Breaking News

লেডি কুইন । পর্ব-১৭

মেহেরাব ঝালে কথা বলতে পারছে না। চোখ লাল মুখ লাল বর্ণের হয়ে গেছে। আরোহী পানি মেহেরাবের দিকে পানি এগিয়ে দিলো। মেহেরাব পানি নিয়ে খেয়ে ফেললো। তবুও জেনো ঝাল কমছে না। আরোহী বলে উঠলো
-এসব নাটক না করলে চলতো।
মেহেরাব অবাক হয়ে গেলো। কিন্তু কিছু বলতে পারছে না।
আরোহী রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে
-খাওয়ার কি দরকার ছিলো। ঝাল বেশি হয়েছে রেখে দিতি। ভালো হয়নি বলতি। তোকে তো
মেহেরাব কোনোমতে
-আপনি রান্না করছেন তা যেমনই হোক না খেয়ে পারা যায় নাকি।
-কেন খেতে হবে?
-জানি না।
কুহু চিনি নিয়ে রুমে ঢুকলো। আরোহী হাতে চিনি নিয়ে মেহেরাবের মুখের ভেতরে দিয়ে দিলো। আরোহী কুহুর দিকে তাকিয়ে পড়ে
-তুই খাবার মুখে নিয়ো উঠে চলে গেলি আমাকে বললি না কেন?
-বা রে তুই এত কষ্ট করে রান্না করলি কেমন টেস্ট হলো তুই যদি না খাস ব্যাপারটা কেমন না। তাই বলিনি।
-চিটিং করলি তো ঠিক আছে।
আরোহী রুম থেকে বেরিয়ে গেলো রাগ দেখিয়ে। কুহু মেহেরাবকে বললো
-আগে ভাবতাম তুই একটা বলদ। এখন দেখি আস্তো বান্দর। আমাকে তো বলতে পারতি। তা না আমাকে ও খাওয়ালি।
কথাটা বলে কুহু ও রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। মেহেরাব হাসলো।
(অনেকে হয়তো আশা করেছিলেন এত ঝালের ভেতর আরোহী যদি একটা kiss করতো তাহলে ঝাল আর থাকতো না। kiss এর জায়গায় চিনি পানি। আমি ও ভাবছিলাম দিবো কিন্তু বাংলা মুভির কথা মনে পড়ে গেলো সেই কষ্টে আর দি নাই। সমস্যা নিয়ে এক টাইম বাংলা ছবির গল্প লিখবো৷ যেখান নায়ক থাকবে দর্শকরা গলায় দড়ি দিয়ে দুইদিন ঝুলে থাকবে। তিন দিনের মাথায় আবার বেচে উঠবেন।)
রাত তিনটা। আরোহীর ঘুম ভেঙ্গে গেলো। পাশে কুহু নেই। পানি খাওয়ার জন্য রুম থেকে বের হবে। হঠাৎ ফোনে একটা ম্যাসেজ এর শব্দ হয়। আরোহী ফোনটা হাতে নিয়ে চোখ বড় বড় করে ফেলে। আরোহী সবাইকে ফোন করে বেরিয়ে পড়ে বাইক নিয়ে। তিন রাস্তার মোড়ে যেতেই আরোহীর পিছনে গাড়িয়ে নিয়ে সবাই চলে আসে। শুনশান ফাকা রাস্তা। গাড়ির হেড লাইটের আলোয় রাস্তা ফকফকা হয়ে গেছে। গাড়ি এসে একটা গুদাম ঘরে থামলো। সবাই গাড়ি থেকে নেমে যে যার প্রস্তুতি নিলো। একে একে চারপাশ ঘিরে ফিরলো। আরোহী গুদাম ঘরের দিকে এগোতে লাগলো। একজন আগে চলে গেলো দরজা খুললো আরেকজন ঢুকে পড়লো পিস্তল তাক করে তারপর আরোহী ঢুকলো। গুদাম ঘরটা পুরো ফাঁকা। ঘরের এক কোণে কুহুর হাত পা মুখ বাধা অবস্থায় পড়ে আছে। আরোহী কুহুর কাছে চলে গেলো। কুহুর সব বাঁধন খুলে দিয়ে কুহুকে নিয়ে বাসায় চলে আসে। কুহুকে পানি খেতে দেয়। কুহু পানি খাওয়া শেষ করে হাঁফাতে লাগলো। আরোহী বলে উঠলো
-তুই ওখানে কিভাবে গেলি।
-আমি নিচে দারোয়ানের সাথে কথা বলতে নামছিলাম। তার ছেলে অসুস্থ এখনি কিছু টাকা লাগবে। এত রাতে তো সে আর টাকা পাঠাবে কিভাবে। আমার বিকাশ থেকে পাঠিয়ে দিবো।
-তাহলে তুই আমাকে ডাকলি না কেন?
