একটি মৃত ছেলের ডায়েরী | ইরফান আহমেদ রাসেল

সুমন চল আজ তোকে একটা ডায়েরীর লেখা পড়ে শুনাব।
-না দোস্ত চল তার চেয়ে ভাল গান শুনি ভলিউম বারাইয়া।
আজ যার ডায়েরী টা পড়বো সে আমার সম্পর্কে বড় ভাই ছিল, সে এখন আর নেই।
-কেন কোথায় সে এখন? বিদেশে থাকে?
আচ্ছা ডায়েরীটা পড়ি পড়লেই বুজবি সে কোথায় আছে।
-ঠিক আছে পড় আগে;
মুরাদ ডায়েরীটা পরতে শুরু করল…………….
কি হল তোমার কথা বলো না কেন?
– ভাল লাগছে না, মাথা ব্যাথা করছে ফোন রাখ।
সারাদিন পরে এই একটু সময় পাইলাম আর এখন বল ফোন রাখব!!
কাল ঈদের ১মদিন ছিল সারাদিন ট্রাই করার পরও কল একটা ঢুকলো না সারাদিন বন্ধ পাইলাম। যখন রাতে ফোনটা ঢুকল তখন বললা বাসায় গেস্ট আছে তোমার মাথাটা ঝিম ঝিম করছে কথা বলবা না ব্যস্ত আছ বলে ফোনটা কেটে দিলে।
– বললাম না এতো কথা শুনতে পারবো না , ভাল লাগছে না আর । রাখলাম….!
বলেই ফোনটা ওপাস থেকে ঠাস করে কেটে দিল মিথিলা।
মিথিলার সাথে আমার প্রেম আজ থেকে এক বছর আগে মিথিলারই এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয়ের পর থেকে। প্রথমে বন্ধুত্ব পরে ভাল বন্ধুত্ব তারপর দুজনের সম্মতিতে একে আপরের সাথে প্রেমের সম্পর্কে লিপ্ত হলাম।। মিথিলা ভাল একটা বিশ্ব বিদ্যালয়ের আনার্স ১ম বর্ষে পড়ছে। আর আমি আনার্স শেষ করেছি দুবছর হল ছাত্র ভাল ছিলাম না তারপরও পড়াশনার প্রতি আমার আগ্রহ তেমন ছিল না। তাই আর পড়াশনার দিকে পা বাড়ালাম না।
এরমধ্যে বাবার আকাল মৃত্যু আর সংসারের দায়িত্ব দুটোই কাধে পরার কারনে ছোট ভাই বোন আর মাকে নিয়ে সংসার চালানা করতে গিয়েই নিজেদের স্টেশনারীর ব্যবসাটায় মনযোগ দিলাম। দোকানে বসছিলাম আর মন দিয়ে ব্যবসা করছিলাম। এলাকার ছোট ভাই আবির আসতো দোকানে প্রায় কিছু নানা কিছু কিনতে ওর সাথে একদিন মিথিলাও আসে, আবির মিথিলার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় যে ওরা ক্লাসমেট তার পর থেকে মিথিলা প্রায় আসতো এটা ওটা কিনতে এভাবেই কয়েক মাস যাবার পর আমার কিভাবে যে ভালবাসার আচলে জরিয়ে গেলাম টেরই পলাম না। প্রথম প্রথম প্রেমটাও চুটিয়ে করছিলাম।
বুজতে পারতাম মিথিলা আমাকে অনেক ভালবাসে, আমিও ওকে সমপরিমান ভালবাসা উজার করে দিতাম সমস্যাটা হল বেশ কিছুদিন ধরে। আমি মাজে মাজে ব্যবসার চাপের জন্য ব্যস্ত থাকলে দিনে অন্তত একবার হলে ওর খবর নিতাম কিন্তু তখন ও প্রচুর পরিমানে আমাকে বকা দিত, সমস্যাটা হল তখনি যখন আমি খেয়াল করলাম যে আমি দিনে একবার কেন ২দিনও যদি ফোন না দেই সেও দিবে না আগে তো সে সময় পেলেই আমাকে ফোন দিয়ে কথা বলার অনুরোদ করত কিন্তু এখন তার সেই আগের যে একটা আকর্ষন ছিল তা ধীরে ধীরে কমতে লাগলো,

