বসন্তের ছোঁয়া | পর্ব -১৬

সারা- টুনটুনির আব্বাু এটা কি করলে তুমি( ঠোঁটে হাত দিয়ে)

,
রাজ- হুসস একদম চুপ।
,
সারা- ওকে।
,
সারা রাজের গলা জরিয়ে ধরে রেয়েছে আর রাজ কারে ঢুকে বাড়ির দিকে রওনা দিলো।
,
রাইমা- কি হয়েছে ভাবির??
,
রাজ- কিছু না।
,
সারা- টুনটুনির আব্বু ও টুনটুনির আব্বু।
,
রাজ- বললাম না চুপ থাকতে।
,
সারা – ঐ লোকটা না খুব ভালো ছিল। জানো আমায় অনেক আদর করতো।
,
রাজ- আমার হাতে থাপ্পড় খেতে মন চাইছে তোমার জানো কি করবো। আরেক বার যদি ঐ ছেলেটার নাম মুখে নিয়েছ তো খবর আছে তোমার।
,
সারা- কোথায় যাচ্ছ আমি তোমায় জরিয়ে ধরে ঘুমাব হুম।
,
রাজ- থাপ্পড় মেরে তোমার সবগুলো দাঁত ফেলে দিব আমি চুপচাপ ঘুমাও। পর পুরুষের সাথে গা ঢলাঢলি করতে খুব ভালো লাগে তোমার তাই না। সারা তোমায় লাস্ট ওয়ার্নিং দিচ্ছি আর যদি কোনো দিন অন্য কোনো পুরুষের সাথে গা ঢলাঢলি করতে দেখেছি। সেদিন দেখবে রাজ চৌধুরীর আসল রুপ।
,
সারা- তুমি তো আমায় দেখতেই পারো না তাহলে অন্য লোকের সাথে গা ঢলাঢলি করলে তোমার কি সমস্যা হুম।
,
রাজ- চুপ।
,
সারা- চুপ কেন কথা বলো।
,
রাজ- আমার কিছু বলার নেই।
,
রাজ বেলকনিতে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সারা ঘুমায়নি কি বলবে সত্যিই কি  সারার জন্য ভালোবাসা জন্মেছে। নাকি মায়া কিছুই বুঝতে উঠতে পারছে না রাজ।
,
,
অফিসের পিয়ন- স্যার আপনাকে ডেকে পাঠিয়েছে ম্যাডাম।
,
রেহেনা- ওকে আমি আসছি। মাটি এই রাক্ষস টা আবার না জানি আমায় কি কাজ দেয়।
,
মাটি – কথা পরেও বলতে পারবে এখন যাও।
,
রেহেনা- মে আই।
,
আফজাল – ইয়েস।
,
রেহেনা- কিসের জন্য ডাকলেন স্যার??
,
আফজাল – ( কতগুলো ফাইল দিয়ে)  সবগুলো ফাইল কালকে আমার কমপ্লিট চাই।
,
রেহেনা- এতগুলো??
,
আফজাল – হুম। আপনি আসতে পারেন।
,
রেহেনা- বাট স্যার আমি এতগুলো ফাইল কি করে কমপ্লিট করবো। তাও আবার একদিনে??
,
আফজাল- সেটা আমার জানার প্রয়োজন নেই। আমার ফাইলগুলো কালকেই চাই। সো আসতে পারেন।
,
রেহেনা- স্যার প্লিজ।
,
আফজাল – আসতে পারেন প্লিজ লিভ।
,
রেহেনা- ( কাঁদো কাঁদো ফেইস নিয়ে)  আমি এতগুলো ফাইল কি করে কমপ্লিট করবো। লোকটা মানুষ না। আগের বসই অনেক ভালো ছিল। দেখো না মাটি কতগুলো ফাইল দিয়েছে আমায় তাও আবার কালকের মধ্যে কমপ্লিট করতে হবে। আচ্ছা এটা কি পসিবল।
,
মাটি – স্যার দিয়েছে??
