Breaking News

‌‌‌‌গল্প: ‌গোয়েন্দা ‌‌গিরি । পর্ব ০১

ব্রেকিং ‌‌নিউস ‌‌ব্রেকিং ‌‌নিউস ‌রাতে ‌‌‌যে ‌‌‌‌‌বাড়িতে
‌‌তদন্ত ‌‌ ‌‌করতে ‌‌গিয়ে ‌‌যঘন্য ‌ভাবে ‌‌মরেছে ‌‌১০২জন ‌‌
পুলিশ। ‌‌সেই ‌‌বাড়ির ‌‌সামনে ‌‌পাওয়া ‌‌গেলো ‌এক
‌‌যুবকের ‌‌লাশ। ‌‌লাশটির ‌‌‌পেটের ‌‌নারিভুরি ‌‌‌বের
‌‌‌‌‌করা ‌‌‌ছিলো। ‌‌চোখ ‌‌দুটি ‌‌‌খামচে ‌‌খামচে ‌‌তুলে
‌‌নেওয়া হয়েছে।‌ও দেহ ‌‌থেকে ‌মাথা ‌‌আলাদে ‌করে ‌‌‌‌‌‌
মাথাটা ‌‌‌দু ‌খন্ড ‌‌করে ‌তার পেটের ‌‌ভিতরে ‌‌‌‌ডুকিয়ে দেওয়া
‌‌‌হয়েছে।‌‌‌‌‌এবং ‌‌যুবকের ‌লাশটির ‌‌‌‌‌পুরুষ ‌‌অঙ্গে ‌৫৬টা
‌‌সুই ‌‌ভেদ ‌করা ‌হয়ছে । ‌‌‌‌‌অনেক ‌মানুষ ‌দাবি ‌‌করছে
‌এটা ‌‌ভুতের ‌‌কাজ। ‌‌আসলেই কী ‌‌এটা ‌‌ভুতের ‌‌‌কাজ
‌‌না কি ‌‌অন্য ‌‌‌‌কিছু।”””””””
‌‌‌খবর ‌‌‌‌শুনে শাহরিয়ার ‌‌গভির
চিন্তায় ‌‌‌ভাবতে ‌‌থাকে ।……
..
‌‌‌‌জাকির ‌‌রাস্তা ‌‌‌দিয়ে ‌‌হেটে ‌‌হেটে ‌তার ‌‌ঘনিষ্ট ‌ও ‌ভালো
‌‌বন্ধু ‌‌শাহরিয়ারের ‌‌‌‌বাড়িতে যাচ্ছে ‌‌।‌‌শাহরিয়ারের ‌‌বাড়িতে পৌছে ‌‌কলিংবেল ‌‌বাজানোর ‌‌সাথে ‌‌সাথে
‌‌দড়জা ‌‌খুলে ‌‌যায় । ‌‌জাকির ‌‌ভিতরে ‌‌‌‌‌গিয়ে ‌‌‌দেখে
‌‌‌‌‌সারা ‌‌‌বাড়ি অন্ধকার ‌তাই ‌‌ফোনের ‌‌‌‌লাইটটা ‌ওন ‌‌করতেই। ‌ ‌হঠাৎ ‌ঠাশ ‌করে ‌‌দড়জা
‌বন্ধ ‌হয়ে ‌‌যায়।
‌‌জাকির , ‌‌‌এর ‌জন্যই ‌ওর ‌বাসায় ‌‌আসতে ‌চাইনা
‌‌দিনের ‌বেলাও ‌‌‌বাড়িটা ‌‌‌‌অন্ধকার ‌‌করে ‌‌‌‌রাখে।
‌শাহরিয়ার ‌ ‌তুই ‌কই ‌‌সামনে ‌‌আয়
‌শাহরিয়ার, ‌তোর ‌পিছনে
‌,,,,‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌তারপর ‌‌জাকির ‌পিছনে ‌‌তাকিয়ে ‌‌দেখে ‌‌কেউ
‌‌‌‌‌‌‌‌নেই আর ‌‌যখন ‌‌সামনে ‌‌তাকায় ‌‌তখনি শাহরিয়ারকে
‌‌‌‌‌দেখতে ‌‌‌‌পায়।
‌জাকির, ‌তুই ‌বললি ‌‌পিছনে ‌‌আর ‌‌‌এখন ‌‌সামনে
‌‌শাহরিয়ার , ‌‌পিছনে ‌বলছি ‌‌ ‌‌‌তাইকি ‌‌পিছনেই
‌‌‌‌তাকাতেই ‌হবে।
‌জাকির, ‌আচ্ছা ‌‌ভাই ‌তারাতারি ‌‌‌লাইট ‌‌‌‌জলা ‌‌সারা
‌বাড়ি ‌অন্ধকার ‌করে ‌রাখছিস ‌‌ভয় ‌করছে তো
‌শাহরিয়ার, ‌‌‌আমি ‌‌হাত ‌তালি ‌‌দেওয়ার ‌‌সাথে
‌‌সাথে ‌‌বাড়ির ‌‌সব ‌‌গুলো ‌‌ ‌‌‌লাইট ‌‌জ্বলে ‌‌উঠলো।
‌জাকির, ‌এটা ‌‌তুই ‌কি ‌ভাবে ‌করলি।
‌শাহরিয়ার, ‌‌‌তোর ‌‌বুঝার ‌বয়স ‌হয় ‌‌‌‌‌‌‌নাই
‌জাকির, ‌‌কথা ‌বাড়িয়েও ‌লাভ নাই ‌ওই ‌একি
‌কথাই বারবার ‌বলবে।( ‌‌মনে ‌মনে.)