-তুই ঘুমাছিলি তাই ডাকিনি। যখনই নিচে নেমে দারোয়ানের কাছে গেলাম তখন দারোয়ান মাটিতে লুটিয়ে আছে। পিছন থেকে কে জেনো আমার মুখে নুমাল দিয়ে চেপে ধরলো। তারপর মনে নেই।
-তোকে যারা নিছিলো তারা কোথায় গেলো।
-তারা কেউ বেঁচে নেই।
আরোহী সহ সবাই হা হয়ে গেলো
-মানে
-যখন ঙ্গান ফিরে তখন দেখি ওদের সবাইকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়। লোকটা ঘরটা থেকে বের হতেই কিছু লোক ঢুকে লাশগুলো নিয়ে যায়। তার কিছুক্ষণ তুই আসছি।
আরোহী উঠে দাঁড়ায় । ভাবতে থাকে কে হতে পারে। আর লাশগুলো কোথায় নেওয়া হলো। আমাদের লোকজন তো কেউ যায়নি। তাহলে কি আমি বাদে আরো কেউ একজন আছে এই শহরে। আরোহী ভাবনা থেকে বেরিয়ে সবাই ইশারা করলো সবাই চলে গেলো। কুহুকে ঘুমাতে যেতে বললো। কুহু চলে গেলো। আরোহীর চোখ পড়ে মেহেরাবের রুমের দিকে। রুমটা অন্ধকার। আরোহী অন্ধকার দেখে ভাবতে লাগলো অন্ধকার কেন রুমটা। যাবে নাকি না। ভাবতে ভাবতে মেহেরাবের রুমে যেয়ে লাইট জ্বালালো। মেহেরাব গুটিসুটি হয়ে বাচ্চাদের মতো বিভোর ঘুমে কাতর। আরোহী হেসে দিলো। তারপর বেরিয়ে আসলো। ভাবতে লাগলো কে হতে পারে সেদিন নদীর পাড় থেকে আজ কুহুকে গুদাম ঘর থেকে বাচালো৷ আরোহীর মাথায় প্রশ্নের খেলা খেলছে।
পরেরদিন
আরোহীর সাথে ভার্সিটির উদ্দেশ্য রওনা হলো মেহেরাব। আজ আর বাইক নিয়ে নয়। গাড়ি নিয়ে রওনা হলো। মেহেরাবের চোখটা রাস্তার কোণের দিকে আটকে গেলো। গাড়িটা এগিয়ে গেলো সামনের দিকে মেহেরাব বলে উঠলো
-গাড়িটা থামান।
আরোহী অবাক হয়ে
-কেনো?
-আমার একটু কাজ আছে।
গাড়িটা থামালো ড্রাইভার। মেহেরাব গাড়ি থেকে নেমে দৌড় শুরু করলো। আরোহী অবাক হয়ে গেলো এমন কান্ড দেখে।
হৃদয় নেহাকে বললো
-তুমি বাসায় যেয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও। সারারাতে তো ঘুমাওনি। একটু রেস্ট করো।
-লাগবে না কিছু। আমি ঠিক আছি। তোমার বাসা থেকে কি কেউ আসছে।
-হ্যা সবাই আসছে। তুমি চলো তোমাকে এগিয়ে দি।
-আচ্ছা চলো।
-তুমি আমার জন্য এতো কিছু করতে গেলে কেনো?
