখা যাচ্ছেনা।গানের দিকে মন দিয়ে গাড়ী drives করতে গেলে যখন তখন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।তাই সাউন্ড বক্স না বাজাতে।ওরা মুখেই সাউন্ড বক্সের চেয়ে গান গাইতে পারে।তাই ওরা সবাই মুখেই আড্ডা দেওয়া শুরু করল।
কিন্তু সবাই আড্ডা দিলেও ফাহিমের মুখে কোনো কথা নেই।ও একেবারেই সোজা হয়ে চুপচাপ গাড়ী drives করছে।এভাবে ঘন্টা খানেকের পথ চলে গেলো।আনন্দে কারোর কোনো দিকে খেয়াল নেই।হঠাৎ আমার মনে হলো গাড়ী স্বাভাবিকভাবে চলছে না।আগের তুলনাই গাড়ী অনেক জোড়ে চলছে।সবাই এবার চুপ হয়ে গেলো।সবাই এদিক ওদিক হেলে দুলে পড়ছে।আশেপাশে তাকিয়ে দেখি জায়গাটা অচেনা লাগছে।আমাদের এখানে আসার কথা ছিল না।সবাই এদিক ওদিক ধাক্কা খাচ্ছে কিন্তু ফাহিমের কিছুই হচ্ছেনা।
-তৃষা আমরা কোথাই যাচ্ছি??আমাদের তো এখানে আসার কথা ছিল না।(মীম)
-আমিও তো বুঝতে পারছিনা।আর ফাহিমই বা এইভাবে গাড়ী চালাচ্ছে কেন?? (আমি)
-তৃষা ভালোভাবে জাইগাটা দেখতো কেমন চেনা চেনা লাগছে তাই না??(অয়ন)
আমি আশেপাশে ভালোভাবে তাকিয়ে দেখি হুমম সত্যিই জায়গাটা চেনা চেনা লাগছে।
-হুমম রে মনে হচ্ছে এই জায়গাটা আমি চিনি।অনেক দিন আগে এখানে এসেছিলাম।(আমি)
-আরে তোরা কী পাগল হলি নাকি?? দেখে মনে হচ্ছে এটা ভুতেদের রাজ্য।জীবনে কখনো এই পথ দেখিনি।আদেও সত্যিই এই পথ আছে কিনা সন্দেহ।আর তোরা নাকি এই পথে এসেছিস পাগল হলি নাকি??(ফারিহা)
-না,আমারও মনে হচ্ছে এই পথটা আমার অনেক চেনা।আচ্ছা ফাহিম তুমি এভাবে drives করছো কেন?? আর কোথায় নিয়ে যাচ্ছ গাড়ী?? (রণি)
তবুও ফাহিমের মুখে কোনো কথা নেই চুপ করে আছে ও।কিছুক্ষণ পরেই গাড়ীটা হুট করে থেমে গেলো।আমরা সবাই জোড়ে একটা ধাক্কা খেলাম।মাথা উঁচু করে দেখি গাড়ীর drives সিটে কেউ নেই।তাহলে গাড়ীটা এতক্ষণ কে চালাচ্ছিলো??আর ফাহিমই বা কই গেলো?? আমরা সবাই গাড়ী থেমে গাড়ীর সামনে গেলাম।ফাহিমের কথা ভেবে কেউ আর আশেপাশে খেয়াল করল না।সামনে গিয়েই দেখি ফাহিম drives সিটের পাশের সিটে জ্ঞানহীন অবস্তায় পড়ে আছে।অনেকবার ওকে ডাকলাম তবুও কোনো সাড়াশব্দ পেলাম না।তাই ওর মুখে পানির ঝাপটা দিতেই ও জোড়ে চেচিয়ে বলে উঠল,,
-কে কে এখানে,মেরো না আমাকে?? (ফাহিম)
