Breaking News

বিশ্বাসঘাতকতা | ৩য় পর্ব

আমি গিয়েছিলাম আন্টিকে বলতে যে এইগুলো অনামিকা কি করছে!

কিন্তু আন্টিও যে সবটা জানে অথবা এমন কথা বলবে তা আমার পরিকল্পনার বাইরে ছিলো।

আনিশা অবাক হয়ে আমার দিকে তাকালো। আমি মাথা নিচু করে নিলাম।

কি বলবো এইখানে? কিইবা বলার আছে? আনিশা বললো, ‘

এদের মতো এতো বিশ্বাসঘাত*ক এর সাথে এতোদিন আমি সব কিছু বলতাম!

মানুষ এতো নিকৃ*ষ্ট কিভাবে হতে পারে?

কিভাবে! এইটা বলেই আনিশা বাইরে যাওয়ার দিকে হাঁটা শুরু করে।

আমিও দৌড়েঁ আনিশার পিছু পিছু হাঁটছি। আনিশা কান্না করতে করতে হাঁটছে।

আমি বললাম, ‘আনিশা এতে যেমন অনামিকার দোষ আছে। তোর বয়ফ্রেন্ডেরো দোষ আছে।

ভালোবাসলেই কি সব দোষ ক্ষমা করতে আছে বোন?

আনিশা চোখের পানি মুছে বললো, ‘ঠিক বলছোস নিহা। এইবার আর না অনেক হয়েছে।

ওর সাথে সামনাসামনি কথা বলা উচিৎ আমার।

আমিও বললাম, ‘হুম তুই সামনাসামনি কথা বল। কারণ এইভাবে চলতে পারেনা।

তোরও জানা উচিৎ যে আসলেই সে কি চায়।

আনিশা বললো, ‘হুম এর একটা বিহিৎ হওয়াই উচিৎ। কি না করেছি ওর জন্য?

ওর জন্য কতো যে মি*থ্যে বলছি আম্মুর কাছে। আর অনামিকা!

ওরে বোনের মতো ভাবতাম। ওহ এমনটা কেমনে করলো ইয়ার কেমনে?

ওহ কিভাবে পারলো? আমার এতোদিনের ভালোবাসা এক নিমিষেই বেইমা*নি করে কেড়ে নিতে?

আন্টিও সব জানে? এতো টাকার লোভী এইগুলা? জীবনে কি টাকা দেখেনাই?

আমি বললাম, ‘থাক এইসব বাদ দে। উল্টা পাল্টা কিছু করবিনা বাসায় গিয়ে।

আর কাল বিকেলে তোর বয়ফ্রেন্ডকে বলবি, জাম্বুরী পার্কে চলে আসতে।

আনিশা আমার দিকে করুন চোখে তাকিয়ে বললো, ‘ঠিক আছে।

আমি বাসায় গিয়ে নিজের রুমে ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পড়ি। আম্মুকে সব বলি।

আম্মু বললো, ‘অনামিকা এমন কিভাবে করতে পারলো?

একিসাথে থেকে খেয়ে। আর অনামিকার আম্মুও!

আমি বললাম,’ তবে বলি কি আর আম্মু। দুই মা মেয়ে দেখছে ওর বয়ফ্রেন্ড হ্যান্ডসাম টাকা পয়সাও আছে।

তার জন্য এই অবস্থা। অনামিকা নিজের রুপ দিয়ে ওরে পাগ*ল করে ফেলছে।

আম্মু হেসে বললো, ‘ভালোবাসা বড্ড দামি একটা অংশরে মা৷ এই অংশের দাম অতুলনীয়।

আজ অনামিকার রুপ আছে। কাল নাও থাকতে পারে।

আমি মলিন হাসলাম একটুৃ। এরপরেরদিন অনামিকার সাথে আমরা কেউ কথা বলিনি৷

অনামিকাও আর তেমন মিশেনাই। হয়তো ওহ কিছু বুঝতে পেরেছে৷

বিকেলে অর্ণব ভাইয়াকে ডেকে..আনিশা বললো, ‘তুমি এতোদিন যে নিখুঁত অভিন*য় করছো অর্ণভ তা অভাবনীয়।

সোজাসাপ্টা আনসার দিবা। অনামিকা নাকি আমি?

অর্ণব ভাইয়া তখন তড়িঘড়ি করে বললো, ‘এইসব কি বলো সো*না?

অনামিকা কোত্থেকে এইখানে আসলো?

আনিশা রে*গে বললো,’কোত্থেকে আসলো তুমি জানোনা? আনসার দাও। বাসা থেকে আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।

একপর্যায়ে অর্ণব বির*ক্তি নিয়ে বললো, ‘যে তার অনামিকাকে চায়।

অর্ণব কঠিন গলায় বললো, ‘কি আছে তোমার? অনামিকার মতো রুপ! নাকি গুন?

আমি তখন নিজের রা*গ কন্ট্রোল করতে না পেরে বললাম, ‘

ভাইয়া আনিশা হয়তো অনামিকার মতো আহামরি এতো সুন্দর নয়।

তবে আনিশার যে বড় মন আছে তা অনামিকার মাঝে নেই৷ আফটার

অল একটা ভালো মনের মানুষ প্রত্যেকটা ছেলে চায়।

শেষ ওখানেই সব শেষ। এর কিছুদিন পর জানতে পারি অনামিকা আর অর্ণবের বিয়ে৷

এইদিকে ওইদিন আনিশা বাসায় ফিরতেই ওর আম্মু আব্বু বিয়ের কথা জানিয়ে দেয়,

যে তাদের ছেলেকে ভীষণ পছন্দ হয়েছে। সেইদিন আনিশার দম ফাটাঁনো কান্না দেখে মনে মনে

ভাবছিলাম ‘এরি নাম ভালোবাসা! নাকি বিশ্বাসঘাতক*তা? আনিশারও বিয়ে হয়ে গেছে।

তার হাসবেন্ডটা অমায়িক ভালো। আল্লাহ এই ভালো মানুষটির জন্যই হয়তো অর্ণবের সাথে বিচ্ছেদ করেছে।

এখন অানিশাও আমাকে কল দিয়ে বলে, ‘আসলেই আমি খুব ভাগ্যবতীরে নিহা।

নয়তো ফরহাদের মতো একটা ভালো মামুষ আল্লাহ কখনোই আমার জীবনে দিতোনা’ আর

এর কিছুদিন পর খবর পেলাম…অনামিকাকে অর্ণব ডিভো*র্স দিয়েছে।

সে নাকি আবার দ্বিতীয় বিয়ে করছে।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com