লালবাগ কেল্লা
লালবাগ কেল্লার নিচ দিয়ে অনেক গুলো সুড়ঙ্গ আছে, যেগুলো জমিদার আমলে করা।
জমিদাররা বিপদ দেখলে সেইসব পথে পালিয়ে যেতো।
তেমনই একটা সুড়ঙ্গ আছে, যার ভেতরে কেউ ঢুকলে তাকে আর ফিরে পাওয়া যায় না।
মানে, সে আর ফিরে আসে না।
পরীক্ষা করার জন্য একবার ২টা কুকুরকে চেইনে বেঁধে সেই সুড়ঙ্গে নামানো হয়েছিলো।
চেইন ফেরত আসে কিন্তু কুকুর দুটো ফিরে আসে নি।
(এই ঘটনাটির ব্যাখ্যা)দিয়েছেন ব্লগার শুভ্র নামের ছেলে
সুবেদার আজম শাহ ১৬৭৮ সালে ঢাকায় একটি প্রাসাদ দুর্গ নির্মাণে হাত দেন।
(এই ঘটনাটির ব্যাখ্যা)দিয়েছেন ব্লগার শুভ্র নামের ছেলে
সুবেদার আজম শাহ ১৬৭৮ সালে ঢাকায় একটি প্রাসাদ দুর্গ নির্মাণে হাত দেন।
তখন ঢাকার সুবেদারদের থাকার জন্য স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা ছিল না।
স্বল্প সময়ের জন্য দায়িত্ব পালন করতে আসা সুবেদাররা ঢাকায় স্থায়ী ভবন নির্মাণে কোনো উৎসাহ দেখাননি।
যুবরাজ আযম শাহ প্রথম এই উদ্যোগ নেন।
তিনি অত্যন্ত জটিল একটি নকশা অনুসরণ করে দুর্গের নির্মাণকাজ শুরু করেন।
তিনি দুর্গের নামকরণ করেন কিল্লা আওরঙ্গবাদ।
কিন্তু পরের বছর সম্রাট আওরঙ্গজেব তাঁকে দিলি্ল ফেরত পাঠান।
ফলে দুর্গের কাজ অসমাপ্ত রেখে তাঁকে দিলি্ল চলে যেতে হয়।
এরপর সুবেদার হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকা আসেন শায়েস্তা খাঁ।
যুবরাজ আযম শাহ তাঁকে লালবাগ দুর্গের অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য অনুরোধ করেন।
শায়েস্তা খাঁ দুর্গের কাজ পুনরায় শুরু করেন।
কিন্তু ১৬৮৪ সালে তাঁর অতি আদরের মেয়ে পরি বিবি অকস্মাৎ মারা গেলে তিনি অশুভ মনে করে
এর নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন। এর পরিবর্তে নির্মাণ করেন চিন্তাকর্ষক পরি বিবির সমাধিসৌধ।
কিন্তু এ সময়ের মধ্যে লালবাগ দুর্গের প্রায় ১২ শতাংশ নির্মাণকাজ শেষ হয়ে এসেছিল।
কিন্তু এ সময়ের মধ্যে লালবাগ দুর্গের প্রায় ১২ শতাংশ নির্মাণকাজ শেষ হয়ে এসেছিল।
দুর্গের নিয়ম অনুযায়ী একটি ভূগর্ভস্থ পথও নির্মিত হয়েছিল।
আত্মরক্ষা কিংবা প্রয়োজনে পালিয়ে যাওয়ার জন্য সাধারণত এ পথ ব্যবহৃত হয়।
দুর্গের দক্ষিণ-পূর্ব দেয়ালের সঙ্গে যুক্ত আছে এ সুড়ঙ্গ পথটি।
কোনো কোনো স্থাপত্যিকের ধারণা, এ পথটি প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে টঙ্গী নদীর সঙ্গে যুক্ত।
আবার কেউ মনে করে, এটি একটি জলাধারের মুখ।
এর ভেতরে একটি বড় চৌবাচ্চা আছে। মোগলদের পতনের পর লালবাগ দুর্গ যখন সর্বসাধারণের
জন্য উন্মুক্ত হয়ে যায়, তখন ঢাকাবাসীর সব আকর্ষণের
কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় এই সুড়ঙ্গ। আর তখন থেকেই নানা মুখরোচক কাহিনী চালু হয় সুড়ঙ্গটি নিয়ে।
যেহেতু সুড়ঙ্গ পথের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য আজ পর্যন্ত প্রত্নতাত্তি্বক খননকাজ হয়নি,
যেহেতু সুড়ঙ্গ পথের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য আজ পর্যন্ত প্রত্নতাত্তি্বক খননকাজ হয়নি,
তাই এটি নিয়ে নানা কল্পকাহিনী চালু আছে।
এ কারণেই এ সুড়ঙ্গ পথটি ঢাকার আদি বাসিন্দাদের কাছে এক বিরাট রহস্য।
তাই আজও এই সুড়ঙ্গের সামনে তারা জড়ো হয়ে দাঁড়ায়।
জানমালের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় বা কৌতূহলবশত কেউ যেন এর ভেতরে প্রবেশ না
করে সে জন্য সুড়ঙ্গমুখে গেট নির্মাণ করে তাতে তালা দেওয়া হয়েছে। ঢাকাবাসীর মনে তালা দেওয়ার ব্যবস্থা কিন্তু আজও হয়নি।