,
রেহেনা- হুম।
,
মাটি – টেনশন নিও না আমি তোমার অর্ধেক ফাইল নিয়ে যাবো কেমন।
,
রেহেনা- থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ সো মাচ ( খুশি হয়ে)
,
আফজাল – ফাইলগুলো আপনি কমপ্লিট করবেন। অন্য কাইকে দিয়ে করালে সেটা আমি আপনাকে আবারও করাবো। সো অন্য কাউকে দিয়ে ফাইল কমপ্লিট করার চেষ্টা ও করবেন না।
,
কেবিন থেকে বেরিয়ে রেহেনার সামনে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলে গেলো আফজাল। রেহেনা হতাশ হয়ে বসে রইলো। কেঁদে কেঁদে এক অবস্থা। আফজাল অবশ্য সিসিটিভি ফুটেজে দেখছে আর মুচকি মুচকি  হাসছে।
,
আফজাল – আমাকে রাক্ষস বলা। আফজাল কে বেয়াদব বলা এর মাশুল তো আপনাকে দিতেই হবে। এত সহজে ছাড়ব না আমি আপনাকে।
,
,
নিয়াজ-  হাই সারা।
,
সারা- হাই।
,
হৈমন্তী – আজকে সবাই মিলে ফুচকা খাবো কেমন।
,
সারা- ওকে। লিজা তোমার মনটা খারাপ কেন??
,
লিজা-  না মানে কিছু না এমনি।
,
জেরিন- বেচারির বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে। সেজন্য মন খারাপ।
,
সারা- কংগ্রাচুলেশনস।
,
আরহা- ভালোই হয়েছে রাজ স্যার শুধু এখন আমার।
,
সারা- ( উমমম শখ কত রাজ স্যার শুধু আমার। মন তো চাইছে কিছু একটা বলে দেই যত্তসব)
,
ভার্সিটিতে ক্লাস করলো অতঃপর ফুচকা খেলো সবাই মিলে অতপর বাড়ি চলে আসলো। তবে সারা একটা বিষয় খেয়াল করেছে কেউ একজন ওকে ফলো করেছে। বাট কে সে বুঝতে পারছে না।
,
রাজ- সারা খেতে আসো।
,
সারা- চুপ।
,
রাজ- সারা( ধাক্কা দিয়ে)
,
সারা- ( চমকে উঠে)  কি হয়েছে টুনটুনির আব্বু।
,
রাজ- সেদিন রাতে সত্যি করে বলো কি হয়েছিল??  মিথ্যা বললে খবর আছে তোমার।
,
সারা- না মানে আমি খাবো।
,
রাজ- আমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তুমি এক পাও এগুতে পারবে না। সো বলো।
,
সারা- কিছু হয়নি সেদিন আমি তোমার সামনে স্প্রে করেছিলাম। নয়তো তোমার থেকে নিজেকে ছাড়াতে পারতাম না।
,
রাজ- তাহলে বিছানায় ব্লাড কিসের ছিল??
,
সারা- পি,, পি,,।
,
রাজ- কি পি পি করছো হ্যা স্পষ্ট করে বলো।
,
সারা- মেয়েদের অনেক পারসোনাল প্রব্লেম থাকে যেটা সবার কাছ শেয়ার করা যায় না।
,
রাজ- চুপ।
,
রাতে সারা রাজকে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে রয়েছে হঠাৎ করে একটা মেসেজ আসলো সারার ফোনে। রাজের থেকে নিজেকে সরিয়ে বেলকনিতে চলে আসলো।
অতপর মেসেজ টা সিন করলো। হাত পা কাঁপা কাঁপা শুরু করে দিয়েছে ওর। মসেজ টা এমন ছিল।
,
“মেসেজ টা দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারবে। আমি কে। এসে গেছি আমি। আজকে তোমায় যা সুন্দর লাগছিল। কি বলব বুঝতে পারছিলাম না। নিজেকে কন্ট্রোল করা টাফ ছিল বাট তাও করেছি।  তোমাকে ছাড়া থাকতে খুব কষ্ট হচ্ছে। বাট কিছুই করার নেই আমার। আমি কিছু করব না তুমি নিজে থেকেই আমার কাছে আসবে। সো  ভালো থেকো তোমার হাসবেন্ডে কাছ থেকে খুব শিঘ্রী আমি তোমাকে আমার কাছে নিয়ে আসবো “
ইতি
তোমার কলিজা জান
মাথা ঘুরছে সারার মেসেজ  টা দেখে। কেউ আবার নিচে এমন কিছু লিখবে ভাবতে পারেনি। তবে সারার এখন আর ভয় লাগছে না। রাজের দিকে তাকালো ঘুমিয়ে আছে।  সারা পাল্টা মেসেজ দিলো।
“I am waiting “
চলবে………
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url