Breaking News

স্যারের মেয়ের প্রেমে । পর্ব -০৪



রাব্বি লোকটির মুখে দিকে তাকিয়ে দেখে এটা তাহের স্যার। রাব্বি তখন নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে বলল।
— আসসালামু,আলাইকুম স্যার
— অলাইকুম সালাম। আরে রাব্বি তুই এখানে?
— এইতো স্যার একটু ঘুরতে আসলাম।
— তো চোখ কোথায় রেখে হাটিতেছিস হারামজাদা।
— এইতো স্যার একটু চ্যাটিং করছিলাম।
— তো হঠাৎ করে কোথায় উধাও হয়ে গিয়েছিস।
— এইতো স্যার সিলেটে চলে এসেছি।
— ওহহ আচ্ছা তো ভালো করে পড়াশুনা করিস। বাধরামি ছেড়ে।
— জী স্যার তাহলে আসি এখন?
তারপর রাব্বি বারান্দায় যায়। গিয়ে একপাশে দারায়। অপর পাশে একটি মেয়েকে দেখতে পায়। রাব্বি অন্য দিকে ফিরে ফোন টিপতেছে।
এমন সময় রাব্বির বন্ধু আকাশ কল দেয়।
— কিরে বন্ধু কি খবর?(আকাশ)
— এইতো ভালো। তোর কি অবস্থা?
— ভালো। ফেসবুকে দেখলাম ছবি ছাড়ছিস। কক্সবাজার গিয়েছিস নাকি।
— হুমআসলাম। কয়েক জন নতুন বন্ধুর সাথে।
— তো ঐ খানে মেয়ে টেয়ে পটাইছস নাকি?
— হালা আমি কি তুর মতো?যেখানে যাই মেয়ে পটাইনোর ধান্দায় থাকি?
— তো আশেপাশে কোনো মেয়ে আছে নাকি?
— ঐপাশে একটা পেত্নি দেখতে পাচ্ছি।
— ওহহহ তাহলে পটা।
— যাহ সালা।
তারপর কল রেখে পেছনে ঘুরে দেখে মেয়েটি সামনে দারিয়ে আছে।
রাব্বি চকমে উঠে। মেয়েটি আর কেউ নয় স্যারের মেয়ে রিপা।
রাব্বি কিছু বলার আগেই রিপা রাব্বির কলার ধরে ফেলে।
— কি হচ্ছে কি? আপনি আমার কলার ধরেছেন কেন?(রাব্বি)
— আপনি আমাকে পেত্নি বলেছেন কেন আর আমার পিছনে পিছনে এখানেও চলে আসছেন?(রিপা)
— ইসসস।আপনি না কোন বিশ্ব সুন্দরী আপনার পেছনে আসতে হবে? কলার ছারেন।(ঝারি দিয়ে বলল রাব্বি)

— আমি কেমন তা আমি যানি। আপনি আমাকে পেত্নি বললেন কেন?
এভাবে ঝগড়া করতে করতে রিপা থাপ্পর মারে রাব্বি কে। রাব্বিও রাগ কন্টল করতে না পেরে রাব্বিও থাপ্পর মারে।
তারপর দুজনেই তাদের রুমে চলে যায়। রুমে যেতেই। রিপার বাবা বলল।
— মা রিপা। রাব্বি ছেলে টাকে দেখলাম এখানে। একটু সাবধানে থাকিস।
রিপা তার বাবার কাছে কিছু বলেনি।
পরের দিন সকালে রাব্বি ও তার বন্ধুরা সমূদ্র শৈকতে বের হয়।
সবাই যার যার মত সমূদ্র দেখছে ছবি তোলছে।
হঠাৎই রব্বির রিপাকে দেখতে পায়। সাগরের বাতাসে রিপার চুলগুলো উরছে।রিপা হেসে হেসে কথা বলছে। চোখে একটা সানগ্লাস দেখতে অসাধারণ লাগছে। তখনি রাব্বি তার মোবাইলটা বের করে একটা ছবি তোলে রাখে।

