Breaking News

দুষ্টু গার্লফ্রেন্ড । পর্ব -১৫



সুমুঃ হাউ ডেয়ার ইউ?
ঈশাঃ আমি…!
সুমুঃ তোমার সাহস কিভাবে হলো আকাশের নাম ধরে ডাকার?
ঈশাঃ এখানে সাহসের কি আছে? তাছাড়া আমাদের ডিলে কোথাও লেখা ছিলো না যে! নাম ধরে ডাকা যাবে না।
সুমুঃ ডিল? কিসের ডিল? আকাশ কি বলছে মেয়েটি?
আকাশঃ ওর কথা তুমি কানে নিও না।ওর মাথার তাঁড় লুজ একটু।
ঈশাঃ হুয়াট?
.
আকাশঃ নিজের কাজে যাও।
সুমুঃ আকাশ প্লিজ এই মেয়েটিকে তুমি বাসা থেকে বের করো।আমি সহ্য করতে পারছি না।
আকাশঃ ১ মাস না হলে কিভাবে যাবে? তুমি এসব বাদ দাও।
সুমুঃ হুমম চলো। [কিছু একটা গন্ডগোল আছে এখানে।নয়তো মেয়েটি কিসের ডিল এর কথা বললো তখন?]
আকাশ সুমু’কে গাড়ির সামনে নিয়ে গেলো।সুমু গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ট দিলো।আকাশ হাত নেড়ে বায় দিলো।সুমু হাল্কা হেসে চলে গেলো।আকাশ ভেতরে ঢুকে দেখলো ঈশা নিজের ফোন ব্যাগে ঢুকাচ্ছে।
আকাশঃ আর ইউ ম্যাড? মাথায় প্রবলেম আছে তোমার?
ঈশাঃ কেনো কি করেছি আমি?
আকাশঃ সবার সামনে ঢোল পিটিয়ে-পিটিয়ে জানাতে হবে! আমাদের মধ্যে ডিল হয়েছে?
ঈশাঃ দেখো স্যরি।আমি এখন ঝগড়া করার মুডে নেই।আমাকে বাসায় যেতে হবে।আহির ভাইয়া হয়তো এতক্ষনে বাসায় এসে গেছে।আমাকে খুঁজতেও শুরু করে দিয়েছে হয়তো।আমি বাসায় গিয়ে কি জবাব দিব? কোথায় ছিলাম এত রাত অব্দি আমি?
আয়রাঃ আহির ভাইয়া? [ঈশা’কে উদ্দেশ্য করে]
আয়রার গলার শব্দ শুনে আকাশ আর ঈশা পেছনে ফিরে তাকালো।তাকিয়ে দেখলো আয়রা আর টিংকু ভাই বাসায় ঢুকছে।আয়রা ঈশা’কে উদ্দেশ্য করে আকাশ’কে জিজ্ঞেস করলো।
আয়রাঃ এই মেয়েটি কে? আর আহির’কে চিনে কিভাবে?
আকাশঃ এই মেয়েটি মিস্টার.আহিরের সুদর্শিত ছোটো বোন।
আয়রাঃ আমাদের বাসায় কি করছে মেয়েটি?
আকাশঃ আমাদের বাসার নিউ সার্ভেন্ট।অনলি ১ মাসের জন্য।
আয়রাঃ হুয়াট?
আকাশঃ জ্বি হ্যাঁ।
.
