গ্রামের মেয়ের ভালোবাসা

প্রত্যেক বছরে আগে  একবার নানু বাড়ি যাওয়া হত, কিন্তু অনার্স এ উঠার পর আর যাওয়া হয় না ,
তাই প্রায় ৩ বছর পর এই বছর গেলাম।
আমার পরিচয় তা দিয়ে নেই আমি আবির  অনার্স ৩ বর্ষ এ পড়াশুনা করি। আমার নানু বাড়ি শরীয়তপুর জেলার  গোসাইরহাট থানার একটি গ্রামে।   আমার নানা নানু বেচে নেই মামা আছে তাদের বাসায় ই যাওয়া হয় আর কি।
হঠাৎ করে আমার মামা অসুস্থ  তাই আন্মুকে নিয়ে মামা বাড়ি রওনা হলাম
ঢাকা থেকে ৫ ঘন্টা জার্নি শেষে  মামা বাড়ি পৌছালাম।
.
গিয়ে মামা কে দেখে একটা ঘুম দিলাম।
ঘুম থেকে বিকেলে উঠে মামাতো ভাই এর সাথে
একটু গ্রাম তা ঘুরে দেখতে লাগলাম অনেক বছর পর আসছি
কেমন জানি চেঞ্জ হয়ে গেছে গ্রাম তা,
আগে বিদ্যুৎ ছিলোনা এখন আছে, রাস্তাঘাট অনেক পাকা হয়ে
গেছে আগের মত বাগান গুলা নাই।
যাই হোক হঠাৎ করে এগুলা ভাবতে ভাবতে হঠাৎ করে কারো
সাথে আমি ধাক্কা খেলাম,
তাকিয়ে যা দেখলাম ঠিক যেন কোন পরি নেমে এসেছে একটা মেয়ের মধ্যে
এত মায়া থাকতে পারে আমি আগে জানতাম না, মেয়েটা চোখে দেখেন
না বলে চলে গেলো। তখন আমার মামাতো ভাই আমার থেকে ৫ বছরের
ছোট নাম হাবিব তাকে জিজ্ঞেস করলাম মেয়েটা কেরে হাবিব।
হাবিবঃ তুমি মুক্তা কে চেনোনা ভাইয়া?  যখন আগে আসতা কত দুস্টামি করতা,
কায়উম কাকার মেয়ে।
.
আমি তার কথা শুনে তাস্কি খেলাম এই মেয়ের সাথে কত দুস্টামি
করতাম আর এখন এত বড় হয়ে গেলো কিভাবে।
মুক্তার পরিচয় তা দিয়ে নেই  সে আমার থেকে ২ বছর এর ছোট
এবার নাকি এইচ এস সি দিয়েছে।
যাই হোক আমি আজকে মুক্তা কে দেখে ভাবলাম এই মেয়ের সাথে আমার
প্রেম করতেই হবে, আমার বউ বানাতেই হবে।
আমি হাবিব কে বললাম মুক্তার খবর কি,
গ্রামের মেয়েদের তো তারতারি বিয়ে দেয় ওরে এখনো দিলো না তার মধ্যে এত সুন্দরী,
.
হাবিবঃ ভাই মুক্তা আপু অনেক ভালো ছাত্রী  তাই তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে চায়।
আমি শুনে বললাম যাক আলহামদুলিল্লাহ । যদিও আমি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করি।
সেদিন রাতে একটুও ঘুমাতে পারলাম না সারারাত শুধু মুক্তার চেহারা চোখে বাসতেছে
তাকে ভাবতে ভাবতে যে কখন ঘুমিয়ে গেলাম তের পাইনাই, সকালে হাবিব এর ঢাক শুনে ঘুম ভাংলো।
আমার মামার বাড়ি গেলে আমি বরশই দিয়ে  মাছ ধরি বলতে পারেন আমার মাছ ধরা নেশা,
আর যেখানে মাছ ধরি সেই খাল এর পাশেই মুক্তা দের বাসা ,
আমি আর হাবি সকালে মাছ ধরতে গেলাম, খালের পাশে বসে মাছ ধরছি হঠাৎ
করে একটা মেয়ের দিকে চোখ পরলো, ও এই দেখেই কাল্কের মেয়েটা মুক্তা।
.
আমি তার দিকে হা করে তাকিয়ে আছি সে কাছে এসে বললো আবির ভাইয়া আপানার
মুখের হা করা বন্ধ করেন মশা ঢুকবে। আমি তার কথা শুনে একটু লজ্জা পেয়ে
বললাম তুমি অনেক বড় হয়ে গেছো মুক্তা, সে বললো কেন ভাইয়া ছোট থাকতে বলেন না কি?৷
আর আপনারা তো আগের মত আসেন ই না,
হ্যা আসা হয়না ব্যস্ত থাকি বড় হয়ে গেছি এই আর কি। কিন্তু এখন এসে মনে হচ্ছে বছর এ এখন থেকে অনেকবার আসতে হবে একজন এর জন্য,
.
মুক্তা এই কথা শুনে একটু হাসলো আর বললো কেন ভাইয়া প্রেমে পরছেন্না কি কারো?
আমি তার কথা শুনে বললাম হ্যা পরছি তো তোমার প্রেমেই ( মনে মনে)
যাই তখন মুক্তা আমার থেকে বিদায় নিলো, আমরাও কিছু মাছ ধরে বাসায় চলে আসলাম,
বিকাল বেলা বের হলাম একটু ঘুরতে আবার মুক্তার সাথে দেখা হল,
এবার মুক্তা নীল একটা ড্রেস পরেছে এত সুন্দর লাগছে তাকে, মনে হচ্ছে এখন
ই গিয়ে বলে দেই তুমি এত সুন্দর কেন মুক্তা কিন্তু না এখন কিছু বলা যাবেনা।
তখন বললাম চলো মুক্তা তোমাদের গ্রাম অনেকদিন দেখা হয়না ঘুরে দেখাবে।
চলবে??
 ২য় পার্ট শিগ্রই পাবেন, কমেন্ট করে জানবেন কেমন লাগলো।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url