গল্পঃ মধ্যবিত্তের ভালোবাসা | পর্ব-১১
-এতোদিন আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছো?।(নীলা)
-তাহলে আমার কি শাস্তি দেয়া হবে?(আমি)
-আমাকে জড়িয়ে ধরো?(নীলা? কিছুটা লজ্জা পেয়ে)
-পারবো না?।(আমি)
-কি বললা?।
বলেই আমাকে টান দিয়ে নীলার বুকে জড়িয়ে নিলো।
আমি আর কিছু বললাম না।
জানি কিছু বললেও শুনবে না।
এভাবেই কিছুক্ষন পরে আল-আমীন আর নিশা আসলো।
আমরা কিছুটা লজ্জা পেয়ে গেলাম?।
আল-আমীন আর লজ্জা পেতে হবে না।
কালকেই তোদের বিয়ে?।
আমি আর কিছু বললাম না।
একটু পরে নীলার বাবা-মা আসলেন।
বাবা কেনো এমন করলা।আজ যদি আমার মেয়ের কিছু হয়ে যেত।(বলেই নীলার মা কান্না করতে লাগলেন)।
-আন্টি আসলে আমার অতীতে সম্পর্কে আপনারা কিছুই জানেন না?।(আমি)
-আল-আমীন আমাদের সব বলেছে।যা হওয়ার তা হয়ে গেছে।কিন্তু বাবা কথা দাও আমার মেয়েটিকে আর কোনো দিন কষ্ট দিবে না।(নীলার আব্বু)
-আন্টি কি??বলো আম্মু?।(নীলার আম্মু)
-ওকে আন্টি…সরি আম্মু?।(আমি)
কাল সকালে নীলাকে ডিসচার্জ করে দিবে।তাই সবাইকে বাসায় ফিরে যেতে বললাম।
আমি নীলার সাথে থেকে গেলাম।
সবাই চলে যাওয়ার পর নীলা ডাকলো।
এই শুনো আমার ভয় করছে আমাকে জড়িয়ে ধরো?।
আমি নিরুপায় হয়ে ওর কথামতো এটাই করলাম।কখন যে সকাল হয়ে গেলো বুঝতেই পারলাম না।
কিছুক্ষন পরে হাসপাতালের বিল মিটিয়ে নীলাকে বাইকে করে নিয়ে আসলাম।
আসার সময় এমনভাবে আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে মনে হয় আমাকে ছেড়ে দিলেই আমি দুরে কোথাও হারিয়ে যাবো।
যাই হোক এসে রোমে এসে দেখি আমার খাটের উপর পাঞ্জাবি রাখা বুঝতে বাকি রইলো না আল-আমীন রেখে গেছে।
ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে দেখি আল-আমীন আমার খাটে বসে আছে।
-কিরে এখনো রেডি হছ নাই?।(আল-আমীন)
-এইতো হচ্ছি?।(আমি)
কিছুক্ষন পর নীলাদের ফ্ল্যাটে নিয়ে গেলো আমাকে আল-আমীন?।
কিছুক্ষন পরে বিয়েটা হয়ে গেলো?।
বেশি কাউকে বলা হয়নি।নীলাদের কিছু আত্মীয়।
আল-আমীন_নিশা_নিলা আর আমার কিছু বন্ধু।.
নীলাকে আমার ফ্ল্যাটে নিনিয়ে যাওয়া হলো।
আমি আর আল-আমীন ছাদে বসে আছি।
কিছুক্ষন পরে আল-আমীন আমাকে বাসর ঘরে পাঠিয়ে দিলো?।
রোম টা খুব ভালো করে সাজানো হয়েছে।
একটুপরেই নীলা খাটের উপর থেকে নেমে এসে সালাম করলো আর এক গাদা প্রশ্ন ছুঁড়ে মারলো?।
-এতক্ষণ কোথায় ছিলা?আমি একা একা কতো ভয় পাইছি।জানো না তোমাকে কিছুক্ষন না দেখলে আমার ভালো লাগে না?।(কিছুটা অভিমানী সুরে কথাগুলো বলতে লাগল অনু)
আমি চুপ করে শুনতে লাগলাম?।
-ওভাবে দারিয়ে আছো কেন?(নীলা)
-এমনিই।দেখছি আমার পাগলীটা আমাকে কতো ভালোবাসে?।(আমি)
-হুমম্ এত্তোগুলা।(দুই হাত প্রসারিত করে নীলা)
-আমার তো হাসি আসছে?।(আমি)
একদম বাচ্চাদের মতো আচরণ করছে?।
-চলো ছাদে যাই।চাঁদকে দেখিয়ে দেই আমার কাছেও চাঁদ আছে?।(আমি)
-না যাবো না?।(নীলা)
-আরে চলো?।(আমি)
-তোমার কি হাত নাই?।কোলে করে নিয়ে যেতে পারো না?।(নীলা)
-কিইহহ?।এই আঁটার বস্তা টাকে আমি কোলে নিবো?।(আস্তে আস্তে বললাম।নীলা শুনতে পেলে আর রক্ষা নেই?)
