রোগীর সেবায় সওয়াব
রোগীদের দেখতে মানুষ কেন যায়? তার ধন-সম্পদ ও প্রতিপত্তির কারণে? যদিও কখনো এমন হয় না। তা ছাড়া এমন হলে গরিবদের দেখতে যাবে? তাহলে কি অসুস্থের শক্তি-বাহাদুরির কারণে দেখতে যাওয়া হয়? না, সেটাও না। যদি তেমন হতো দুর্বলদের কে দেখতে যাবে? কারও পদমর্যাদা, বংশ-আভিজাত্য ও সৌন্দর্যের কারণেও দেখতে যাওয়া হয় না বলে আমার বিশ্বাস।
নিষ্ঠাবান ও মানবহিতৈষী ব্যক্তিরা এসব কিছুর দিকে দেখে না।
বরং রোগীকে দেখতে যান আল্লাহর পক্ষ থেকে সওয়াব ও প্রতিদান লাভের আশায়। মুসলমান ভাইদের দুঃসময়ে তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশের জন্য।
সওবান (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোগীর সেবা-শুশ্রুষায় যায়, সে ওখানে যতক্ষণ অবস্থান করে, ততক্ষণ জান্নাতের বাগানের মধ্যে থাকে। ’ (মুসলিম, হাদিস : ২৫৬৮)
আলী (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে মুসলিম সকালবেলা কোনো মুসলিম রোগীর সেবা-শুশ্রুষায় যায়, ৭০ হাজার ফেরেশতা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করতে থাকে। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যাবেলা শুশ্রƒষা করতে যায়, সকাল পর্যন্ত সত্তর হাজার ফেরেশতা দোয়া করতে থাকে এবং জান্নাতে তাকে একটি বাগান দেওয়া হয়। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ৯৬৯)
উম্মে সালাম (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা যখন রোগী অথবা মৃত্যুআসন্ন ব্যক্তির কাছে যাও তখন ভালো কথা বলো। কারণ সেখানে তোমরা যা কিছু বলো, সেটার ওপর ফেরেশতারা আমিন আমিন বলতে থাকেন। ’ (মুসলিম, হাদিস : ৯১৯)
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) যখন কোনো রোগীকে দেখতে যেতেন অথবা রোগীকে তার কাছে নিয়ে আসা হতো, তখন তিনি রোগীর জন্য এই দোয়া করতেন। ‘হে মানুষের প্রতিপালক! কষ্ট দূর করে দাও।
সুস্থতা দাও, তুমিই সুস্থতা দানকারী। এমন সুস্থতা দাও যার পরে আর কোনো অসুখ না হয়। ’ (বুখারি, হাদিস : ৫৬৭৫, মুসলিম, হাদিস : ২১৯১)