Breaking News

সাইকো লাভার । পর্ব -০৪



এভাবে চলতে থাকলো, এক সপ্তাহের মতো।
তিথি প্রথম পাঁচ ছয় দিন উঠতে না পারলেও আজ উঠে পড়েছে।
তবে সে আর আগের মতো আকাশকে আর এখানে আটকে রাখতে চায় না।
এর মধ্যে সে আরও দু-একবার সুসাইড করার চেষ্টা করেছে। সে আর বাঁচতে চাই না।
সে আকাশ কেউ ছেড়ে দিতে বলেছে।
সে আকাশকে আটকে রাখতে চায় না। তিথি তার কাকা কেও বলেছে সে যেন আকাশে ছেড়ে দেয়।
এই কয়দিন আকাশ তিথির কাছে খাবার নিয়ে এসেছে,
কিন্তু তিথি ওকে অবাক করে দিয়েছে। অন্য দিনের মতো তিথি আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে না,
আকাশ পাশে বসে এসে বসলে সে অন্যদিকে ঘুড়ে বসে, খাবার মুখে তুলে দিতে গেলে অন্য দিকে তাকিয়ে থাকে।
!
— না আকাশের সাথে একটা কথাও বলনি। আর আকাশ,
সে এখন মুক্ত তবে সে আর এই মেয়েটাকে এভাবে ফেলে রেখে চলে যেতে পারে
নিমেচোখে চোখে রাখছে সর্বদা। কারণ আকাশ জানে এখন সে তিথি কে একটু চোখের আড়াল
করলে সে একটা অঘটন ঘটিয়ে দেবে। একটা সচেতন প্রাণ এভাবে শেষ হয়ে যাবে, সেটা আকাশ চায় না।
তিথি সাইকো তবে আকাশ এটাও বুঝে গেছে তিথি মুখে যাই বলুক আকাশ এই গেট পার করার আগে সে নিজেকে শেষ করে দেবে। তিথি আকাশকে যতটা ভালোবাসে নন্দিনী তার এক গুণ ভালোবাসাও দিতে পারেনি আকাশকে।
!
–রাত সাড়ে দশটা বাজে এখন…..
— তিথি….. তিথি কোথায় তুমি? আসো খেয়ে নাও।(আকাশ)
!
— পুরো ঘর ফাঁকা, তিথি কোথায়? আকাশের সারা দেহ ঠান্ডা হয়ে আসে…..
তাহলে আবারও কি তিথি আকাশ আর কিছু ভাবতে পারে না ভয়ে হিম হয়ে আসে ওর দেহ…
আকাশ পাগলের মত খোঁজা শুরু করে। আজ কাকাবাবু ও বাড়ি নেই সিকিউরিটি এখন আর নেই
শুধুমাত্র গেটে একজন থাকেন প্রত্যেকটি ঘর বাগান সুইমিং পুলের জায়গা কোথাও নেই।
লিভিংরুমে কপালে হাত দিয়ে বসে পড়ে আকাশ। চোখে জল চলে এসেছে তার,
তাহলে কি শেষ রক্ষা হল না। হঠাৎ তার মনে পড়ে সে তো ছাদে একবারও যায়নি।
ছাদে নেই তো? পাগলের মতো ছুটে যায় ছাদে, ছাদে পৌঁছে কাউকে দেখতে পায় না।
পূর্ণিমা আজ। আকাশে আজ পূর্ণ চাঁদ উঠেছে, তিথি কে এখানেও দেখতে না
পেয়ে কেঁদে ফেলে আকাশ। ছাদের মাঝে এসে হাঁটু গেড়ে বসে পরে, হঠাৎই একটা শব্দ কানে আসে।
!
“he loves me,”
নাকি সে আমাকে ভালোবাসে না?
“he love me, “
নাকি সে আমাকে ভালোবাসে না?
Ok i do this..
“yes i attempted to suicide now
where is my sleeping pills where
(তিথি….)
!
–তিথি,,,,(আকাশ)
–আসবেন না আমার কাছে(তিথি)
!
–আর একটা কথাও বলবে না তুমি,,,,(আকাশ)
!
— I say leave me now (তিথি)
!
–no (আকাশ)
–yes(তিথি)
–No(আকাশ)
–yes…. please leave me now (তিথি)
!
–ok…but? (আকাশ)
!
—but?(তিথি)
!
–sleeping pills er bottle টা দাও(আকাশ)
!
— না (তিথি)
!
— কি চাও তুমি?( আকাশ)
!
–মরে জেতে (তিথি)
!
— কেন??( আকাশ)
!
— বাঁচতে চাই না, তাই….(তিথি)
!
— কেন বাঁচতে চাও না?( আকাশ)
!
— আপনার স্ত্রী আছে, বাবা আছে, তারা চিন্তা করছেন আপনি তো এখন মুক্ত ফিরে যাচ্ছেন না কেন তাহলে? (তিথি)
!
