গল্প ফিরে পাওয়া | লেখা মোঃ রফিক

_ এই রাফি,
,রাফি বাবা উঠনা।
_ হুম মা উঠছি।
_ না এখন এ উঠ সময় হয়ে যাচ্ছে তর স্কুলের।
_ হুম,,, তারপর উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।
_ আম্মু তাড়াতাড়ি নাস্তা নিয়া আস।
_ হুম একটু অপেক্ষা কর আসছি।
_ আম্মু নাস্তা নিয়ে আসতে আসতে আপনাদের সাথে পরিচিত হয়ে নেই।
_ আমি রাফি গ্রামে একটা স্কুলে চাকরী করি।
_ বাবা মায়ের এক মাত্র সন্তান আমি,বাবা অনেক আগেই চলে গেছেন আমাদের ছেরে সেই থেকে আমার আম্মু। এ আমার সব,, ও আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে নাস্তা চলে এসেছে।
_আম্মু তাড়াতাড়ি দাও আমার আবার সময় বয়ে যাচ্ছে।
_ বাবা এই ভাবে আর কত দিন থাকবি একা একা আমার ও তো বয়স হয়েছে কত দিন দরে বলছি একটা বিয়ে কর কিন্ত করছোস না।
_ আম্মু বললাম তো তোমার আর কাজ করতে হবে না একটা কাজের মেয়ে রেখে দাও।
_ আমি কি কাজের কথা বলছি নাকি আমার কি ইচ্ছা করে না নাতি নাতনীর সাথে খেলা ধুলা করতে।
_ আম্মু এই কথা পরে হবে এখন আমার স্কুলের সময় হয়ে গেছে।
_ হুম যখন আমি বলি তখন এ তো একটা বাহানা করে বের হয়ে যাও।
,,
_ আমি আর কিছু বললাম না।
_ স্কুলের পথে হাটছি আর ভাবছি বিয়ের কথা।
_এক সময় এই বিয়ে নিয়ে কত স্বপ্ন ছিল,, ছিল কত আবেগ এখন আর সেই দিন গুলো নাই,,ও আপনাদের কে তো সেই দিন গুলোর কথা বলা হয় নি।
_ আমি একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আমি ছাত্র হিসেবে খুব ভাল ছিলাম আর সাথে ছিলাম অনেকটা চুপচাপ স্বভাবের ছেলে আমি সব সময় প্রকৃতি পছন্দ করতাম।
_ গ্রামে দিয়েছিলাম , ssc, পরিক্ষা গোল্ডেন A+ পাওয়াতে সহরের একটা ভাল কলেজে সুযোগ পেয়ে যাই,, কিন্ত টাকার অভাব ছিল অনেক কস্টে আম্মু আমাদের জমি বিক্রি করে টাকা দিয়ে আমাকে ঢাকা নামক সহরে পাঠান।
,,
HSC ও ভাল রেজাল্ট হয়ে ছিল তাই সুযোগ পেলাম ঢাকা ভার্সিটিতে সে খানে নবীন বড়ন অনুষ্ঠেনের সময় চোখ আটকে গিয়ে ছিল একটা মেয়ের দিকে মেয়েটা দেখতে ছিল এক বারে অপ্সরীর মত কি সুন্দর বর্ননা করা যাবে না,,।
_ মেয়েটার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি আর ভাবছি সৃস্টি কর্তা নিজ হাতে বানিয়েছে তাকে নয়ত এত সুন্দর কি মানুশ হয়।
_ অনুষ্ঠান শেষে ফিরে আসি মেসে কিন্ত মনটা আনতে পারিনি মনটা রয়ে গেছে ওই মেয়ের কাছে রাতে এক ফুটা ও ঘুমাতে পারি নি সুধু যে দিকে ফিরি ওই মেয়েকে দেখতে পাই।
_ আমার মাথায় চিন্তা ছিল কখন সকাল হবে আর ওই মেয়েটির সম্পর্কে জানবো।
_ তার পর রাত কখন শেষ হল বুঝতে পারিনি সকালে আজকে একটু তাড়াতাড়ি করে কলেজে চলে আসলাম।
_ প্রায় এক ঘন্টা দরে দারিয়ে আছে কিন্ত লালনার কোন পাত্তাই মিলছেনা।
_ ঠিক এক ঘন্টা পর দেখলাম গেট দিয়ে গত দিন দেখে ক্রাশ খাওয়া মেয়েটার আগমন মনে যেন এক প্রশান্তির বাতাস বয়ে গেল।
_ এই ভাবে প্রায় আমি মেয়েটাকে দেখতাম আর ভাবতাম ইস মেয়েটার সাথে যদি কথা বলতে পারতাম, আমি অনেকটা ভিতু টাইপের ছিলাম তাই আমি আর কিছু বলতে পারতাম না আর ক্যাম্পাসে আমার কোন বন্দু ও ছিল কখনো বই বা কখনো গিটার আমি আবার টুকটাক গিটার বাঝাতে পারতাম এ গুলাই ছিল আমার সাথী আর ওই দিকে ওই মেয়েটার অনেক বন্দুছিল আর ছেলেরা তো তার পেছনে প্রেমের জন্য বলা যায় লাইন দরে থাকত তাই আমি দুর থেকে দেখতাম।
_ এক দিন ক্যাম্পাসে বসে গিটার বাঝাচ্ছি হঠাৎ পেছন থেকে কেউ বললো তুমি তো বেশ ভাল গিটার বাঝাতে পার।
_ পেছনে তাকিয়ে আমি যা দখলাম আমি সত্যি অনেকটা অবাক হয়ে গেলাম।
,,
সকলে নামায আদায় করুন।
,
::::;: চলবে::::;;;;
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url