Breaking News

গল্পঃ প্রতীক্ষা | লেখকঃসাব্বির

আমি প্রত্যয়।নিরব, সজিব,রিফাত,নিশাত,ফারাবি আমাদের একটা গ্রুপ।গ্রুপটা বেশ বড় না, ৫-৬ জনের।সারাদিন আড্ডা আর ঘোরাঘোরিতেই কাটে, এস এস সির পর সময়টাতে আমাদের বন্ধুত্বটা শুরু হয়।আমি আবার একটু সহজ টাইপের, সব সময় তাদের দিস্টুমিতে সাড়া দিতে পারিনা।I mean তাদের সাথে নিজেকে মানাতে পারিনা। তারা কয়েকটা প্রেম ও করে, বাট আমার একটা রোগ আছেঃ ভাল্লাগেনা ওইসব।কলেজের টাইমটা আমাদের নদীর পাড়েই কাটে। সকাল সকাল একসাথে যাই সেখানে কিছুক্ষন মজা করি আবার এলাকার দিকে চলে আসি।কলেজের শিক্ষকরা আমাদের ভালো করেই চিনেন। কারন ক্লাসের লাস্ট বেঞ্চটা আমাদের জন্যেই বরাদ্দ থাকে। যেদিন আমরা আসি,সেদিন লাস্ট ২ বেঞ্চ পুরা থাকে আর যেদিন না আসি, সেদিন বেঞ্চ খালি।যেদিন আমরা কলেজে যাইনা সেদিন স্যার অবশ্য বুঝতে পারে। উপায় খুব সহজ,,,,,,,,, লাস্ট বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে।তোহ কিছুদিন আগে আমরা প্লান করলাম, আমরা ঘুরতে যাব। আর আমাদের ঘুরার যায়গাটা হবে কুয়াকাটা। টাকাটা মেনেজ করতে খুব কস্ট হয়নি। কারন, টাকাটা পেয়েছিলাম এক বড় ভাইয়ের কাছ থেকে। যাক যথা সময়ে আমরা কুয়াকাটা পৌছালাম। গিয়ে তারা যখন রেস্ট নিচ্ছিলো, আমি তখন গভির ঘুমে আচ্ছন্ন।কিছুক্ষন পর………..
ফারাবিঃ কিরে মামা উঠ।
আমিঃ কি হইছে চিল্লাস ক্যান??
ফারাবিঃ সবাই রেডি বিচে নামবে বলে, আর তুমি খুব সুন্দর ভাবে নাক ডাকতেছো।
তোহ সবাই বিচে নামবে আমি এক জায়গায় বসে পড়লাম।ভাল লাগছিলোনা, আমার সাথে সজিব ও ছিলো।বেচারার নাকি আমাকে ছাড়া ভালো লাগছেনা।হঠাত আমি আমার ডানদিকে তাকালাম,
আমিঃ মামা সমুদ্রতো উত্তাল, ১০ নাম্বার মহা বিপদ সংকেত।
সজিবঃকই কি হইছে সমুদ্রতো স্বাভাবিকি আছে।
আমিঃ আরে মাম্মা আমার হার্টে।
সজিবঃকই দেখি?
আমিঃ মেয়েটাকে দেখ, আমার কিন্তু খুব ভাল্লাগছে।তুই বিচে নাম আমি আসছি।
সজিবকে রেখে আমি মেয়েটার কাছে গেলাম।
আমিঃ হাই, বসতে পারি??
বালিকাঃ হাম সিউর।
আমিঃ আমি প্রত্যয়।
বালিকাঃআমি সাবিহা।
আমিঃ ফেমিলির সাথে আসছেন??
সাবিহাঃ হাম।আপনি?
আমিঃএইতো ফ্রেন্ডদের সাথে।
সাবিহাঃওহ, ওরা কোথায়?
আমিঃসমুদ্র বিলাশ করছে।
সাবিহাঃ আপনি গেলেননা?
