কবি ও পবন

নির্জন দুপুর,- সখ্যতায়
কবি ও পবন,
চেয়ে আছে আঁখি মেলি
ঐ নীল গগণ।
সহসা পবন শুধায়-
নির্জনে বসে কেন কবি?
কৈফিয়ৎ কবির, –
নির্জনে বসি মনের রঙে
আঁকি বঙ্গমাতার ছবি।
এমন রূপ আর কোথাও
পাবে নাকো তুমি খুঁজি,
শয়নে-স্বপনে হেরি
বাংলা মাকে মোর
আঁখি দুটি যবে বুঁজি।
পবন শুধায়, –
নির্বাক চেয়ে থাকা,
এ কেমন ছবি আঁকা?
কৈফিয়ৎ কবির, –
ও রূপ দেখে ভরে নাকো মন
তাই নির্বাক চেয়ে থাকা।
মন ছুটে যায় দিগন্ত পানে
আকাশ নিয়েছে যেথা ঠাঁই,
মুগ্ধতা শুধুই ছড়িয়ে ছিটিয়ে
যেদিক পানেতে চাই।
পবন শুধায়, –
ওই পূব আকাশে একফালি মেঘ
এ কেমন রূপ ?
কৈফিয়ৎ কবির, –
মনের মাধুরী দিয়ে অপলক চোখে
নিরীখি যখন হয়ে যাই চুপ।
মেঘভাঙ্গা রোদ আকাশেতে যবে
বাতাসের কানে গান,
অচিরে মুগ্ধতা মাখি
কেড়ে নেয় মন প্রাণ।
শুধায় পবন, –
পর্বতমালার উঁচু-নীচু শির রং তুলি দিয়ে
পারো কী আঁকিতে?
কৈফিয়ৎ কবির, –
লাগে না রং তুলি,
কবি- মনে হাজারো
রংয়ের মেলা।
থাকে যদি তব কবি-মানস
পাবে সে রং হেরিতে।
গিরি-চুড়া হতে ঝর্ণা ছুটে
পাষাণের বুকে এঁকে নিয়ে পথ,
কলকল তানে অবিরাম বইয়ে দেয় তার
স্ফটিক জল-রথ।

 

কবিতা – ভুলের জয়গান

 

ঘুম জড়ানো রাতটা ঘিরে,
একলা জেগে রই।
আর রোজ সকালে ঘুম ভাঙানো,
প্রিয় তুমি কই?
ব্যস্ত শহর বদলে গেছে,
থমকে আছে সব।
আর বদলে যাওয়া ভাবনাগুলোর,
নিরব কলরব।
চার দেয়ালের হাতছানিতে,
মোহের ভাঙাগড়া।
আর রোজ বিকেলের সবটা জুড়ে,
স্বৃতির পিছুতাড়া।
আনমনেতে প্রশ্নগুলোর অলস অভিমান,
আর মরচে পড়া স্বৃতির শহরে ভুলের জয়গান।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url