আয়রাঃ তুই উপরে আয়।কথা আছে তোর সাথে আমার। [আকাশ’কে উদ্দেশ্য করে]
আকাশঃ তুই উপরে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নে।আমি একটু পর আসছি।
আয়রা আর কথা বাড়ালো না।এমনি তেও আয়রা আজ খুব ডিস্টার্বড আহির আর প্রকৃতির ক্লোজলি ব্যবহারে।আয়রা সিঁড়ি বেয়ে উপরে নিজের রুমে চলে গেলো।টিংকু ভাইও নিজের রুমে চলে গেলো।
ঈশাঃ এখন নিশ্চয়ই আর কোনো কাজ নেই আপনার? আমি তাহলে আজ আসি? সিয়র আহির ভাইয়া বাসায় পৌঁছে গেছে।
আকাশঃ ওয়েট এ মিনিট! ফার্স্ট অফ অল তোমার ভাই বাসায় এলে আমার কি? আর আমি কি পারমিশন দিয়েছি তোমাকে যাওয়ার জন্য?
ঈশাঃ আমার ভাই বাসায় এসে অলরেডি আমাকে খুঁজতে শুরু করে দিয়েছে।এরপর আমি বাসায় গেলে জিজ্ঞেস করবে এত রাত পর্যন্ত আমি কোথায় ছিলাম।তখন কি জবাব দিব আমি?
আকাশঃ সেটা তো আমার জানার কথা নয়।
ঈশাঃ তাহলে আমাকে যেতে দাও।
আকাশঃ ঠিক আছে যাও।আমি ড্রাইভার কে বলে দিচ্ছি।তোমাকে বাসায় পৌঁছে দিবে জায়গা মতো।
কথাটা বলে আকাশ পেছন দিকে ফিরে একটু দূরে গিলো।নিজের ফোন পকেট থেকে বের করে ফোন দিতে যাবে ড্রাইভার কে।তখনি ঈশা নিজের বুকে দু হাত বটে আকাশের পিছন থেকে বললো!
ঈশাঃ এটা কি তোমার সহানুভূতি? নাকি ভালো সাজার অভিনয়? এক মিনিট দয়া দেখাচ্ছো না’তো আমাকে তুমি মেয়ে বলে? যদি ভালো ব্যবহারের অভিনয় করে থাকো! তাহলে অভিনয়ের জন্য তোমাকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া উচিৎ।
আকাশ খুব জেদ ধরে ঈশার কথাগুলো শুনছিলো এতক্ষন।ফোন কান থেকে নামিয়ে ঈশার দিকে ফিরে তাকালো।ঈশার কাছে এসে বললো!
.
আকাশঃ ইউ নোউ হুয়াট? তোমাদের মতো লো-কোয়ালিটির মানুষের প্রবলেম’ই এটা।তোমরা ভালো ব্যবহারের যোগ্য না।ভেবেছিলাম এত রাতে একা বাসায় যাবে।রাস্তায় বিপদ হতে পারে।সেটা ভেবে আমি ড্রাইভার কে ফোন করতে গিয়েছিলাম।যাতে তোমাকে সেফলি বাসায় পৌঁছে দেয়।বাট নো ওয়ে! এখন তুমি একাই বাসায় যাও।আমি তোমাকে দয়া করতে পারবো না।সো,জাস্ট গেট আউট।তুমি আকাশ ইসলামের দয়ার যোগ্য না। [ঈশার কানের কাছে গিয়ে]
ঈশাঃ আমার কোনো প্রয়োজন নেই তোমার দয়ার।আসছি আমি।
ঈশা নিজের ব্যাগ নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গেলো।আকাশ রেগে ফ্রিজ থেকে একটা ওয়াইনের বোতল নিয়ে এসে সোফায় বসলো।টিংকু ভাই ফ্রেস হয়ে এসে আকাশের পাশে সোফায় বসলো নিজের ফোন নিয়ে।
ঈশা বাহিরে গিয়ে দাঁড়ালো রাস্তায়।রাস্তা পুরো ফাঁকা।একটি রিকশা এলো এদিকে।ঈশা সামান্য এগিয়ে গেলো।
ঈশাঃ মামা দাঁড়ান!
—: কুনাই যাইবেন আফা?
ঈশাঃ তিনশো ফিট বড় মাঠের পিছের বস্তিতে।
—: চলেন যামু।
.