-কেনো করবো না। তবে পরে সব হিসাব বুঝে নিবো।
-হ্যা নিয়ো কিন্তু যা করলে কেউ কারো জন্য করে না।
-ওরে বোকা সবাই সমান না। কেউ করে কেউ করে না। আর তাছাড়া তোমার মা আমার মা না বুঝি
-তা কখন বললাম।
-তাহলে আর কোনো কথা না।
নেহা হৃদয়ের হাতটা চিপে ধরলো শক্ত করে তারপর হাটা শুরু করলো।
মেহেরাব দৌড়ে এসে বাচ্চা মেয়েটার সামনে দাঁড়িয়ে
-কি হয়েছে তুমি কাঁদছো কেন?
-আমার ফুলগুলো নিয়ে গেছে একটা টাকা ও দেয়নি। আমি এখন বাসায় যাবো কিভাবে। মা কে কি বলবো। মা তো আজ আমাকে মেরেই ফেলবে জানলে।
কথাগুলো বলেই কেঁদে দিলো বাচ্চা মেয়েটি।
-কে নিছে। আর কেন টাকা দিলো না?
মেয়েটা আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে
-এ যে পার্কে বসে আছে ঐ ভাইয়াটা। আমি ২০ টাকা বেশি চাইছি। তাই সে বললো কেন টাকা বেশি চাইলাম একটা টাকা ও দিবে না। আমি টাকাটা বেশি চেয়েছি আমার ছোট ভাইটার জন্য চকলেট নিবো বলে। আর আসল টাকাগুলো মাকে দিবো।
মেহেরাব এতটুকু বাচ্চার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলো।
(জীবনযুদ্ধে কতই না কি করছে। কেউ ছিনতায়,ডাকাতি চুরি, ভিক্ষা,রিকশা, কেউ হকারি, কেউ বা বাটপারি। আর এমন ও ছোট ছেলেমেয়ে আছে ফুল বিক্রি করছে। আসলে মাথার উপর সবথেকে বড় ছায়া হলো বাবা। বাবা যদি না থাকে তাহলে বোঝা যায় জীবনটা কতটা কঠিন)
-আচ্ছা তুমি আমার সাথে চলো।
-না ভাইয়া আমি যাবো না। ঐ ছেলেটা ভালো না। একজন গেছিলো তাকে মারছে। আর আমাকে ডাক্কা মেরে ফেলে দিছে।
মেহেরাবের মাথায় মুহূর্তে রক্ত উঠে গেলো। মুখের রং বদলে গেলো। মেয়েটার হাত ধরে নিয়ে পার্কের ভেতর ঢুকে ছেলেটার বুকের উপর সজোরে পা দিয়ে লাঠি মারে। ছেলেটা বসা অবস্থায় পিছনের দিকে ছিটকে পড়ে যায়। ছেলেটার সাথে মেয়েটা দাড়িয়ে পড়ে হা হয়ে যায়।
হৃদয় নেহাকে এগিয়ে দিয়ে হাসপাতালে এসে হা হয়ে গেলো। শুভ্র আশফা দাঁড়িয়ে আছে। হাতে টিফিনবাক্স। শুভ্র বলে উঠলো
-কই ছিলি কখন থেকে এসে দাঁড়িয়ে আছি।
-তুই এখানে কেন?
-কেন রে কি ভাবছিস কিছু জানবো না বুঝি। আন্টি কেমন আছে। আর ধর আগে খেয়ে আমাদের উদ্ধার কর।
শুভ্র হৃদয়ের হাতে টিফিনবাক্স দিলো। হৃদয় বললো
-কিন্তু তোরা কিভাবে জানলি?