-ফাহিম কী হলো তোর বল তো?? এখানে কেউ নেই আর এভাবে কী কেউ গাড়ী চালাই?? কোথাই নিয়ে আসলি আমাদের?? আর তোরই বা কী হলো??(আমি)
-তৃষা আমরা এখানে কী করে আসলাম?? আমি তো গাড়ী চালাইনি।(ফাহিম)
-তুমি গাড়ী চালাওনি মানে কী??(রণি)
-আমি সত্যিই বলছি রণি ভাই,,আমি যখন গাড়ীতে বসি তখন দেখি এইপাশের সিটে কেউ একজন বসে আছে মাথা নিচু করে ।আমি মুখ ঝুকিয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি তার কোনো মুখই নেই।কী বিভষ্ম চেহারা তার।আমি চেচিয়ে উঠার আগেই ও আমার মুখ চেপে ধরে ।তারপর আর কিছু মনে নেই আমার ।(ফাহিম)
-আচ্ছা তৃষা এটা ওই বাচ্চা ছেলেটার কাজ নয় তো।এমনও তো হতে পারে ও মানুষ নয়।(যারিন)
ওর কথা শুনে সবার গলা মুখ শুকিয়ে গেলো।আমি নিজেও ভয় পেয়ে গেলাম।তবুও এদেরকে সামলানোর জন্য বললাম,,
-যারিন তোর এই পাগলের মতো বকবক করাটা বাদ দিবি?? এখন এই অন্ধকারে আমরা আর ওই পথ চিনতে পারব না।তাই সকাল হওয়া পর্যন্ত এখানে আমাদের থাকতে হবে।সেই ব্যবস্তা করতে হবে এখন।(আমি)
-কিন্তু তৃষা এই গাড়ীর ভেতরে থাকা সম্ভব নয় এতগুলো মেয়ে নিয়ে।যখন তখন বিপদ হতে পারে।তাই এখানে কোনো বাড়ী আছে কী না দেখতে হবে ।(রণি)
-হুমম, রণি তুমি ঠিক বলেছো।সবাই গাড়ী থেকে বের হয়ে দেখি এখানে কোনো বাড়ী আছে কী না?? (আমি)
.
সবাই বাহিরে বের হতেই একটা বড় ধরণের ধাক্কা খেলো।আমরা যেখানে দাড়িয়ে আছি এখানে শুধু ধুধু মাঠ।আশেপাশে কোনো বাড়ী ঘর কিছুই নেই।চারপাশটা একেবারে নিস্তব্ধ।ঝি ঝি পোকার ডাকে ভরিয়ে তুলছে চারপাশ।দুর থেকে ভেসে আসছে শিয়ালের ডাক।একমিলে জাইগাটাকে ভৌতিক মনে হচ্ছে।
-তৃষা এখানে তো কোনো বাড়ী ঘরের চিহ্ন নেই।কী করবি এখন??(রাসেল)
-কী করব বুঝতে পারছি না।তবে সারাটা রাত তো আর এখানে থাকা যাবেনা।এই দেখ এখন ১১টা বাজে।পুরো রাত এখনো পড়ে আছে।(আমি)
-তৃষা ওই দেখ ওই দুরে থেকে একটা আলোর রশ্মি আসছে।সম্ভাবত ওইটা কোনো বাড়ীই হবে ।(ফারিহা)
আমি তাকিয়ে দেখি সত্যিই আমাদের থেকে বেশ কিছুটা দুরে আলোর রেখা দেখা যাচ্ছে।হুমম,নিশ্চয় ওটা কোনো বাড়ীই হবে।তবে একটু আগে তো ওখানে কোনো বাড়ী ছিল না।এখন কী করে আসল??তবু চুপ করেই রইলাম ।এখন যাই হোক নিরাপদে থাকার জন্য একটা বাড়ী দরকার।আমি সবাইকে বললাম সামনে এগিয়ে যেতে।সামনে এগিয়ে যেতেই রণি বলল,,
-তৃষা ওখানে যাওয়াটা আমাদের উচিত হবে তো??
