Breaking News

ভালোবাসার রঙ্গিন স্বপ্নগুলো

ভালো আছেন?

আলহামদুলিল্লাহ। আপনি কেমন আছেন?

আছি আলহামদুলিল্লাহ। কি করেন? আপনাদের কমেন্টস গুলো দেখছিলাম।

আপনার কমেন্টের প্রতি উত্তর এমন কে? সবই নিরামিষ মনে হয় !

আসলে আমি কমেন্টস এর প্রতিউত্তর দিতে পারিনা।

আমি কিন্তু আপনার থেকে কয়েক বছর ছোট।

তো! আমাকে তুমি করে বলবেন। ঠিক আছে। যাই হোক, কমেন্টস দেখা শেষ? না। আপনি কি করেন? আবার আপনি? সময় লাগবে ঠিক হতে।

বলেন কি করেন?আপানার ফেবুতে আসার অপেক্ষায় ছিলাম।

আমার জন্য কেন?এমনি তেই কেন যেন হটাৎ আপনার জন্য অপেক্ষা করতে ইচ্ছে হলো। মায়া বাড়াতে চান? না। তাহলে ? ভালোবাসতে চাই।

ভালোবেসে সমুদ্রের পারে দুজন সময় কাটাতে চাই।

ভালবাসা সহজ কাজ নয়। জানি সহজ কাজ নয়, তবে আমি যে সেই কঠিন কাজটাই করতে চাই।

তাহলে আর বলবেন না আমাকে এই কঠিন কাজে নামতে।

ঠিক আছে , তবে আমার সাথে কথা বলাটা বন্ধ কইরেন না।

আমি মানতে পারবোনা। ঠিক আছে । আপনার বাসায় কে কে আছে?

আমি বাবা-মা আর এক ছোট বোন। ছোট বোন কি করে? এবার ” এস এস সি ” দিবে। ভালো তো। আমাকে একবার দেখবেন? না থাক।

দেখতে হবেনা। মেয়েটা মন খারাপের একটা ইমু দিয়ে ফেসবুক থেকে বেরিয়ে গেলো।আমিও বেরিয়ে পরলাম। আমার কিছু করার নেই, আমি কোন সম্পর্কে ঝড়াতে পারবো না। তাছাড়া আমার কোন ইচ্ছে নেই। তারপর থেকে প্রতিদিন মেয়েটার সাথে কথা হতো, কিছুদিন ধরে একটা ছেলে নাকি ওকে ফ্লো করে। প্রথম প্রথম মনে হতো ও আমার ভালোবাসা পাবার জন্য এরকম টা বলছে। কিন্তু না, প্রতি দিনের কথা শুনে মনে হলো কথাটা সত্য।

একদিন জিগ্যেস করে ছিলাম ছেলেটা দেখতে কেমন? সাথে সাথে একটা পিক পাঠিয়ে দিলো। একটা ছেলে গাছের আড়ালে দাঁড়িয়ে আছে। মনে হচ্ছে কিছু দেখছে। ছেলেটা দেখতে রাজপুত্রের মত। শরীরের গঠন কোন আংশে কম নয়। এটা কি ভাবে তোললেন? সেদিন আমরা দুই বান্ধবী রাস্তা দিয়ে হাঁটছি তখন উনি নাকি আমাকে ফ্লো করছিল। তখন পিছন থেকে আরেক বান্ধবী ফ্লো করতে দেখে পিক তুলে আমাকে এসে দেখায় । ছেলেটা তো দেখতে খারাপ না।

তবে আমার মনের রাজা তো ….., তাকে মানতে পারছিনা। কেনো? কারন টা আপনি জানেন। মনের ঘরে হঠাৎই নারা দিয়ে উঠল। তোমার বিয়ের পর স্বপ্ন কী? সেই স্বপ্ন দেখিনি তবে প্রিও মানুষটির সাথে সমুদ্র দেখতে যাবো ভেবেছিলাম । ওর কথা শুনে মনে হচ্ছে ওর স্বপ্ন টা আমি ভেঙে চুরমার করে দিয়েছি।আমির আর কিছু বললাম না। বেরিয়ে পরলাম ফেসবুক থেকে। তারপর থেকে অনেকদিন ধরে দেখছি না, মেয়েটা আর ফেসবুকে আসেনা। মেয়েটাকে খুব মিস করছি।

