দ্যা ভ্যাম্পার কিং। পর্ব -৪
ইওবার্ড ছুরির ঢালটা রুমাল দিয়ে মুছল। রুমের প্রবেশ দ্বারে ক্রিস দাঁড়িয়ে বলল,
‘মহামান্য বাদশা আমাকে তলব করেছিলেন?’
“ক্রিস,ভেতরে আসো।’’
ক্রিস মাথা নিচু করে ইওবার্ডের সামনে এসে দাঁড়াল।
“ক্রিস,ভেতরে আসো।’’
ক্রিস মাথা নিচু করে ইওবার্ডের সামনে এসে দাঁড়াল।
ইওবার্ড একটা টানা হাসি হেসে বলল, ‘আমার এই ছুরিটা তোমাকে উপহার স্বরূপ দিলাম।’
ক্রিস অভিবাদন জানিয়ে দু’হাতে ইওবার্ডের কাছ থেকে ছুরিটা
ক্রিস অভিবাদন জানিয়ে দু’হাতে ইওবার্ডের কাছ থেকে ছুরিটা
নিয়ে নিলো। ক্রিস ছুরির দিকে তাকাতেই লক্ষ করল ছুরিতে তাজা রক্ত লেগে আছে।
ক্রিস ইওবার্ডের দিকে বিস্মিত নয়নে তাকালো।
ইওবার্ড একটা টানা হাসি হেসে আচমকা ক্রিসের বুকে ঘুষি মারল।
ইওবার্ড তার রুমে তাকা বিপদ সংকেত শব্দ বাজাল।
সাথে সাথে রুমে শতাধিক রক্ষী ভ্যাম্পায়ার হাজির হলো।
ইওবার্ডের ঘুষি খেয়ে ক্রিস ছিটকে দূরে গিয়ে পড়ল।
ক্রিস অনুভব করল তার পাশে একটা মৃত দেহ পড়ে আছে।
সে কিছু বুঝে উঠার আগেই ইওবার্ড রক্ষীদের বলল, ‘ক্রিসকে বন্দি বানাও।
সে আমার বাবাকে হত্যা করেছে। আমাকেও হত্যা করার চেষ্টা করেছে। তাকে বন্দি করে ফেলো।’
রক্ষী ভ্যাম্পায়াররা তাদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে ক্রিসকে আঘাত করতে লাগল।
রক্ষী ভ্যাম্পায়াররা তাদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে ক্রিসকে আঘাত করতে লাগল।
ক্রিস কিছু বুঝে উঠার আগেই অচেতন হয়ে পড়ল।
.
জ্ঞান ফিরতেই ক্রিস দেখল তার সামনে লাখ ভ্যাম্পায়ারের সমাগম। ক্রিস ধীরে ধীরে চোখ মেলে তাকাল।
.
জ্ঞান ফিরতেই ক্রিস দেখল তার সামনে লাখ ভ্যাম্পায়ারের সমাগম। ক্রিস ধীরে ধীরে চোখ মেলে তাকাল।
শ্রবন শক্তি পুরোপুরি সচল হতেই সে শুনতে পেলো লাখ ভ্যাম্পায়ার তাকে অকথ্য ভাষায় গালি দিচ্ছে।
ক্রিস তার পাশে ইওবার্ডকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল।
ইওবার্ড লাখ ভ্যাম্পায়ার জনতাকে উদ্দেশ্য করে বলল, ‘
ক্রিস তথা আমার দেহ রক্ষী যে ঘাতক হয়ে গেছে তা সকলেই জানেন। আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।
আপনাদের রাজা হয়েও রাজ্য সামলাতে ব্যর্থ হয়েছি।
ক্রিস গতদিন আমার চাচা চার্লসের কবর খুঁড়েছে এবং উনার ভ্যাম্পায়ার ডাইরীটি চুরি করেছে।
চুরি করার মূল কারণ সে অমর হতে চায় এবং অসীম ক্ষমতা লব্ধ করে পুরো ভ্যাম্পায়ার জগতের রাজা হতে চায়।
তবে আমার বাবা এডওয়ার্ড তার কৃতকর্ম সম্পর্কে অবগত হন,
তিনি ক্রিসের কাছ থেকে ভ্যাম্পায়ার ডাইরী নেবার চেষ্টা করেন। কিন্তু ক্রিস…’
ইওবার্ড আর কিছু বলল না। তার চোখ বেয়র জল পড়ছে। লাখ ভ্যাম্পায়ার জনতা চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে।