-তুই আমাদেরকে পর ভাবতে পারিস কিন্তু আমরা তো ভাবিনা তাই খোজ পেয়ে গেলাম। আন্টি কোন বেডে বল।
-৫২৭ নাম্বারে আছে।
-আচ্ছা তুই খেয়ে আয়। আমরা আন্টির কাছে যাচ্ছি।
ছেলেটা উঠতে যাবে তখন মেহেরাব ছেলেটার বুকের উপর পা দিয়ে
-অসহায়দের রিজিক মেরে খেতে আনন্দ লাগে। ওদেরটা ছাড়া তো আর কারো টা তো মেরে খেতে জানিস না।
ছেলেটা হাত দিয়ে মেহেরাবের পা সরানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। পার্কের সবাই চেয়ে আছে
-সকাল সকাল গালফ্রেন্ডকে নিয়ে ডেটিং করতে পার্কে চলে আসছিস তার মন জয় করার জন্য কত কি না করছিস। টাকা উড়াচ্ছিস। আর এই মেয়েটা ফুলের দাম সহ ২০ টাকা বেশি চেয়েছে তাকে তার পাওনা টাকা না দিয়ে ডাক্কা মারছিস।
-কে তুই? আমাকে তুই চিনিস না। তোর এই পা আমি ভেঙ্গে দিবো। আমাকে ঙ্গান দিতে আসছিস।
মেহেরাব চেঁচিয়ে
-ওহ তাই নাকি নে ডাক তোর কোন বাপ আছে।
ছেলেটার গালফ্রেন্ড এসে
-ভাইয়া আপনি কে আমি জানি না। আপনি ওকে ছেড়ে দিন৷ আর এই যে আমি টাকাটা দিয়ে দিচ্ছি। আমি এর কিছুই জানতাম না৷
মেহেরাব পা টা সরিয়ে নেয়। ছেলেটা উঠে দাঁড়িয়ে মেহেরাবের দিকে তেড়ে আসতেই। ছেলেটার গালে ঠাস করে চড় বসিয়ে দিয়ে মেয়েটা বললো
-ছিঃ আমার ঘৃণা লাগছে তোর মতো একটা ছেলের সাথে রিলেশন এ এসে। তুই কি মানুষ?
-দেখো তুমি আমাকে ভূল বুঝছো৷ ও সব মিথ্যে বলছে।
-কোনটা মিথ্যে আর কোনটা সত্য আমি জেনে গেছি। ভাইয়াটা ঠিকি কথা বলছে গালফ্রেন্ডের মন জয় করতে তার পিছনে টাকা উড়াতে আনন্দ লাগে। পথশিশুদের পিছনে টাকা উড়াতে কষ্ট লাগে। আবার তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার ও করা হয়। তোর সাথে আমি আর রিলেশন রাখবো না।
-প্লিজ এমন করে বলো না। আমি আর কখনো এমনটা করবো না মাফ করে দাও।
-যাও ঐ বাচ্চা মেয়েটার কাছে মাফ চাও আর ঐ ভাইয়াটার কাছে। ওরা মাফ করলে আমি ও করে দিবো৷
ছেলেটা যেয়ে মাফ চাইলো। তারপর মেহেরাব বাচ্চা মেয়েটাকে নিয়ে বাইরে আসলো। মেয়েটি বললো
-ভাইয়া একটু বসো তুমি
মেহেরাব বসে
-কেন?