যেই মেয়েটা প্রতিদিন আমার খবর নিতো। সেই মেয়েটার খোঁজ আজ আমি নিতে পারছিনা। মনটা বিষন্ন হয়ে থাকে। মাঝে মাঝে ভাবি কেনো যে প্রতীঙ্গা করেছিলাম নিজেকে প্রতিষ্ঠিত না করে কাউকে নিজের করে চাইবো না। না হয় আজ ও আমার হয়েই থাকতো । এক বছর চার মাস পর -কেমন আছেন রাখিল সাহেব? তুমি আসছ?হ্যাঁ।কত খুঁজেছি তোমাকে। কিন্তু তোমার খোঁজ পাইনি?আমি আমার উত্তর পাইনি। আমি ভালো আছি, আল্লাহ যেরকম রেখেছে আলহামদুলিল্লাহ। আমার তো মনে হয় ভালো নেই। ভালো আছি তবে কারো অনুপস্থিতিতে মনে অনেক দাগ কেটেছিল। কি জন্য দেখা মিলে নি জানতে পারি?সে অনেক কাহিনী ।

বলো, আমার যে শুনতে ইচ্ছে করছে। আমি এক্সিডেন্ট করেছিলাম আপনার সাথে যেদিন শেষবারের মত কথা বলেছিলাম । আমর মনটা আকাশের মত মেঘ জমে গেলো। আমিতো একবারে জন্য খোঁজ নিতে পারিনি এই মেয়েটির। কিছু বললাম না ওকে। একটা কথাই জিগ্যেস করলাম ,তাই বলে যোগাযোগ বন্ধ করে দিবে ?যোগাযোগ বন্ধ করতে চাইনি। তাহলে? যেদিন জানলাম আমি আমার পা দুটো হারিয়েছি….. আমার আর বুঝতে বাকি রইলোনা। মেয়েটা এখন কেঁদে কেঁদে তার বালিশ ভিজিয়ে ফেলছে।

আমিও কিছুক্ষণ চুপ করে রইলাম। নিরবতায় চলে গেলো ৫মিনিট। তারপরেও আমি কিছু ভেবে পাচ্ছি না কি বলবো তাকে। আমি কি তোমার সাথে দেখা করতে পারি? মেয়েটা এই কথায় কি বুঝেছে জানিনা। তবে উত্তর টা এরকম ছিল। আমার অনুমতি লাগবে। কার?কোন একজন বলেছিল তুমি তারই হও যে তোমাকে ভালোবাসে।তুমি সুখি তখনই হবে যে তোমার ভালোবাসা পেতে পাগল, আমি তার কথা রেখেছি। কথাটার সত্যতা আমি সেদিন পেয়েছি।তুমি বিয়ে করেছ? হ্যাঁ। কাকে? যেদিন আমি সুস্থ হয়ে বাসায় আসি সেদিন ড্রইং রোমে এক ভদ্র লোক আর মহিলাকে দেখতে পাই।

আমার বিয়ের কথা চলছে তখন, আমি সরাসরি না করে দিয়েছিলাম । তারপর যখন এই হুইল চেয়ারে বসে দুই হাতে চাকা গুলো ঘুরিয়ে রোমে গেলাম তখন দেখি আমাকে লুকিয়ে দেখা সেই সজীব নামের ছেলেটি বসে বসে আমার বইয়ের পাতা গুলো উল্টাচ্ছে । আমি তার চোখে আমার জন্য বিশুদ্ধ ভালোবাসা দেখতে পাই। আপনার কথা টা মনে পরে তখন। আজ ও আমার স্বামী আর ঐ ভদ্র লোক আর মহিলাটি আমার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি। গতকাল আমরা কক্সবাজারে আসছি। আর ওর বুকে মাথা রেখেই আমি আজ আপনার সাথে কথা বলছি। আমি মনের অজান্তেই একবার বলে নিলাম আলহামদুলিল্লাহ ।

রাখিল সাহেব আমি জানি আপনি আজও কোন সম্পর্কে যাননি। আর কথা বরখেলাপ আপনি করেন না। আর আমাকে আজও সেই একই দৃষ্টিতে ভালোবাসেন। এখন আমি মেয়েটার জন্য কোন ধরনের টান অনুভব করছি তা আমার বোধগম্য হয়েছে । এটা প্রেম নয় মায়ার টান। .আমি তোমাকে একবার দেখতে পারি? মেয়েটা সাথে সাথে কয়েকটা পিক পাঠিয়ে দিলো। কিছুক্ষণ ওর আর ওর স্বামীর সাথে কথা বলে বিদায় নিলাম।

তারপর আমি তৃপ্তি সহ নিয়ে দেখেতে লাগলা । সেই নীলিমা,যার চেহারায় নিষ্পাপ ফুলের কালির মত। আজই প্রথম দেখলাম তাকে। এক সময় সবার সাথে হাঁটতো আর আজ হুইল চেয়ারে বসবাস । পিক গুলো দেখতে দেখতে একটা পিকে চোখ আটকে গেলো। পিক টাতে ঠিক মনে করিয়ে দেয়।

“প্রিও মানুষ টির সাথে সমুদ্রের পারে আর হাঁটা হলো না।”

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com