Breaking News

মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমির ৩০টি উক্তি ও বাণী

১. মোমবাতি হওয়া সহজ কাজ নয়। আলো দেওয়ার জন্য প্রথম নিজেকেই পুড়তে হয়।
২. তোমার জন্ম হয়েছে পাখা নিয়ে, উড়ার ক্ষমতা তোমার আছে। তারপরও খোঁড়া হয়ে আছো কেন!
৩. তোমার হৃদয়ে যদি আলো থাকে, তাহলে ঘরে ফেরার পথ তুমি অবশ্যই খুঁজে পাবে।
৪. আমাদের চারপাশেই সৌন্দর্য ছড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু এটা বুঝতে হলে বাগানে হাঁটতে হবে।
৫. প্রতিটি মানুষকে একটা নির্দিষ্ট কাজের জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং সেই কাজটি তার হৃদয়ে গ্রন্থিত আছে। প্রতিটি মানুষ ভেতর থেকে ঠিক সেই কাজটি করার জন্যই তাড়না অনুভব করে।
৬. যা কিছু হারিয়েছো তার জন্য দুঃখ করো না। তুমি তা আবার ফিরে পাবে, আরেকভাবে, আরেক রূপে।
৭. এটা তোমার আলোই, তোমার আলোই এই জগতকে আলোকিত করে।
৮. প্রদীপগুলো আলাদা, কিন্তু আলো একই।
৯. বৃক্ষের মতো হও, আর মরা পাতাগুলো ঝরে পড়তে দাও।
১০. ঘষা খেতে যদি ভয় পাও, তাহলে চকচক করবে কীভাবে?
.
১১. শব্দ দিয়ে প্রতিবাদ করো, কণ্ঠ উঁচু করে নয়। মনে রাখবে ফুল ফোটে যত্নে, বজ্রপাতে নয়।
১২. গতকাল আমি বুদ্ধিমান ছিলাম, তাই পৃথিবীটাকে বদলে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আজ আমি জ্ঞানী, তাই নিজেকে বদলে ফেলতে চাই।
১৩. প্রদীপ হও, কিংবা জীবনতরী, অথবা সিঁড়ি। কারো ক্ষত পূরণে সাহায্য করো।
১৪. শোক করো না। তুমি যাই হারাও না কেনো তা অন্য কোনো রূপে ফিরে আসবে।
১৫. তুমি সাগরে এক বিন্দু পানি নও। তুমি এক বিন্দু পানিতে গোটা এক সাগর।
১৬. কেউ যখন কম্বলকে পেটাতে থাকে তখন সেটা কম্বলের বিরুদ্ধে নয়, ধুলোর বিরুদ্ধে।
১৭. প্রেম আসলে কোথাও মিলিত হয় না। সারাজীবন এটা সবকিছুতে বিরাজ করে।
১৮. অন্যের জীবনের গল্প শুনে সন্তুষ্ট হয়ো না, নিজের পথ তৈরি করো, নিজের জীবন সাজাও।
১৯. সুন্দর ও উত্তম দিন তোমার কাছে আসবেনা, বরং তোমারই এমন দিনের দিকে অগ্রসর হওয়া উচিত।
২০. তুমি এ ব্রহ্মাণ্ডে গুপ্তধনের খোঁজ করছো, কিন্তু প্রকৃত গুপ্তধনতো তুমি নিজেই।
.
২১. স্রষ্টার কাছে পৌঁছানোর অজস্র পথ আছে। তার মাঝে আমি প্রেমকে বেছে নিলাম।
২২. যে কখনো বাড়ি ছাড়েনি, তার কাছ থেকে যাত্রার উপদেশ নিও না।
২৩. আকাশ কেবল হৃদয় দিয়েই ছোঁয়া যায়।
২৪. সিংহকে তখনই সুদর্শন দেখায় যখন সে খাবারের খোঁজে শিকারে বেরোয়।
২৫. শুধু তৃষ্ণার্ত পানি খুঁজে না, পানিও তৃষ্ণার্তকে খোঁজে।
২৬. নতুন কিছু তৈরি করো, নতুন কিছু বলো। তাহলে পৃথিবীটাও হবে নতুন।
২৭. যে বাতাস গাছ উপড়ে ফেলে, সেই বাতাসেই ঘাসেরা দোলে। বড় হওয়ার দম্ভ কখনও করো না।