,,,,,‌তারপর ‌‌শাহরিয়ার ‌আর ‌‌জাকির ‌‌সোফায়
‌‌বসলো,,,,,,,,,,,,,,,
.
‌‌জাকির, ‌‌খবর ‌‌শুনেছিশ
‌শাহরিয়ার, ‌হ্যা
‌‌‌জাকির, ‌‌আমার তো ‌মনে ‌হয় ‌‌এটা ‌‌ভুতেরি ‌‌কাজ
‌‌হবে।
‌শাহরিয়ার, ‌‌বাড়িটা ‌কোথায়।
‌‌জাকির, ‌শহরের ‌‌শেষ ‌‌প্রান্তে ‌‌জঙ্গলের ‌‌মাঝখানে
‌শাহরিয়ার, ‌কত ‌বছরের ‌‌পুরনো ‌বাড়ি।
‌জাকির, ‌এই ‌‌‌‌‌বিশ ‌বছরের ‌পুরনো ‌বাড়ি হবে ।
‌শাহরিয়ার, ‌চল ‌
‌জাকির , ‌কোথায়।
‌‌শাহরিয়ার, ‌‌‌‌বাড়িটির ‌আসল ‌‌রহস্য ‌‌‌বের ‌‌করতে
‌‌জাকির , ‌‌‌হ্যা ‌চল ‌আমিও ‌তো ‌‌সেটা ‌বলতেই
‌‌‌আসছি।
‌শাহরিয়ার, ‌‌তারপর ‌আমরা ‌‌সেই ‌‌পুরনো ‌‌‌‌‌বাড়িতে
‌‌‌‌চলে ‌‌গেলাম।‌বাড়িটা ‌‌দেখতেও ‌ খুব ‌‌ভয়ঙ্কর।
‌‌বাড়ির ‌‌‌ভিতরের ‌দড়জা ‌তালা ‌দেওয়া ‌‌ছিলো ‌‌‌তাই
‌বাড়ির ‌‌আসে ‌‌পাশে ‌‌ভালো ‌‌করে ‌‌‌‌দেখতে ‌‌লাগলাম
‌হঠাৎ ‌‌‌বাড়িটির জানালার ‌দিকে ‌‌তাকিয়ে ‌দেখি
‌এখটা ‌‌কালো ‌‌ছায়া ‌‌দাড়িয়ে ‌‌আছে । ‌‌আমি
‌সাহস ‌করে ‌আস্তে আস্তে ‌‌জানালার ‌‌কাছে ‌‌যেতেই
‌‌ছায়াটি ‌‌উদাও ‌হয়ে ‌যায়। ‌আর ‌তখনি ‌‌জাকির
‌চিৎকার ‌‌দেয়।‌আমি ‌‌তারাতারি ‌জাকিরের
‌কাছে ‌গিয়ে ‌‌বলতে ‌লাগলাম। ‌কি ‌হয়েছে ‌চিৎকার
‌‌দিলি ‌কেনো।
.