ক্রিস সব কিছু বুঝতে পাড়ল, নিজের বাবাকে মেরে ইওবার্ড সব দোষ তার ঘাড়ে ফেলেছে।
নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার কোনো উপায় তার চোখে পড়ল না।
কারণ ইওবার্ড যে ছুরিটি তাকে উপহার দেয় সেটি দিয়েই সে তার বাবাকে হত্যা করেছে।
কিন্তু ছুরির ঢালে তো ক্রিসের হাতের ছাপ, সুতরাং সে নিজেকে নির্দোষ বলেও দাবি করতে পারছে না।
ইওবার্ড আচমকা চিৎকার দিয়ে লাখ ভ্যাম্পায়ার জনতাকে উদ্দেশ্য করে বলল, ‘
ইওবার্ড আচমকা চিৎকার দিয়ে লাখ ভ্যাম্পায়ার জনতাকে উদ্দেশ্য করে বলল, ‘
আমি একজন ব্যর্থ সন্তান, ব্যর্থ রাজা। আমি এখুনি পদত্যাগ করছি।
আপনারা আপনাদের পছন্দের যোগ্য ভ্যাম্পায়ারকে রাজা হিসেবে নির্বাচন করুন।’
ইওবার্ডের মুখ ফিরিয়ে ক্রিসের দিকে তাকিয়ে মৃদু গলায় বলল, ‘যোগ্য রাজা….’
ক্রিস নিজের হাতের বাঁধন খুলার ব্যর্থ চেষ্টা করতে লাগল।
ইওবার্ডের মুখ ফিরিয়ে ক্রিসের দিকে তাকিয়ে মৃদু গলায় বলল, ‘যোগ্য রাজা….’
ক্রিস নিজের হাতের বাঁধন খুলার ব্যর্থ চেষ্টা করতে লাগল।
.
মুখ দিয়ে সে অকথ্য গালি দিতে লাগল।
অপরদিকে লাখ ভ্যাম্পায়ার জনতা সমস্বরে ইওবার্ডকে রাজা হিসেবে দেখতে চাইল।
ইওবার্ড বুকে হাত রেখে বলল, ‘আপনারা সকলে আমাকে এত ভালোবাসেন.!
আমি কথা দিচ্ছি ভ্যাম্পায়ার রাজ্যকে আমি নতুন এক মাত্রায় নিয়ে যাবো।
আপনারা কি জানেন আমরা ক্ষুদ্র একটি অঞ্চলে ফেসে আছি?
আমাদের জগতটির উপরে আরেকটি জগত রয়েছে।
সেটি হলো দুর্বল, নির্বোধ মানবদের জগত। যাদের জগত আমাদের জগতের তুলার কয়েক শ গুণ বড়।
আমি চাচ্ছি আমাদের জগতের পরিসর বাড়াতে। আপনারা কি আমার পাশে আছেন?’
লাখ ভ্যাম্পায়ার জনতা সমস্বরে সম্মতি জানাল।
লাখ ভ্যাম্পায়ার জনতা সমস্বরে সম্মতি জানাল।
ইওবার্ড ক্রিসের দিকে তাকিয়ে একটা কুৎসিত হাসি হেসে বলল, ‘সম্মতি জানিয়েছে।’
ক্রিস রাগে ফোস্কাতে লাগল। ইওবার্ড ভ্যাম্পায়ার জনতাদের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘
ক্রিস রাগে ফোস্কাতে লাগল। ইওবার্ড ভ্যাম্পায়ার জনতাদের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘
তাহলে সবাই যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত হয়ে পড়েন।
আমরা সকলে মিলে আমাদের জগতকে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবো।’
লাখ ভ্যাম্পায়ার জনতা সমস্বরে চিৎকার দিয়ে ইওবার্ডের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলো।
কিছুক্ষণ পর ইওবার্ড কান্না ভরা কণ্ঠে বলল, ‘ক্রিসকে আমি কী সাজা দিব?
লাখ ভ্যাম্পায়ার জনতা সমস্বরে চিৎকার দিয়ে ইওবার্ডের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলো।
কিছুক্ষণ পর ইওবার্ড কান্না ভরা কণ্ঠে বলল, ‘ক্রিসকে আমি কী সাজা দিব?
.
