দুষ্ট প্রেমের মিষ্টি গল্প

এই শুনছো…
-হুম বল
–নীল শাড়ী পরবে প্লীজ!
–নাহ
-কেন?
– কেন আবার?
গতকালই না লাল শাড়ী পরলাম!
আর তুমি জানোই তো আমি শাড়ী পরতে পারিনা!
-তো কি হয়ছে? তাও পরবে!
— নাহ
— এমন
করছো কেন? আর শাড়ী পরলে
..তো.তোমাকে হুরপরীর মতই লাগে!!
.
.
ও পরবে না তাহলে … ওকে যাও পরা লাগবেনা
এই বলেই ছাদে চলে আসলাম! জানি ও আসবে
ঠীক আসবে! একদম আমার রাজ পরী হয়ে! .
ছাদের
রেলিং ধরে দাড়িয়ে আছি…. শেষ বিকেলের মাতাল
হাওয়া বইছে! সূর্যটা লাল হয়ে পশ্চিমে হেলে
পরেছে! চারিদিকে শুধু পাখির কিচিরমিচির..শব্দ শোনা
যাচ্ছে! সারাদিনের ব্যস্ততার পর, পাখিগুলোও তার
ভালবাসার মানুষগুলোর কাছে ফিরছে! কেমন জানি
অজানা এক ভাললাগা কাজ করছে! আর ভাবছি ও আসবে
তো……… এই পাখিগুলোর মত আমার কাছে! হুম
বিশ্বাস আছে অটুট!আসবেই
.
.
বেশ কিছুক্ষণ পর কারও পদতলের আওয়াজে পিছু ফিরলাম……
.
–ওই ওমন হা করে আছো কেন? মাছি ঢুকবে তো!
–……… ঢুকলে ঢুকুক! তুবু এত সুন্দর সৌন্দর্যের লীলাভুমি কোন ভাবেই মিস করতে পারবোনা!
এক পা -দু’পা করে কখন যে ওর কাছে চলে গেছি বুঝতেই পারিনি…
—এই পরী…. তুমি এত সুন্দর করে সাজুগোজু
করতে পারো জানতাম না তো!
নীল শাড়ী…খোলা চুল..! দুলহীন কানের
পাতা..চোখে হালকা কাজল! হাতে একঝাক নীল
কাচের চুরি……. . ! যেন নীল ডানা কাটা নীলাম্বরি!

‘[আপনাদের একটা কথা বলি যদিও হুমায়ন স্যার বলতে
ভুলে গেছে -আসলে যে সব মেয়ে শাড়ী
পড়তে জানেনা… ঠীকমত সাজুগোজু করতে
পারেনা! তারা যদি ভুল করেও এগুলো করে বসে!
তাহলে তাদের থেকে চোখ ফেরানো সত্যি ই
অনেক কঠিন]
.
এই পরী তোমাকে দেখে একটা গান মনে
পরছে! গায়বো?
-কি গান?
তুমি মানুষ নাকি পরী.. নাকি সর্গের ফোটা করি..
তোমায় নিয়ে এখন আমি ভেবে না পায়, কি করি…..
মায়া ভরা মুখটি তোমার কিযে যাদু জানে.. সব হারিয়ে
তোমার পিছু টানে
.
এই বলেই .কোমরে আলতো করে হাত দিয়ে
খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে নিয়ে নিলাম বুক
পাজোরে
খুব কাছে… চোখ থেকে চোখের দুরুত্ব খুব
একটা বেশি না!
.
ও তখন বলে ওঠলো.. -এই দুষ্টু কি করছো হুম?
ছাড়ো বলছি!
–দেখতেই তো পারছ কি করছি! আমার পরীটাকে
খুব কাছে থেকে ওর মায়াভরা মুখটা দেখার চেষ্টা
করছি! আর ছাড়ার জন্যতো ধরিনি তোমাকে…..
ও চোখটিবন্ধ করে আছে.. গাল,আর ঠোটের
পাপরি গুলো লাল বর্ণ ধারন করেছে বিশেষ করে
নিচের ঠোটটা! এতে ওর সৌন্দর্য দিগুন বাড়িয়ে
দিয়েছে!
.
আমি ওর গাল বেয়ে লেপটে থাকা চুল গুলো
সরিয়ে দিলাম! বাহ বেশ লাগছে
.
ঘনঘন নিঃশ্বাস পড়ছে! তার সাথে বুকের হ্নদপিন্ডটা
খুব করে লাফাচ্ছে!হাত দিয়ে থোতুনি টা তুলে ধরলাম!
,
তারপর কপাল, নাক বেয়ে ওর গোলাপী ঠোট
গুলো ছুয়ে দিলাম! কিছুটা কেপে ওঠলো আর
আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল!ওর ঠোট
গুলো কাঁপছে… যেন কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারছে না!
.
.
আর কিছু বলতে না দিয়েই…. ঠোট গুলো ভিজিয়ে দিলাম…..
.
মেয়েটা লজ্জা মুখখানা… লুকিয়ে ফেলল… আমার অন্তরায়!

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url