ওপারে কেমন আছো বাবা

ওপারে কেমন আছো বাবা? খুসখুসের ঔষধটা কে মনে করিয়ে দেয়?

তোমার ঘরে ভোর নামে? রাতের সমাপ্তি!

আমাকে আর ভোর বেলা পানি গরম করতে উঠতে হয় না।

কেমন অনিয়মি দেখো! প্লাস্টিকের মগটা নিতু ভেঙে ফেললো।

মা ও কে বকা দিলো না!বললো, ভেঙেছে? ভালো হলো তো।

আর কে ব্যবহার করতে আসবে। তুমি আর আসবে না বাবা?

কুলির গড়গড় শব্দে হাসাবে না আমাকে? দুপুর বেলা কলিং বেলের শব্দে ঘুম কেড়ে নিবে কে! বাবা, দোলনাটা খা খা করে।

মা আমার পাশেই ঘুমোয়। আজাদ মামার মেয়ের বিয়ের কার্ডটা?পরশু রাতেও বলেছিলে, ডিজাইনটা দারুণ!

পড়ে আছে তোমার ড্রয়ারে।ঘুমের ঔষধ গুলো পাঞ্জাবীর পকেটে জমা! বাবা তোমার ঘুম হয়? মাঝরাতে ঘুম না হলে ওসব খুঁজো?

বাদামী রঙের পাঞ্জাবীটা আজকেই এলো।

তুমি বলেছিলে না ওরা দেরী করবে?

নিপুর বিয়েতে একাই যাবো আমি,

পাঞ্জাবীটা আলমারিতে ভাজে রেখে!

রাজকুমারের গল্পটা কেউ শুনাবে না আর!

ফিরবে না তুমি কারো হাতে তুলে দিতে।

বাবা, পরের বাড়ির মাছের মাথা আমার প্লেটে উঠবে কি না,

সে চিন্তা করবে কে? কেই বা এখন আমার মাথায়,

দোয়ার হাত বাড়িয়ে দিবে!

তোমার জুতোতে মাটি লেগে আছে।

শেষবার পুকুর পাড়ে ছিলে?

মা যে ভীষণ বিশ্রী কাঁদে!

এই বুঝি শেষ মতো তোমায় হারিয়ে ফেললাম।

‘মরণ’ শব্দটি এতো কাছে ছিল বুঝতে কেন দাও নি বাবা?

ও বাবা, টিয়াকে আজ ছেড়ে দিয়েছি।

তোমার পথে সেও মুক্ত। “কেমন আছো বাবা”

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url