–আকাশ আর সহ্য করতে পারে না। প্রত্যেকটি কথা ওর বুকের তিরের মতো এসে বিঁধছে। চেপে ধরে তিথিকে একটা দেওয়ালের সাথে। নিজের ঠোঁট দুটো ছুয়ে দেয় তিথির ঠোঁটে। ভেঙ্গে দিচ্ছে সমস্ত অভিমান ও রাগ।
!
— তুমি জানো না, কেন আছি তোমার কাছে। এখনো বোঝনা তুমি (আকাশ)
!
— না বুঝিনা! আপনার স্ত্রীর কাছে যান আমাকে কেন বাঁচাচ্ছেন? আমাকে মরে যেতে দিন!(তিথি)
!
— তোমার কিছু হতে দেবো না আমি( আকাশ)
!
–আবারো আকাশের ঠোঁট মিশে যায় তিথির ঠোঁটে । কেঁপে ওঠে তিথির দুর্বল দেহটা। পাগলের মত এমন হচ্ছে, আকাশ তিথির থেকে সমস্ত অভিমান। এবার আকাশ নেমে আসে তিথির গলায়, ঘাড়ে, কানের লতিতে, আর ঠিক থাকতে পারেনা তিথি। আকাশ কে জাপটে ধরে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে তিথি।
!
— একে অপরকে জড়িয়ে নেয় ভালোবাসার বাহুডোরে পূর্ণিমার চাঁদ যেন আজ সাক্ষী হয়ে রইল, এই অসীম ভালোবাসার অভিমান ভঙ্গিতে।
!
—তিথি কে সম্পূর্ণ রূপে কোলে তুলে নেয় আকাশ। আরো কাছে টেনে নেয়, তারপর তিথি কে নিয়ে ধীর পায়ে নামতে থাকে আকাশ। তিথি চুপটি করে আকাশের গলাটা জড়িয়ে ধরে। পূর্ণিমার চাঁদ হঠাৎই ঢাকা পড়ে কালো মেঘে। নীচে নেমে আসছিল তিথি আর আকাশ। কিন্তু তিথি আস্তে করে আকাশের কানে কাছে গিয়ে বলল সে ভিজতে চায়। সে নিচে যাবে না।
!
— আকাশ বার বার বার আপত্তি করে, কিন্তু সে শুনতে নারাজ।
বাধ্য হয়ে তিথিকে নামায় আকাশ। নামাতে দেরি কিন্তু ছাদে উঠতে দেরি নেই।
এক দৌড়ে ছাদে। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি পড়ছে আকাশ সাইডে দাঁড়িয়ে ছিল।
তিথি দুই বাহুডোর প্রসারিত করে আকাশের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে।
বৃষ্টির জল সম্পূর্ণ ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছে মেয়েটিকে। অপরূপ সুন্দর দেখতে লাগছে তিথিকে।
নীল রঙের স্লিপলেস নাইট ড্রেসটিতে আরও মায়াবী লাগছে।
মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকে উঠছে আর সেই আলোয় আরো বেশি রহস্যময় লাগছে তাকে।
!.
— এবার আকাশের দিকে তাকায় সে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে…..
কিছু সময় আগে আকাশের রুপ মনে পড়েছে। ভীষণ লজ্জা লাগছে এখন,
আজ আকাশ প্রথমবার তিথির কাছে এসেছে। অন্যদিকে আকাশের মনে পড়ে নন্দিনীর সাথে তার প্রথম আলাপ।
!
–নন্দিনীও বৃষ্টি খুব ভালোবাসে। আজ তিথির মধ্যে আকাশ তার স্ত্রীকে খুঁজে পাচ্ছে।
আজ যেন তার সামনে নন্দিনী রয়েছে। যে বৃষ্টি দেখলে হাততালি দিয়ে নেচে উঠতো।
এমন অনেকবার হয়েছে, সে বাড়িতে নেই কিন্তু অসময়ে বৃষ্টি আসায় ছাদে জামাকাপড় তুলতে গিয়ে
ভিজে জবজবে হয়ে নিচে নেমেছে। সেদিন ভীষণ রেগে গিয়েছিল পিসি।
একটা বাজ পড়ার শব্দে স্বপ্নভঙ্গে আকাশের। সে এবার তিথিকে নেমে আসতে বলে।
তার আর ভালো লাগছেনা। নন্দিনীর কথা মনে পড়েছে। কি করছে মেয়ে কে জানে।
আবার যদি এই রাতে ভেজার বায়না ধরে তাহলে তো আর রক্ষা নেই পিসির কাছে।
!
— কি হলো তিথি নিচে চলো…।তোমার শরীর এখনো ঠিক হয়নি। কাকাবাবু বাড়িতে নেই। চলো নিচে তাড়াতাড়ি (আকাশ)
!
— আর একটু দাড়াও না আকাশ(তিথি)
!
— আর একটুও না চলো তাড়াতাড়ি (আকাশ)
!
