Breaking News

শেষ বিকেলের রোদ । পর্ব -০৯



এক সপ্তাহ পর,
নিয়ম করে প্রতিদিন দেখা করে আলিয়ার ও তুবা। দুজনেরই অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। একদিন দেখা না হলেই হয়তো পাগল হয়ে যাবে দুজনে। অবশ্য মুখে কেউই তা স্বীকার করবে না। দুজনেরই দাবী তারা এমনিতেই দেখা করে, তাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই আর থাকলেও তার কোনো নাম নেই।
আজও তার ব্যতিক্রম হলো না। তবে আজ একটু দেরি হয়ে গেছে। ঘড়ি জানান দিচ্ছে সন্ধ্যা ৭ টা বাজে। প্রাইভেট পড়িয়ে বের হলো তুবা, তারপর কিছু শপিং করে আলিয়ারের জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু তার দেখা নেই।
কিছুক্ষণ পর আলিয়ার এলো। প্রতিদিন বাইক নিয়ে আসলেও আজ প্রাইভেট কার নিয়ে এসেছে। আলিয়ার দরজা খুলে দিয়ে বলল,
.
“চলে এসো।”
তুবা গাড়ির ভেতরে ভালো করে দেখে আর নেয় কেউ আছে কিনা। না, আলিয়ার ছাড়া আর কেউই নেই। আলিয়ারও ওর দৃষ্টি অনুসরণ করে। তুবা দাঁত কেলিয়ে গাড়ির পেছনে সিটে শপিং ব্যাগগুলো রেখে গাড়িতে উঠে বসে।
আলিয়ার গাড়ি স্টার্ট দিয়ে বলল,
“কি দেখছিলে ওভাবে?”
“কখন?”
“গাড়িতে উঠার সময়।”
“দেখছিলাম আর কেউ আছে কিনা।”
আলিয়ার মুচকি হেসে বলে,
“ড্রাইভিং করছি আমি, তাহলে আর কে গাড়িতে থাকবে?”
“না, এমনও তো হতে পারে আপনি আপনার বন্ধুদের নিয়ে এসেছেন। বলা তো যায় না, একে রাত হয়ে গেছে আর দুইয়ে আমি একা একজন মেয়ে।”
আলিয়ার ব্রেক কষে, হঠাৎ ব্রেক কষায় কিছুটা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে তুবা। আলিয়ার সামনের দিকে তাকিয়েই বলে,
.
“তারপর?”
তুবা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলল,
“তারপর আর কি? সবাই মিলে সু্যোগ নিবেন।”
আলিয়ার ওর দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে বলল,
“আচ্ছা, যে আলিয়ার অফিসের হাজারো মেয়ের ক্রাশ সে আলিয়ার আপনাকে নিজের বাইকে উঠিয়ে আর গাড়িতে তারই পাশে স্থান দিয়ে এতোটাই ভুল করেছে যে আপনি তার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন? আঙুল উঠাচ্ছেন তার চরিত্রের দিকে?”
তুবা একটা ঢোক গিলে। রং জায়গায় রং কথা বলে ফেলেছে তা ঠিকই বুঝতে পেরেছে। কিছু কথা মনে আসলেও চেপে যাওয়া উচিত, নাহলে বিপদ আসন্ন।
তুবা কাঁপাকাঁপা গলায় বলে,
“এ.. এখন কি আ..আপনি স.. সত্যিই সুযোগ নিবেন?”
আলিয়ার ঠাস করে তুবার গালে এক চড় বসিয়ে দেয়। সঙ্গে সঙ্গেই তুবার দুচোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে। মাথানিচু করে চোখের পানি ফেলছে সে। আলিয়ার স্টেয়ারিং এ মাথা ঠেকিয়ে চুপ করে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
তুবা একটা ঢোক গিলে কান্নাভেজা কন্ঠটাকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে বলে,
“সরি, মি. আলিয়ার।”
.
তুবা গাড়ি থেকে নেমে যেতে নিলে আলিয়ার ওর ডানহাত ধরে ফেলে। তুবা আলিয়ারের দিকে তাকায়। আলিয়ার এখনো আগের মতো মাথা স্টেয়ারিং এ লাগিয়ে নিচু করেই আছে। তুবা হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়, যদিও ও বেশি চেষ্টাও করেনি। কান্নার কারণে হাতপা কাঁপছে ওর।
তুবা আমতাআমতা করে বলে,
“ক্ষমা চাচ্ছি। ভুলে করেছি, ক্ষমা চেয়েছি। ব্যস, তোষামোদ আমার দ্বারা হবে না।”
“তোষামোদ করতে বলেছি তোমাকে? চুপচাপ বসে থাকো।”
“না, ছাড়ুন। আমি বাইরে যাবো, আমি বসবো না আপনার গাড়িতে।”
আলিয়ার এবারে ওর দিকে তাকিয়ে বলে,
“রাস্তায় একা পেয়ে কেউ সুযোগ নিবে না?”