বুজতে পারছিলাম না কি হচ্ছে এই সব হঠাৎ করে। আমরা বেশির ভাগ সময় দুপুরে কথা বলতাম ফোনে। আর সপ্তাহ একদিন ঘুরতে বের হতাম। ঘুরার জন্য ওই পিরাপিরি করত।
কিন্তু এখন আর নিজেও ঘুরতে যেতে বা দেখা করতে চায় না। আমি বললেও রাজি হয় না নানান ব্যস্ততার বাহনা দিয়ে এরিয়ে যায়। ইদানিং দুপুরে ফোন দিলে বা রাতে ফোন দিলে নাম্বার বিজি আসে। যদি বলি কে ছিল কার সাথে কথা হচ্ছে?? বেশির ভাগ সময় ওর মামাত ভাই অথবা আবিরের সাথে কথা বলছি কিংবা আমার ভাবি তার বাবার বাড়ি কথা বলছিল আমার মোবাইল দিয়ে। এসব কথা বলে কাটিয়ে দিত?

আমিও ওকে অন্ধের মত ভালবাসতাম তাই ওর কথা গুলোকেই বিশ্বাস করতাম।
আমরা এছাড়াও বৃহস্পতিবার গভির রাত পর্যন্ত কথা বলতাম, এছিল আমাদের প্রেমের রুটিন। এখন বৃহস্পতিবার বার কি আর শুক্রবার কি সব দিনই এক হয় ফোন দিলে হয় নাম্বার বিজি আসবে নয়তো দু তিন মিনিট কথা বলে নানান অজুহাত দিয়ে কেটে দিবে।
বুজতে পারছিলাম না কি করব?

এদিকে ব্যবসায় ও মন দিতে পারছিলাম না কি হল ওর , ও এমন করছে কেন? হঠাৎ বদলে যাওয়ার কারন কি খুজে বের করার অনেক চেষ্টা করছিলাম বা আমারি কি কোনও অন্যায় হল কিনা এসব ভাবতাম আর মনে মনে নিজে নিজে কষ্ট পেতাম এক সময় যে ছিল আমার সকল কষ্ট সারিয়ে তোলার ঔষুধ আজ সেই কেন সকল কষ্টের বিষক্রিয়া হল। বার বার সুধু মনে হতে লাগল আমি কি মিথিলাকে হারিয়ে ফেলছি নাতো?

মনের মধ্যে খুব কষ্ট হতে লাগল নিজেকে সব সময় আহত পাখির মত ভাবতে লাগলাম। কেমন জানি একটা আশান্তি কাজ করতে থাকতো মনের মাঝে। কিছুই ভাল লাগতো না। নিঃশ্বাস ভারি লাগত নিজের কাছে। মাজে মাজে ওর কথা স্বপ্নে ভেবে দম বন্ধ হয়ে যেত লাফিয়ে উঠতাম ঘুমের মধ্যে। এদিকে আমার ব্যবসাটারও বারোটা বেজে গেল ওর চিন্তায় কিছুতেই মন বসতো না ওর ভাবনায় মন পরে থাকতো। সুধু একটা কথায়ই মাথায় আসতো আমি কি তবে ওকে হারিয়ে ফেলব?

