Breaking News

স্বপ্নের ক্রাশ । সত্য ঘটনা অবলম্বনে । পর্ব -১৫

সবাই আরোহিকে খুজতে ব্যাস্ত হয়ে গেলো,, সামনে অর্ণবকে দেখে,
আহানঃ অর্ণব, আরোহিকে দেখেছিস?
অর্ণবঃ না, কেন?
আহানঃ ওকে খুজে পাচ্ছি না
অর্ণবঃ হোয়াট! অনুষ্ঠান ছেড়ে কোথায় যাবে? সায়র কোথায় দেখ
আহানঃ সায়র এখানেই আছে। আরোহিকে খোজ
অর্ণবঃ হুম তুই চিন্তা করিস না। আমি ওদিকে দেখছি
প্রায় ৩০ মিনিট খোজার পরও আরোহিকে পেলো না, আহানতো একেবারে ভয় পেয়েছে মনে হচ্ছে।
হঠাৎ অর্ণব অরনিকে ফোন করে আরোহি বাসায় গেছে কি না খোজ করতে,
ফোনে,
অর্ণবঃ হ্যালো অরনি
অরনিঃ জি বলেন
অর্ণবঃ আরোহি কি বাসায়?
অরনিঃ না তো আপু তো কলেজে গেছে, আপনাদের অনুষ্ঠান আছে না ( অরনির মা অরনির রুমে আসে)
অর্ণবঃ হ্যা কিন্তু ওকে কোথাও খুজে পাওয়া যাচ্ছে না
অরনিঃ (জোরে) কি আপু কে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না ???
জোরে বলায় অরনির মা পাশে শুনতে পায়
অরনির মাঃ কিহ? আরোহি কোথায়?
অরনিঃ আ….আআপুকে নাকি খুজে পাওয়া যাচ্ছে না
অরনির মাঃ ওদের বল ফুচকার দোকানগুলোতে খোজ করতে
অর্ণব এদিকে লাইনেই ছিলো, অরনির মায়ের কথা শুনে বেচারা থ ?
অরনিঃ মা ও ফুচকার দোকানেও নাই
অরনির মাঃ কিইই ? ( এবার আরোহির মা টেনশনে পড়ে গেছেন, শত হোক তার মেয়ে তো) আচ্ছা তোকে কে বললো?
অরনিঃ উম…আম… আরোহি আপুর ফ্রেন্ড ?
অরনির মাঃ ( এবার উনি অনেক চিন্তিত)
অরনিঃ ( আম্মু তো আমার রুমেই বসে পড়লো, এইবার কিভাবে কথা বলবো? ?)
অর্ণবঃ এই অরনি
অরনিঃ হ্যা,,,, হ্যা ভাইয়া বলেন
অর্ণবঃ হোয়াট ভাইয়া?
অরনিঃ না না ভাইয়া একদম চিন্তা করো না, আম্মু আমার সামনেই আছে। আমি আম্মুর খেয়াল রাখছি
অর্ণবঃ মানছি তোমার মা সামনে, কিন্তু তাই বলে ভাইয়া? ? ?
অরনিঃ ( ? আমার সিচুয়েশন না বুঝে উনি ভাইয়া নিয়ে পড়ে আছেন, কেমনটা লাগে? অনেক কষ্টে রাগ কন্ট্রোল করে দাঁতে দাঁত চেপে বললাম) ওহ আপু তুমি? আচ্ছা তাহলে আজকে রাখি আপুউউউ????
অর্ণবঃ এই আমি কি মেয়ে যে আপু বলছো?
অরনিঃ না তুমি বলদ
অর্ণবঃ ?
অরনির মা এই কথা শুনে অরনির দিকে তাকাতেই
অরনিঃ আচ্ছা খবর পেলে জানিয়ো। রাখি ( বলেই ফোন কেটে দিলাম।।। ??)
অর্ণবঃ আরেএএএ, কেটে দিলো!! ? আচ্ছা আরোহিকে খুজি,,
আহান, অর্ণব, মিতু, নিশা এবং আরো অনেকে আরোহিকে খুজছে, কম্পিউটার ল্যাব একটু সাইডে হওয়াই ওদিকে কেউ যাচ্ছে না।
