বন্ধু কিংবা বেইমান

বন্ধু কিংবা বেইমান
শুনেছি বন্ধু হতে হলে নাকি,
বুকের ভিতর সমুদ্র সমান বিশালতা থাকতে হয়,
এত বিশালতা নিয়ে আমিও হাত বাড়িয়ে ছিলাম
দিন শেষে লবণের তিক্ততা নিয়ে ফিরতে হয়েছে।
বন্ধু হতে হলে নাকি গাছ হতে হয়,
আমি ও হয়ে ছিলাম “নিম গাছ”
বন্ধুদের সর্বত্র দিতে দিতে
পরিশেষে চেয়ে দেখলাম ছাল বাকল সবই গেছে
কোনরকম অস্তিত্ব আছে আরকি।

বৃষ্টির দিনে বন্ধুর ছাতা হতে চেয়েছিলাম,
অথচ খেয়াল করলাম,
তার হাতে ছাতা থাকলেও ভিজেছি কেবল
আমি একাই, বন্ধু হতে গেলে নাকি এরকম একটু ভিজতেও হয়, কখনো কখনো জ্বর আসে মাথ্যা ব্যথাও করে।
বৃষ্টির ছাতা শেষে এবার আসলো প্রখর রোদ,
এই রোদেও আমি বটোছায়া হওয়ার প্রত্যয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু অস্তিত্বের পুরোটা ততদিনে বিলীন হয়ে গিয়েছিলো, সেই খরতাপে পুড়ে পুড়ে ততদিনে আমি কাট থেকে কাগজ হওয়ার উপক্রম।

বন্ধু হতে হলে নাকি বেইমান হতে নেই
আমিও কেমন স্বার্থ ছাড়াই তার বন্ধুত্বে অন্ধ হয়েছিলাম। বিনিময় তার কাছে পৃথিবী সম বেইমানি টাই পেয়েছিলাম৷
অথচ চাইলে বন্ধু নিঃস্বার্থ থাকতেই পারতো
শুধু মাএ নিজ স্বার্থ এই হতো
বন্ধু বোঝে আমাকে,
বন্ধু ছাড়া আর কে আছে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url