Breaking News

ক্রাশ কিছুই জানে না

ক্রাশের আইডিতে ভয়ে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠাইনি। রাস্তাঘাটে,ক্যাম্পাসে যেমন দূর থেকে তাকে দেখি তেমনি ফেসবুকে ও দূর থেকেই দেখি। ক্রাশের কয়েকটা প্রোফাইল পিক আর কভার ফটোই পাবলিক করা। আমার এক বান্ধবীর সাথে তার মিউচুয়াল ফ্রেন্ড দেখে বান্ধবীর সাথে ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়ালাম। বান্ধবীর নাম রুম্পা। ইনিয়ে বিনিয়ে জানতে পারলাম ক্রাশ মহাশয় ফেবুতে খুবই একটিভ। প্রায় ই অনেক স্ট্যাটাস দিয়ে থাকেন। আমার দুর্ভাগ্য! সেসব দেখতে পারি না কারণ সব স্ট্যাটাস বা ছবি আপলোড করে প্রাইভেসি অপশন ফ্রেন্ডস দিয়ে। তবে ওই পাবলিক করা ছবি গুলোই সারাক্ষণ দেখি। কপালে একটা বসন্তের দাগ তার। দাগটার দিকে সারাক্ষণ তাকিয়ে থাকি। আর যেটা করি সেটা হলো কোনো মেয়ে ক্রাশের ছবিতে লাভ কিংবা ওয়াও রিয়েক্ট দিলে তাকে কথা শুনিয়ে ব্লক করে দিই। মাঝেমধ্যে বলে দিই আমার বফের ছবিতে লাভ রিয়েক্ট দিবা না। মেয়েগুলোও খুব কম যায় না। কয়েকদিন আগেও একটাকে টেক্সট করলাম,

-“এই মেয়ে এই, লজ্জা শরম নেই পর পুরুষের ছবিতে লাভ রিয়েক্ট দাও। অসভ্য কোথাকার!”
মেয়েটা রিপ্লে দিলো,

-“who the hell are you? Amar jamai hoy tai dei. Tumi ke bolar?”
মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেলো। ক্রাশের বাচ্চার জিএফ ও আছে নাকি আবার । বিয়ে করেনি শিওর তবে গার্লফ্রেন্ডের ব্যাপারে জানিনা। জানাটাও সম্ভব না। সব ছেলে তো আর পাবলিকলি গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ঘুরে বেড়ায় না বা ফেবু কিংবা ইন্সটাতে ছবি টবি আপ দেয় না। কি জানি! মন খারাপ করে রিপ্লে দিলাম,

-“আমি তোর সতিন হই রে বদমাইশী!”
বলেই ব্লক করে দিলাম। এরপর থেকে ক্রাশের গার্লফ্রেন্ড আছে কিনা জানার জন্য মরিয়া হয়ে উঠলাম। যদি গার্লফ্রেন্ড থাকে তাহলে আমার কি হবে? হায় খোদা!
এ বিষয়ে হেল্প করতে পারে রুম্পা। রুম্পাকে যা বলার সরাসরি বলতে হবে। আর তার জন্য ভার্সিটিতে দেখা করা লাগবে রুম্পার সাথে। এসব ভেবেই আবারো ক্রাশের প্রোফাইলে ঢু মারলাম। প্রো পিক চেঞ্জ করেছে। মনটা খুশিতে লাফিয়ে উঠলো। ছবিটা জুম করে অনেকক্ষণ দেখলাম। এক পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি আরেক পাহাড়ের সাথে আকাশ মিলিত হয়েছে সেদিকে তিনি তাকিয়ে আছেন। আগের ছবিটা থেকে এটা ভালো হয়েছে। ছবিটায় ক্যাপশন দিয়েছেন,
” কখনো আকাশ বেয়ে চুপ করে

