Breaking News

প্রতিশোধের ভালোবাসা । রবি আল ইসলাম

দোস্ত তোর গার্লফ্রেন্ডটা তো জোস তা রুমডেট কবে করবি?
যা করার ততাড়াতাড়ি করে ব্রেকআপ করাই ভালো।
আবার তো নতুন মেয়েকে পটাতে হবে তোর।
আমি মাঝে মাঝে ভাবি তোর মত কপাল যদি আমার থাকতো!
কিভাবে এত সহজেই তুই মেয়েদের পটাতে পারিস বলতো?
সাকিবের কথা শুনে থমকে গেলাম। ওই কিসব ফালতু কথা বলছিস মাথা ঠিক আছে তো?
— হাহা ফালতু কথা কখন বললাম? আজকালকার রিলেশন তো এরকমই হয়ে থাকে।
আর মেয়েরাও এটাই চায়। আর বাসা নিয়ে সমস্যা হলে আমাকে বলিস আমার বাসা একদম খালি।
যখন মন চায় আসতি পারবি।
— দেখ মাথাটা গরম করিস না তো, পরে কিন্তু উল্টা- পাল্টা কিছু বলে ফেলবো।
সেই কখন থেকে ফালতু কথা বলেই যাচ্ছিস। আমি কি তোকে বলেছি আমার বাসা লাগবে?
— এমন একটা ভাব ধরছিস যেনো তুই কিছুই বুজিস না।
আর তুই মনে হয় ওকে রিয়্যাল লাভ করিস বুজি।
আজ পর্যন্ত কোনো মেয়ের সাথে ২ মাসের বেশি রিলেশন কন্টিনিউ করেছিস তুই?
সব জানতে পারলে ও এমনিতেই ব্রেকআপ করবে। তাই বলছি যা করার তাড়াতাড়ি কর।
আর ওকেও আমার তোরই মত মনে হচ্ছে। দেখে তো মনে হচ্ছে তুই অনেক সিরিয়ালে আছিস।
— ভাই তুই প্লিজ চুপ করবি।
এমনিতেই আমার মাথা কাজ করছে না কি করবো ভেবে পাচ্ছি না আর তুই আরও টেনশন বাড়িয়ে দিচ্ছিস।
— ওহ এখন তো সব দোষ আমার আর যখন বিপদে পরো তখন আমাকে মনে পরে।
আমি ভুল কি বলেছি সেটা বল? কি হলো চুপ করে আছিস কেনো?
— দোস্ত আমার মনে হয় আমি ওকে সত্তিই অনেক ভালোবেসে ফেলেছি।
কি হচ্ছে আমার সাথে আমি নিজেই কিছু বুঝতেছি না।
মাঝে মাঝে মনে হয় আমি ওকে সত্তিই ভালোবাসি আবার মাঝে মাঝে মনে হয় আমি ওর সাথে টাইমপাস করতেছি।
— এ তো দেখছি ভুতের মুখে রাম রাম! তা হঠাৎ এরকম মনে হচ্ছে কেনো তোর?
কি হয়েছে বলতো? কেনো তোর মনে হয় তুই ওকে সত্তিই ভালোবাসিস?
— এর কারন হচ্ছে মেঘার অবহেলা।
ও ইদানিং আমার সাথে ঠিকভাবে কথা বলছে না আর আমি কথা বলতে চাইলে আগের মত সাঁড়া পাচ্ছি না।
— এই জন্যই তো তোকে বলছি যা করার তাড়াতাড়ি কর।
রুমডেট করলে আর এখন এরকম লাগতো না।
আসলে তুই ওকে ভালোবাসিস না
এর কারন হলো তুই অন্য মেয়েদের সাথে যেভাবে রিলেশন এর ১/২ মাস মধ্যেই রুমডেট করতে
পারতি সেখানে তুই এখন পর্যন্ত মেঘাকে একটা কিস পর্যন্ত করতে পারিসনি
আর এটাই তোর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
— ঠিক বলেছিস এটাই হবে হয়তো। আচ্ছা কি করা যায় এখন বলতো?
— মেঘাকে এটা বিশ্বাস করা যে, তুই ওকে অনেক ভালোবাসিস ওকে ছাড়া কিছুই ভাবতে পারছিস না। মোট কথা ওকে ইমোশনাল ব্লাকমেইল শুরু কর
তারপর যখন মেঘা তোর প্রতি আরও অনেক দূর্বল হয়ে যাবে তখন ওকে আবার ইমোশনাল ব্লাকমেইল করবি।
