Breaking News

ভালোবাসার উপহার | পার্ট- 3 | লিখা- গোলাম মোস্তফা

যে যার মত মোবাইল নাম্বার বিনিময় করে নিলো।ফারিহা বাড়ি চলে এলো, ফারিহাকে সিরাজ সাহেব ডাক দিলো।
সিরাজ সাহেব হলো ফারিহার বাবা, ফারিহার মা বেঁচে নেই, মা মরা মেয়েটাকে তার বাবা নিজের হাতে মানুষ করেছেন। ফারিহার কষ্ট হতে পারে জেনে তিনি আর দ্বিতিয় বিয়ে করেন নি। মা মরা মেয়ের টার সব আবদার তিনি পুরন করেন।
তার বাবা বল্লো, কিরে মা কোথাই থাকিস তোকে তো দেখতেই পায় না।
বাবা তুমি সব সময় বাড়ি থাকলে তো আমাকে দেখতে পাবে, থাকো তো সব সময় নিজের কাজ নিয়ে ব্যাস্ত।
তা তুই ঠিক বলেছির মা ,তোর সাথে কথা বলার সময় আর পায় কোথাই, তা তোর কলেজ কেমন চলছে সেটা বল,সব কিছু ঠিক ঠাক চলছে তো?
হুম চলছে বাবা, আমি উপরে গেলাম বাবা
আচ্ছা যা।
ফারিহা উপরে যেতেই ওমনি সিহাবের কল, ফারিহা ফোনটা রিসিভ করতেই ওপাস থেকে ভেসে আসলো
কেমন আছো ফারিহা,
জ্বি স্যার বলেন আমি তো ভালো, কিন্তু আমার মনে হচ্ছে তুমি ভালো না?
এই বলো কেনো এমন মনে হচ্ছে তোমার
ফারিহা বল্লো বাড়ি যেতে না যেতেই ওমনি ফোন।
সিহাব বল্লো কেনো দিতে পারি না বুঝি?
আচ্ছা দিতে পারো, এখন রাখি ফ্রেস হবো
আচ্ছা কাল কলেজে দেখা হচ্ছে তাহলে।
ওকে, বাই।
পরদিন সকালে সিহাব আর ফারিহা কলেজে বসে গল্প করছে
আচ্ছা ফারিহা তোমাকে একটা কথা জিঙ্গাসা করবো?
হুম করো।
তুমি দেখতে খুব সুন্দর ,নিশ্চই তোমার বয়ফ্রেন্ড আছে?
আরে না না কি বলছো এ সব, আমার কোনো বয়ফ্রেন্ড নেই।কেনো তোমার বুঝি গাল ফ্রেন্ড আছে?
না আমার কোনো গাল ফ্রেন্ড নেই।হঠাং মামুন নামের একটা ছেলে তাদের দুজনের দিকে এগিয়ে আসলো, মামুন তাদের ক্লাসমেট।
মামুন এসে সরাসরি ফারিহার সাথে গল্প জুড়ে দিলো, সেটা সিহাবের একটুও ভালো লাগলো না ,ফারিহা সেটা খেয়াল করেছে।
সিহাব রাগ করে চলে আসলো বাড়ি ফারিহাকে না বলে ।
এদিকে ফারিহা রাতে বসে ভাবতে লাগলো, সিহাব তখন মামুনের সাথে কথা বলা দেখে ও ভাবে মন খারাপ করলো কেনো, সিহাব কি তাহলে আমাকে মনে মনে ভালোবাসে? যাইহোক সিহাব ছেলে টা দেখতে কিন্তু দারুন, আর আচার ব্যাবহারও সুন্দর।দেখা যাক কি হয়।
পরের দিন কলেজে গিয়ে সিহাব ভাবলো যে করেই হোক ফারিহাকে তার ভালোবাসার কথা বলতে হবে, কিন্তু কি করে ওর তো ভয় করে। আচ্ছা আগে ফারিহাকে আমাদের বাড়ি নিয়ে যেতে হবে। এ ভাবে অনেক দিন কেটে গেলো ওদের দুজনের এক সাথে ঘুরাঘুরি, ওরা দুজন দুজনকে ভালোবাসে কিন্তু কেউ কাউকে বলতে পারে না ।
একদিন সিহাব ফারিহাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে গেলো।কলিং বেল টিপ দিতেই তার মা দরজা খুললো
মা বলে কি রে আজ এতো সকাল সকাল বাড়ি এলি কেনো ,পাশের মেয়েটাকে খেয়াল করে নি সিহাবের মা।
সিহাব তার মাকে বলে, মা এ হচ্ছে আমার বান্ধবি ফারিহা ,আস্তে করে চোখ টিপ দিলো সিহাব তার মাকে ,বুঝতে বাকি রইলো না তার মায়ের যে মেয়েটি কে ।
ফারিহা বল্লো আন্টি কেমন আছেন?
হা মা ভালোআছি তুমি কেমন আছো, ভেতরে এসো।
ভেতরে গিয়ে সিহাবের মা ফারিহার সাথে গল্প জুুড়ে দিলো ।একটু পর সিহাবের বাবা আসলো সেও পরিচিতো হয়ে গল্প জুড়ে দিলো।
সিহাব তার রুমে গিয়ে বসলো, সে জানে যে তার মা তার নামে বলে বলে হিরো বানিয়ে ফেলেছে এত সময়।
সিহাবের মা বাবার সাথে গল্পকরে ফারিহার অনেক ভালো লাগলো,বিশেষ করে সিহাবের মা কে বেশি ভালো লাগলো, কারন ফারিহার তো মা নেই, তাই সিহাবের মায়ের আদরে কেঁদে ফেল্লো ।
সিহাবের মা বল্লো তুমি কাদছো কেনো মা ,কেদো না তোমার মা নেই তাই কি হয়েছে ,তোমার যখন মায়ের কথা মনে পড়বে তখনই তুমি আমার কাছে চলে আসবে ?
ঠিক আছে আন্টি, আজকে তাহলে আসি ,বাড়িতে বাবাকে বলে আসিনি খুব টেনশান করবে ।
আচ্ছা যাও মা ,সিহাব তোমাকে এগিয়ে দিয়ে আসবে ।
এ সিহাব ফারিহাকে একটু পৌঁছে দিয়ে আয় ।
ঠিক আছে মা ,ফারিহা চলো ।
যেতে যেতে ফারিহা সিহাবকে বলছে …….

বাকি টুকু পরবর্তী অংশে

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com