-কি বললা আমি আটার বস্তা?।(নীলা)
এই রে শুনে নিয়েছে।যাই হোক নীলাকে আর কথা বলতে না দিয়ে সোজা কোলে নিয়ে নিলাম?।
চলে গেলাম ছাদে।দোলনায় বসে আছি।
আমার কাঁধে নীলা মাথা রেখে শুয়ে আছে।
চাঁদের আলোয় কি অপরূপ লাগছে কি বলবো।(থাক আপনারা আবার প্রেমে পড়ে গেলে?)
-জানো নিলয় আমার কাছে সবকিছু স্বপ্নের মতো লাগছে।আজ আমি অনেক খুশি?।নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে নিজের পাওয়ার চেয়ে বড় সুখ আর কি হতে পারে?।(নীলা)
-তাই?(আমি)
-হুমম্।(নীলা)
কিছুক্ষন পর আমি বললাম এখন রোমে চলো অনেক রাত হয়ে গেছে।
-আচ্ছা কোলে করে নিচে নিয়ে যাও।(নীলা)
কি করার নিলাম।
রোমে এসে নীলাকে ফ্রেশ হতে বললাম।
আর এই ফাকে আমিও ফ্রেশ হয়ে খাটে বসে আছি।
কিছুক্ষন পর নীলা আসলো।
-আজ রাতে কিন্তু দুজনের কেউই ঘুমাবো না?।(নীলা)
-কেনো??(আমি)
-আমি বলেছি তাই?।(নীলা)
আচ্ছা ঠিক আছে।
এখন বলো এমন একটা কাজ কেনো করতে গেলে??
-কি করবো বলো।কষ্ট আর সহ্য হচ্ছিলো না?।(নীলা)
-আর কোনোদিন এমন কিছু চিন্তা করলে আমিই ম……
কিছু বলতে পারলাম না তার আগেই নীলা আমাদের দুজনের চার ঠোঁট এক করে দিলো।
আমি যেনো অন্য এক দুনিয়ার প্রবেশ করলাম।সারা শরীরে 420 ভোল্টেজের কারেন্ট প্রবাহিত হলো?।
আমি শিহরিত হয়ে গেলাম?।
এরকম কতক্ষণ ছিলাম বুঝতে পারলাম না।
তারপরে নীলা আমাকে ছেড়ে দিয়ে লজ্জায় মাথা নিচু করে বসে রইলো?।
বাবুটায় আবার লজ্জা পেয়ে গেলো নাকি?।(আমি)
নীলা আর কিছু না বলেই আমাকে জড়িয়ে ধরলো?।(এমনভাবে ধরেছে যে আমাকে ছাড়লেই আমি দুরে কোথাও হারিয়ে যাবো)
আমি আর কিছু বললাম না।
সারারাত অনেক গল্প করলাম।
আর অনেক দুষ্টুমি করলাম।(থাক ওইগুলা পার্সোনাল?)
শুয়ে আছি।নীলা আমার বুকের উপরে আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে?।
এভাবেই দুজনে হারিয়ে গেলাম এক অজানা অনুভূতিতে।
সকালে একটু দেরি করেই ঘুম ভাঙল।
কিন্তু নীলা এখনো ঘুমিয়ে আছে?।(অনেকদিন ঠিকমতো ঘুমোয়নি তাই বোধহয়)
বাহ্ কি নিষ্পাপ চেহারা।আমি তো আবার ওর প্রেমে পরে গেলাম?।
ওর কপালে একটা চুমু দিলাম?।
নীলা একটু নড়ে আমাকে আরো জোরে জড়িয়ে ধরলো?।
আমি আবারও ঘুমের দেশে চলে গেলাম।(আসলে আজ এভাবেই শুয়ে থাকতে ইচ্ছা করছে)
কিছুক্ষন পর ঘুম ভাঙল।
আর সামনে তাকিয়ে দেখি পরী থুক্কু নীলা?।
আমি তো চোখ ফেরাতে পারছি না।
মাত্র গোসল করে আসলো মনে হয়।
চুল থেকে পানি পরে পিছনের কিছু অংশ ভিজে গেছে।
এতে নীলার সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
আমি সোজা গিয়ে নীলাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম?।
-এই কি করছো??(কিছুটা লজ্জা পেয়ে নীলা)
-আমার নীলা পরীটাকে আদর করছি?।(আমি)
-সারারাতের দুষ্টুমি তে মন ভরেনি?(নীলা)
-নাহ্?।সারাজীবনেও ভরবে না?।(আমি)
-হয়েছে এখন ছাড়ো।গোসল করতে যাও?।(নীলা)
-এখনই?।(আমি)
-হুমম্?।(নীলা)
.
-আচ্ছা যাচ্ছি?।(কিছুটা অভিমানী সুরে আমি)
-বাবুটা কি রাগ করলো?।(পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে)
-না আমার বাবুটার উপরে কি রাগ করতে পারি?।(আমি)
-তাহলে যাও ফ্রেশ হয়ে আসো।আমি ব্রেকফাস্ট রেডি করছি?।(আলতো করে একটা চুমু দিয়ে?)
চলে গেলাম।একটু পরে।
এইইই নীলা…..
চলবে…
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com