এদিকে বাসায় মা জিজ্ঞেস করতো ” কি হল রাসেল তোর মন খারাপ কেন? কি এতো ভাবিস সারক্ষন? শরীরটাও কেমন ভেঙ্গে যাচ্ছে খাওয়া দাওয়াটাও কমিয়ে দিয়েছিস সারা রাত দেখি ঘুমাস না রুমের মধ্যে একা একা হাটিস?”
কিছুই বলতে পারতাম না মাঝে মঝে বলতাম “ব্যবসায় লস হচ্ছে তাই মন ভাল না মা।”
আজ বৃহস্পতিবার ভাবলাম আজ রাতে ওকে কল করব।
তিন দিন হল ঈদ গেল। ঈদের দিন দেখা দূরের কথা দশ মিনিট ফোনেও কথা হয় নাই।
রাত যখন ১২াটা হাতে ফোন নিয়ে বসে আছি এবার ভাবছি ফোন দিব আরেক বার ভাবছি ফোন দিব না। মনের সাথে যুদ্ধ করে আর পারলাম না! ফোনটা দিয়েই দিলাম, ফোনটা ঢুকার সাতে সাথে দেখলাম ওয়েটিং!! কি ব্যপার এতো রাতে মিথিলার ফোন ওয়েটিং কেন?
বুকটা দুক দুক করে উঠলো। ভিতরটা মনে হল কে যেন আমার আতুরি দিয়ে পিটিয়ে আমার বুকের সব কটা পাঁজর ভেঙ্গে দিচ্ছে যন্ত্রনা আর সহ্য হল না। ফোন ধরছে না মিথিলা। একের পর এক কল করেই যাচ্ছি কিন্তু সে কল রিসিভ করছে না।
প্রায় ২৭ টা কল করারর পর ফোনটা রিসিভ করল এই কি হয়েছে তোমার এতো কল দিচ্ছ কেন? মিথিলার প্রথম কথাটা এটাই ছিল।
এই তুমি এত রাতে কার সাথে কথা বলছিলে এতক্ষন?
-কেন সমস্যা কি? একজনের সাথে খুব জরুরি একটা বিষয় নিয়ে আলাপ করছিলাম।
কে সে?
– আমার এক ভার্সিটির বন্ধুর সাথে।
তুমি এত রাতে তোমার এক বন্ধুর সাথে কথা বলছিলা মনে টা কি? আগে তো কখনও এমনটা দেখি নাই হঠাৎ কি এমন তোমার বন্ধু হল যার সাথে এতো রাতে গল্প করছ মানেটা কি। কে সে আর কি এত কথা তার সাথে কত দিন হল এভাবে কথা বল?
-ওর নাম রাতুল আমরা একই ইউনিভার্সিটিতে পড়ি। আমার একটা ভাল ফ্রেন্ড এর আগেও ওকে চিনতাম, কিন্তু দু মাস হল ওর সাথে ভাল একটা ফ্রেন্ডশীপ হয়েছে এছাড়া কিছু না। তোমার এই ব্যপারটা নিয়ে ঘাবড়ানোর কোনও কাররন নেই
পরের দিন মনকে বুজালাম এমন হতেই পারে। ফ্রেন্ডই তো কথা বললে সমস্যা কি!!
যাক সবকিছু মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছিলাম ও-তো ভালবাসে আমাকে, তাই বলে কি আর ওর স্বাধীনতা হস্তক্ষেপ করতে পারি না।
কিছুু দিন এভাবে ভাল ভাবে চলছিল , দেখলাম সব ঠিক আছে এর মধ্যে দু দিন ঘুরতেও গেলাম।
দেখলাম না ও ঠিকই আছে আমার জন্য ওর ভালবাসা একটুও কমেনি আগের মতই আছে, নিজেকে নিজেই তিরস্কার করলাম আমি সুধু সুধু ওকে ভুল বুঝেছি।
যেদিন পার্কে বসে আমরা একে অপরের সাথে কথা বলছিলাম তখন হঠাৎ ওর হাত দুটো ধরে বলেছিলাম দেখ আমি তোমাকে অনেক বড় ভুল বুঝেছিলাম আমাকে ক্ষমা কর, তুমি আমাকে ক্ষমা না করলে আমি শান্তি পাব না।
সেদিন ও আমাকে ওর বুকে জরিয়ে ধরে বলেছিল। ভালবাসায় একটু ভুল বোঝা বুঝি হয়, এতে মাফ চাওয়ার কিছু নেই।
তুমি যে আমাকে এতোটা ভালবাস এতেই আমি গর্ব বোধ করি। আর আমি কোথাও যাব না। আমাকে নিয়ে অযথা এতো টেনশেন এর কিছু নেই। আমি তোমারি আছি রাসেল তোমারি থাকব।
চলে গেল আরও একটা মাস কিন্তু এই রতুলটার সাথে মিথিলার এতো ঘন ঘন আলাপ আর বন্ধ হল না এখন ফোন দিলেই ওয়েটিং পেলেই বলে রাতুলেলের সাথে কথা বলছিলাম। মাঝে মাঝে তো আমার কলটা ওয়েটিং এ রেখে দেয় কথাও বলে না। আমি কল করেই যাই রিসিভ করে না। যদি বলি একদিন আমাকেও ওর সাথে পরিচয় করিয়ে দাও ও সেটাও করবে না, তাতে রাজিই হয় না । এরকম আবারও যখন হতাশায় পরলাম ওকে নিয়ে এককদিন তুমুল ঝগড়া বাধিয়ে দিলাম। ঝগড়া এক প্রযায়ে ও বলেই বসল…..।
-দেখো রাসেল তুমি আর আমাকে কখনোও ফোন দিবা না খেল এখানেই খতম!!
মানেটা কি মিথিলা? এসব কি বলছ তুমি? খেল খতম
মানে?
-যা বলছি ঠিকই বলছি, তুমি আর কখনোও আমাকে ফোন দিবা না। আর যদি দাও তবে ভাল হবে না।
ফোনটা কেটে দিল দারিয়ে দারিয়ে ভাবছিলাম কি বলে এই মেয়ে! এই মেয়ে কি সেই মেয়ে যে আমার একটু মুখের শব্দ হ্যালো শুনতে সারা দিন আপেক্ষা করত?
সারা রাত যে মেয়ে আমার ঘুম পেলেও জেগে থাকতো আমার সাথে গল্প কররবে বলে বায়না ধরতো সে আজ কেন কথায় কথায় সম্পর্ক ছিন্ন কররা কথা বলে।
কিছুদিন পর আবিরের সাথে দেখা।
এই আবির কেমন আছ?
-জি রাসেল ভাই ভাল। আপনি কেমন আছেন?
ভাল না রে ভাইয়া।
-কেন ভাই কি হয়েছে?
তোর বান্ধুবীতো খুবই জ্বালাতন করছে।
-কেন কারন টা কি ।
আরে ইদানিং কি একটা ফ্রেন্ড বানাইছে নাম যেন কি বলল।
রাতুল এই ছেলেটার সাথে সুধু ফোনে কথা বলে, আর আমাকে এখন আর সময়ই দেয় না মিথিলা।
-রাসেল ভাই আপনাকে একটা কথা বলার আছে, তার আগে আপনাকে কথা দিতে হবে আপনি জিনিসটা একটু সহজ ভাবে নিবেন।
কি আবির কি কথা বলতো!!
-আসলে রাসেল ভাই আমি কিভাবে যে বলব জানি না আসলে রাতুল মিথিলার বয় ফ্রেন্ড।
কথাটা শুনার পর যেন আকাশটা মাথায় ভেঙ্গে পরল!!
কি… কি…… কিহ্?
তাহলে আমার সাথে যেটা সেটা কি?
-রাসেল ভাই শান্ত হন, আজ না জানলে কাল তো জানতেই হত। দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে আপনাকে ও কখনোও ভালবাসে-নি যা ছিল সব অভিনয়। ও তাই না ঠিক আছে আবির, আর কিছু বলার আছে তোমার? -নাহ্ রাসেল ভাই। তবে আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাইছি আমি ব্যপারটা আগে থেকেই জানতাম তবে বলতে পারিনি মিথিলা বলতে নিষেধ করেছিল, ও বলেছিল এমনিতেই সব ঠিক হয়ে যাবে। আসলে প্রথম থেকে এটা প্রেম ছিল না, ছিল একটা বাজি!! আবির তুমি এখন যাও আমাকে একটু একা থাকতে দাও….!
আবিরের কথা শুনার পর যেন চোখ দুইটা দিয়া পানি চলে আসল। শব্দ ছাড়া একটা পানির স্রোত বয়ে চলছে কি করব কিছুই বুজতে পারছি না। কেন যেন আজ চিৎকার দিয়ে অনেক কাঁদতে মন চাইছে,

