অবলা নারী

নারীরা সামান্যতেই কাঁদে,
হ্যাঁ নারীরা কাঁদে,তবে অকারনে কাঁদে না।
প্রতেকটা নারীর চাপা কান্নার পেছনে কিছু না কিছু লুকায়িত কারন থাকে,
যে কারনগুলো নারী কখনো কাউকে বলতে পারে না।

নারী কি কেবল নিজের জন্য কাঁদে?
নারীকে কাঁদতে হয়,কাঁদতে বাধ্য হতে হয়
নারীকে পরিবারের ব্যাথায় বিচলিত হতে হয়।

নারী সামান্যতেই কাঁদে,
তাই বলে কি নারীর ধৈর্য নেই?
নারীকে দান করা হয়েছে অত্যন্ত মানষী শক্তি,
যাতে নারী সন্তান জন্মদানের মতো কষ্ট নিরবে সহ্য করতে পারে।

নারীকে দান করা হয়েছে
সহনশীল দুটি বাহু
যাতে নারী সকল কষ্ট বহন করতে পারে।

নারীর এই ছোট্ট জীবনে নারীকে কয়েকটা ধাপের সাথে খাপ খাওয়াতে হয়।
বাবার বাড়ি,স্বামীর বাড়ি,সন্তানের বাড়ি।
এক একটি ধাপ যেন নারীর নতুন একটি জন্ম।

নারীর নিজের কোন বাড়ি নেই
যেখানে অধিকার করে বলা যায় এটা আমার নিজের বাড়ি।
নারী স্রোতের টানে কচুরিপানার মতো ভেসে যায় আজীবন।

মূলত এসব কারনেই নারীকে দান করা হয়েছে নীরব অশ্রু
যা দিয়ে নারী সকল কষ্ট ধুয়ে ফেলতে পারে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url