যদি নেমে আসে ভালোবাসা খুব ভোরে
চোখ ভাঙ্গা ঘুমে তুমি খুঁজো না আমায়
আশেপাশে আমি আর নেই।
– অনুপম রায়”
বাপরে! ছবিটা যাস্ট আপলোড দিলো আর এতসব কমেন্টস! মনে হয় সেলিব্রেটি একদম! ছ্যাঁছড়া মেয়ে গুলোর ও ছ্যাঁছড়ামি শুরু হয়ে গেছে। গা জ্বলে যায় একেবারে। একটা মেয়ের কমেন্ট দেখলাম সাথে সাথে ইনবক্সে নক করলাম।
“এই অসভ্য মেয়ে! হ্যান্ডসাম কোনো ছেলের ছবি দেখলেই কমেন্ট করতে হবে? তোদের কি খেয়েদেয়ে আর কাজ নেই নাকি রে? অসহ্য মেয়েরা যে কোত্থেকে আসে।”
মেয়েটাও প্রায় সাথেসাথেই রিপ্লে দিলো,
-“এক্সকিউজ মি! বুঝলাম না।”
-“আহারে আমার অবুঝ শিশুটা। “অনিক হাসান” এর ছবিতে তুমি কেন কমেন্ট করেছো? বেয়াদব নির্লজ্জ মেয়ে!”

-” আশ্চর্য! এই যে তুমি কোথাকার কোন সভ্য যে আমাকে সভ্যতা শেখাতে এসেছো? তোমার নিজের লজ্জা করে না? স্টুপিড! ও আমার ভাই হয় বুঝেছো? আগে নিজে বেয়াদবী ছাড়ো।”
আমি যাস্ট বোকা বনে গেলাম। তাড়াতাড়ি করে মেয়েটাকে ব্লক করলাম৷ এটা কি করে ফেললাম আমি! যদি ক্রাশকে বলে দেয়! আমার কি হবে! কি করব না করব ভেবে আইডিটাই ডিএক্টিভেট করে ফেললাম। সারারাত ঘুম হলো না। সকালের দিকে ঘুম এলো কিন্তু ক্লাসের জন্য ঘুমাতে পারলাম না। ভার্সিটিতে গিয়েই রুম্পাকে পেয়ে গেলাম। টেনে একটু আড়ালে নিয়ে রুম্পাকে সব বলে দিলাম ক্রাশের কথা। বেচারি মনে হয় মন খারাপ করলো। ওই রাক্ষুসী আবার অনিককে পছন্দ করে ফেলেনি তো! নাহলে মন খারাপ করবে কেন? জিজ্ঞেস করবো না করবো না ভেবে করেই ফেললাম,
-“কিরে বান্ধবী তুই আবার অনিককে পছন্দ করিস না তো?”
রুম্পা মন খারাপ করে বললো,
-“করতাম।”

রুম্পার এই কথা শোনে আমি পুরো বোকা বনে গেছি। হায় কপাল! হায় খোদা! কাকে আমি গুপ্তচর বানাতে চাচ্ছিলাম! কোনো মতে বললাম,
-“মানে!”
আমাকে অবাক করে দিয়ে রুম্পা বললো,
-“তোর অনেক আগেই আমি অনিক ভাইয়াকে পছন্দ করতামরে নিশু। তুই তখন অনিক ভাইয়ার উপরে ক্রাশ খাওয়া তো দূর তাকে চিনতিও না। আমি এডমিশনে থাকতে ভাইয়া আমাদের ব্যাচে ক্যালকুলাস ক্লাস নিতো। ভার্সিটিতে চান্স হওয়ার পরই আমি ভাইয়াকে ভালো লাগার কথা জানাই কিন্তু ভাইয়া সেদিনই আমাকে রিজেক্ট করে।
রুম্পা এত টুকু বলেই থামলো। আরও কিছু বলতে চাইছিলো কিন্তু আমি কান্না শুরু করে দিলাম। আমার ভেঙে পড়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট। রুম্পার রূপের কাছে তো আমি কিছুই না। ওকেই যদি রিজেক্ট করে তাহলে তো আমার দিকে ফিরেও তাকাবে না। কি হবে আমার!
রুম্পা আমাকে স্বান্তনা দিয়ে বললো,