‌জাকির, ‌‌সামনের ‌গাছের ‌নিচে ‌‌‌‌তাকিয়ে ‌‌‌‌দেখ ‌‌শাহরিয়ার, ‌‌তারপর ‌আমি ‌সামনের ‌‌গাছের ‌নিচে
‌তাকিয়ে ‌‌‌‌দেখি ‌‌‌সাদা ‌কাপরে ‌মোড়ানো ‌একটা ‌‌লাশ
‌‌জাকির, ‌‌আমার ‌ ‌কিছু ‌‌‌‌স্বাভাবিক ‌‌লাগছেনা
‌‌চল ‌বাসায় ‌‌চলে ‌যাই।
‌শাহরিয়ার, ‌‌তারপর ‌আমি ‌লাশটির ‌কাছে ‌আস্তে
‌‌আস্তে ‌‌যেতেই ‌‌‌‌গাছের ‌উপর ‌‌থেকে ‌আরেকটা ‌‌লাশ
‌সাদা ‌কাপরে ‌মোরানো ‌‌‌লাশটির ‌‌উপরে ‌‌পড়লো
‌এবার ‌‌আমিও ‌‌ভয় ‌‌‌‌‌পেয়ে ‌‌যাই।
‌‌জাকির, ‌দিনের ‌বেলায় ‌এসব ‌‌‌‌‌ঘটনা ‌‌ঘটলে ‌না ‌যানি
‌রাতে ‌কি ‌‌হয়।
‌শাহরিয়ার, ‌চল ‌চল ‌এখানে ‌‌থাকা ‌‌নিরাপদ ‌মনে
‌হচ্ছে না।
‌জাকির, ‌হ্যা ‌‌চল ‌‌‌‌
‌‌শাহরিয়ার, তারপর ‌‌‌আমি ‌আর ‌‌জাকির ‌‌খুব ‌‌দ্রুত
‌সেখান ‌থেকে ‌‌আমার ‌বাসায় ‌চলে ‌‌আসি।
‌জাকির, ‌‌আমার ‌খুব ‌ভয় ‌‌লাগছে ‌‌তাই ‌কয়েক
দিন আমি ‌‌তোর ‌বাসায় ‌‌থাকবো ।
,,,,‌তারপর ‌‌জাকির ‌‌তার ‌বাসায় ‌‌ফোন ‌করে ‌‌বলে
দেয় ‌‌সে ‌কয়দিন ‌‌শাহরিয়ারের ‌বাসায় ‌থাকবে,,,,,,,,
‌‌জাকির, ‌‌আচ্ছা ‌তুই ‌এতো ‌বড় বাড়িতে ‌একা
‌থাকিস তোর ‌ভয় ‌করেনা।
‌শাহরিয়ার, ‌না
.
‌জাকির, আর ‌‌তোর ‌‌‌বাবা মা ‌‌কথায়। ‌তোকে ‌যতবার
‌তোর ‌বাবা ‌মায়ের কথা ‌‌‌‌জিজ্ঞাস ‌করছি ‌‌তুই ‌ততবার
‌‌কথাটা এরিয়ে ‌‌গেছিস ‌‌‌কিন্তু ‌‌‌আজকে ‌‌বলতেই
‌‌‌হবে।
‌‌‌‌শাহরিয়ার, ‌শুনতে ‌চাস ‌তাহলে ‌‌শুন ‌‌আজ ‌‌থেকে
‌‌‌‌‌‌‌‌অনেক ‌‌‌‌বছর ‌‌আগে ‌‌‌গাড়ি ‌‌দুর্ঘটনায় ‌
‌বাবা মা ‌দুজনেই মারা ‌‌‌‌গেছে।
‌জাকির, ‌আমি ‌সত্যিই ‌‌দুঃখিত ‌‌তোকে ‌এসব ‌কথা
‌‌মনে ‌করে ‌‌‌দেওয়ার ‌জন্য
‌‌শাহরিয়ার, ‌আরে ‌সমেস্যা নাই।
,,,,,,,‌পরের ‌ ‌‌‌‌দিন ‌‌টিভি ‌‌চালু ‌করতেই ……………..
‌ব্রেকিং ‌ ‌‌নিউস ‌‌ব্রেকিং ‌নিউস ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌আবারো ‌‌সেই
‌বাড়ির ‌‌সামনে ‌‌‌পাওয়া ‌‌গেলো ‌‌‌‌একজন ‌মেয়ে ‌এবং
‌‌‌‌ছেলের ‌‌‌লাশ। ‌মেয়েটির ‌‌মাথা ‌‌দু ‌খন্ড ‌করে ‌‌ছেলেটির
‌‌পেটের ‌‌ভিতরে ‌‌‌‌ডুকিয়ে দেওয়া ‌হয়েছে ‌আর ‌‌ছেলেটির
‌‌মাথা ‌‌দু ‌খন্ড ‌‌করে ‌‌‌‌‌‌মেয়েটির ‌‌পেটের ‌‌ভিতরে
ডুকিয়ে‌‌দেওয়া ‌‌হয়েছে। ‌‌যানা ‌‌গেছে ‌‌তারা ‌‌দুজনি
সাংবাদিক ‌‌‌‌ছিলো।
‌জাকির, ‌‌‌‌তারাতরি ‌টিভি ‌বন্ধ ‌কর ‌‌আমি ‌আর এসব
‌শুনতে ‌এবং ‌‌দেখতে ‌‌‌‌চাইনা।
‌‌‌শাহরিয়ার, ‌‌রহস্য ‌রহস্য ‌রহস্য ‌‌আসল ‌রহস্য তো
‌‌আমি ‌‌বের ‌‌‌করেই ‌‌ছাড়বো…….
.
চলবে…

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com