Breaking News

গল্প : প্রেম পাগল । পর্ব -০১

আরামে ঘুমাচ্ছিলাম হঠাৎ ফোনের শব্দে সাদ্বের ঘুমটা
ভেঙ্গে গেলো।ফোনটা রিসিব করে
শাহরিয়ার, হ্যালো কে
সাকিব,আমি সকিব বলছি
শাহরিয়ার, দুর আরামের ঘুম হারাম করে দিলি
সাকিব,কি বিকাল ৫ টা বাজে এখনো ঘুমাস তুই
শাহরিয়ার, কি বিকাল ৫টা বাজে?????
সাকিব, হা
তারপর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি সত্যই ৫ টা বেজে গেছে
শাহরিয়ার, এখন বল ফোন দিছোস কেনো???
সাকিব,বন্ধু আজকেও একটা মিশনে নামতে হবে
শাহরিয়ার, ওকে বাড়ির ঠিকানাটা পাঠিয়ে দিস
সাকিব,ওকে,,,
শাহরিয়ার, তারপর টু টু টু টু ফোনটা কেটে দিলাম।
মিশন মানে বুঝলেন না তো গল্পের সাথেই থাকুন
তাহলেই বুজবেন।যাইহোক আগে পরিচয়টা দিই
আমি শাহরিয়ার ইফতেখায়রুল হক সরকার। সবাই আমাকে
শাহরিয়ার বলেই ডাকে।অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র। বাবা মা নাই
অনাথ বললেই চলে।
কিছুক্ষন পর সাকিব মেসেজ দিয়ে বাড়ির ঠিকানাটা পাঠিয়ে দেয়।
তারপর ফ্রেস হয়ে ছাদে গেলাম।ছাদের একপাশে দাড়িয়ে
আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলতে লাগলাম
মা বাবা কেনো আমাকে একা রেখে তোমরা না ফেরার দেশে
চলে গেলে।সবার মা বাবা আছে আমার কেনো নাই।আমার
সাথেই বা কেনো এমন হলো।এসব ভাবছি আর চোখ থেকে
অনাবরতো জল গড়িয়ে পরছে।হঠাৎ কে জেনো কল দিলো
পকেট থেকে ফোনটা বের করে দেখি সাকিব কল দিছে
।কলটা রিসিব করো
.
শাহরিয়ার, হ্যা লো( কান্না জড়িত কন্ঠে)
সাকিব, কিরে আবারো কান্না করতাছোছ
শাহরিয়ার, ক ক কই না তো
সাকিব,আমি তোর বন্ধু। তুই কি রকম সেটা আমার থেকে
ভালো আর কেউ জানবেনা
শাহরিয়ার, ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
সাকিব, দেখ যার কেউ নাই তার আল্লাহ আছে।
শাহরিয়ার, হুম,,।
সকিব, ওকে
শাহরিয়ার, টু টুটু ফোন কেটে দিলাম
একটু পর মাগরিবের আজান দিলো।তারপর আমি রুমে
এসে অজু করে নামায পরে।ঠিকানা অনুযায়ী সেখানে চলে এলাম। বাহ বাড়িটাতো খুব বড় আর কতো সুন্দর করে
সাজিয়েছে।সাজাবেই তো বড় লোকের বিয়া বাড়ি বলে কথা।
তারপর আমি বাড়ির গেটের সামনে যেয়ে দেখি সিকোরিটি গার্ডরা পাহাড়া দিতাছে। নো টেনশন ওনলি একসন।কেউ জানি
.
চিনতে না পারে তাই মুখে রুমাল বেধে পিছনের দেওয়াল
টপকিয়ে বাড়ির ভিতরে ডুকে নো কারো সাথে কথা নো সাউন্ড
সোজা মেয়েটির রুমে গিয়ে দেখি অনেক গুলা মেয়ে বসে
আছে। আর তাদের মাঝখানে লাল শাড়ি পরে সুন্দর করে সেজেগুজে একটা বসে আছে।ওরি মনে হয় আজকে বিয়ে।
তারপর নানা রকমের তালবাহানা করে সবগুলা
মেয়েকে বিদায় করে।মুখের কাপরটা খুলে ফেলি।
তারপর আমি সবকিছু বলার আগেই যার বিয়া সে মেয়েটি বলল
মেয়েটি,ভাইয়া আপনি আসছেন
শাহরিয়ার, তুমি কি আমাকে চিনো
মেয়েটি, আমার নাম নিধি।আপনাকে আমি কেনো এ শহরের যতো প্রমিক প্রেমিকা আছে সবাই আপনাকে এক নামে
চিনে।
শাহরিয়ার, চিনো যখন এখন তারাতারি চলো কাজি অফিসে
তোমার প্রেমিক বসে আছে।
নিধি, হা চলেন।
শাহরিয়ার, তারপর
.
নিধি কে নিয়ে আবারো পিছনের দেওয়াল টপকিয়ে রাস্তার পাশে আসলাম।সেখানে
আগে থেকেই গাড়ি রেডি করা ছিলো।তারাতারি গাড়ি তে
উঠে সোজা কাজি অফিসে চলে আসলাম।সেখানে আমার
বন্ধু সকিব নিরব মুন্না ও তার সাথে আরেকটা অচেনা ছেলে ছিলো
বুঝতে বাকি থাকলোনা যে ওই অচেনা ছেলাটাই নিধির প্রেমিক। তারপর ওদের বিয়া দিয়া দিলাম।যতো দিন বাড়ি থেকে ওদের
মেনে নিবেনা ততো দিন দেশের বাহিরে থাকবে বলে ওরা সিদ্ধান্ত নেয়।তাই আজকের রাতে লন্ডন যাওয়ার ফ্লালাইতেই ওদের উঠিয়ে দিই।
নিরব,দোস্টো আজকেরটা নিয়ে মোট ১০০ জন প্রেমিক প্রেমিকার মিলন ঘটিয়ে ছি।
মুন্না,সবি শাহরিয়ারের জন্যই সম্ভব হয়ছে।
সাকিব,হু বলতেই হবে শাহরিয়ারই আমাদের লিডার
শাহরিয়ার, হয়ছে হয়ছে আর পাম দিতে হবে না।
তারপর আমরা যারযার বাসায় সে সে চলে গেলাম।
তারপরের দিন ভার্সিটির মাঠের একপাশে বসে আছি
হঠাৎ ভার্সিটির গেটের সামনে,,
.
চলবে…,

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com