-“নিশু তুই এতটুকু শোনেই কাঁদছিস? আর আমাকে পুরো ক্যাম্পাস ভর্তি ছেলেমেয়ের সামনে রিজেক্ট তো করেছে তার সাথে এতটুকুও বলেছে যে আমরা মেয়েরা নাকি স্মার্ট, হ্যান্ডসাম কোনো ছেলে দেখলেই তাদের পিছু নিতে শুরু করে দিই।”
আমি কান্না থামিয়ে রুম্পার দিকে তাকালাম। অনিক এর বিহেইভিয়ার এমন হতে পারে? ছিহ! মেয়েদের প্রতি ওর এত ঘৃণা? কিন্তু কেন?
-“শোন নিশু এত কান্নাকাটির কিছু নেই। আমার আগেই বুঝা উচিত ছিলো যখন তুই আমাকে অনিক ভাইয়ের কথা জিজ্ঞেস করতি। আমি ভেবেছিলাম এমনিতেই হয়তো জিজ্ঞেস করছিস। নয়তো আগেই বলে দিতাম তোকে। এই ছেলে কোনো মেয়েকেই সহ্য করতে পারে না। তেমন কোনো মেয়ে ফ্রেন্ডস ও নেই। সিনিয়র ব্যাচ তো, ক্যাম্পাসের অনেক সুন্দরী মেয়ে ই ওকে পছন্দ করে, কেউ কেউ ওকে ভালোলাগার কথা জানায়। কিন্তু অপমানই হয় মেয়েগুলো। তুই কি কান্না থামাবি নিশু?”
-“আমি কি করবো রুম্পা। আমাকে তো একদম ধুয়েই দিবে। আমি তো তোদের মতো এত সুন্দরী না রে!”

-“ঢং করিস না তো! এর থেকেও ভালো ছেলে পাবি তুই। বুঝেছিস? আর আমিও রাহাত কে নিয়ে অনেক হ্যাপি। রাহাত অন্তত ওই লোকের মতো ন্যারো মাইন্ডেড নাহ। বেয়াদব ছেলে! রূপের অহংকারে যেন বাঁচে না! খোঁজ নিয়ে দেখ না হয়তো ছ্যাঁকা ট্যাঁকা খেয়ে বসে আছে তাইতো এত মেয়ে বিদ্বেষ। ঢং! শোন ফর গড সেক, তুই কান্না থামা। ক্লাসে লেট হচ্ছে আমি গেলাম।”
চোখমুখ মুছে আর ক্লাসে গেলাম না। একদম হলে চলে এলাম। মাথা ধরে গেছে। রুমে এসে শুয়ে শুয়ে ভাবতে লাগলাম কি করা যায়। অনিকের প্রতি আমি খুব বেশিই দূর্বল হয়ে গেছি। এর আগেও আমার দুইজন ক্রাশ ছিলো, কিন্তু সেগুলো এতোটাও ডীপলি ভাবায় নি আমাকে। তাদের চেহারা ভালো করেও দেখিনি আমি। কিন্তু অনিকের চেহারা আমার মুখস্থ! এটাকে কি ভালোবাসা বলে? এটা কোনোভাবেই ভালোবাসা ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করছি আর ভাবছি আমি অনিকের সামনে দাড়াতে পারবো তো! আর দাড়ালেও পরিস্থিতি টা কেমন হবে!