বাচ্চা মেয়েটা মেহেরাবের গলা জড়িয়ে ধরে গালে পাপ্পি দিয়ে
-ভাইয়া তুমি খুব ভালো। ওরা সবাই পঁচা।
মেহেরাবের মনটা ভরে গেলো। এমন কান্ড দেখে। মেহেরাব মেয়েটার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে পকেট থেকে কিছু টাকা বের করে দিয়ে
-এটা রাখো। আর বাসায় যাও। তুমি ও কিছু কিনে খেয়ো৷ তোমার ছোট ভাইটার জন্য চকলেট নিয়ো সাথে আরো কিছু কেমন।
-না ভাইয়া আমি এমনি এমনি থাকা নি না। এতে মানুষ মন্দ বলে। তোমার টাকা তুমি রেখে দাও।
মেয়েটার মুখে এমন কথা শুনে মেহেরাব হা হয়ে গেলো তারপর বললো
-আমি তো এমনি দিচ্ছি না। তুমি রোজ আমাকে ফুল দিবে তাহলে টাকাটা পরিশোধ হয়ে যাবে।
বাচ্চা মেয়েটা আবারো মেহেরাবের গলা জরিয়ে ধরে
-তুমি খুব ভালো ভাইয়া। আচ্ছা যায়। কাল এখানে এসো ফুল নিতে। মা অনেক খুশি হবে আজ।
বাচ্চা মেয়েটা চলে যাচ্ছে মেহেরাব ওর চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগে
এতটুকু বয়সে কি না করছে।
আমাদের মাঝে অনেক পথশিশু আছে যারা ফুল বিক্রি করে রাস্তায় পার্কে পার্কে।
আবার অনেক পথশিশু আছে রাস্তায় পার্কে কাউকে দেখলে ভাইয়া দুটো টাকা দেন।
টাকা না দেওয়া পর্যন্ত তারা ঘ্যানঘ্যান করতে থাকে।
পা জরিয়ে ধরে বলে দুটো টাকা দেন কিছু খায়নি এখনো।
তাদের সাথে অনেকে খারাপ ব্যবহার ও করে। ডাক্কা মেরে ফেলে ও দেয়।
অনেকে আছে সাথে গালফ্রেন্ড নিয়ে ঘুরতে গেলো তাদের কাছে যেয়ে টাকা চাইলে তারা টাকা বের করে দেয়।
তার আগে দেয় না।
কেন দেয় হুম এটাই প্রশ্ন। কারণ তখন তো গালফ্রেন্ডের কাছে মহান বড় সাজতে হবে বলে।
কিন্তু মনে মনে পথশিশুকে অনেকগুলো গালি তো ফ্রি তে দিয়ে দেয়।
ডেটিং শেষ এ যখন বন্ধুবান্ধবের সাথে আড্ডা মারে তখন পথশিশুকে হাজার ভাবে গালি দেয়।
তখন আর আসার টাইম পায় না। গালফ্রেন্ড সাথে দেখলেই এসে টাকা চাইবে।
ফুল নিয়ে আসবে ভাইয়া ভাবিকে একটা ফুল কিনে দেন। হুম এটাই বাস্তবতা।
এটাই তো নিয়ম। সবসময় চলে আসছে এমনটাই।
আজব দুনিয়া।
গাড়ির আওয়াজে মেহেরাব ভাবনা থেকে বাস্তবে ফিরে এসে পেছনে তাকাতে দেখলো আরোহী দাঁড়িয়ে আছে। আরোহী মুচকি হেসে দিয়ে -কাজ শেষ হলে চলো। হৃদয়ের মা হাসপাতালে।
মেহেরাব অবাক হয়ে
-কেনো কি হয়েছে?
-অপারেশন হয়েছে।
মেহেরাব গাড়িতে উঠে। গাড়ি হাসপাতালে যেয়ে থামলো। সেখানে সবাই ছিলো। হৃদয় অবাক হয়ে যায়।
সন্ধ্যা ছ টায় মর্জিনা খান দেশে আসলো। এসেই সোজা চলে গেলো বৈঠকে। তার পিছনে অনেকগুলো গাড়ি। লোকেশন মোতাবেক গাড়ি এসে থামলো। মর্জিনা খান ভেতরে ঢুকতেই অবাক হয়ে গেলো।
চলবে…..

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com