সে তো আমার দেহ রক্ষি ছিল। আমি তার শরীর হাত দিতে পারব না।
আপনারাই তাকে শাস্তি দেন।’
ইওবার্ডদের ইশারায় রক্ষী ভ্যাম্পায়াররা ক্রিসের হাতের বাঁধন খুলে দিলো।
ইওবার্ডদের ইশারায় রক্ষী ভ্যাম্পায়াররা ক্রিসের হাতের বাঁধন খুলে দিলো।
ক্রিসকে ধাক্কা দিয়ে ঠেলে লাখ ভ্যাম্পায়ার জনতার স্রোতে ফেলে দেওয়া হলো।
ইওবার্ড একটা বিদঘুটে হাসি হেসে রাজ মহলের ভেতরে চলে গেলো।
লাখ ভ্যাম্পায়ার ক্রিসের দিকে তেড়ে যেতে লাগল। ক্রিস নিজের প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে লাগল।
দৌড়াতে দৌড়াতে ক্রিস চার্লসের কবরের কাছে এসে পৌঁছাল।
আচমকা সে তার পায়ে তীক্ষ্ণ ব্যথা অনুভব করে।
পেছন ফিরে তাকে দেখে এক ভ্যাম্পায়ার তার পায়ে কামড় দিয়েছে।
ক্রিস মাটিতে লুটিয়ে পড়ে কাতরাতে লাগল।
অসংখ্য ভ্যাম্পায়ার হিংস্র হায়নার মতো ক্রিসের পুরো দেহ কামড়াতে লাগল।
মিনিট দশেক পর সকল ভ্যাম্পায়ার থেকে চলে গেলো।
ক্রিস শেষ নিশ্বাস ত্যাগের খুব নিকটে।
শেষ তার হাতে ভর দিয়ে পুরো শরীর টেনে টেনে চার্লসের পায়ের কাছে আসলো।
শুষ্ক মাটি দু’হাত দিয়ে মুষ্টিবদ্ধ করে ক্রিস বলল, ‘মহামান্য বাদশা আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন।
আপনার দেহ রক্ষী হয়েও এডওয়ার্ডের সাথে হাত মিলিয়ে আপনাকে হত্যা করি।
আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন। আপনার একটি কথা আমার খুব মনে পড়ছে।
আপনি বলেছিলেন পৃথিবীর মাটির নিচে আমাদের জগত। আপনি বলেছিলেন,
পৃথিবী পুরোপুরি গোলাকার নয়। তুমি যার সাথে যেমন করবে তোমার সাথেও তেমনি ঘটবে।
তবে তোমার সাথে ঘটা ঘটনা আরো বীভৎস হবে। কারণ পৃথিবী পুরোপুরি গোলাকার নয়।
তোমার ভাগ্য ঘুরে যখন সেই খারাপ সময়ে আসবে তখন অসম্পূর্ণ গোলাকার পৃথিবী
তোমাকে ধাক্কা মেরে বীভৎস এক পরিণতি উপহার দেবে। আর হ্যাঁ, দুর্বলের উপর কখন
চড়াও হবে না। কারণ দুর্বলেরা প্রতিবাদ না করলেই তাদের পক্ষ থেকে প্রকৃতি প্রতিবাদ করবে।
প্রকৃতি ঠিকই বদলা নিয়ে নেবে। তাই কারো উপর চড়াও হবার আগে হাজার বার ভাব্বে।’
ক্রিস কান্না করতে লাগল। তার দেহ ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে।
ক্রিস কান্না করতে লাগল। তার দেহ ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে।
হঠাৎ ক্রিস অনুভব করে কেউ তার পিঠে উপর পাড়া দিয়ে আছে।
ক্রিস ঘাড় ঘুরিয়ে তাকিয়ে দেখল ইওবার্ড।
.