আমিঃআমার ওইসব ভাল্লাগেনা
সাবিহাঃআমারো। আসতামনা, বাসায় একা তাই চলে আসলাম
এরপর কিচুক্ষন কথা হলো।তারপর চলে আসলাম,। এরপর বন্ধুরা যেতো সমুদ্র বিলাস করতে, আর আমি যেতাম প্রকৃতি বিলাস করতে তাও রমণির সাথে বসে।সাবিহার সাথে আমার বন্ধুত্বটা গাঢ়হ হতে লাগলো।এক কথায় আমরা ভালো ফ্রেন্ড হয়ে গেলাম।সে তার সকল কথা আমার সাথে শেয়ার করতো।আমাদের বন্ধুত্বটা ভালোবাসায় রুপ নেয়, সেটা আমার দিক থেকে।যানিনা সে আমাকে কি ভাবে।বাট আমি ওর প্রতি দূর্বল হতে লাগলাম। আমাদের ট্যুরটা ছিলো ১০ দিনের। যার মধ্যে ৮ দিন কেটে গেল। কি করবো বুঝতে পারছিলামনা, তাই ভাবলাম সাবিহাকে প্রপোজ করবো।পরদিন সাবিহার সাথে দেখা করতে যাওয়ার সময় শুধু একটা গোলাপ নিয়ে গেলাম।যথাসময়ে সাবিহার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে গোলাপটা তার সামনে ধরে বললাম,
সাবিহা,
আমি তোমাকে ১৩২ ঘন্টা,৭৯২০ মিনিট আগে থেকে ভালোবাসি,বিশ্বাস করো তোমাকে যখন প্রথম দেখি তখন আমার বুকের বাম পাশে চিন করে একটা ব্যথা করে উঠে, সারারাত ঘুমাতে পারিনা, তোমায় নিয়ে সারারাত ভাবতে ভাবতে ভোর হয়ে যায়।প্রত্যক্টা মিনিট তোমার সাথে কাটাতে ইচ্ছে হয়।তোমাকে ছাড়া অন্যকিছু ভাবতেই পারিনা।দেবে কি আমায় এই রোগ থেকে মুক্তি??
সাবিহাঃ শর্ত আছে।
আমিঃ কি?
সাবিহাঃ ছেড়ে যেতে পারবেনা।
আমিঃ ভুলেও না।
সেদিন সারাটা দিন আমার খুব ভালো কাটলো। পরদিন, আচ্ছা সাবিহা আমাদের বিয়ে কবে হবে???
সাবিহাঃ তুমি বিয়ে পর্যন্ত ভেবে ফেলেছ।
আমিঃ ভাববোনাতো কি করবো।দেখা যাবে তোমার বাবা আরব আমিরাত থেকে
একটা ছেলে ধইরা আইনা বলবে যে তোমার সাথে বিয়ে দিবে, আর তুমিও দেখা যাবে উটের উপর বইসা আঙুর খেজুর খাইতে খাইতে মরুভূমি পারি দিবা। আর আমারে হইতে হবে দেবদাস।
সাবিহাঃ তা হবেনা, তা হবেনা।
চলে আসার দিন আমি যখন মন খারাপ করে চলে আসছিলাম তখন সাবিহা হাসছিলো।রওনার পরদিন মন খারাপ বাসায় বসেছিলাম। হঠাত রিফাতের কল…………. রিপাতঃ মামা একটু ক্যাম্পাসে আয়তো।
আমিঃ নারে মামা আমার মন ভালো নেই।
রিপাতঃ যেইটা বলছি অইটা কর।
অগত্যা যেতেই হলো।হঠাত আমি ভূত দেখার মতো চমকে উঠলাম। কারন ওদের পাশে সাবিহাও বসে আছে।
সাবিহাঃ কি চমকে গেলে??? আমাদের বাসা এই শইরেই। তোমার বন্ধু সজিবের সাথে সেখানে থাকাকালিন কথা হয়েছে, যানতে পারলাম তোমার বাসা যেখানে? আমার বাসাও সেখানে। আজ দেখা করতে চলে আসলাম,তার পর সাবিহার হাতটা ধরলাম। আর মনে পড়ল সেই কথাটি ” আমি পাইলাম, তাহাকেই পাইলাম”
ভুল_ত্রুটি মার্জনীয়।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com