গল্পঃ অদ্ভূত-নিয়তি ।। পর্ব-২

তুই এত কম কেন আসিসরে কিউটের ডিব্বা (রাখি ফ্রেন্ড )
রিয়া- তোরা সবাই কিউটের ডিব্বা আমায় ডাকবি নাহ।আমার তো নাম আছে নাকি?(একটু মন খারাপ করে)
রাখি-কিউটের ডিব্বাকে আর কি ডাকবো বলবি।আমি যদি ছেলে হতাম তবে তরে এতদিনে তুলে নিয়ে বিয়ে করতাম।
রিয়া-তাই তো তুই মেয়ে।কুত্তা।

.
-সবাই ঠিক করে বসো। তোমাদের সাথে আমি কিছু মাস ক্লাস নিতে পারবোনা। আমার মা অসুস্থ উনাকে নিয়ে ইন্ডিয়া যাব।। ৬ দিন আমার ক্লাস হবে নাহ পরে সামনের মাস থেকে নতুন স্যার আসবে আমি নাহ আসা পর্যন্ত।(স্যার)
-কিউটি (রিয়া)তোকে একটা কথা বললো শুনবি(রাজ)
-রাজ তুই বল রিয়া নাহ শুনলেও আমি শুনব(রাখি)
দিশা-কথাটা কি তোকে বলতে চাইছে.
-একদম চুপ থামবি তোরা কি শুরু করলি।আর রাজ কিউটি কি আবার। দিন দিন কত নাম শুনবো পরে নিজের নাম ভুলে যাবো আামি।বল কি বলবি?

.
-রাজ কি বলবে আমি বলি শুন। এরকম শাঁকচুন্নি বেস্ট ফ্রেন্ড থাকলে তুই রেজাল্ট ভালো করবি নাহ। (আকাশ)
-আকাশ কি বললি এটা আমারা শাঁকচুন্নি বেস্ট ফ্রেন্ড। তাইলে তোরা কিরে কুত্তা তোরাও তো বেস্ট ফ্রেন্ড। (দিশা)
–আমি কি কিছু বলবো নাহ কি তোরা ঝগড়া করে যাবি।যদিও যত ঝগড়া বেশি সম্পর্ক ততো মিষ্টি। (রিয়া)
-দোস্ত আমি তোদের সবাইকে ফুচকা ট্রিট দিতাম।কিউটি চলে যাইতেছে তাই কিউটি নাহ মানে রিয়াকে আগে বলতে চাইছিলাম সবাই মিলে যাবো(রাজ)
-ফুচকা? (মিলে একসাথে)
-রিয়ার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে মুখটা মলিন হয়ে গেছে।
-কিরে কি হলো দোস্ত (আকাশ)
-রাজ তোরা যা আমি পারবো নাহ হাতে সময় নেয় রে।(রিয়া মন খারাপ করে)
রাজ-ওকে সবাই পরশু খাই কি বলিস।
-সবাই সাই দিল পরশু খাবে।
-যদিও আমি সবাইকে আমি ছাড়া যাবার জোর দিলাম লাভ হলো নাহ। তাই যে যার মতো বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। সিদ্ধান্ত পরশু খাবো। আসলে তাদের মতো বেস্ট ফ্রেন্ড সবার কপালে থাকে নাহ।বাসায় আসতে আসতে ২.টা বেজে গেছে।গোসল করে নামাজ পড়ে খেয়ে নিলাম।৩.৩০ টা।৪টায় বিকেলের নাস্তা বানাবো তাই অল্প সময়ের জন্য চোখ বন্ধ করলাম।

.
-আপু বাবা এসেছে ডাকছে তোমায়(নিরু)
-ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ৪ টা বাজতে ২ মিনিট। কিন্তু এতো আগে তো মামা আসে নাহ। এখন নাস্তা কিভাবে করবো আর রাতেই রান্নাই বা কিভাবে করবো মামি তো সব রাগ কাল মামা যাবার পর দেখাবে(রিয়া মনে মনে)
নিরু-কিরে আপু চল বাবা ডাকছে তোমায় আসে।
রিয়া-হুম চল।
-মামা ডেকেছো আমায়(রিয়া)
-হুম এদিকে আয় তোর জন্য টক জিলেপি এনেছি। তুই তো পছন্দ করিস। গরম গরম আছে।।আর শুন সব কাপড় চোপড় রেডি রাখ তুই।
-কেন মামা আমি কোথায় যাবো।(রিয়া)
মামি-হে গো কোথায় যাবে।।
মামা-পরে বলবো।।
-মামা উপর কেউ কোনো কথা বলে নাহ তাই এ নিয়ে আর কেউ কিছু বললো নাহ।মামা বাড়ি তাই মামির রান্না করতে হচ্ছে।।

.
-আচ্ছা আপু তোমার জন্য রাজপুত্র আসবে সে কি রাজাদের পোশাক পরে আসবে।এখন তো রাজা রানী নেয়(নিরু)
-তোকে রাজপুত্রের কথা কে বলেছে (রিয়া কিছুটা অবাক হয়ে)
নিরু-বাবা মাকে বলেছে আমার দুই মেয়ের জন্য দুটা রাজপুত্র আসবে। তোমার রাজপুত্র দেখতে সুন্দর হলে আমি রাজপুত্র বিয়ে করবো নাহলে একদম করবো নাহ।
রিয়া- খুব বেশি পেকে গেছিস পড় এখন। নাহয়ে মামা কে বলে দিবো তুই পরিস নাহ।তাহলে তোকে অটোরিকশা চালকের কাছে বিয়ে দিবে।।(মুচকি হেসে)
নিরু-নাহ পড়ছি তো(বইয়ের দিকে তাকিয়ে)
-সবাই খেতে আসো(মামি)
–কিরে মা সব গুছিয়ে ফেলেছিস কি?(মামা খেতে)
রিয়া- নাহ মামা পড়ছিলাম গোছাবো।কিন্তু কোথায় যাবো
মামি-আচ্ছা কোথায় যাবে কত দিনের জন্য যাবে কি বলবা কি? নাকি আমি কেউ নাহ এ বাড়ির(একটু রেগে)

চলবে………..