Breaking News

Eternal love । গভীরের প্রেম । পর্ব – ১৯



ঝগরুটে,জাস্ট কিডিং,ফাজলামি করলাম আবার অন্য কিছু মনে করো না ঠিক আছে?” মিম বোকাসোকা মুখ করে ইমানের দিকে তাকিয়ে রইলো,তারপর ছুটে এসে বাথরুমে আটকে রাখলো নিজেকে।মনেমনে বললো,
– “কি অবস্থা এই লোকটার? হঠাৎ স্যারের কি হয়েছে?” রাতে মিম’কে চুপচাপ দেখে সারা এসে জিজ্ঞেস করলো,
– “কি রে? হঠাৎ স্যারের কি হয়েছে?” মিম গাল ফুলিয়ে বললো,
– “আরে আমি কি করে জানবো? বল আমাকে?” লেইলা তখন গাল ফুলিয়ে বললো,
– “না মানে,স্যার হঠাৎ এমন করলো কেন তোর সাথে?” মিম বললো,
– “আরে সেটা স্যারের ব্যাপার! আমি কি করে বলবো তোদের সবাই’কে?” তখন রাবা এসে মিম’কে চা বিস্কুট দিয়ে বলে,
.
– “না মানে,আসলে তোকে খুব চিন্তিত দেখাচ্ছে?” মিম মুখ টিপে হাসতে হাসতে বললো,
– “না মানে আসলে ভাবছি,তিন তলা থেকে পরে স্যারের আইফোন টা কি আস্তো আছে?” চাঁদনী হাসতে হাসতে বললো,
– “কেন মিম? তুই দেখতে পাওনি আইফোন,ফোনের কাঁচ তারপর ব্যাটারি ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলো আশেপাশে?” স্বর্না বললো,
– “আরে ও হঠাৎ চমকে গেছে পায়ের সামনে স্যারের আইফোন টা পরে থাকতে দেখে…।
তারপর স্যারের কান্ড দেখে বেচারি মেয়েটা সেই লেভেলের ভয় পেয়ে গেছিলো,তোরা কি এখনো বুঝতে পারছিস না মিমের চেহারা দেখে?” তখন হঠাৎ মিমের ফোন বেজে উঠলো,ও কল টা রিসিভ করে বললো,
– “বলুন জনাব,কি হয়েছে?” ইমান অপর পাশ থেকে হাসতে হাসতে বললো,
– “স্পর্শীয়া,আজ একটা সত্যি কথা বলবে আমাকে?” মিম কিছুটা চিন্তিত হয়ে বলে,
– “বলুন,আজ আমি কোনো মিথ্যে বলবো না আপনাকে।” ইমান মুচকি হেসে বললো,
– “তুমি কি সবসময় ভয়েস চেইঞ্জিং অ্যাপস দিয়ে কথা বলতে আমার সাথে?” মিম থতমত খেয়ে বললো,
– “হুমম,ইভেন এখনো ভয়েস চেইঞ্জিং অ্যাপস দিয়ে কথা বলছি আপনার সাথে।” ইমান দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বললো,
– “কেন? ভরসা করতে ভয় হয় আমাকে?” মিম বললো,
.
– “আসলো,এতো বছরের বন্ধুত্ব! তবুও কেন যেন খুব ভয় লাগে কথা বলতে আপনার সাথে।”
– “কেন? আমি কি মানুষ না? নাকি মঙ্গল গ্রহের প্রাণী বলে মন হয় আমাকে?” মিম বললো,
– “জানি না! কেন যেন খুব ভয় লাগে আপনাকে,আমি যদি এখন আপনাকে সামনাসামনি দেখি…!
নিশ্চিত আমার হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাবে আর নয়তো শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যাবো এই জায়গায় বসে।” ইমান হাসতে হাসতে বললো,
– “তোমার কথা শুনে মনে হচ্ছে,কোনো জল্লাদ তোমার সামনে বসে আছে?” মিম হাসলো,বললো,
– “না মানে,আচ্ছা এখন রাখি?”
– “নাঃ! এখন ফোন টা রেখে কোথায় যাবে?
” মিম ঝটপট কল টা কেটে দিলো,ইমান হাসতে হাসতে বললো,
– “ঝগরুটে,তুমি যে অলরেডি দেখে ফেলেছ আমাকে?
তবে আমিও এতো তাড়াতাড়ি তোমার কাছে ধরা দেবো না কারণ আমাকে খুব স্ট্রিক্ট হতে হবে
তোমার সাথে এবং তোমাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একজন যোগ্য অফিসার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
ততদিন পর্যন্ত না হয় একটু কষ্ট করে আড়ালে থাকলাম আর তাতেই বা কি হবে?
তবে যখন তুমি আমার সম্পর্কে জানতে পারবে,আমি নিশ্চিত তুমি চমকে যাবে।
সকালে ইমান খেয়াল করে দেখলো,মিম বেশ লজ্জা লজ্জা পাচ্ছে ওকে দেখে…!
আর এটাও বুঝতে পারলো ও নিজেও কোথাও না কোথাও লজ্জা পাচ্ছে মিম’কে দেখে।
অতঃপর ইমান মিমের কাছে এগিয়ে আসতেই মিম হঠাৎ দৌড়ে পালিয়ে যায় সেখান থেকে…!
.
ইমান অবাক চোখে তখন মিমের দিকে তাকিয়ে রইলো
আর মিম ছুটে এসে দম ফেললো নিজের রুমে এসে। ওদিকে,
ইমান কে এতো হাসিখুশি দেখে জেনারেল ইমাদ
সাহেব ওকে জিজ্ঞেস করলেন,
– “ইমান আজ সূর্য কোন দিক থেকে উঠেছে?” ইমান আনমনে হাসতে হাসতে বললো,
– “জানি না স্যার,তবে আমি যাকে দেখার জন্য ছটফট করেছি! সে আমার চোখের সামনেই আছে।” ইমাদ সাহেব চমকালো,ইমান হাসতে হাসতে উঠে চলে গেলো ডাইনিং এরিয়া থেকে…!
তবে দুপুরে মিম এসে ইমান’কে আমতা আমতা করে বললো,
– “স্যার,আপনার কাছে কি পাঁচশো টাকা খুচরো হবে?” ইমান বললো,
– “কেন? এতো টাকা দিয়ে কি হবে?” মিম কাঁপা কাঁপা গলায় বললো,
– “আসলে স্যার! আমি একটু বাহিরে গিয়ে মালাই চা খেতে চেয়েছিলাম টং এর দোকানে বসে।” ইমান হঠাৎ একটু ঝুঁকে মিমের কাছে এগিয়ে এসে বললো,
– “চলো,আমি ও যাবো টং এর দোকানে কফি খেতে যাবো তোমার সাথে।” মিম ফিক করে হাসতে হাসতে বললো,
– “স্যার! টং এর দোকানে যে কফি পাওয়া যায়,সে আজ প্রথম শুনলাম আপনার কাছে।”
ইমান মিটিমিটি হেসে বললো,
– “যুগ এখন আপডেট হয়েছে মিম! ঢং এর দোকানে আজকাল হাজার টাকার হানিমুন সুইটের ওর ব্যবস্থা থাকে।”
মিম কথাটা শুনে বেশ লজ্জা পেলো,তারপর দু’পা পিছিয়ে গেলো ইমানের কাছ থেকে…!
এরপর দু’জনে কথা বলতে বলতে একাডেমির বাহির চলে এলো,ইমান মিমের হাত ধরে রাস্তা পার করিয়ে দিলো ওকে।
.
চলবে,,,

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com