যাকে নিয়ে এতো স্বপ্ন দেখে ছিলাম সব মিথ্যা ভাবতে পৃথিবীটা অন্ধকার মনে হচ্ছে।
নিজেকে অনেক বড় বোকা মনে হচ্ছে একজন দিনের পর দিন মিথ্যে স্বপ্ন দেখাল আর আমি বুজতেই পারলাম না। আজ চিৎকার করে বলতে মন চাইছে……মিথিলা তুমি কেন এটা করলে আমি তোমাকে ভালবাসতাম আর তুমি আমার সাথে প্রতারণা করলে…. কিন্তু কেন। ফোনটা হাতে নিয়ে কল করলাম মিথিলাকে,
-হ্যালো
আচ্ছা আবির আজ আমাকে কিছু একটা বলেছে তা কি সত্যিই?
-কি বলেছে তোমাকে আবির?
তুমি নাকি আমার সাথে যে সম্পর্কটা রেখেছো সেটা নাকি
মিথ্যে সম্পর্ক??
ওপাস থেকে কোনও শব্দ আর আসলো না কয়েক বার হ্যালো হ্যালো করার পর ফোনটা কেটে দিল।
আমি যতই ফোন কররছি ও ততোই কেটে দিচ্ছে অনেক বার ফোন করার পর একবার রিসিভ করলো বলল….
-এই কি সমস্যা তোমার?
আমি আমামার উওরটা চাচ্ছি হ্যা অথবা না!!
-ফোনটা কেটে দিলাম তাতেও বুজলে না যে উওর টা হ্যা!! আমার মুখ থেকেই তো শুনতে চাচ্ছ ঠিক বলছি, পুরটাই আমার অভিনয় ছিল।
কিন্তু আমার সাথেই কেন করলে এমনটা আমি কাদতে কাদতে বললাম।
-এই তোমার কি আছে যে তুমি আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখ?
আছে কেবল একটা স্টেশনারীর দোকান, আরে এতোদিন
যে আমি তোমার মত ফকিরের সাথে প্রেমের অভিনয় করছি এটাই তোমার সাত কপালের ভাগ্য। তুমি কি জান আমার বয় ফ্রেন্ড রাতুল কার ছেলে ওর বাবা একজন এম.পি, তোমার মত লোকের কোনও ধারনা আছে ওরা কত টাকার মালিক??? শুনো আমি একা একা থাকতাম তাই ভাবেছিলাম একটা গেম খেলি এটা সিম্পল একটা ম্যাটার। ফোনট কেটে দিল, দু দিন পাগলের মত খুজলাম ওকে। ও আর আমার সাথে দেখা করতে চায় না। খুব কষ্ট হত কেন যেন মনের ভিতর, তাই নেশা করা শুরু করলাম। নেশার ঘোরে থাকলে আর কউকে মনে পরতো না। এখন আর ডাইয়েরি তেও কিুছু লিখিতে মন চায় না প্রচুর নেশা করার কারনে লিখা বেঁকে যায় ঘুম ঘুম লাগে। আর লিখতে পারছি না হাতের লিখা গুলো একে বেকে যাচ্ছে ভাল থেকো মিথিলা। তুমি আমাকে ভালবাস আর নাই বাস আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি আর বাসব সারা জিবন।

