প্রেমিক নামক মিথ্যা সান্ত্বনা



আমার একটা চাকুরি ঠিক হয়েছিলো।
মাইনে ছিলো রোজ অপেক্ষা আর রাত জেগে চোখের জল।
বেশি খাটতে হয়নি,নিয়ম করে দু বেলা মানুষটাকে একটু সাহস দিতে হয়েছে,
কি খাচ্ছে, কোথায় যাচ্ছে,কার সঙ্গে মিশছে এমন কোনো প্রশ্ন করার নিয়ম ছিলো না।
তার যতটুকু আবদার ছিলো,সবটুকু পূরণ করতে পারলেই আমি প্রেমিকা হিসেবে যথেষ্ট উপযোগী।
আর কিছু পারুক কিংবা না পারুক অবহেলাটা শুধে আসলে ফিরিয়ে দিত।
আমার দেওয়া পাঁচ মিনিট অপেক্ষা তার কাছে ফিরে পাওয়া পাঁচ ঘন্টা অপেক্ষার সমান ছিলো।
সচারাচর বাড়ি গিয়ে মিসকল দেওয়ার টাকাটা তার কাছে ছিলো না,তবে আমার কাছে ছিলো।
মুখ ফুটে কখনো বলেনি,কোন রঙটা আমায় মানায়,কোন ফুলটা আমি খোঁপায় পড়েছি,
এসব দেখার বোধহয় সময় হত না।.

আমি শাড়ি পড়া শিখে নিয়েছিলাম,সাথে এটাও শিখেছিলাম ওর বাঁকা হাসির মানে,
আজ আমায় সুন্দর লাগছে। 
কপালের টিপটা ইচ্ছে করে বাঁকা পড়লেও কখনো ঠিক করে দেয়নি,
বোধহয় আমার কপালে হাত রাখার মতো সাহস পাইনি।
চোখে একখানা চশমা পড়তো,কিন্তু মনের চশমাটা অস্পষ্ট ছিলো,
আমার পছন্দের ফুলটা ও দেখেনি।
আমি যদিও জোর করে মাঝে মাঝে পাঞ্জাবি পড়ে আসতে বলতাম,
তখন হিসাবের খাতাটা দেখিয়ে কৈফিয়ত চাইতো
এই চাকুরিতে নাকি এত আহ্লাদ মানায় না।
হিসাব কষে দুটো জিনিস হাতে তুলে দিয়েছিলো,প্রথমত চাকুরির ছাঁটাই পত্র,
আর প্রেমিক নামক মিথ্যা সান্ত্বনা।
প্রেম নামক চাকুরিতে এমন কত প্রেমিকা দুটো ভালোবাসার আশায় মন ভর্তি ঘৃণা নিয়ে ইস্তাফা দেয়।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url