বলবি ও তোকে ভালোবাসে না এসব আর কি। আর তারপর সহজেই ওর সাথে রুমডেট করতে পারবি।
— ভাই তুই তো একটা জিনিস রে। এতো বুদ্ধি তোর মাথায় কোথা থেকে আসে বলতো?
— হাহা, তোর বন্ধু না তাই। রবি মেঘা এদিকেই আসতেছে আমি যাই।
— তুই কেনো যাবি?
— তোর গার্লফ্রেন্ড আমাকে দু- চোখেই সয্য করতে পারে না ও ভাবে তুই আমার সাথে থাকলে খারাপ হয়ে যাবি।
আর ও এখানে এসে কিছু বলার আগেই আমি কেঁটে পরি।
— আচ্ছা যা পরে কথা হবে।
মেঘা আমার কাছে এসে চুপ করে রয়েছে।
দেখে বুঝা যাচ্ছে আজকে ও অনেক রেগে আছে আর সেই ঝড় যে আমার উপর দিয়ে যাবে তা ঠিকই বুঝতে পারতেছি। নিরবতা ভেঙে আমিই বললাম, কি হলো কিছু বলছো না কেনো?
মেঘাঃ ওই তোমাকে কতবার বলবো ওই ফালতু ছেলেটার সাথে কথা না বলতে,
ওর সাথে না মিশতে তাহলে কেনো ওর সাথে আড্ডা দিতেছিলে?
রবিঃ ও তো অনেক ভালো ছেলে। তোমার হয়তো কোথাও ভুল হচ্ছে ও মোটেও ফালতু না
মেঘাঃ ওরে দেখেই বুঝা যায় ও কতটা ভালো দেখলেই মনে হয় সবসময় গাঁজা- সিগারেটের ভিতর ডুবে থাকে। আর এরকম একটা ছেলে তোমার বন্ধু হয় কি করে আমি বুঝি না
রবিঃ ধ্যাত এখন এসব বাদ দেও তো। এখন বলো রাতে আমার কল ধরছিলে না কেনো?
যানো কতটা কষ্ট হয়েছিলো আমার। কত টেনশনে ছিলাম আমি
মেঘাঃ তোমাকে তো আগেই বলেছিলাম আমার কাজিনরা আসছে তাই কল ধরিনি।
ওদের সামনে তোমার সাথে কিভাবে কথা বলি বলো
রবিঃ তাও ঠিক। তা তোমার কাজিনরা হঠাৎ আসলো কেনো?
মেঘাঃ আরে আমার জন্মদিন না সামনে তাই আসছে।
রবিঃ জন্মদিন তো আরও ৭ দিন পর
মেঘাঃ তো কি হয়েছে? ওরা আগেই এসেছে যাতে আমরা সব কাজিনরা মিলে আড্ডা দিতে পারি।
এখানে ভালো লাগছে না চলো লেকেড় পারে যাই।
আমার কাজিনরাও আসবে। ওরা তোমাকে দেখতে চায়।
রবিঃ আচ্ছা চলো।
কিছুখন পর লেকেড় পাড়ে চলে আসলাম। দুজনে হাত ধরে হাঁটছি।
কিছুখন পর তো ওর কাজিনরা চলে আসবে ঝামেলা বাঁধাতে।
কোথায় দুজনে মিলে প্রেম করবো তা না কাজিনরাও আসবে। কিছু বলতেও পারছি না।
মেঘা ওর কাজিনদের সাথে ফোনে কথা বলতেছে আমরা কোথায় আছি তা বলতেছে।
কিছুখন পর ওর কাজিনরাও চলে আসছে। আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে।
হঠাৎ ওর এক কাজিন আসলো তাকে দেখে তো আমার গলা শুকিয়ে গেছে সেই সাথে ভয়ও পাচ্ছি অনেক। মনে হচ্ছে যেনো হাত – পা কাঁপছে কারন মেঘার সেই কাজিন হলো আমার এক্স- গার্লফ্রেন্ড।
রুমডেটের পর কোনো একটা কারন দেখিয়ে ওর সাথে ব্রেকআপ করেছিলাম।
ওর সাথে আবার দেখা হবে কখনও ভাবিনি আর এভাবে দেখা হবে তা তো কল্পনাও করিনি।
ও আমার দিকে তাকিয়ে আছে হঠাৎ মেঘা বললো…
চলবে—

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com