২৮. সব কিছু জেনে ফেলাই জ্ঞান নয়, জ্ঞান হলো কী কী এড়িয়ে যেতে হবে বা বর্জন করতে হবে তা জানা।
২৯. দুই ব্যক্তি কখনও সন্তুষ্ট নয়- বিশ্বকে যে ঘুরে দেখতে চায় আর যে আরও জ্ঞান আহরণ করতে চায়।
৩০. যদি তুমি চাঁদের প্রত্যাশা কর, তবে রাত থেকে লুকিয়োনা। যদি তুমি একটি গোলাপ আশা কর, তবে তার কাঁটা থেকে পালিয়োনা, যদি তুমি প্রেমের প্রত্যাশা করো, তবে আপন সত্তা থেকে হারিওনা।
.
শেখার জন্য তুমি পড়াশোনা করো, কিন্তু বুঝতে হলে তোমার প্রয়োজন ভালবাসা
– শামস তাবরিজি
জীবনের ভাবনাগুলো তখন শুধু জ্ঞানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি, সেগুলো হয়ে উঠেছিল নীরব আর গভীর। যেমন শামস তাবরিজিকে খুঁজে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষার বিপরীত দিকে গিয়ে তিনি লেখেন,
আমি কেন তাকে খুঁজব?
সে আর আমি তো একই
তার অস্তিত্ব আমার মাঝে বিরাজ করে
আমি নিজেকেই খুঁজছি।
জীবনে এগিয়ে যাওয়া, পিছিয়ে যাওয়া, দুনিয়ায় টিকে থাকার যুদ্ধ- এসব বিষয়কে রুমি যেন নতুন করে পৃথিবীর সামনে নিয়ে আসেন। রুমি মানুষের নিজস্বতার উপর জোর দিলেন, মানুষের ভেতরকার আলোর সন্ধান দিলেন, যে আলো পৃথিবীর থেকেও শক্তিশালী বলে তিনি জানান,
.
তুমি কি এখনও এ ব্যাপারে অবগত নও? এ তো তোমারই আলো, যা দিয়ে সমগ্র জগত প্রজ্বলিত হয়!
মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি দিন দিন যেন নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে শুরু করলেন। সুফিবাদ আর মানুষের নিজের আলো জ্বালাতে যেন আরও দুর্বার, দুরন্ত হয়ে উঠলেন। তার জীবনে আসতে থাকলো নতুন নতুন ভাবনা আর কাজ, যা দিয়েই তিনি মৃত্যুর এত বছর পরও আলোচনা-ধ্যান-জ্ঞানে বেঁচে আছেন।
আমরা শূন্য থেকে ঘুরতে ঘুরতে এসেছি
যেমনটা তারারা আকাশে ছড়িয়ে থাকে
তারারা মিলে একটি বৃত্তের সৃষ্টি করে
এবং তার মাঝে আমরা নাচতে থাকি।
.
মানুষ তার জীবনে খুব বেশি কিছু হলে একটি ইতিহাস হয়, মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি হয়েছেন এক জীবনব্যবস্থা, ভাবনার পরিপূর্ণতা! তিনি নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন বার বার, তবে পা দুটো তার মাটিতেই ছিল। তিনি নিজের ভেতর জন্ম নেয়া আলোকে চিনতে পেরেছেন, সেই আলোয় আলোকিত করতে চেয়েছেন সারা পৃথিবীকে। শক্তিশালী সব চিন্তা-চেতনা দিয়ে হৃদয় আলোকিত করতেই যেন জন্মেছিলেন মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি। এক আধ্যাত্মিক জীবনের খোঁজে তার কাছে তো যাওয়াই যায়।
তোমার ক্ষুদ্র জগত থেকে বের হয়ে আসো এবং স্রষ্টার অসীম জগতে প্রবেশ করো

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com