–তিথি আকাশের কথা শুনে নিচে নেমে আসে।এসে ফ্রেশ হয়ে একটা পিতলা স্লিকের শাড়ি পড়ে বায়রে আসে। আকাশ মুড অফ করে বসে ছিল। হঠাৎ ল্যান্ড ফোনটা বেজে ওঠে। তিথি ফোনটা রিসিভ করে তার কাকু ফোন করেছে। হঠাৎ বৃষ্টি আসায় এবং রাত হয়ে যাওয়ায় তিনি আজ ফিরতে পারবে না। এর পর তিথি আকাশ কে বলে তাকে ওর ঘরে গিয়ে বসতে। আকাশ বাধ্য ছেলের মতো ঘরে গিয়ে বসে।
!
— কাকা আসবে না শুনে তিথি মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি খেলে গিয়েছিল। সে কিছু সময় পরে একটা দুটো শ্যাম্পেনের বোতল আর কিছু সরঞ্জাম নিয়ে আকাশে সামনে আসে। এবং ওর সামনে রাখে। এতক্ষণ আকাশ তিথিকে ভালো ভাবে খেয়াল করেনি। আকাশ এতক্ষণে দেখল একটা গ্রিন কালারের পাতলা সিল্কের শাড়ি পরেছে সে। সাথে ওর একটি কালো কালারের ব্লাউজ, কপালে ছোট্ট একটা টিপ, ভেজা চুলগুলো এলোমেলো ভাবে বিছিয়ে আছে পিঠ জুরে।
!
— এসব কি তুমি ড্রিঙ্ক করো?? (আকাশ)
!
–না এটা বাপির (তিথি)
!
–তুমি এটা নিয়ে কি করছো তাহলে?( আকাশ)
!
— আমি ঠিক করেছি আপনাকে আমি ছেড়ে দেবো, আবার কলেজ স্টার্ট করব, সত্যি তো আপনার স্ত্রীর রয়েছে আপনার বাবা অসুস্থ, না আকাশ আমি বুঝে গেছি জোর করে কারো ভালোবাসা পাওয়া সম্ভব নয়.! তবে এটাই আমার শেষ ইচ্ছা পূরণ করবেন না আমার ইচ্ছাটুকু। (তিথি)
!
— তুমি বলছো এই কথাগুলো তিথি…. তুমি আমাকে ছেড়ে দেবে+ আকাশ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে)
!
— আকাশ আমি বলেছি আমি তোমাকে ভালোবাসি এটা যেমন সত্যি তুমি নন্দিনি কে ভালোবাসো সেটা হচ্ছে চিরন্তন সত্যি। তাই তোমাকে নন্দিনির কাছে ফিরিয়ে দেবো। (আকাশ)
!
–সত্যি তিথি৷ তোমাকে যত দেখছি তত অবাক হচ্ছি( আকাশ)
!
— এর পর আকাশ আর তিথি একসাথে ড্রিঙ্ক করে।
তিথি বেশি খেতে পারে না তাই বেশিরভাগটাই আকাশ খেয়ে নেয়। কত গল্প করছিল ওরা।
আকাশে ভীষণ খুশি ছিল আজ মনের মধ্যে কেবল নন্দিনী ছবি ফুটে উঠছিল।
কিন্তু আস্তে আস্তে নেশা গাড়ো হতে থাকে। আকাশ ঠিকভাবে দাড়াতে পারছিল না।
তবে তিথির নেশা হয়নি সে আকাশকে ধরে শুইয়ে দেয়।
এবং সেই মহুর্তে ঘরের থেকে বাইরে আসে এবং তার সিকিউরিটি সার্ভিসের কর্মীদের
সাথে কি সমস্ত কথাবার্তা বলে। বাইরে তখনো বৃষ্টি পড়ছে একিভাবে। আবার সে ঘরে ফিরে আসে ।
!
–আকাশ ঘুমিয়ে আছে ওর বিছানায় তবে বৃষ্টি পড়ে বেশ ঠাণ্ডা হয়ে গেছে পরিবেশটা….
এরপর তিথি আকাশের গায়ে একটা চাদর দিয়ে দিতে যায় এবং ঢাকা দিয়ে দেয়।
তিথি আকাশের মাথার কাছে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে থাকে।
!
— তবে আকাশ স্বপ্ন দেখছে তার স্ত্রীকে নিয়ে হঠাৎ আকাশ তিথির হাতটা চেপে ধরে
নিজের মুখের কাছে নিয়ে এসে কিস করে তারপর বালিশ ছেড়ে তিথির কোলে মাথা রাখে।
তিথির ঠোঁট দুটো নামিয়ে নিয়ে আসে নিজের ঠোটের উপর।
ঠিক বাচ্চাদের মত করে চুমু খেতে থাকে।তারপর আস্তে আস্তে আকাশ আধ খোলা চোখে উঠে বসে।
তিথিকে টেনে নেয় বুকের কাছে, আর ঠিক থাকতে পারছে না তিথিও টেনে নেয় আকাশকে।
নিজের কাছে একে অপরকে বিবস্ত্র করে মেতে উঠে সেই আদিম যৌনত্রুিয়ায়।
চলবে…

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com