মুরাদ এতোক্ষন রাসেল এর ডায়েরী টা পড়ছিল আর পাসে বসে সুমন সব শুনছিল।
সুমন বলল ‘কিরে শেষ’?
হুমম্ শেষ আর নাই তো!!
-আচ্ছা মামা এখন কই থাকে তোর এই রাসেল ভাই?
মুরাদ মাথাটা নিচু করে বলল সে আর এখন নেই এই দুনিয়াতে।
-মানে! কি বলছিস!!
তাহলে শোন রাসেল ভাই মিথিলার ব্যপারটা নিয়ে এতোটাই ভেঙ্গে পরেছিল যে সে অনেক রাত পর্যন্ত নেশা করে বাসায় ফিরত। একদিন এভাবেই নেশা করে বাসায় ফিরছিল, প্রচুর নেশা করার কারনে হাটতে পারছিল না চোখে জাপসা দেখছিল বোধহয় সেদিন গভীর রাতে রাস্তা পার হতে গিয়ে ট্রাকের নিচে চাপা পরে মারা যায় উনি।
মুরাদ কথা গুলো শেষ করে তাকিয়ে দেখে সুমনের চোখের কোনায় একটু খানি জল। দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে থাকে ভাষাহীন কোনও জড় বস্তুর মত।

…..সমাপ্ত….

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url