তারপর তিনদিন থাকে তারা কক্স বাজারে
এর মধ্যে রিপার সাথে রাব্বির চোখাচুখি হয়েছে।রাব্বিকে দেখলেই রিপা রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।
তিনদিন পর তারা সিলেটে চলে যায়। তরপর নিয়মিত ক্লাস করে।
একদিন রাতে কক্স বাজারে তোলা ছবি গুলো দেখছিলো রাব্বি তখনি রিপার ছবিটি সামনে আসে।ছবিটি দেখে নিজে থেকেই মুসকি হাসি দেয় রাব্বি।
এমন সময় রাইসা কল দেয়।
— হ্যালো আপু কেমন আছিস (রাব্বি)
— হ্যা ভালো তুই কেমন আছিস?
— ভালো।
— রাব্বি তুই একটু বাড়িতে আয় তো ভাই কালকে?
— কেন কিছু হয়েছে?
— আরে তেমন কিছু না।
— আচ্ছা আসবো।
তারপরের দিন রাব্বি বাসায় যায়।রাতে খাওয়া দাওয়া করে। রাইসার রুমে যায়।
— আপু তুই কিছু বলবি?
— হ্যা বলবো।
— বল।
— আমাদের তাহের স্যারের একটা বড় ছেলে আছে না?কি যেন নাম।
— বুঝছি রিমন ভাই।

— ঐ ছেলে আমাদের বাড়িতে স্যারকে দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছে। আব্বু বলেছে তুই আর আমি রাজি থাকলে বিয়ের কথা পাকা করবে।
— আমার জানা মতে ছেলে ভালো।তোর কি পছন্দ নাকি?
— যাহ গাদা (লজ্জা পেয়ে বলল)
— আচ্ছা বুজেছি।
— আমি আব্বু আম্মুকে বলে দিবো নে।
— ঠিক আছে।
— দেখেতো মনে হচ্ছে রিমন ভাইয়ের প্রেমে ফিদা হয়ে আছিস।
— দুর যাহ বেশি কথা বলিস।
— বুঝছি এর জন্যইতো মাঝে মাঝে বাসার দিকে আসতো।
তারপর রাব্বি তার বাবা মা কে বলে।

রাব্বির বাবা তাহের স্যারকে বলে যে কালকে মেয়ে দেখতে আসতে।
পরের দিন রিমন সহ তার। বাবা মা রিপা সবাই আসে রাইসাকে দেখতে।
রিপা বসে আছে এমন সময় দেখে রাব্বি উপর থেকে নামতেছে। রাব্বিও রিপাকে দেখে তাকিয়ে আছে।
রিপা মনে মনে ভাবে বিয়েটা হতে দাও বাবু আমাকে থাপ্পর দেওয়ার শোধটা ঐ সময় তোলবো।
তাদের মেয়ে পছন্দ হয়েছে। রাব্বিদের ও ছেলে পছন্দ হয়েছে। ছেলে চাকরি করে।
কিছুদিন বাদেই বিয়ের তারিখ ঠিক করা হয়।
কেনা কাটা করতে করতে গায়ে হলুদের দিন চলে আসে।
রাব্বিদের বাড়িতে মেহমান আসে অনেক।
রাব্বি সহ আরো অনেকে ছেলে বাড়িতে যায় হলুদ লাগাতে।রাব্বি গিয়েই দেখতে পায় রিপা হলুদ শারি পরেছে। দেখে চোখ ফোরানো যাচ্ছে না। এখানেও চুপি চুপি রাব্বি কয়েকটা ছবি তোলে রাখে।
রাব্বিরা ছেলেকে হলুদ লাগাতে যায় তখনি রিপা এসে রাব্বির গালো হলুদ মাখিয়ে দেয়। রাব্বিও রিপার গালে হলুদ মাখিয়ে দেয়।
একটু পরই রাব্বি অনুভব করে তার গাল কেম যেন জ্বলছে।
তখনি রাব্বি বুঝতে পারে রিপা মরিচ মিশিয়ে দিয়েছে…
.
চলবে…

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com