বেস্টফ্রেন্ডহীন আমি আমার রুমমেট জিনিয়ার সাথেই একটু একটু ক্লোজ। অনিকের কথাটা জিনিয়ার সাথে শেয়ারই করে ফেললাম। সবটা শুনে ভাবলেশহীন ভাবে জিনিয়া বললো,
-“ওই স্বপ্ন দেখা থেকে সরে যা নিশু যেই স্বপ্ন নিজেই তোকে ধ্বংস করে দিবে।”
প্রত্যুত্তরে কিছু না বলেই চলে বারান্দায় গেলাম। কি করবো কিছুই মাথায় আসছে না। বারান্দায় দাড়িয়ে তাকিয়ে ছিলাম অনিকের রুমের দিকে। এইচএস হল আমাদের লেডিস হলের বরাবরই দীর্ঘ সাততলা বিল্ডিং যদিও বেশ খানিকটা দূরে। যার পঞ্চম তলার পশ্চিমের একদম শেষ রুমের বাসিন্দা অনিক। রাত চারটা অব্দি তার রুমে আলো জ্বলছিলো। পড়াশোনা করে নাকি কি করে কে জানে! সারারাত নির্ঘুম কাটলো আমার। সকালে একটু তাড়াতাড়িই ভার্সিটিতে চলে গেলাম। ক্যাম্পাসে দৌড়ের উপর ছেলে মেয়ে ক্লাসের দিকে ছুটছে! সকাল ৮টায় কারই বা ক্লাস করতে মন চায়। ভাবতে ভাবতে আনমনে হাটছিলাম আর হঠাৎই কেউ একজনের গলা শুনলাম,

-“ওই অনিক্কা”
হার্টবিট বেড়ে গেলো আমার। আশেপাশে তাকালাম কেউ নেই। পিছনে ফিরে দেখি ক্রাশসাহেব হাসিহাসি মুখে তার বন্ধুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অনেকক্ষণ ধরে তাদের দেখছিলাম। হুট করেই ক্রাশকে ডাক দিয়ে বসলাম,
-“অনিক ভাইয়া”
সে বিরক্ত হয়েছে মনে হলো। বন্ধুর সাথে কথা বন্ধ করে বিরক্ত সুরে বললো,
-“কিছু বলবে? ”
-“ভাইয়া একটু এদিকে আসুন না!”
এগিয়ে এসে বললো,

-“কি ব্যাপার? ”
আমি নিজেই ভুলে গেলাম কেন তাকে ডাকলাম। কি বলবো এখন! মাথাটা পুরোই উলটপালট হয়ে গেলো। সিদ্ধান্ত নিলাম তাকে আজকেই সব ক্লিয়ার করে দিব। যা হয় হবে। গালি দিবে? বকা দিবে? থাপ্পড় দিবে? দিক! আমি ও তার পিছু ছাড়বো না।
আমার নিরবতা দেখে সে বললো,
“ফাজলামি হচ্ছে? কোন ইয়ার?”
-“ফার্স্ট ইয়ার!”
-“আই সী! ডেকেছো কেন?”
আমতা আমতা করে আমি বললাম,
-“আসলে ভাইয়া…”
সে ভ্রু নাচিয়ে বললো,
-“আসলে?”
-“আই লাভ ইউ!”
বলেই দিলাম এক দৌড়। একদম ক্লাসে এসে চেয়ারে বসে হাফাতে হাফাতে শুরু করলাম। হার্ট খুব ফাস্ট বীট করছে। চোখ বন্ধ করে বসে রইলাম। কানে আসলো,
-” এইযে! চেয়ার নং ৩,১! ইউ লেডি! স্ট্যান্ড আপ!”
চোখ খুলে তাকিয়ে দেখি স্যার বিস্ফোরিত চোখে আমার দিকে তাকিয়ে। শুধু স্যার নয় পুরো ক্লাসই আমার দিকে তাকিয়ে। দাড়ালাম।
স্যার বললেন,

-” ইজ ইট আ সিনেমা হল? আর ইউ ফরগট দ্যা রুলস?”
আমি হাফাতে হাফাতে কোনো মতে বললাম,
-“অ্যাম সরি স্যার! একচুয়েলি লেট হয়ে গেছে!”
-“গেট লস্ট ফ্রম দ্যা ক্লাস!”
মাথা নিচু করে নিঃশব্দে বেরিয়ে এলাম। এই স্যার জীবনেও ক্লাসটা করার পারমিশন দিবে না। অগত্যা রিকুয়েস্ট করারও মানে হয় না। আমার অপরাধও গুরুতর সেটা বুঝতে পারলাম। ক্লাসে আসা যাওয়া নিঃশব্দে হবে। স্যারকে কিছু বলা যাবে না। এতে কনসেনট্রেশান নষ্ট হয়। আর আমি যেভাবে দৌড়ে ক্লাসে ঢুকেছি আবার ধপাস করে চেয়ারে বসেছি!