ঈশা রিকশায় উঠলো।রিকশা ওয়ালা চলে গেলো।ঈশা রিকশায় বসে আকাশের কথাগুলো ভাবতে লাগলো।আসলেই কি আকাশের মধ্যে কিছু-কিছু ভালো গুন আছে? আকাশ উপরে-উপরে যতটা খারাপ দেখায় সবাইকে।আসলেই কি আকাশ ভেতরেও অতটা খারাপ? ঈশা আসার সময় যে কেয়ারিং দেখাচ্ছিলো ঈশা’কে।আসলেও কি আকাশ কেয়ার করছিলো না’কি অভিনয় করছিলো? ঈশা রিকশায় বসে এগুলো ভাবছিলো।
আকাশ বসে বোতল ধরে ড্রিংক করছে।আকাশ রাতে বাহিরে থাকলে ড্রিংক করে।কিন্তু রাতে বাসায় কখনো ড্রিংক করে না বললেই চলে।আজ অনেক দিন পর রাতে বাসায় বসে ড্রিংক করছে।
টিংকু ভাইঃ এরকম রেগে আছো কেনো? আর এত ড্রিংক কেনো করছো?
আকাশঃ মেয়েটা নিজেকে কি ভাবে বলো আমাকে।
.
টিংকু ভাইঃ কোন মেয়েটি?
আকাশঃ ঈশার কথা বলছি আমি।
টিংকু ভাইঃ কি করেছে আবার মেয়েটি তোমাকে?
আকাশঃ আমি ভালোভাবে ড্রাইভার কে ফোন করে বলতে চেয়েছিলাম।যেনো ঈশা’কে সেফলি ওর বাসায় পৌঁছে দেয়।কিন্তু মেয়েটি এত পরিমানে বাড়তি কথা বলে যে কি বলবো।
টিংকু ভাইঃ কি বলেছে?
আকাশঃ বলছে আমি নাকি ভালো সাজার অভিনয় করছি ওর সামনে।আমি নাকি ওকে দয়া দেখাচ্ছি।
টিংকু ভাইঃ তুমি কখনো ওই মেয়েটির সাথে ভালো ব্যবহার করেছো? তাহলে কিভাবে এত সহজে বিশ্বাস করবে মেয়েটি তোমাকে?
আকাশঃ দেখ এখন কেমন লাগে।একা-একা পাঠিয়ে দিয়েছি।
টিংকু ভাইঃ এই কাজ’টা বোধয় ঠিক করো’নি তুমি।এত রাতে একা বাসায় পাঠিয়েছো মেয়েটিকে।
আকাশঃ আই নোউ দ্যাট।
টিংকু ভাইঃ এখন এত রাতে তোমার ড্রিংক করার রিজন শুনতে চাই আমি।
আকাশঃ নাথিং এলস্।টেনশন হচ্ছে আমার।ঠিক ভাবে বাসায় পৌঁছলো কি’না গড নোউস্।
টিংকু ভাইঃ এত টেনশন হলে একটা ফোন করে নাও।
আকাশঃ ঈশার নাম্বার নেই আমার কাছে।
টিংকু ভাইঃ হুমম।কাল আমি ঈশার কাছ থেকে ওর নাম্বার নিয়ে দিব তোমাকে ওকে।টেনশন করো না এতো।
আকাশঃ লাভ ইউ গাঁধা।
টিংকু ভাইঃ মি টু।
আকাশ সোফা থেকে উঠে ওয়াইনের বোতল হাতে নিয়ে! খেতে-খেতে উপরে চলে গেলো।আয়রার রুমে গেলো আকাশ সোজা।টিংকু ভাই সোফায় বসে একা একাই বললো!
টিংকু ভাইঃ ইয়্যাহা ভি ডাল মে কুঁছ কালা হ্যায় ক্যায়া।পাতা লাগানা পারেগা।
.
চলবে….

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com