Breaking News

গল্পঃ পরকীয়ার ভয়াবহ পরিনতি

অফিস থেকে মাত্র বাসায় আসলাম, এসে দেখি আমার বউ শুয়ে আছে।তাই আমি তাকে জিগ্যেস করলাম,,
–কি ব্যাপার এই সন্ধ্যে বেলায় শুয়ে আছো কেন?
বউ– শরীরটা ভালো লাগছেনা।
তখন আমি তার কপালে হাত দিয়ে দেখলাম তার জ্বর উঠলো নাকি। নাহ! শরীরের টেম্পারেচার একদম ঠিক আছে। পরে ভাবলাম হয়তো আসলেই খারাপ লাগছে। তাই তাকে বললাম যেন রেস্ট নেয়।
এই ফাকে আমি আমার পরিচয় টা দিয়ে দেই, আমি সারোয়ার অনার্স শেষ করে একটা মাল্টি ন্যাশনাল কম্পানিতে মেনেজার পদে কাজ করছি। আর একটো আগে যার সাথে কথা বললাম সে আমার স্ত্রী নেহা। পারিবারিক ভাবে আমাদের বিয়ে হয়েছে। আমাদের বিয়ের বয়স বেশি হয়নি মাত্র ৬ মাস। এর মধ্যেই প্রচন্ড ভালোবেসে ফেলেছি ওকে। আমার ফ্যামিলিতে সবাই আছে বাবা, মা,ছোট একটা ভাই তারা গ্রামের বাড়িতে থাকেন।আমি চাকরির কারনে তাদের কাছ থেকে আলাদা থাকি। যাইহোক গল্পে আসা যাক,, সেদিন আবার দেখলাম নেহা আবারো এই অবেলায় শুয়ে আছে তাই আমি মনে মনে ভাবলাম নেহার বড় কোনো রোগ হলো না তোহ। তাই আবার তাকে একই প্রশ্ন জিগ্যেস করলে সে এক কথায় বলে তার নাকি ভালো লাগছে না। তাই ভাবলাম মেয়েটাকে নিয়ে কোথাও ঘুরে আসলে হয়তো তার মনটা ভালো হবে তাই তাকে বললাম,,
–নেহা কালকে আমরা কোথাও ঘুরে আসলে কেমন হয়? (কারন আমি জানি ও খুব ঘুরতে পছন্দ করে)
নেহা– আমি কোথাও যাচ্ছি না বরং তুমি ঘুরে আসো
আমিতো অবাক যে মেয়ে আমার মাথা খেয়ে ফেলত একটো ঘুরতে যাবে বলে সে আজ কত সহজে না করে দিল।
রাতে ঘুমোতে গেলাম বউ এসেই শুয়ে পরল তাই আমি তাকে পেছন থেকে জরিয়ে দরতেই সে এক ঝটকায় নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বলতে লাগল,,
নেহা– একবার বলছিতো আমার শরীরটা ভালো না তার পরও তুমি আমাকে জরিয়ে দরলা কেন?? (রেগে বলল)
আমি — সামান্যই তো একটু জরিয়ে ধরছি এমন করছ কেন? (শান্ত ভাবে)
নেহা– ফারদার যদি তুমি আমাকে টাচ করো তাইলে আমি আর এই রুমেই থাকব না।যত্তসব।।
সত্যি বলতে এতটা কষ্ট আমি কখনো পায়নি। একজন কবি বলছিলেন নারী জাতি বড় অদ্ভুত। আমি শুধু নেহার কথা গুলো ভাবছিলাম,,কখন যে চোখের কোনে পানি এসে গেছে বুজতেই পারলাম না। যে মেয়ে আমার ছোয়া ছাড়া থাকতে পারত না আর সে আজ,,সত্যি বলতে অনেক কষ্ট লাগে কাছের মানুষের আঘাত গুলো। কখন যে ভাবতে ভাবতে চোখ গুলা লেগে গেছে বুজতেই পারিনি। হঠাৎ মাঝরাতে কারো গুন গুন শব্দে ঘুমটা ভেঙ্গে গেল উঠে দেখি পাশে নেহা নেই হঠাৎ বেলকনিতে কারো ছায়া দেখতে পেলাম তাই আস্তে আস্তে নেহার কাছে যেতেই দেখলাম সে যেন কারো সাথে কথা বলতেছে। আমার উপস্হিতি অনুভব করেই সে এক জটকায় ফোনটা কেটে দিল এবং আমতা আমতা করে বলল,, তু তুমি এখানে??
আমি — এত রাতে কার সাথে কথা বলছ?
নেহা — ভাইয়া বিদেশ থেকে ফোন দিছিলো।(কিছুটা ভয়ে বলল)
আমি — আরে পাগল তুমি ভাইয়ার সাথে কথা বলতেছে বুঝলাম কিন্তু এত ফিসফিস করে কথা বলার কি আছে.. (আসলে ওর ভাই প্রবাসি)
নেহা — যদি তোমার ঘুম ভেঙ্গে যায় তাই আরকি,,
আমি — আচ্ছা বুঝলাম। এখন আবার ভাইয়াকে ফোন দাও কথা বলি একটো…
নেহা– না মানে এখন তো ভাইয়া কাজে ব্যস্ত হয়তো অন্য সময় কথা বলবনে।
আমি — আচ্ছা ঠিক আছে তাইলে শুয়ে পর গিয়ে।সকালে অফিসে যেতে হবে আবার
নেহা — হুম (বিরক্তির চাপ)
তারপর শুয়ে পরলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি অনেকটা লেট হয়ে গেছে কিন্তু চিন্তার বিষয় হল আজ নেহা আমাকে একবারের জন্য ডাক দিতে এলো না।যাইহোক তারাতারি ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হলাম,, এখন দেখি মহারানি কি করতেছেন। কিচেনের কাছে গিয়ে তো আমি অবাক নেহা রান্না রেখে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত। এদিকে যে তরকারি পুড়ে যাইতেছে সেদিকে তার কোনো খবর নেই আমি তারাতারি করে তার কাছে গেলাম গিয়ে চুলাটা অফ করলাম। সে আমাকে দেখে তারাতারি ফোনটা রেখে দিল যেন তার মহামূল্যবান জিনিসটা কেউ নিয়ে যাচ্ছে। তখন আমি বললাম
–কি ব্যাপার রান্না যে পুড়ে যাচ্ছে কোনো খেয়াল আছে তুমার (ছেচিয়ে বললাম)
নেহা — লক্ষ্য করিনি একটো ফোনে দরকারি কাজ ছিল তাই খেয়াল করিনি।
আমি — দেখি কি এমন তুমার দরকারি কাজ যার জন্য কোনো কিছুই খেয়াল নাই।তাই নেহার কাছ থেকে আমি ফোনটা হাতে নিয়ে যখন ফোনটা চালু করলাম তখন দেখি ওর ফোনে মেসেজ আসছে যখন মেসেজ টা ওপেন করলাম তখন…
চলবে…
পরবর্তী পর্ব পেতে অবশ্যই লাইক কমেন্ট করে জানাতে হবে।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com