একঘন্টা ক্যাফেতে কাটিয়ে দিলাম। আজ আর ক্লাস মিস করা যাবে না । পরের ক্লাসটা ক্যামিস্ট্রি ল্যাব ক্লাস। আট তলায়। ক্যাফে থেকে বেরিয়ে গেলাম একাডেমিক বিল্ডিং এ। গার্লস লিফটের সামনে দাড়াতেই দেখলাম বয়েজ লিফট থেকে অনিক বেরিয়ে আসছে। তাকে দেখেই আর লিফটের জন্য ওয়েট না করে সিড়ি দিয়ে উঠা শুরু করলাম। আটতলায় সিড়ি বেয়ে উঠা যে কি কষ্ট! তিনঘন্টার ল্যাব ক্লাস শেষে লাঞ্চ ব্রেক। ঘড়িতে ১টা বাজে। যে যার মতো হলের দিকে দৌড়াচ্ছে কারণ ৪৫ মিনিটের মধ্যে গোসল, খাওয়া, নামাজ। ভার্সিটিতে প্রতিটি স্টুডেন্টকে এমন অসম্ভবকে সম্ভব করতে হয় প্রতিনিয়ত। একাডেমিক বিল্ডিং থেকে বের হয়েই আমার চক্ষু চড়কগাছ! ব্যাডমিন্টন কোর্টের ওখানে অনিক ও তার বন্ধুরা এইদিকেই তাকিয়ে আছে। সকালের ঘটনার জন্য আমাকে আজ কি খেসারত দিতে হবে কে জানে!
ওদের না দেখার ভান করে আস্তে আস্তে এগুতে লাগলাম তখনই ডাক পড়লো আমার। তাকাতেই দেখলাম অনিক ইশারা করে ডাকছে। মাঘ মাসের শীতেও আমি ঘামতে শুরু করলাম তার উপর পুরো শরীর কাঁপছে।

-“নাম কি?”
-“নিশু সামিহা”
-“থাপ্পড় চেনো?”
মাথা নিচু করে দাড়িয়ে রইলাম। কিছুক্ষণ পর অনিক আবারো বললো,
-“নিজেকে কি সিনেমার হিরোইন মনে হয়? সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকবে লাঞ্চ ব্রেক পর্যন্ত। ক্লাস টাইম হলে ক্লাসে যাবে। নাও স্টার্ট! তাকাও সূর্যের দিকে!
অসহায়ের মতো অনিকের দিকে তাকালাম। চশমার গ্লাসের পিছনে তার দু’চোখে অজস্র ঘৃণার প্রতিচ্ছবি! চশমা পড়া ছেলেরা রুক্ষ হয় না! তাদের চেহারা মায়াভরা, কিন্তু অনিক রুক্ষ! খুব রুক্ষ! ভয়ানক রুক্ষ! তার দিক থেকে চোখ সরিয়ে সূর্যের দিকে তাকিয়ে রইলাম। সে কড়াভাবে বললো,
-“চোখ সরিয়েছো তো পানিশমেন্ট দিগুন হবে। মাইন্ড ইট!”
আশেপাশে কেউ আছে কিনা কিছুই বুঝতে পারছিনা। মাথার অসহ্য যন্ত্রনায় মনে হলো এই বুঝি মাথা ফেটে আমি মারা যাবো। ক্ষনিকের জন্যে মনে হলো, পৃথিবীতে আমি খুব একা। আমার কেউ নেই। কেউ না।

চলবে……………

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com