আহানঃ আচ্ছা সবী সব জায়গায় ঠিক করে খুজেছো তো
– হ্যা
আহানঃ কোথায় কোথায় খুজেছো?
-হল রুম, পার্কিং লট, স্টোর রুম, ক্লাস রুম, সায়েন্স রুম
আহানঃ আর কম্পিউটার রুম?
– ওটা তো তালা দেওয়া
আহান আর এক মুহুর্ত দেরী না করে কম্পিউটার রুমের দিকে গেলো
আরোহি কখন থেকে জানালার ধারে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু কেউ আসছে না, হঠাৎ অহিকে দেখতে পায়। কিন্তু বাহিরে সায়রের লোক আছে ভেবে আর ডাকতে পারে না। তবে হাতের ব্রেসলেট খুলে নিচে ফেলে দেয়। কিন্তু আহান বুঝতে পারে না। তাই অন্যদিকে চলে যায়
আরোহিঃ ধুর এখন তো আমার কাছে আর বড় কিছু নাই ?,, ( জানালার কাছে থেকে চলে আসে)
আহানঃ (ঘুরতে ঘুরতে একটা ব্রেসলেট পায়। যদিও জানে না এটা কার তবুও উপরের দিকে তাকাতেই দেখলো একটা রুমের জানালা খোলা।) কম্পিউটার রুম তো বন্ধ, তাহলে জানালা খুললো কিভাবে?
আহান কম্পিউটার রুমের সামনে গিয়ে দেখে দরজার তালা খোলা, ( আসলে একটু আগে সায়র তালা খুলে ঢুকতে নেয় আর আহান হাজির হওয়ায় ওভাবে রেখে পালিয়ে যায়)
আহানঃ তালা না লাগানো ছিল? ( ভেতরে ঢুকে কাউকে পেলাম না, অনেক খুজলাম কিন্তু পেলাম না, কিন্তু আমার মনে হচ্ছে আরোহি এখানেই আছে)
আরোহিঃ ( সায়রের গলার আওয়াজ শুনেই আমি লুকিয়ে পড়ি কিছুক্ষন পর কেউ একজন ঢুকে কিছু খুজতে থাকে। আমি লুকিয়ে থাকি)
আহানঃ (মনের কথা শুনে কয়েকবার আরোহি বলে জোরে জোরে ডাকলাম যেন আরোহি সারা দেয়) আরোহিইই আরোওহিইইই
আরোহিঃ এটা অহি ?? হ্যা এটা অহি ( আমি বের হতেই অহিকে দেখে ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরলাম আর কাদতে লাগলাম) ??
আহানঃ (ওকে দেখে মনে হচ্ছে অনেক ভয় পেয়েছে, তাই আর কিছু জিজ্ঞেস না করে ওকে নিচে নিয়ে আসলাম)
আরোহিকে দেখেই,
মিতুঃ আরোহি তুই ঠিক আছিস?
নিশাঃ আমাদের তো অনেক টেনশান হচ্ছিল,
আহানঃ থাক ওকে পরে জিজ্ঞেস করো, এখন ও ভয় পেয়ে আছে
মিতুঃ হুম বাসায় চল
আহানঃ তোমরা যাও। আমি ওকে পৌঁছে দিবো
নিশাঃ ওকে,, বাই আরোহি
আরোহি কিছুই বললো না, ও খুব ভয় পেয়েছে
অর্ণব অরনিকে কল দিয়ে জানিয়ে দিলো যে ওকে পাওয়া গেছে
আহান আরোহিকে গাড়িতে করে আরোহির বাসায় নিয়ে যাচ্ছে
.
to be continued..

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com