Breaking News

আল্লাহর বান্দা ও রসূলের উম্মাতে হওয়ার মৌলিক সুত্র

তাগুতের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেই আল্লাহর বান্দা হতে হবেঃ 
আল্লাহ তায়ালা বলেন : “দ্বীন ইসলামের ব্যাপারে কোন জোর-জবরদস্তি নেই। সুপথ গোমরাহীর পথ থেকে সুস্পষ্ট হয়ে গেছে। অতঃপর যে ব্যক্তি তাগুত (আল্লাহদ্রোহীতা)-কে অস্বীকার করবে এবং আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন করবে, সে এমন এক মজবুত হাতল ধারণ করবে, যা কখনও বিচ্ছিন্ন হবে না। আল্লাহ সর্বশ্রোতা ও মহাজ্ঞানী।” – (সূরা বাকারাহঃ আয়াত ২৫৬)
মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন আরও বলেনঃ “যারা তাগুতের দাসত্ব থেকে দুরে থাকে এবং আল্লাহর অভিমুখী হয়, তাদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ, অতএব আমার বান্দাগণকে সুসংবাদ দিন।” – ( সূরা যুমারঃ আয়াত ১৭)
আল্লাহর বান্দাগণের জীবন হল তাকওয়ার জীবনঃ 
আল্লাহ তায়ালা বলেন : “নিশ্চয়ই মু’মিন তারা, আল্লাহর নাম উচ্চারিত হলে যাদের হৃদয় প্রকম্পিত হয়, যখন তাদের নিকট আল্লাহর আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন তাদের ঈমানকে সুদৃঢ় করে আর তারা শুধু তাদের প্রভুর উপরেই ভরসা রাখে। যারা সালাত কায়েম করে এবং আমি যে জীবিকা তাদেরকে দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে- তারাই সত্যিকারের মু’মিন। তাদের প্রভুর নিকট তাদের জন্য রয়েছে মর্যাদা, ক্ষমা এবং সম্মানজনক জীবিকা।” – (সূরা আনফালঃ আয়াত ২-৪)
জুলুমের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেই রসূলের উম্মাত হতে হবেঃ
 হযরত কাব বিন উজরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “জেনে রাখো অচিরেই অনেক জালিম শাসক আসবে। যারা সেই সকল শাসকদের সাথে আঁতাত করবে, তাদের অন্যায়গুলোকে সমর্থন দিবে এবং তাদের জুলুমে সহযোগিতা করবে সে আমার উম্মত নয় এবং আমিও তাঁদের দায়িত্ব নিবো না এবং (কিয়ামতের দিন) তাকে আমার হাউজে কাউসারের সামনে আসতে দেয়া হবে না। আর যাঁরা সেই সকল জালিম শাসকদের সাথে আঁতাত করবে না, তাদের জুলুমে সহায়তা করবে না তাঁরা আমার উম্মত এবং আমি তাঁদের দায়িত্ব নিবো এবং তাঁদেরকেই কিয়ামতের দিন হাউজে কাউসারের পানি পান করানো হবে।” – [তিরমিযীঃ ৬১৪, সহিহ]
উম্মাতের জীবন হল সুন্নাতের অনুসরণঃ 
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন তিন ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীদের নিকট তার ইবাদতের অবস্থা জানার জন্য আসেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইবাদতের খবর শুনে তারা যেন তার ইবাদতকে কম মনে করলেন।
তারা পরস্পর আলাপ করলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তুলনায় আমরা কী?
আল্লাহ তাআলা তার আগের-পিছের সকল গুনাহ মাফ করে দিয়েছেন।
তাদের একজন বললেন, আমি সারা রাত সালাত আদায় করবো।
দ্বিতীয়জন বললেন, আমি দিনে সিয়াম পালন করবো, আর কখনো তা ত্যাগ করবো না।
তৃতীয় জন বললেন, আমি নারী থেকে দূরে থাকব, কখনো বিয়ে করবো না।
তাদের এই পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে পড়লেন এবং বললেন, “তোমরা কি এ ধরনের কথাবার্তা বলেছিলে?
খবরদার! আমি আল্লাহকে তোমাদের চেয়ে বেশী ভয় করি, তোমাদের চেয়ে বেশী তাকওয়া অবলম্বন করি।
কিন্তু এরপরও আমি কোন দিন সিয়াম পালন করি আবার কোন দিন সিয়াম পালন ছেড়ে দিই।
রাতে সালাত আদায় করি আবার ঘুমও যাই। নারীদেরকে বিয়েও করি।
এটাই আমার পথ। তাই যে আমার পথ ছেড়ে দেয়, সে আমার (উম্মতের মধ্যে) গণ্য নয়।” – (বুখারীঃ ৫০৬৩)

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com