ইওবার্ড ক্রিসের মুখের উপর ঝুঁকে পড়ে বলল, ‘প্রকৃতি কিন্তু ঠিকই বদলা নিয়ে নেয়।’
ক্রিস হিংস্র গলায় বলল, ‘তুইও পাপিষ্ঠ। মরবি তুই।’
ইওবার্ড হাসল, হেসে বলল, ‘বাহ! এখন আমি পাপিষ্ঠ। চার্লসকে তুমি আর বাবা মিলে হত্যা করো।
ইওবার্ড ক্রিসের মুখের উপর ঝুঁকে পড়ে বলল, ‘প্রকৃতি কিন্তু ঠিকই বদলা নিয়ে নেয়।’
ক্রিস হিংস্র গলায় বলল, ‘তুইও পাপিষ্ঠ। মরবি তুই।’
ইওবার্ড হাসল, হেসে বলল, ‘বাহ! এখন আমি পাপিষ্ঠ। চার্লসকে তুমি আর বাবা মিলে হত্যা করো।
এখানে আমার কোনো হাত ছিল না। তোমরা দু’জন পাপিষ্ঠ ছিলে,
আমি না। আমি তো তোমাদের হত্যা করে শুধু মাত্র প্রকৃতির কাজটা সহজ করে দিয়েছি।
সেই সাথে চার্লসের প্রবচনের সম্মানও রক্ষা করেছি।
ভ্যাম্পায়ার রাজ্যের জন্যে এখন পৃথিবীর ভূমির উপর বসবাস রত মানবদের বন্দি করতে চলেছি।
পুরো ভ্যাম্পায়ার রাজ্য আমার পক্ষে। বুঝলে আমি পাপি নই, আমি হলাম সুপাপি। ’
ক্রিসের গালে আস্তে করে দুটো চড় মেরে ইওবার্ড সেখান থেকে চলে গেল।
ক্রিসের গালে আস্তে করে দুটো চড় মেরে ইওবার্ড সেখান থেকে চলে গেল।
যাবার পথে সে বলতে থাকল, ‘চার্লস করবে না তোমাকে ক্ষমা।
কারণ চার্লস সর্বদাই বলতেন তিনি বিশ্বাসঘাতকদের ঘৃণা করেন। তাদের তিনি মোটেও ক্ষমা করবেন না
বরং তাদের কর্মের উপযুক্ত শাস্তি দেবেন। সুতরাং চার্লসের কবরে গিয়ে কান্নাকাটি করে কোনো লাভ নেই।
চার্লস যে এক রোখা এক কথার মানুষ সেটা পুরো ভ্যাম্পায়ার রাজ্যের প্রতিটা ভ্যাম্পায়ারই জানে।’
মিনিট দুয়েক পর ক্রিস মারা গেলো।
মিনিট দুয়েক পর ক্রিস মারা গেলো।
অপর দিকে ভ্যাম্পায়ার রাজ্য প্রস্তুতি চলছে পৃথিবী দখলের। ইওবার্ড সেনাপ্রধানকে বলল, ‘পৃথিবী দখলের সবচেয়ে বড় বাঁধা হবে চার্লসের পুত্রেরা। তুমি তোমার মায়া টেরর বাহিনী নিয়ে প্রস্তুত থেকো। চার্লসের ছেলেরা খুবই দুর্ধর্ষ। সোজা তাদের হত্যা করবে, ওদের বন্দি করে রাখা আরো বিপদজনক।’
.
.
বিদঘুটে এক স্বপ্ন থেকে নীল লাফ দিয়ে বিছানায় বসে পড়ল। ঘড়ির দিকে সে তাকিয়ে দেখল তখন রাত তিনটে বাজে। নীল হাঁপাতে লাগল। জানলা দিয়ে চাঁদের আলো তার মুখের উপর এসে পড়ছে। তার পাশে গভীর ঘুমে রয়েছে অনিশা। অনিশার দিকে নীল কিছুক্ষণ চেয়ে রইল। আচমকা অনিশা চোখ মেলে নীলের দিকে তাকাল। নীল হকচকিয়ে গেল।
অনিশা নীলের দিকে তাকিয়ে ঘুম জড়ানো কণ্ঠে বলল, ‘তুমি এখনো ঘুমাও নি?’
“একটা বাজে স্বপ্ন আমার রাতের ঘুম হারাম করে দিল।’’
অনিশা উঠে বসে বলল, ‘কেমন স্বপ্ন?’
নীল ধীরে ধীরে তার গায়ে থাকা শার্টটা খুলতে লাগল। অনিশা চিৎকার দিয়ে বলল, ’এই কী করছ তুমি!’
“চুপ!’’
শার্ট খুলে নীল তার দুই কাঁধে থাকা দুটো করে চারটে কাটা দাগ অনিশাকে দেখাল। চাঁদের আলোতে স্পষ্ট দাগগুলো দেখা যাচ্ছে। নীল গম্ভীর হয়ে বলল, ‘স্বপ্ন দেখলাম তলোয়ারের আঘাত আমার দুই কাঁধে কাটা দাগ হয়েছে। আর বাস্তবে আমার দুই কাঁধে কাটা দাগও আছে।’
অনিশা ঠোঁট উচকিয়ে বলল, ‘দাগগুলো চামড়া ফাটা বলে মনে হচ্ছে না। আর তুমি মোটাও নও যে চামড়া ফাটবে। তাছাড়া দাগগুলো অনেক গভীর।’ কাটা স্থানে অনিশা হাত বুলিয়ে বলল, ‘জ্বলে?’