তুবা মাথা নিচু করে বলে,
“সরি বললাম তো।”
“কেন?”
“একটু আগে যে বললাম…”
আর কিছু বলার আগেই তুবার মুখ হাত দিয়ে চেপে ধরে আলিয়ার।
মুচকি হেসে বলল,
“আবার রিপিট করো না প্লিজ।”
তুবা আলিয়ারের হাতে কামড় বসিয়ে দেয়। দুহাতে ওর হাতটা ধরে বেশ জোরেই কামড় দিয়েছে তুবা। আলিয়ার একটু ‘উহ’ করে উঠে, তবে মুচকি হাসছে।
.
কিছুক্ষণ পর আলিয়ারের হাতটা ছেড়ে দিয়ে তুবা বলল,
“চড়ের রিভেঞ্জ।”
আলিয়ার দেখে কামড়ের কারণে হাত কেটে গেছে। লাল হয়ে একটু রক্তও বের হয়েছে। আলিয়ার তুবার দিকে এগিয়ে গিয়ে ওর যে গালে চড় দিয়েছিল সে গালে হাত দিয়ে আলতো করে স্পর্শ করে বলে,
“That’s nice.”
তুবা অবাক হয়ে আলিয়ারের দিকে তাকায়। আলিয়ারের কথার আগামাথা কিছু বুঝেনি সে। আলিয়ার মুচকি হেসে গাড়ি স্টার্ট দেয়।
তুবা গাল ফুলিয়ে বলে,
“একটা কথা বলবো?”
“দুইটা বলো।”
“না, একটা বলবো।”
“আচ্ছা, বলো।”
“আপনি কাউকে ভালোবাসেন?”
আলিয়ার একবার ওর দিকে তাকায়, তারপর সামনের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে। তুবা আলিয়ারের শার্টের হাতা ধরে বলে,
.
“আহা, বলুন না।”
“পরে বলবো।”
অন্যদিকে,
আছিয়া, ইব্রাহীম, আহমেদ ও সুলতানা ড্রইংরুমে বসে আছে। তাদের সাথে জিনাতও আছে। সবার মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। আলিয়ার-জিনাত একে অপরকে ভালোবাসে, এটা জিনাতের ভাষ্য। প্রত্যাশার শেখানো কথা অনুযায়ী মিথ্যা বলেছে সে। কিন্তু সে ভুলে গেছে সুন্দর একটা পবিত্র সম্পর্ক মিথ্যা দিয়ে শুরু হয় না।
“আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না।”(আহমেদ)
“দেখো ভাই, বিশ্বাস করো কিংবা না করো। কথাটা সত্য। সুলতানা আমাকে আগেই বলেছিল, কিন্তু আমি তোমাদের জানাইনি। আমি চেয়েছিলাম জিনাতের মুখ থেকে শুনতে।”(আছিয়া)
ইব্রাহীম একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,
“আমাদের চোখের সামনে এতোকিছু হলো, অথচ আমরা টেরও পাইনি?”
“এখন আর কিছুই করার নেই, বিয়েটা দিয়ে দেয়াই শ্রেয়।”
সুলতানার কথায় সবাই একটু চিন্তায় পড়ে যায়। জিনাত মাথানিচু করে আছে। আলিয়ার কি এ বিয়েতে মত দিবে? যদি আলিয়ার রাজি না হয় তবে এর চেয়ে বড় অপমান আর কিছুই হবে না জিনাতের জন্য।
নিরবতা ভেঙে ইব্রাহীম বলে উঠে,
.
“ছেলেমেয়েরা বড় হয়েছে, বিয়ে তো দিতেই হতো। তাছাড়া চাচাতো ভাইবোনদের বিয়ে জায়েজ আছে আর এই বিয়ে হলে আমাদের মেয়ে আমাদের কাছেই থাকবে। এই বিয়ে হবে, এটাই ফাইনাল।”
আছিয়া বলে,
“একবার আলিয়ারের সাথে কথা বলে নিলে হতো না?”
জিনাতের বুকটা ধুঁক করে উঠে। আলিয়ার রাজি হবে না এটাই ওর মন বলছে। আবার এটাও বলছে আলিয়ারকে তার চাই ই চাই।
জেরিন এসে নিচুস্বরে বলল,
“আমি একটা কথা বলি?”