-দেখো রণি আমরা যেতে বাধ্য।তাই ঠিক ভুল বোঝার সময় নেই।
আমরা সামনে এগিয়ে যেতেই আবার সবাই বোকা বনে গেলাম।এখানে বাড়ী আছে সত্য তবে কোনো আলোর রেখাই নেই।হয়তো বা আমরা আলোটা ভুল দেখেছিলাম।
-তৃষা এখানে তো কোনো আলো নেই।তাহলে অন্ধকারের মধ্যে আমরা আলো দেখেছিলাম কী করে?? (ইবনাত)
বাড়ীটা দেখে আমার কেমন ঘোর ঘোর লাগল।মাথার মধ্যে কোনো আবছা আবছা ছবি ভেসে উঠছে ।বাড়ীর চৌকাঠের সামনে দাড়িয়ে মনে হচ্ছে,এই চৌকাঠ পেড়িয়েই আমি কারো হাত ধরে চলে এসেছিলাম।তবে ক্লীয়ার মনে পড়ছে না।মাথার মধ্যে কেমন ঘুরপাক খাচ্ছে।
-কী রে তৃষা কী ভাবছিস?? চল ভেতরে চল আমার কেনো জানিনা ইন্টারেস্টিং ফিল হচ্ছে।(অয়ন)
-হুমম, তাই চল।(আমি)
অয়ন এই কথা বললেও ভেতরে কেউ যাওয়ার সাহস পাচ্ছেনা।বাধ্য হয়ে আমি বললাম,,ঠিক আছে আমি আগেই যাচ্ছি।আমি ভেতরে পা দিতে যাবো এই সময় রণি বলে উঠল,,
-দাড়াও তৃষা আমি থাকতে তুমি একা যাবে কেন??তোমাকে একা যেতে দিবো না আমি।হাত দাও,,তুমি আর আমি একসাথেই ভেতরে যাবো।রণির কাছে হাত দিয়ে চৌকাঠের ওপারে পা দিতেই বাড়ীটা কেমন ভয়ানক ভাবে কেপে উঠল।তবুও আমি আর রণি কাউকে কিছু বললাম না।আমরা ভেতরে যাওয়ার পর সবাই একে একে ভেতরে ঢুকল।আমাদের কাছে আগে থেকে টর্চ থাকাই কোনো অসুবিধা হলো না।কিন্তু ভাববার বিষয় হলো এই ফাকা জায়গাই এত বড় বাড়ী কিন্তু দরজা লাগানো নেই কেন?? যাই হোক এসব বিষয় কাউকে বলে নতুন করে টেনশনে ফেলানোর দরকার নেই।নিজের মনের কথা মনেই রাখা ভালো।আমরা এদিক ওদিল টর্চের আলোতে ঘুরে দেখতে লাগলাম।মনে হচ্ছে এই বাড়ীর ভেতরে কেউই থাকে না।বাড়ীর প্রতিটা রুমই খোলা।কিন্তু কোনো মানুষের চিহ্ন নেই।এমনকি কোনো ইলেকট্টসিটির ব্যাবস্তাও নেই।তবে বাড়ীটা একেবারেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন।এক ফোটাও ধুলো ময়লা নেই।দেখে মনে হচ্ছে বাড়ীটা প্রতিদিনই কেউ সুন্দর করে পরিষ্কার করে।বাড়িটাকে দেখতে অনেকটা রাজবাড়ীর মতো লাগছে।আমরা এদিক ওদিক দেখছি কিন্তু কাউকেই দেখতে পাচ্ছিনা।
…..
হঠাৎ কারো পায়ের খটখট আওয়াজ পেলাম।দেখি রাজবাড়ীর মতো এই বিশাল বাড়ীর বারান্দার ওইপাশ থেকে চাদরে মুখ ঢাকা কেউ একজন হাতে হারিকেন নিয়ে মাথা নিচু করে আমাদের দিকে এগিয়ে আছে।সবাই ভয় পেয়ে আমার পেছনে গিয়ে দাড়ালো।শুধু রণি আর আমি সামনে দাড়িয়ে আছি।হঠাৎ……………..
চলবে…………

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com