“একটু! ’’
“জন্ম থেকেই কী তারা শরীর এই দাগ?’’
নীল মাথা নাড়িয়ে বলল, ‘জানি না কবে থেকে আমার দেহে এই কাটা দাগ।’
নীলকে চিন্তাগ্রস্ত অবস্থায় দেখে অনিশা নীলকে বলল, ‘এখানে এত চিন্তার কী আছে? পাগল একটা! বেশি ভাবে।’
নীল যেন অনিশার কথা শুনতেই পেলো না এমন ভান করে অন্য দিকে তাকিয়ে একা মনে ভেবেই চলেছে। অনিশা নীলের মুখটা নিজের দিকে ঘুরিয়ে বলল, ‘নিজের কাঁধ তো দেখালে আমার কাঁধ দেখবে?’
“মানে?’’
অনিশা একটা দুষ্টু হাসি হাসল।
.
ইওবার্ডের হিংস্র গর্জনে পুরো রাজ মহল কাঁপছে। ভ্যাম্পায়ার ডাইরী সে খুঁজে পাচ্ছে না। কেউ একজন তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
.
.
বিদঘুটে এক স্বপ্ন থেকে নীল লাফ দিয়ে বিছানায় বসে পড়ল। ঘড়ির দিকে সে তাকিয়ে দেখল তখন রাত তিনটে বাজে। নীল হাঁপাতে লাগল। জানলা দিয়ে চাঁদের আলো তার মুখের উপর এসে পড়ছে। তার পাশে গভীর ঘুমে রয়েছে অনিশা। অনিশার দিকে নীল কিছুক্ষণ চেয়ে রইল। আচমকা অনিশা চোখ মেলে নীলের দিকে তাকাল। নীল হকচকিয়ে গেল।
অনিশা নীলের দিকে তাকিয়ে ঘুম জড়ানো কণ্ঠে বলল, ‘তুমি এখনো ঘুমাও নি?’
“একটা বাজে স্বপ্ন আমার রাতের ঘুম হারাম করে দিল।’’
অনিশা উঠে বসে বলল, ‘কেমন স্বপ্ন?’
নীল ধীরে ধীরে তার গায়ে থাকা শার্টটা খুলতে লাগল। অনিশা চিৎকার দিয়ে বলল, ’এই কী করছ তুমি!’
“চুপ!’’
শার্ট খুলে নীল তার দুই কাঁধে থাকা দুটো করে চারটে কাটা দাগ অনিশাকে দেখাল। চাঁদের আলোতে স্পষ্ট দাগগুলো দেখা যাচ্ছে। নীল গম্ভীর হয়ে বলল, ‘স্বপ্ন দেখলাম তলোয়ারের আঘাত আমার দুই কাঁধে কাটা দাগ হয়েছে। আর বাস্তবে আমার দুই কাঁধে কাটা দাগও আছে।’
অনিশা ঠোঁট উচকিয়ে বলল, ‘দাগগুলো চামড়া ফাটা বলে মনে হচ্ছে না। আর তুমি মোটাও নও যে চামড়া ফাটবে। তাছাড়া দাগগুলো অনেক গভীর।’ কাটা স্থানে অনিশা হাত বুলিয়ে বলল, ‘জ্বলে?’
“একটু! ’’
“জন্ম থেকেই কী তারা শরীর এই দাগ?’’
নীল মাথা নাড়িয়ে বলল, ‘জানি না কবে থেকে আমার দেহে এই কাটা দাগ।’
নীলকে চিন্তাগ্রস্ত অবস্থায় দেখে অনিশা নীলকে বলল, ‘এখানে এত চিন্তার কী আছে? পাগল একটা! বেশি ভাবে।’
নীল যেন অনিশার কথা শুনতেই পেলো না এমন ভান করে অন্য দিকে তাকিয়ে একা মনে ভেবেই চলেছে। অনিশা নীলের মুখটা নিজের দিকে ঘুরিয়ে বলল, ‘নিজের কাঁধ তো দেখালে আমার কাঁধ দেখবে?’
“মানে?’’
অনিশা একটা দুষ্টু হাসি হাসল।
.
ইওবার্ডের হিংস্র গর্জনে পুরো রাজ মহল কাঁপছে। ভ্যাম্পায়ার ডাইরী সে খুঁজে পাচ্ছে না। কেউ একজন তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
চলবে…
No comments