“তুমি ছোটমানুষ এখানে কি বলবে?”(সুলতানা)
ইব্রাহীম সুলতানাকে বলে,
“আহা, কি বলে শুনি?”
জেরিন একবার জিনাতের দিকে তাকিয়ে বলে,
“আমি বলি কি আমরা আলিয়ার ভাইকে একটা সারপ্রাইজ দিতে পারি।”
“মানে?”
.
আছিয়া কপাল কুঁচকে বলল।
জেরিন একটু চুপ থেকে বলে,
“ধরুন, হঠাৎ একদিন অফিস থেকে এসেই ভাই এসে দেখলো বাসায় বাগদানের অনুষ্ঠান। ভাইয়া পুরো সারপ্রাইজড হবে, তাই না?”
আছিয়া দাঁড়িয়ে বলে,
“না, এসবের কোনো দরকার নেই।”
“কেন দরকার নেই? অবশ্যই আছে। যেমন কুকুর, তেমন মুগুর। ও যেমন না জানিয়ে এসব করেছে তেমন আমরাও না জানিয়েই সব ব্যবস্থা করবো।”(ইব্রাহীম)
জিনাত মুচকি হাসে। জেরিনকে এসব ওই শিখিয়ে এনেছে। যদিও এসব ওর বুদ্ধি নয়, এসব হলো প্রত্যাশার বুদ্ধি। দুষ্টু বুদ্ধি ভর্তি ওই মেয়ের মাথা।
জিনাত সবার উদ্দেশ্যে বলে,
“আমি কি রুমে যেতে পারি?”
“হুম, যাও মা যাও।”(ইব্রাহীম)
জিনাত চুপচাপ রুমে চলে যায়। রুমে গিয়েই প্রত্যাশাকে কল করে জিনাত। রিসিভ হতেই খুশি লাফিয়ে উঠে বলে,
“প্রত্যু,প্রত্যু,প্রত্যু, তোর কথামতো কাজ করায় সবাই রাজি হয়ে গেছে।”
“আমি বলেছিলাম না তোকে? আলিয়ার ভাইও রাজি হবে দেখে নিস।”
“তোর মুখে ফুল চন্দন পড়ুক।”
.
তুবার বাসার সামনে গিয়ে গাড়ি থামায় আলিয়ার। তুবা নেমে যেতে নিলে আলিয়ার বলে,
“এখনো রেগে আছো?”
তুবা অন্যদিকে তাকিয়ে বলে,
“না।”
গাল ফুলিয়ে বলা এই কথা শুনে আলিয়ার মুচকি হাসে। তুবা শপিং ব্যাগগুলো হাতে নিয়ে বেরিয়ে চলে যায়। আলিয়ার পেছন থেকে ডেকে বলে,
“কাল শুক্রবার, বিকেলে আমি ওয়েট করবো।”
তুবা অন্যদিকে ফিরে বলল,
“আমি আসবো না।”
“পদ্মাপারে ঘুরতে নিয়ে যাবো।”
“যাবো না।”
“অপেক্ষা করবো, এটা মনে রেখো।”
“রাখবো না।”
.
আলিয়ার তুবার বাচ্চামোগুলো খুব ইনজয় করছে। আলিয়ার বলল,
“ঠিক আছে, তবুও অপেক্ষা করবো।”
তুবা আর কোনো কথা না বলে ভিতরে চলে যায়। আলিয়ারও গাড়ি স্টার্ট দেয় তবে তুবাকে চড় মারায় খুব কষ্ট পাচ্ছে। বাচ্চা মেয়ে না বুঝে কিছু একটা বলেছে তাই বলেই কি মারতে হতো?
আলিয়ার বাসায় এসে কলিংবেল বাজায়। জিনাত এসে দরজা খুলে মুচকি হাসে। আলিয়ার কপাল কুঁচকে বলে,
“কিরে, পেত্নীর মতো হাসছিস কেন?”
“এমনিই।”
বলেই জিনাত চলে যায়।
আলিয়ার চোখ পিটপিট করে তাকায়।
জিনাত এমন আচরণ কেন করলো তাই ভাবছে আলিয়ার।
আলিয়ার বাসায় ঢুকে বুঝতে পারে কিছু তো হয়েছে।
সবাই কেমন কেমন করে যেন ওর দিকে তাকাচ্ছে।
জেরিন ফিক করে হেসে উঠলে আলিয়ার ওর দিকে তাকায়।
সঙ্গে সঙ্গেই হাসি থামিয়ে দেয় জেরিন।
আলিয়ার কিছু বলার আগেই সুলতানা বলল,
“আলিয়ার বাবা, যাও ফ্রেশ হয়ে এসো।”
“জি”
.
আলিয়ার রুমে চলে যায়। ফোন বের করে ড্রেসিংটেবিলের উপর রাখার সময় দেখে তুবার ম্যাসেজ,
“গার্লফ্রেন্ড নিয়ে পদ্মাপারে যান, আমি তো কেউই নই।”
আলিয়ার মুচকি হেসে ফোন রেখে ওয়াশরুমে চলে যায়।
অন্যদিকে,
তুবা গোসল করে নিজের রুমে বসে আছে, পড়নে লং স্কার্ট আর টি-শার্ট। চুল এলোমেলো করে বসে আছে, টুপটুপ করে পানি পড়ছে চুল থেকে। ওর চোখ দিয়েও পানির ধারা পড়ছে।
অনু এসে দরজায় নক করে বলে,
“তুবা খেতে আসো।”
তুবা নিজের কন্ঠকে যথাসম্ভব স্বাভাবিক করে বলে,
“আমি খেয়ে এসেছি, ফ্রেন্ডের বাসা থেকে। এখনো ক্ষুধা লাগেনি।”
“ঠিক আছে।”
অনু চলে যায়। তুবা যতই স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করুক না কেন অনু ঠিকই বুঝতে পেরেছে যে তুবা কাদঁছে।
তুবা চোখ মুছে নিজের ফোন হাতে নিয়ে দেখে আলিয়ার এখন কোনো ম্যাসেজ দেয়নি। কান্নার বেগ আরো বেড়ে যায় তুবার।
.
খাবার টেবিলে সবার নজর যায় আলিয়ারের হাতের দিকে। দাঁতের ছাপ স্পষ্ট জানান দিচ্ছে কেউ কামড়েছে ওকে। আছিয়া বলে,
“আলি, তোর হাতে কি হয়েছে? কে কামড়েছে?”
আলিয়ার খেতে খেতে বলে,
“বেড়াল।”
“বিড়াল? সেটা কোথায় পেলি? আর বিড়ালের কামড়ে এমন হয় নাকি?”
আলিয়ার মুচকি হেসে বলে,
“আমি বিড়াল বলিনি, বেড়াল বলেছি। বেড়াল কামড়ালে এমন হয়।”
জেরিন হেসে বলে,
“বিড়াল আর বেড়ালের মধ্যে পার্থক্য আছে নাকি?”
“হুম, আছে তো।”
“কেমন পার্থক্য?”
“ই-কার আর এ-কারের পার্থক্য আছে।”
সবাই হেসে দেয়। আর কেউই আলিয়ারকে কিছুই জিজ্ঞাসা করে না। বলবে না সেটা বোঝাই যাচ্ছে।
রাত ২:৪৫,
জিনাত ঘুমাচ্ছে। ফোনের সাউন্ড অফ, কিন্তু ভাইব্রেশন অন করা। ফোনও ভাইব্রেট শুরু করেছে। এমনি এমনি করছে না, মুগ্ধ কল করেছে।
.
জিনাত ঘুমঘুম চোখে ফোন নিয়ে দেখে মুগ্ধের কল। কিছুটা বিরক্ত হয়েই কল রিসিভ করে বলে,
“কি সমস্যা এতো রাতে কেন কল দিয়েছেন?”
মুগ্ধ চুপ। জিনাত আবারো বলে,
“কথা না বললে কল দিয়েছেন কেন?”
“কথা শুনার জন্য।”
“মানে?”
জিনাতে রেগে বলে।
মুগ্ধ হেসে বলল,
“মানেটা তো খুব সহজ। আমি তোমার কথা শোনার জন্য কল করেছি। তুমি কথা বলো আমি শুনছি।”
জিনাত উঠে বসে বলল,
“আমার কথা শোনার জন্য এতো রাতে কল করেছেন?”
“না হলে যে ঘুম আসছে না রে, পিচ্চিটা।”
জিনাতের বুকটা ধুঁক করে উঠে। প্রতিদিনের মতো আবারো বুকের লাবডাব শব্দটা শুনতে পাচ্ছে জিনাত। একটা ঢোক গিলে সে। বয়সটা ওর নেহাত কম নয়। ২৫ পেরিয়ে ২৬ এ পা রাখতে চলল। বুকের এমন লাবডাব শব্দের মানেটা ও বুঝে। দুর্বল হয়ে পড়ছে মুগ্ধের দিকে, মুগ্ধের কথার জাদুতে বাঁধা পড়ছে সে। কিন্তু কেন? ও তো আলিয়ারকে ভালোবাসে, একজনকে ভালোবাসলে কি অন্য কারো জন্য নিজের মনে স্থান রাখা যায়? একজনকে ভালোবাসলে কি অন্য কারো জন্য বুকে লাবডাব শব্দ হয়?
.
চলবে….

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com